Blood Donation🩸. রক্তদানে এগিয়ে আসুন।
জীবন কখন কোন দিকে অতিবাহিত হয় বলা দুষ্কর। বিকেলবেলা আমরা রুমের মধ্যে বসে রয়েছি। হঠাৎ করে মোবাইলে কল আসলো রক্ত দিতে হবে। সজীব রক্তদান গ্রুপের সাথে রয়েছেন।
![]() |
---|
অনেক মানুষকে নিয়ে যায় রক্ত দেওয়ার জন্য। দেখা যাচ্ছে কখন কোন মানুষের রক্তের প্রয়োজন গ্রুপে বলে। সেই অনুপাতে তথ্য নিয়ে আমাদের হোস্টেলে সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুসন্ধান করি। যার রক্ত সেই রক্তের সাথে মিল রয়েছে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় এবং তিন মাস অতিক্রম হয়েছে কি না, প্রাপ্তবয়স্ক হইছে নাকি, সমস্ত কিছু জিজ্ঞাসা করা হয় এবং মেডিকেলের নিয়ে টেস্ট করে তারপর রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
![]() |
---|
পরিশেষে সজীব বলল আজকে তাহলে আমি রক্ত দেই। কেননা প্রায় দীর্ঘ তিন মাস হয়ে গিয়েছে রক্ত দেওয়ার। আমি এবং সজীব বিকেল বেলা চলে যাচ্ছি সেই হসপিটালে। যেখানে সিজার করা হবে কাঙ্খিত রোগীকে।
![]() |
---|
হসপিটালের নাম:- Green Life Clinic. আমরা অটো গাড়িতে করে চলে যাচ্ছি সেই কাঙ্খিত হসপিটালে এজন্য প্রথমে নামতে হবে বনানীতে এবং সেখান থেকে যেতে হবে কলোনি বাজারে সেখানেই রয়েছে এই হসপিটাল।
সেখানে আরো একজন বন্ধু রয়েছে। পরিচিত ক্লিনিক তার। যাকে রক্ত দেওয়া হবে তার আত্মীয় হচ্ছে আমাদের সেই বন্ধু পলাশ। হসপিটালে ঢোকার সময় দেখা হল পলাশের সাথে। যেহেতু পলাশের আত্মীয় কেই রক্ত দেয়া হবে তাই পলাশ আগে থেকেই সেই হসপিটালে অবস্থান করেছিল।
মানুষের যখন হসপিটালে যায়। তখন যে কেউ বুঝতে পারে যে মানুষ কত কষ্টের রয়েছে। কেননা হসপিটালে অনেক অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছে, এমনও অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছে যারা হসপিটালে বিছানায় গড়াগড়ি করে কান্নাকাটি করছে। আল্লাহর কাছে বলছে আল্লাহ আমাকে সুস্থতা দান কর।
আমরা যারা সুস্থ রয়েছি, তাদের জন্য অবশ্যই দোয়া করব এবং আমরা সুস্থ হয়েছি এজন্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালা এর কাছে সব সময় শুকরিয়া আদায় করব আলহামদুলিল্লাহ। কেননা সুস্থতা অনেক বড় নেয়ামত।
![]() |
---|
পরিশেষে সজীব কে ডাকলো রক্ত টেস্ট করার জন্য। রক্ত টেস্ট করলো এবং তার নাম সমস্ত কিছু লিখল অর্থাৎ যে সমস্ত প্রক্রিয়া রয়েছে সমস্ত কিছু সম্পন্ন করার হলো। কিছুক্ষণ পর শরীর রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বেডে শুয়ে পড়লো।
সেই হসপিটালের নার্স রয়েছে সে রক্ত নেওয়ার জন্য একটি রক্তের ব্যাগ এবং যে সমস্ত ক্রাইটেরিয়া রয়েছে সে ক্রাইটেরিয়া গুলো সম্পন্ন করে তার কাছ থেকে রক্ত নিল। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই রক্তের ব্যাগ সম্পূর্ণ হয়ে গেল।
![]() |
---|
যাকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য আমরা চতুর্থ তলায় চলে গেলাম। তার সাথে দেখা করলাম এবং দোয়া করলাম তার জন্য। তারা আমাদের কে অনেক ধন্যবাদ জানালো। দোয়া চাইলো আমাদের কাছ থেকে আমাদের কেও দোয়া করলো।
যিনি মা হতে চলেছেন তার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল এবং শিশু বাচ্চা যেন সুস্থ থাকে এজন্য আল্লাহতালার কাছে দোয়া চাই। পরিশেষে সকলের জন্য শুভকামনা এবং অনেক অনেক দোয়া রইল।
![]() |
---|
পরিশেষে এ কথাই বলতে চাই, মানুষের বিপদে আমাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। হোক সেটা মানসিকভাবে, জ্ঞানের মাধ্যমে, টাকা পয়সার মাধ্যমে যেভাবেই হোক না কেন। আমাদের দ্বারা মানুষ যেন উপকৃত হয় সব সময় এই প্রচেষ্টা অদম্য প্রচেষ্টা লালন করতে হবে।
রক্তদান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য ছোট ভাই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পোস্ট টা পড়ে অনেক বিষয় জানতে পারলাম।
