Better Life With Steem | | The Diary Game | | 04 June, 2024
Hello,
Everyone,
গতকাল কে রাত্রে ঘুমাতে বেশ অনেক টা দেরি হয়ে গিয়েছিলো, তাই আজ সকালে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো উঠতে। উঠে দেখি ৭:৩০ বাজে হাজব্যান্ড কে আট টা মধ্যে খাবার দিতে হবে কারণ সে অফিসে যাবে। তাই খুব তাড়াহুড়া করে প্রথমে রান্নাঘরে গেলাম এবং গিয়ে রাইস কুকারে ভর্তা ভাত বসিয়ে দিয়েছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
নতুন এই রাইস কুকার টা খুব দ্রুত রান্না হয়ে যায়। যে টা আমার জন্য খুবই ভালো হয়েছে।এছাড়া গতকাল কে তরকারি ছিলো, তাই আর কোন কিছু রান্না করতে যাইনি এই দিয়ে সকালের নাস্তা করে নেওয়া যাবে। এরপর চলে গেলাম অন্য রুমে গিয়ে দেখি হাসবেন্ড ব্যায়াম করতেছে। প্রথমে তার সাথে একটু ঝগড়া করে নিলাম কারণ, ঘুম থেকে আমাকে ডাক দেওয়া হয়নি কেন।
![]() |
---|
যাইহোক এরপর বলেছিলো ব্যায়াম করার জন্য কিন্তুু আমি মাফ চলে এসেছে, ব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো, তবে আমি একদিন ব্যায়াম করলে সাতদিন বিছানায় পড়ে থাকতে হবে, তাই ওই চিন্তা করে আর ওদিকে যেতে চাই না।
![]() |
---|
এরপরে হাসবেন্ড খেয়ে অফিসে চলে গেল আমি এবং মেয়ে দুই জনে মিলে সকালে খাবার খেয়ে নিলাম। খেয়ে দেয়ে দুপুরের রান্নার আয়োজন শুরু করেছি। প্রথমেই সব তরকারি গুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এর মাঝে আমার আম্মু ফোন দিলো তাই তার সাথে কিছুটা সময় কথা বললাম।
![]() |
---|
এরপর দুপুরের রান্না শুরু করি, আজ দুপুরে রান্না করেছিলাম কাঁঠালের বীজ দিয়ে শুটকি মাছ, আমি শুটকি মাছ ভীষণ পছন্দ করি সেই সাথে, আমার মেয়ে কাঁঠালের বীজ অনেক পছন্দ করে, তাই ইউটিউবের একটা রেসিপি দেখে দুই টা কে একসাথে করে একটা তরকারি রান্না করে নিয়েছি।সাথে ছিলো বেগুন দিয়ে মাছ রান্না, এবং শাক ভাজি। সবগুলো আইটেম গরম ভাতের সাথে অসম্ভব মজাদার হয়েছিলো খেতে।
![]() |
---|
এরপরে, দুপুরের গোসল শেষে যোহরের নামাজ আদায় করে, মেয়ে কে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপরে হাজবেন্ড আসলো তাকে নিয়ে দুপুরে খাবার খাওয়া শেষ করলাম। এবং খাওয়া-দাওয়া শেষে বেশ কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ছিলাম। বিকালের দিকে মনে হয়েছিলো একটু হাঁটাহাঁটি করা প্রয়োজন, তাই আমরা গিয়েছিলাম ধানমন্ডি লেক পাড়ে,,,
![]() |
---|
আজ বিকেল টা অসম্ভব সুন্দর কেটেছে আমার মেয়ে আমি এবং আমার হাজব্যান্ড মিলে, ধানমন্ডি লেক পাড় দিয়ে বেশ অনেক টা পথ হেঁটেছি, খুবই শান্ত একটা পরিবেশ, এসে শাপলা ফুলগুলো দেখে আমার মনে হয়েছিলো, আমি তো বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছি কারণ, আমাদের পুকুর পাড়ে ও বেশ শাপলা ফুল ফুটে থাকে বারো মাস। আমার সাথে সাথে আমার মেয়েও এই খোলামেলা পরিবেশ পেয়ে মনের আনন্দে তার বাবা কে সাথে নিয়ে হেঁটে চলে ছিলো।
![]() |
---|
এরপরে, গিয়েছিলাম "ডিঙ্গি কাবাব ঘর" তবে, ওখানে গিয়ে কাবাব খায়নি খেয়েছিলাম মালাই চা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিলো, এরপরে তিন জনে মিলে তিন টা আইসক্রিম খেতে খেতে আবার হাঁটা শুরু করি।
ধানমন্ডি লেক পার টা দেখতে সুন্দর হলেও আমার কাছে মনে হয়েছে এই পানি থেকে যে একটা দুর্গন্ধ আসে, সে দুর্গন্ধ টা এই সৌন্দর্য টা কে নষ্ট করে দিয়েছে, তবে সবশেষে আমার কাছে পড়ন্ত বিকালে এভাবে হাঁটতে পেরে ভালো লেগেছে। এরপরে, আমরা বাসায় চলে এসে ছিলাম।
![]() |
---|
