Better life with steem || The Diary Game || 22 January
Photo edited by canva
Hello,
Everyone,
কথায় আছে, শেখার কোন সময় বা বয়স নেই, ইচ্ছায় এবং আগ্রহ থাকলে যে কোন সময় আপনি শিখতে পারেন, ঠিক তেমন আজ আমি একটা নতুন জিনিস শিখেছি। হয়তো আপনাদের কাছে এটা পুরাতন হতে পারে। তবে আমার কাছে নতুন তাই একটু আনন্দ বোধ করছিলাম। যাইহোক ভুলে গিয়েছি, আপনাকে আমার আজকের পোস্টে স্বাগতম জানাচ্ছি, এবং আমি আমার আজকের ডাইরি গেমটা শুরু করছি।
সকালে উঠে কিছুটা সময় বই পড়ার পরে, আট টা বাজে উঠেছি টেবিল ছেড়ে, শাশুড়ি আম্মা কে ও দেখলাম উঠল এবং রান্নাঘরে গেলো, আমি গিয়ে দ্রুত চা বসাই এবং পাউরুটি ডিম দিয়ে ভেজে নিলাম। শশুর শাশুড়ি এবং আমি মিলে সকালের নাস্তা টা সেরে নিলাম, সকালে হালকা নাস্তা করতে বেশি পছন্দ করি আমি। এবং মেয়েকে একটু ম্যাগি নুডুলস রান্না করে খাইয়ে দিলাম।
বাংলাদেশ মোটামুটি সব অঞ্চলেই ধানের চারা রোপন করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে জমিতে। গত সপ্তাহে এক বিঘা জমি তে চারা লাগানো হয়েছে আমাদের, বাকি দুই বিঘা জমিতে আজ চারা লাগানো হবে। আর অন্যান্য জমি গুলোতে অন্য মানুষের কাছে বর্গা হিসেবে লাগাতে দেয়া হয়েছে, যদিও সেখান থেকে আমরা ধান পাবো।
আমার শ্বশুরের ইচ্ছা তার যতগুলো জমি আছে তিনি সব জমিতেই ধান রোপণ করবে, কিন্তু আমার শাশুড়ির ইচ্ছা বছরের খাওয়ার ধান টা হলেই তো হয়, এত বেশি ধান লাগানোর কি দরকার আছে, আর এটা ভাবার কারণ হলো, ধানের চারা তোলা থেকে শুরু করে, ধান সিদ্ধ করা পর্যন্ত, এবং চাল ঝাড়া পর্যন্ত কাজের লোক দিয়েই করাতে হয়।
সেখানে এত জমি লাগিয়ে বেশ খরচ পড়ে যায়, তাই আমি এবং আমার শাশুড়ি আম্মা শশুরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে, এবছর মাত্র তিন বিঘা জমি লাগাতে দিয়েছি। বছরে ৮ থেকে ৯ মন ধান হলে আমাদের যথেষ্ট, আর বাকি সব ধানগুলো বিক্রি করে দেয়া যাবে। দুপুর বেলা আমার শশুর এসে বললো, একটু বাড়ির পাশে যেতে ধানের চারা উঠাতে লোক এসেছে কিনা সেটা দেখতে, এবং আমি গিয়ে দেখলাম দুই জন এসেছে বাকি এক জন এখনো আসেনি।
এর মাঝে আমার শ্বশুর ফোন দিলো,বলল যে এখনই ধানের চারা গুলো প্রয়োজন লাগানোর জন্য। কারণ, যারা জমিতে ধানের চারা রোপন করবে তারা এসে বসে রয়েছে, তাই আমি একটু তাদের সাথে হাত লাগিয়ে ছিলাম তবে, তাদের মত সুন্দর পারিনি ছিড়ে যাচ্ছিলো অবশেষে, দুই আটি তুলে বাসায় চলে আসি কারন, এত ধৈর্য আমার নেই। অবশেষে দেখলাম একটা কাকি ধানের চারা গুলো ধুয়ে এনে বাড়িতে রাখছে, তাই আমি একটু সাজিয়ে রাখলাম কিছুক্ষণ পরেই লাগানোর জন্য লোকেরা এসে নিয়ে যাবে।