রক্তদান হল কোন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বেচ্ছায় রক্ত দেবার প্রক্রিয়া। এই দান করা রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয় অথবা অংশীকরণের মাধ্যমে ঔষধে পরিণত করা হয়। উন্নত দেশে বেশিরভাগ রক্তদাতাই হলেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতা, যারা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদান করেন। দরিদ্র দেশগুলোতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা বেশ কম, বেশিরভাগ রক্তদাতাই কেবল তাদের পরিচিতজনদের প্রয়োজনে রক্তদান করে থাকেন। বেশির ভাগ রক্তদাতাই সমাজসেবামূলক কাজ হিসেবে রক্তদান করেন, তবে কিছু মানুষ পেশাদার রক্তদাতা, অর্থাৎ তারা অর্থ বা কোন ভাতার বিনিময়ে রক্তদান করে থাকেন। আবার রক্তদাতা তার ভবিষ্যত প্রয়োজনে রক্ত পেতে পারেন। রক্তদান অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, তবে কিছু রক্তদাতার যে জায়গায় সূঁচ প্রবেশ করানো হয় সেখানে কালশিরে পড়ে, আবার কেউ কেউ রক্তদানের পর দুর্বলতা অনুভব করেন। তাই আমাদের সবাই উচিত বিপদে মানুষের পাশে দাড়ানো।পরিশেষে তোমাকে আবার ধন্যবাদ আমাদের মাঝে রক্ত দান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবে।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমার এই লেখাটি কাটি পরিপূর্ণভাবে অধ্যায়ন করে সুন্দর একটি মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। আমরা যারা রক্ত সংগ্রহ করি কিংবা যারা রক্ত প্রদান করে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে কিনা এবং সে ব্যক্তি রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে কিনা, সবদিক বিবেচনা করেই তবেই রক্ত দেওয়া এবং নেয়া হয়ে থাকে।
অনেক জায়গায় বা অনেক দেশে এই কার্যক্রম খুব কম তবে বাংলাদেশের ধীরে ধীরে অগ্রগামী হচ্ছে যুবসমাজ এবং স্বেচ্ছায় রক্ত দিচ্ছে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা করছে তারা।
আবারো ধন্যবাদ জানাই আমার এই লেখাটি তে সুন্দর মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1681920980367851520?t=ETE2Gyg06aF5kWyptzG0ag&s=19
রক্তদান একটি মহান কাজ আমাদের সাতক্ষীরায় বর্তমানে কলেজের কিছু ছেলে-মেয়ে একটি গুরুপ করেছে সাতক্ষীরা প্রবাসী কল্যাণ এখানে রক্তের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করলে সব সময় রক্ত পাওয়া যায় স্টুডেন্টরা সব সময় অসহায় গরীব দুঃখের পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে রক্ত দান দেখে খুবই ভালো লাগলো।
বর্তমান যুব সমাজ রক্তদানে এগিয়ে আসছে জেনে ভালো লাগলো। কেননা আমার আপনার রক্তের কারণে হয়তো বা অনেক ব্যক্তির প্রাণ রক্ষা পায়। আপনাদের সাতক্ষীরা এলাকায় এমন সংগঠন আছে যেনে খুবই ভালো লাগলো।
With great emotion we notify you that this article has been curated by @radjasalman, member of team #2. Your content is amazing, keep working hard to opt for the weekly top.
@radjasalman thank you brother for your valuable support 🙏.
রক্তের অভাব তারাই বোঝেন যারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে রক্ত খুঁজে পান না। নিঃসন্দেহে ইহা একটি চমৎকার কাজ এবং আমি প্রশংসা জানান এই মহৎ কাজের 👏। আমিও চেষ্টা করি নিয়মিত রক্ত দান করতে। এখন অবধি আমি নয় বার রক্তদান করেছি। গর্ভবতী মায়ের জন্য মন থেকে দোয়া রইলো, সবকিছু যেনো নিরাপদে হয়। আমার ক্যারিয়ারের ৯ বছরে এখন পর্যন্ত যত সহকর্মীদের সাথে উঠাবসা করেছি প্রায় সকলের ব্লাড গ্রুপ আমার জানা! আমি একটি ট্র্যাকার মেইনটেইন করি যার মাধ্যমে প্রয়োজনে ব্লাড গ্রুপ চেক করে দ্রুত সবাইকে সহযোগিতা করতে পারি। আবারও ধন্যবাদ, মহৎ কাজে পাশে থাকার জন্য।