বাসায় ফিরতে ফিরতে, প্রায় মাগরিবের আযান শেষ হয়ে গিয়েছিলাম। বাসায় এসে প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নিলাম এরপরে কিছুটা সময় রেস্ট নিলাম। রেস্ট করা শেষে মেয়ে পড়তে বসিয়ে ছিলাম। পড়ানো শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম, এরপরে বাকি দুই জন ঘুমিয়ে গিয়েছে। আর আমি অন্য দিকে থালা বাসন গুলো পরিষ্কার করে, সবকিছু গুছিয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ।।।।।।
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeNW8WGqB2SscxBbm243ErNeLe1aTY8yLYdZGXGZgGfeS/3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD_1.gif)
আসলে রাতে একটু দেরিতে ঘুমালে তারপরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে যায় এমনটা আমার সাথেও হয়ে থাকে, যাই হোক ঘুম থেকে উঠে দেখতে পেলেন সাড়ে সাতটা বেজে গিয়েছে তার ওপরে আপনার হাসবেন্ড অফিসে যাবে আটটার সময় তাই দ্রুত রান্নাঘরে চলে গিয়েছিলেন সকালে নাস্তা হিসাবে কিছু তৈরি করার জন্য। বেশি কিছুর রান্না করার প্রয়োজন হয়নি কারণ আগের দিনের তরকারি ছিলো।
ব্যায়াম করা আসলেই শরীরের জন্য অনেক ভালো একটি কাজ বলে আমার মনে হয় কারণ ব্যায়াম করলে প্রতিদিন সকালে নিজের শরীরে অন্যরকম একটি এনার্জি চলে আসে আপনার হাসবেন্ড ব্যায়াম করে এটা জানতে পেরে আসলে অনেক ভালো লাগলো।
সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
একদম তাই ব্যায়াম করা শরীরের জন্য খুবই ভালো এতে অনেক বেশি নিজেকে হালকা লাগে।
এবং রোগ গুলো আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না, তবে আমি ব্যায়াম করতে পারিনি আর যখন করি তখন হাত-পা প্রচন্ড ব্যথা করে যেহেতু অভ্যাস নেই সেই কারণে।।।
মেয়েদের নিয়ে সকালের নাস্তা করার পর আপনি দুপুরের খাবার রান্না করার প্রস্তুতি নিয়েছেন ।আপনি শুটকি মাছ দিয়ে কাঠালের বীচি রান্না করেছেন।আসলে আমারো এই তরকারিটা অনেক পছন্দ। আপনি বিকেলবেলা ধানমন্ডি লেকে আপনার হাসবেন্ডের সাথে বেশ কিছু সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন।দিনটি অনেক সুন্দর ছিলো।
ভালোভাবে রান্না করতে পারলে কাঁঠালের বীজ দিয়ে শুটকি ভীষণ মজাদার হয় ।।আমার তো গরম ভাতের সাথে পেলে আর কিছুই প্রয়োজন হয় না।।
বিকেল বেলা একটু হাঁটাহাঁটি এবং ঘোরাঘুরি না করলে ভালো লাগেনা আর সেই কারণে গিয়েছিলাম ধানমন্ডি লেক পাড়ে।
রাইস কুকার থাকলে আমাদের রান্নার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য হয়। গতকালকের রান্না তরকারি ছিলো এজন্য সকালে তেমন কিছু রান্না করতে হয়নি। আপনার হাসবেন্ড সকালে ব্যয়াম করছে দেখে ভালো লাগলো, এটা শরীরের জন্য অনেক দরকারি। আজ বিকালে অনেক সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন পরিবারের সাথে৷ সকলে মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই রাইস কুকার রান্না করা শুরু করছি আর এখন পাতিলের রান্না করতে আমার কাছে মনে হয় সময় লাগে আর তাছাড়া আজকে করে ভাত বসিয়ে অনেক কাজ করা যায় ঠান্ডা মাথায়।
যদিও কারেন্ট বিল উঠার সময় ঠিকই অনেক বেশি ওঠে তবে হাতের কাজ বেশি করা যায়।
এখানে আসার পর প্রতিদিনই চেষ্টা করি একটু রুম থেকে বের হওয়ার না হলে মনে হয় বন্দী লাগে, ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কার্যকর জন্য।
প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে জীবনটা চলার পথে অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন রাইস কুকারের মাধ্যমে কত সহজেই রান্না করা সম্ভব হয়।সত্যি এতে কারেন্ট বিল অনেক বেড়ে যায়। বাইরে ঘুরতে গেলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়। মন ভালো মানে শরীরও ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য।
