আজ থেকেই শেষ, এভাবে সবার সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা!
আজকেই সিরামিক ডিপার্টমেন্টের সকল পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল। আজ থেকে আমাদের এইভাবে পরীক্ষায় এ্যাটেন্ড করা, বন্ধুদের সাথে বাসে ঘুরতে যাওয়া আর হবে না।
এইতো সকাল বেলা খাওয়া দাওয়া করার জন্য ক্যান্টিনে গেলাম সবাই একসাথে। আবার খাওয়া-দাওয়ার পর সবাই একসাথে বাসে উঠলাম, উঠে পরীক্ষার হলের দিকে রওনা হলাম।
এভাবে হয়তো আর হবে না কখনো দেখা। হবে না কখনো বাসে করে পরীক্ষা দিতে যাওয়া। এই কথাগুলো ভাবলেই যেন গা এর লোম ঝাঁকি দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে যায়।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি কত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে, দেখা হয়েছে নতুন পুরাতন অনেক শিক্ষার্থীর সাথে পরিচয়। আর হবেনা এভাবে কখনো পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দিতে।
যখন আমরা পরীক্ষা দিতে যাই অর্থাৎ আজকে প্রায় সকাল ৮:৩০ মিনিটে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বের হলাম। ওই প্রতিষ্ঠানে পৌছালাম নয়টার মধ্যেই।
কিছু সময় অপেক্ষা করার পর প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। আমাদের দুইটি ভাইভা পরীক্ষায় এবং প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় ২ টি স্যারের মাধ্যমে।
আলহামদুলিল্লাহ প্রথমে যে স্যারের কাছে ভাইভা পরীক্ষা দিয়েছিলাম সেখানেও বেশ ভালো হয়েছে। এবং দ্বিতীয় যে স্যারের কাছে ভাইবা দেয়া হয়েছে সেখানেও বেশ ভালো হয়েছে তবে আরও বেশি ভালো করা দরকার আমাদের সাধারন জ্ঞান সম্পর্কে আরো অধ্যায়ন করা দরকার। দেখা যাচ্ছে আমাদের যে সিলেবাস রয়েছে সেই সিলেবাস আরো ভালো করে দেখা উচিত ছিল। কেননা সিলেবাস এর মধ্য থেকে বা সিলেবাসের যে একটি ফাইল থাকে, সেখান থেকে প্রশ্ন ধরেছে।
দ্বিতীয় যে ভাইবা পরীক্ষাটি দিয়েছি সেখানে অংশগ্রহণ করার পূর্বে কিছু সময় বিরতি ছিল, সেই বিরতির সময় বগুড়া পলিটেকনিক এর ক্যান্টিনে প্রবেশ করে সেখান থেকে হালকা নাস্তা করি। অনেক বন্ধু-বান্ধব নাস্তা করতেছে সেখানে।
সিভিল ডিপার্টমেন্ট ৭ম সেমিস্টার এর শিক্ষার্থীদের আরো একটি পরীক্ষা রয়ে গেল। শনিবারের দিন তাদের সেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ হবে।
সবাই প্রায় বাসায় চলে গেছে অর্থাৎ ছোটরা ও। বড়দের মধ্যেও অনেকেই আজকে চলে গেছে আবার আগামী কালকে চলে যাবে। সবাই এখন বাসায় চলে যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট শুরু হয়ে যাবে। হয়তোবা আর কারো সাথে সেই ভাবে হবে না দেখা। ভার্চুয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস এর মাধ্যমে হয়তোবা কথোপকথন দেখা-সাক্ষাৎ হবে।
তবে ঢাকায় প্রায় সকল শিক্ষার্থী যাচ্ছে সেখানে চাইলে তারা দেখা করতে পারে। কিন্তু আমি এবং শরিফুল অর্থাৎ সপ্তম সেমিস্টারের সিরামিক ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা বগুড়া শহরেই থেকে যাচ্ছে কেননা এখানে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে।
সুতরাং আমরা কোথাও যাচ্ছি না এখানেই রয়ে যাচ্ছি। হয়তোবা এখানে এক মাস অথবা দেড় মাস থাকার পর আবার হয়তো বা অন্য কোথাও যাওয়া লাগতে পারে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর যখন আমাদের নিজের প্রতিষ্ঠানের দিকে রওনা হব তখন বন্ধুরা মিলে ছোট্ট একটি সেলফি নেই। এরপর বাসে উঠে আমাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানে চলে আসি।
এটাই ছিল সিরামিক ডিপার্টমেন্ট এবং অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের শেষ পরীক্ষা। শুধুমাত্র সিভিল ডিপার্টমেন্ট ব্যতীত।
সকল বন্ধুদের জন্য রইল আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা ও অভিনন্দন। যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক সুস্থ থাকো। সকলেই ভালো থেকো ভালো কিছু করো এই প্রত্যাশাই করি।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1689694430121656320?t=Y84W9QzgoOMCFcnYlNhKCw&s=19
This is a manual curation from the @tipU Curation Project. Your post was promoted on Twitter by the account josluds
@tipu curate 2
Upvoted 👌 (Mana: 0/8) Get profit votes with @tipU :)
Thank you
Thank you
আজকে আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে,, আপনার মনটা খুব ভালো আবার একটু খারাপ! কারণ আপনার বন্ধুদের সাথে আজকে থেকে আপনার আর দেখা হবে না! আজকে থেকে তাদের সাথে এভাবে আর পরীক্ষা দেয়া হবে না।
আসলে আমাদের জীবনটা খুবই ছোট। এই ছোট জীবনে আমাদের অনেক কিছু করতে হয়! পড়াশোনা শেষ করে চাকরি-বাকরি নিজের পরিবার সামলানো! সবকিছুই আমাদের কাঁধে এসে পড়ে! সবকিছু সামলাতে গিয়ে বন্ধুত্বের যে বাঁধন টা রয়েছে! সেটা একটা সময় ছিড়ে যায়।
জানিনা কি বলবো,,, তবে আপনাদের সবার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি। যাতে সৃষ্টিকর্তা আপনাদের সবাইকে ভালো রাখে। আপনাদের বন্ধুত্বটা অটুট থাকে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।