আর হ্যাঁ, প্রথমে বলেছিলাম আজ একটা নতুন জিনিস শিখেছি সেটা হলো ধানের চারা তোলা, প্রথম দিকে বেশ ভালো লাগছিল তবে এটা খুবই ঠান্ডা একটি কাজ তাই উঠে চলে, এবং শাশুড়ি আম্মা এসে বললো "দুই টাকা বাঁচাতে গিয়ে পরে পাঁচ টাকা নেমে যাবে অসুস্থ হলে"। তাই তারে কথা শুনে বাড়িতে চলে এসেছিলাম।
প্রায় দুপুর হয়ে এসেছে, গোসল শেষ করে নামাজ আদায় করে সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম মাছ ভুনা,কলা ভর্তা, শাক ভাজি। দুপুরে খাবার খেয়ে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে চেয়ে ছিলাম, এর মাঝে আমার আম্মু ফোন দিল এবং তার সাথে কিছুটা সময় কথা বললাম। আমার আম্মু বলছিলো শীতের পিঠা খেতে যাওয়ার জন্য এবং আমার শ্বশুর শাশুড়িকে দাওয়াত করলো, পরবর্তীতে তাকে জানালাম তোমার জামাই আসলে একসাথে যাবো। এই বলে মার সাথে কথা বলে শেষ করলাম।
সূর্য প্রায় ডুবতে চলেছে, মেয়ে ঘুম থেকে উঠছে না, আর এখন যদি টেনে না তুলি তাহলে অনেক রাত পর্যন্ত আমাকে বিরক্ত করবে, তাই কাছে গেলাম, ঘুম ভাঙ্গানো চেষ্টা করলাম, হাতে পায়ে সুরসুরি দিলাম, এরপরে উঠলো সালাম দিলো ভালো মানুষ, কিছুক্ষণ পরেই শুরু হলো গুনগুন করে কান্না করা, এরপরে কিছুটা সময় কোলে নিয়ে হাঁটি। আমি এবং আমার মেয়ে দুই জনে মিলে এই সুন্দর পাপড় গুলো ভেজে নিয়ে বসেছি। এই পাপড় ভাজতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, আর খেতে তো তার চেয়েও বেশি। সবাই মিলে একসাথে খাই।
এর মাঝেই সন্ধ্যায় মাগরিবের আযান দিয়ে দিলো, নামাজ আদায় করে নিলাম। কি যেন একটা ব্যাপার নিয়ে ভাবতে ছিলাম। এর মাঝে মেয়ে আসে বললো আম্মু তোমার সাথে একটু ছবি তুলি তাই মেয়ে মা দুইটা ফটোগ্রাফি করলাম।
মেয়ের সাথে সুন্দর একটা সময় কাটাই।
আপু আপনার দিনলিপিটি পড়ে দারুন লাগলো। আপনি বলেছেন আপনি শিখতে ভালোবাসেন। প্রতিনিয়ত আপনি শিখছেন। হ্যা এটা অনেক ভালো একটি অভ্যাস। শিক্ষার এবং শেখার কোন বয়স নেই। যেকোন সময় যেকোন কিছু আমাদের মাঝে শিক্ষা হয়ে আসতে পারে।
যাইহোক আপনি ধানের চাড়ার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। হ্যা এখন ধান রোপনের মৌসুম। আমাদের এদিকেও অলরেডি ধান রোপনের ধুম পরে গেছে।
ভালো থাকবেন আপু।
একদম তাই আমাদের শেখার কোনো শেষ বা বয়স নেই,মাঝে মধ্যে একদম সহজ বিষয় আমরা শিখতে অনেক ভয় পাই,, আর যখন দেখি এটা খুব একটা কঠিন না ,অল্প দেখলেই পারা যায় তখন বেশ ভালো লাগে নিজের কাছে,তবে আমার মনে হয় চেষ্টা এবং ধৈর্য থাকলে সবকিছুই পারা সম্ভব,
একদম তাই বর্তমান সব জায়গাতে কমবেশি ধান রোপন করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে,তবে আমরা যারা গ্রামে থাকি গ্রামের মানুষ তারা এই কাজটা বেশ পছন্দ করে এবং ভালো লাগলো।
