Better Life with Steem || The Diary Game || March 20, 2024
- আজ বুধবার আমার সারাদিনের কার্যক্রম
আজ সেহরি খেতে উঠেছিলাম চার টা বাজে ১০ মিনিট, উঠে হাতমুখ ধুয়ে সবাই মিলে একসাথে সেহরি খাওয়া সম্পূর্ন করি, এরপরে ফজরের আজান হলো এবং সাথে সাথেই নামাজ টা পড়ে নিলাম। নামাজ পড়া শেষে আবারও ঘুমিয়ে পড়েছি। এবং উঠতে উঠতে প্রায় সকাল দশটা বেজে গিয়েছিলো।
- এরপরে উঠে হাতমুখ ধুয়ে রেডি হয়ে নিলাম, কারণ আজ একটু কচুক্ষেত যাব কিছু কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে। যেহেতু ইচ্ছা আছে আগামীকাল দেশের বাড়ি চলে যাব তাই আজ এই বেরিয়ে পড়েছি, যেহেতু হাতে সময় খুবই কম। এরপরে আমরা গাড়িতে করে চলে আসি।
প্রথমেই আমার শাশুড়ির জন্য একটা চশমা বানাতে দিলাম। ডাক্তার চশমার পাওয়ার লিখে দিয়েছিলেন আর ওই অনুযায়ী বানাতে দিয়েছি। এরপরে গিয়েছিলাম ব্যাগ এর দোকানে ওখানে গিয়ে আমার জন্য একটা ব্যাগ নিলাম, কারণ বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছি একটা ব্যাগ নিবো কিন্তুু সময় সুযোগ এবং মার্কেটে যাওয়া হচ্ছিল না তাই এখান থেকেই একটা ব্যাগ নিলাম।
- প্রত্যেক টা ব্যাগের দাম এত বেশি ছিল আমার কাছে মনে হলো,, এখান থেকে না কিনে গোপালগঞ্জ থেকে কেনা এই ভালো হবে কিন্তুু তবুও এখান থেকে একটা ব্যাগ নিলাম। এরপরে গিয়েছিলাম থ্রি পিস এর দোকানে এবং সেখানে গিয়ে প্রথমে কয়েক টা থ্রি পিস দেখলাম এবং আমার জন্য আমার ননদের জন্য এবং আমার আম্মুর জন্য সব মিলিয়ে ৫ টা থ্রি পিস কিনেছি।
প্রতিটা থ্রি পিস ১৫০০ টাকা করে নিয়ে ছিলাম, তবে আমার মনে হলো আমাদের ওখান থেকে ঢাকাতে জামা কাপড়ের দাম একটু কম। এরপরে মেয়ের জন্য কিছু টুকটাক জিনিস কিনেছি, এরপরে আমার ফোনের একটা ব্যাগ কাভার নিলাম ফোনের ব্যাগ কভার টা অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে, তাই ফোনটা কে আবার একটু নতুন করে নিলাম।
এরপরে আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাসায় ফিরে আসি। বাসায় এসে একদম ক্লান্ত হয়ে পড়ে ছিলাম। কারণ, রোজা রেখে এত হাঁটাহাঁটি এবং কেনাকাটা করা সত্যিই অনেক কষ্টকর ব্যাপার আমার কাছে। এরপরে গোসল করে যোহরের নামাজ পড়ে নিলাম, নামাজ শেষ করে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ছিলাম। এবং আম্মুর সাথে ফোনে কথা বললাম এবং তাকে জানালাম আমরা কাল সকালে বাড়ি ফিরবো।
এরপরে খালা শাশুড়ির সাথে বসে ইফতারি তৈরি করলাম, যদিও এখানে আসার পরে কোন কাজ করা হচ্ছে না শুধু খাওয়া আর ঘুম আর বাসার মধ্যে কোন কাজ না করলেও ভালো লাগে না, তাই অনেক জোরা জোরি করে আজ একটু ইফতারি টা আমি রেডি করলাম। যদিও কোন কাজে এই করতে দেয় না আমাকে।
তারপর ইফতারের সময় হলো এবং সবাই মিলে ইফতারি করে, ইফতারি শেষ করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। নামাজ শেষে ব্যাগটা কে খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে রাখলাম কারণ, আগামীকাল একদম সকাল সকাল আমাদের বেরিয়ে পড়তে হবে। এরপরে রাতের খাবার শেষ করলাম এশারের নামাজ আদায় করলাম। এরপরে কিছুটা সময় ফোন নিয়ে বসে ছিলাম ঠিক তখন মনে পড়লো।