রাতে ঘুমাতে লেট হলে অনেক এখন থেকে উঠলে দেরি হয়ে যায়। যাদের বাচ্চারা স্কুলে যায় আর নিজেরা কিংবা হাবি যদি অফিসে যায় তাহলে তাদের জন্য সকালেনা উঠা মানে মহাবিপদ। আপনার রাইসকুকারটাতে দ্রুত রান্না হওয়ার কারনে আপনি অবশ্য বিপদমুক্ত হয়েছিলেন।
আপনিতো দেখি আমাদের এলাকাতেই এসেছেিলেন যদিও আমি লেকের অন্য পাড়ে।
শাপলার ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।
আপানার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।
এখানে আসার পরে একটা জিনিস আমাকে একজন মতই চলতে হচ্ছে তাহলে প্রতিদিন সকালে টাইম মতো ঘুম থেকে ওঠা কারণ হাজবেন্ড অফিসে যাবে।
আর যখন শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম তখন এই প্যারাটা ছিল না, যেদিন একটু লেট হয় সেদিন আবার অন্য ব্যবস্থা নিতে হয়।। তাই ঘুম থেকে ওঠার ব্যাপারে বেশ নজরদারি করতে হয় আমাকে।
হ্যাঁ শাপলা ফুলের ছবিগুলো আমার কাছে ভালো লেগেছিল খুব সুন্দর ফুটে আছে।
আমরা যারা বাঙালি জাতি তারা একটু অলস জাতি আমার কাছে মনে হয়, প্রতিদিন ব্যায়াম করলে বা সকালবেলা হাটাহাটি করলে শরীরটা সারাদিন অনেক সুস্থতা থাকে আমার মনে হয়।
এখন তথ্য প্রযুক্তির দেশ কেউ যে রান্না নাও হতে পারে সে ইউটিউব দেখে মোটামুটি রান্নার কাছাকাছি চলে যেতে পারবে। এখন ইউটিউবে ই এক আইটেম দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি পাওয়া যায়।
শুটকি মাছ এ দেশের প্রাইস ৮০ ভাগ মানুষের পছন্দ করে কিন্তু দুঃখজনক বিষয় আমি এটা গন্ধ তা নিতে পারিনা এবং খাওয়া পছন্দ করিনা।
ঠিক বলেছেন আপু ক্যাম্পাস থেকে যেদিন ছুটি থাকতো সেদিন ধানমন্ডি লেগ পারে হাঁটতে চলে যেতাম, কিন্তু ওইখানকার দুর্গন্ধযুক্ত পানি খুবই বিশ্রী পরিবেশটাকে এবং সৌন্দর্যটাকে নষ্ট করছে। ধন্যবাদ আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
একদম তাই হয়তো এই অলসতার কারণে আমার প্রতিদিন ব্যায়াম করা হয় না। তবে একটা কথা মানতে হবে ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে ইউটিউবে যুগের সে এমন কোন রেসিপি নাই যেটাই ইউটিউবে পাওয়া যাবে না।
শুধু মোবাইল হাতে নিয়ে সার্চ দিলেই রেসিপি করা সম্ভব। আর ইদানিং আমিও এই রেসিপিগুলো বেশ ফলো করছি।
একদম ঠিক বলেছেন লেক পার দেখতে যতটুকু সুন্দর্য তার থেকে বেশি দুর্গন্ধ না হলে জায়গাটা বেশ ভালই হতো।।
প্রতিটি মানুষেরই এরকম রাতের বেলায় একটুদেরিতে ঘুমালে সকালবেলা দেরিতে ঘুম ভাঙ্গে। যেমনটা আপনারও হয়েছিল। ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়ো করে রান্নাবান্না করেছেন। আসলে প্রতিটি মানুষের বিকেলবেলা বাইরে একটু হাটাহাটি করার প্রয়োজন। আপনার হাজব্যান্ড এবং মেয়েকে নিয়ে ধানমন্ডি লেকের পারে বেড়াতে গিয়েছেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
নতুন সংসারে অনেক কিছুই আপনাকে সামলাতে হচ্ছে। তবে নতুন নতুন রাইস কুকার কিনলে রান্নাটা একটু দ্রুতই হয়ে থাকে। যখন ধীরে ধীরে পুরনো হবে তখন দেখবেন আস্তে আস্তে কাজ করা শুরু করবে। বিকেল বেলা আপনারা ঘুরতে বের হয়েছেন। ডিঙ্গি কাবাব এ গিয়ে মালাই চা খেয়েছেন। যদি ওখানে যাওয়া হয়নি তবে অবশ্যই ঢাকায় গেলে যাওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
একদম তাই যে কোন জিনিস নতুন অবস্থায় একটু ভালই সার্ভিস পাওয়া যায়।
আর ধীরে ধীরে জিনিসটাও কম কাজ করে এমনটা আমার বাড়ির রাইস কুকারে হয়েছে।
হ্যাঁ অবশ্যই ঢাকায় আসলে চেষ্টা করবেন মালাই চা বেশ সুন্দর ছিলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।