এখন বাংলাদেশে ধান রোপন এর কাজ চলছে।। আপনার শ্বশুর এবার সব জমিতে ধান লাগাতে চেয়েছে।। আসলে এই সেজেনে ধান রোপন করার জন্য খরচ অনেক বেশি হয়। আর এবার আপনার একটা নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে যেনে ভালো লাগলো আপনি ধানের চারা তুলতে শিখে গেছেন।।
ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।।
বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে পরিমাণে দাম বেড়েছে, সেই হিসাব করলে ধানের চারার রোপন করলে দেখা যায় খুব একটা লাভবান হয় না,,কারণ এছাড়াও অনেক ধরনের খরচ রয়েছে এই ধানের কাজ করাতে,
তবে যারা ছোটবেলা থেকে ধান চাষ করে, বড় হচ্ছে বা ওই পরিবারের বেড়ে উঠেছে, তারা এটা মেনে নিতে পারেন,যে আমি কম ধান রোপন করবো, যেমনটা আমার শ্বশুর তাই চিন্তা চেতনা হলো,ধানের গোলা তে 500 মণ ধান না থাকলে কেমন লাগে,
তাই এ বছর খরচ এবং পরিশ্রম দুইটা কথা চিন্তা করে কম লাগানো হয়েছে,,
আপনি সঠিক বলেছেন খুব বেশি লাভবান হওয়া যায় না তারপরও মানুষ চাষাবাদ করে কারণ খরচটা একবারে যায় না ধাপে ধাপে যায়।।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু সময় বই পড়ার পর সকালের নাস্তা করেছিলেন। আপনার ধানের চারার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।।
সকালবেলা এমন হালকা নাস্তা করলে ঠান্ডা কম লাগে,আমার মজাদার একটা নাস্তাও হয়।
আসলে আপু একটা কাজ যেমনই হোক না কেন,প্রথম প্রথম সেই কাজটা শিখলে অনেক বেশি আনন্দ হয়।আর কোনো কাজ শিখা থাকলে আমাদের জন্যই ভালো,কারণ কখন যে কাজে আসে বলা যায় না।
আপনার শেয়ার করা ধান ক্ষেতের ছবি গুলো অসাধারণ লাগছে একদম চোখ জুরিয়ে যাওয়ার মতো।
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পাউরুটি ডিম দিয়ে ভাজি করা এটাকে কিন্তু মোটেও হালকা খাবার বলা চলে না।ক্যালরি কাউন্ট করলে এটা রিচ খাবারের তালিকায় চলে যায়। তারচেয়ে রুটি অনেক বেশি হাল্কা খাবার ক্যালরির হিসেবে। তবে কম দামে সহজে ও সুস্বাদু একটা খাবার বলা যায়।
ধান চাষ করাটা খুবই কষ্টকর একটা কাজ।কাগানোর বিষয়টা আমি জানি না তবে যেভাবে গরম এর সময় রোদের মাঝে ধান কাটতে দেখেছি তাতে খুব কস্ট লেগেছে আমার মানুষগুলোর জন্য।
মা মেয়ের ছবিটি খুব সুন্দর হয়েছে।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। সকালবেলা রুটি খেতে আমি বেশ পছন্দই করি।
আর হ্যাঁ যারা ধান চাষ করে তারাই জানে কত কষ্ট করে চাল তৈরি করতে হয় ধান লাগানো থেকে শুরু করে।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
বেশ চমৎকার হয়েছে ধানের চারা গুলো, আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়। আমি এর আগেও দেখেছি আপনার মেয়ের মুখের এই মিষ্টি হাসি
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য আপনার পরবর্তী দিন আরিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।