ড্রয়িং গর্জিলা
আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। গত দিন আমি পোস্ট লিখতে পারিনি। এর জন্য আমাকে আমার দিদি বেশ বকাবকি করেছে। আসলে গতকালকে আমার ইচ্ছাই করছিল না ছবি আঁকতে। ছবি আঁকাতে পোস্ট রেডি হয়নি। তাই আজকে আমি অনেকগুলো ছবি এঁকেছি। আজকে আমি স্কুলে যায়নি। আমার এখন স্কুল দেড়টা নাগাদ ছুটি হচ্ছে। দাদাদের পরীক্ষা চলছে বলে আমাদের তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দিচ্ছে।
আজকের দিদি জোর করে আমাকে স্কুলে পাঠালো না। আমার মা একদম পছন্দ করেনা স্কুল কামাই করা। কিন্তু আমার মাঝে মধ্যে স্কুলে যেতে একদম ভালো লাগেনা। প্রত্যেকদিন স্কুলে যেতে কার ভালো লাগে কি জানি। মাকে মাঝেমধ্যে যখন বায়না করি যে আজকে স্কুলে যাব না মা খুব রেগে যায়। কিন্তু আজকের দিদির জন্য মা রেগে যায়নি। দিদি মাকে বলেছিল আজকে বাড়িতে বসে বসে আমি অনেক ছবি আঁকবো। তাই মা রাগ করেনি।
আমি তাই সকাল থেকে বসে পড়েছি ছবি আঁকতে। প্রথমে অনেকগুলো ছবি ভেবে নিয়েছি। কিছু কিছু ছবি গুগল থেকে ডাউনলোডও করে রেখেছি। যাতে সেগুলো দেখে আঁকতে পারি। প্রথমেই আমি গর্জিলা আকবো। আসলে আমার গডজিলা খুব ভালো লাগে। আমি দিদির সাথে গরজিলা ভারসেস কং সিনেমাটা দেখেছি। আমার সাথে আমার দিদিরও অনেক মজা লেগেছে সিনেমাটা দেখতে। আমার খুব ইচ্ছা ছিল সিনেমাটা দেখতে সিনেমা হলে যাব। কিন্তু মা বাবা পারমিশন না দেওয়াতে দিদি এই বাড়িতে ডাউনলোড করে আমাদের টিভিতে দেখায়।
লিংক
গডজিলার পিংক মুড এর থেকে আমার ব্লু মুড সব থেকে পছন্দ। এ কারণে আমি সেরকম ছবিই বাছাই করেছিলাম। আর সেই ছবিটা দেখে দেখেই আঁকছিলাম। ট্রাইপডের সাহায্যে ফোন অ্যাটাচ করে নিয়ে ছবি আঁকতে বসে পড়লাম।এই ছবিটা আমি সকালবেলায় না পড়াশোনা করে এঁকেছি। কিন্তু তাতেও মা-বাবাকে বকেনি। কারণ বাবা মা আমি ছবি আঁকলে খুব খুশি হয়।
আমি একটা ভিডিও করেছি। তবে এবার ভিডিওগুলো আমি আমার চ্যানেল থেকে ছাড়ছি।। দিদি মায়ের ইউটিউব চ্যানেলটা আমার নাম দিয়ে ঠিকঠাক করে দিয়ে দিয়েছে। তাই দিদি চ্যানেল থেকে আর ছাড়বো না। পরপর ধাপে ধাপে এবার আমি আমার ছবি আঁকাটা শেয়ার করব।
প্রথম ধাপ
প্রথমেই আমি আমার মেকানিক্যাল পেন্সিলের সাহায্যে আঁকা শুরু করলাম আমার ড্রইং খাতাতে। গডজিলা হা করে রয়েছে সেই আকৃতিটা প্রথমে আঁকা শুরু করলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
তারপর আস্তে আস্তে গর্জিলার বডির দিকে গেলাম। গডজিলা বেশ মোটাসোটা নাদুস নুদুস। আমার ওই জন্য আরো ভালো লাগে ওকে। বডিটা হালকা হালকা করে পেন্সিল দিয়ে একে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
গর্জিলার পিঠের পিকে যখন কারেন্টের মতন নীল হয়ে গিয়েছিল কি সুন্দর দেখতে লাগছিল ওই জায়গাটাও আমি ভালো করে একে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
এবার আমি গর্জিলার মোটা মোটা পা গুলো আঁকছি। তবে শরীরের তুলনায় পা গুলো কিন্তু ওর বেশ ছোট ছোট। ছোট ছোট গলা ভুল হবে কারণ ও যদি একবার এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পা ফেলে তাহলে তো আমরা সবাই শেষ।
পঞ্চম ধাপ
কালো পেন দিয়ে আমি আউটলাইনগুলো হাইলাইট করে নিচ্ছি। সাথে রং করাও শুরু করছি আমার ব্রাশ পেন দিয়ে।
ষষ্ঠ ধাপ
আমি এখানে পুরোটাই ডিপ ব্লু আকাশে রং ব্যবহার করবো। সাথে কালো। এই তিনটে রঙের মিশিয়ে ছবিটা তৈরি করব। গর্জিলার এই ব্লু ভার্সন আমার খুব পছন্দের।
ফাইনাল
সমস্ত রং এর কারুকার্য হয়ে গেলে ছবিটা ঠিক এরকম দেখতে লাগছে।।
আমি যতটা ভালোভাবে ভেবেছিলাম ব্রাশ ফ্রেন্ড ব্যবহার করার পরে কবিতা ঠিকঠাক আমার মন মতো হলো না। তাও আমি এখানে শেয়ার করলাম।
আজকে টাটা। অন্যদিন আরো অন্যান্য ছবি আকবো। আপনাদের সকলের গর্জিলা কেমন লাগে আমারও জানার ইচ্ছা থাকলো।
Very cool godzilla drawing :D
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
বাহ খুব সুন্দর ভাবে গর্জিলা এঁকেছ। দিন দিন তোমার আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। তুমি যে এত সুন্দর আঁকতে পারো আমার জানা ছিল না। এইভাবে প্রত্যেকদিন একটা করে ছবি আঁকতে থাকো।