আজ আমাদের কমিউনিটিতে হ্যাংআউট আছে, তাই আর দেরি না করে সাথে সাথে এই জয়েন্ট হয়ে ছিলাম। সত্যি কথা বলতে কেন জানি মনটা ভীষণ ভাবে খারাপ ছিলো, তবে হ্যাংআউটে জয়েন করার পরে আমি বলতে চাই যে,, আমার মন সত্যি অনেক টা ভালো হয়ে গিয়েছিলো, ম্যাম আমাদের এত বেশি হাঁসিয়ে যে আমার যখন মনে পড়বে তখনই হাঁসি আসবে। খুব ভালো লেগে ছিলো।
যাইহোক আজ আর লিখব না সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
আজ আপনি সারাদিনই বলতে গেলে প্রায় কেনাকাটার মধ্যে ছিলেন। দেশের বাড়ি যাবেন এজন্য আজ কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শাশুড়ির জন্য চশমা বানাতে দিয়েছিলেন। ব্যাগ কিনতে গিয়েছিলেন তবে এর দাম তুলনামূলক বেশি ছিলো তবুও একটা নিয়েছিলেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
Hello @karobiamin71,
Shopping in a large market has its disadvantages; number one is being tired and exhausted. The shopping experience was nice and other activities of the day as well. Thank you for sharing!
Very nice, thanks for the nice comment.
সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে মনে হল বিষ কেনাকাটার মাঝেই দিন পার করেছেন। দেশের বাড়ি চলে যাবেন দেখে আপনার শাশুড়ির জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চশমা কিনেছেন। এছাড়াও কাপড় ব্যাগ কেনাকাটা করেছেন। ধন্যবাদ সারাদিনের কার্যলিপি তুলে ধরার জন্য।
সামনে যেহেতু ঈদ মার্কেট তো করতেই হবে। তাই ঢাকায় গিয়ে নিজের শাশুড়িকে ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি, মার্কেট করার কাজটাও সেরে নিয়েছেন। বলা যায় এক ঢিলে দুই পাখি মেরে ফেলেছেন। খুবই ভালো কাজ করেছেন। আসলেই ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ে গ্রাম অঞ্চলের চাইতে ঢাকা শহরে জামা কাপড়ের দাম, একটু সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
হাঁ হাঁ হাঁ, কি আর করার কিনতে যখন হবেই তাই ওখান থেকেই করে নিয়েছি এতে করে রোজা রেখে বাইরে যেতেও একটু কম হবে এবং একবারে নিয়েও যাওয়া যাবে।।
গোপালগঞ্জ ফেরার আগে শপিংটা করে ভালোই করেছেন।আসলে ঈদের আগ দিয়েতো যার কারনে সব জিনিসেপএের দামটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাবসায়ীরা।৫ টাকার জিনিস ১০ টাকা করে ফেলতেছে।জানে চাইলেই পাবে কারন সাধারণ মানুষের আর কোন অপশন নাই।
যারা সবসময় কাজ করে তারা আসলে একেবারে আজাইরা বসে থাকতে পারে না।আপানার ক্ষেত্রেও এমনই হচ্ছে। এজন্যই আপনি খালা শাশুড়ী বার বার নিষেধ করার পরেও ইফতার এর আয়োজন করেছেন।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
ভালাো এবৃং সুস্থ থাকবেন।
আমি মনে করি কাজ করলে শরীর ভালো থাকে, তাই নিজের শরীরের অলসতা নাই না কাজের উপরে থাকতে বেশি পছন্দ করি ।।
এতে শুধু শরীর ভালো থাকে শুধু তাই নয় মনটাও ভালো থাকে মনের ভিতর খারাপ কিছু বাসাও বাঁধতে পারেনা।।