শিক্ষা সফর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সমূহ দেখুন || শেরপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা (পর্ব - ০২)
প্রিয় স্টিমিয়াম,
আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন।
আমি আপনাদের মাঝে শিক্ষা সফরের প্রত্যেকটা স্টেপ তুলে ধরতে চাচ্ছি। যে কারণেই পর্বগুলো তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এখানে ক্লিক করুন 👉 প্রথম পর্ব পড়ুন।
ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব দ্বিতীয় পর্ব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের দ্বিতীয় পর্ব।
![]() |
---|
আজকের বিষয় শেরপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা।
![]() |
---|
![]() |
---|
শেরপুর থেকে বাসে উঠলাম একটি টিকিট কেটে। ৩০০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে বাসে উঠার পর আধা ঘন্টা পর বাস ছেড়ে দিল। গন্তব্যস্থল ঢাকা মহাখালী।
বাস ধীরে ধীরে চলতে চলতে সামনের অগ্রসর হলো। রাস্তায় ছিল একটু জ্যাম। এভাবে সামনে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই একটি অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে পড়ল। এই সময় বাস সম্পূর্ণ গতিতে চলতেছিল তখন ছিল না কোন জ্যাম।
হঠাৎ করেই সামনের বাসটি ব্রেক ধরল। আমাদের বাস অনুরূপভাবে হাইড্রোলিক ব্রেক ধরায় সমস্ত যাত্রী সামনে ঝুঁকে পড়ল এবং হেলপার সবার টিকেট দেখার জন্য মাঝখানে এসেছিল সে পড়ে গেল। সামান্য একটু ব্যথা পেয়েছে, তবে কাউকে বুঝতে দিল না। সকলেই বললাম যদি বেশি ব্যাথা পেয়ে থাকেন তাহলে পানি দেন। বলল না ঠিক আছে সমস্যা নাই।
এখন পিছনে যে গাড়িগুলো ছিল সেগুলো ভালোভাবে ব্রেক না ধরায় আমাদের বাসকে ধাক্কা দিয়ে দিল। পিছনে যে গাড়িগুলো ছিল সেই গাড়ির একটু ক্ষতি হয়েছে। এবং আমাদের বাসের পেছনে যে টিউব ছিল সেটি ভেঙে গেছে।
আপনারা ছবিটির লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন সেই টিউবটি পেছন থেকে নিয়ে গাড়ির যে বাক্স রয়েছে সেটির মধ্যে তুলে নেওয়া হচ্ছে।
সবকিছু আবার ঠিকঠাক করে নিয়ে আবার চলছে গাড়ি সিসিমপুরে 😎। আরে না সিসিমপুরে নয় ঢাকার উদ্দেশ্যে।
![]() |
---|
বাস একটু একটু করে সামনে অগ্রসর হয়ে যেহেতু অনেক দূর যেতে হবে প্রায় তিন ঘন্টা থেকে সাড়ে তিন ঘন্টার পথ তাই যাত্রী বিরতি দিল সিরাজগঞ্জে।
সেখানে সবাই একটু নাস্তা করলো। কেউবা হকারদের কাছ থেকে বাদাম শসা পানি বিভিন্ন খাবার কিনতেছে। তবে আমি সচরাচর যাতায়াতের সময় কোন কিছু খাই না বা খারাপ অভ্যাস নেই।
কেউবা গামছা বিক্রি করতেছে। অনেক অনেক হকার তো বাসের মধ্যে উঠে বিক্রি শুরু করে দেয়। যার যার ইচ্ছেমতো কিনতে থাকে।
![]() |
---|
যাত্রী বিরতির পর আবারও রওনা হলো আমাদের সেই বাস। যাওয়ার সময় অনেক কিছুই দেখতে পেলাম তার মধ্যে সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প কাজ শুরু করে দিয়েছে।
কেননা অনেক জ্যাম হয়ে যায় এই বিশ্ব-রোডে । রাস্তা আগে ছিল চার লেন, এখন জ্যাম কমানোর জন্য সরকার সড়ক উন্নয়নের জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাই এখন যে প্রকল্প কাজ করতেছে এটি চার লেন থেকে আট লেন তৈরি করার কাজ চলছে।
![]() |
---|
যমুনা সেতুতে ওঠার জন্য এক হাজার টাকা জমা দেওয়া লাগে এই টোলে। ১০০০ টাকা বের করে যমুনা সেতুতে ওঠার অনুমতি নেওয়া হলো যাত্রীবাহী বাস এর। টাকা পয়সা দিয়ে আমরা যমুনা সেতুতে উঠলাম।
![]() |
---|
যাতায়াতের সময় সাইনবোর্ডের মধ্যে অনেক কিছুই লেখা থাকে এগুলো পড়া দরকার। কেননা এগুলোর মধ্যে অনেক তথ্য দেওয়া থাকে যা আপনাকে অনেক কিছুই শেখায় অনেক কিছুই দেখায়।
![]() |
---|
এইখানে দেখতে পারতেছেন যমুনা সেতুর পাশেই আরও একটি ব্রিজ করতেছে। সেই ব্রিজের পিলার তৈরি করার জন্য কতইনা সরঞ্জাম ব্যবহার করতেছে। চতুর পাশ দিয়ে পানি আর পানি তারপরেও কিভাবে এই ব্রিজগুলো তৈরি করে এই পিলারগুলো স্থাপন করে! যাচ্ছি আর চিন্তা করতেছি। ভাবতেছি এই বিষয়গুলো নিয়ে।
![]() |
---|
এখানে সম্পূর্ণ একটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি। ব্রিজের আংশিক তৈরি করেছে তবে সম্পূর্ণ তৈরি করেনি। সম্পূর্ণ তৈরি করার জন্য সবাই কাজ করতেছে।
এখানে এই ব্রিজ তৈরি করার অন্যতম কারণ হচ্ছে যমুনা সেতুতে যখন গাড়ি চলাচল করে, তার পাশ দিয়ে যখন রিয়েল গাড়ি চলে যায় তখন এই ব্রিজের উপর অনেক প্রেসার পড়ে যায়।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে যমুনা সেতুর পাশেই আরও একটি ব্রিজ তৈরি করতেছি যেখান দিয়ে শুধুমাত্র রেল লাইন থাকবে রেলগাড়ি চলাচলের জন্য।
![]() |
---|
সেই ব্রিজের ছবিগুলো দেখতে দেখতে চলে আসলো সেই বিশাল বড় ট্রেন। ঝিক ঝিক, ঝিক ঝিক করে চলতেছে এই ট্রেন। দেখতে দেখতে চলে গেল ট্রেনের মতো ট্রেন আমাদের বাসের মতো আমাদের বাস।
![]() |
---|
এভাবে চলতে চলতে ঢাকায় পৌঁছে গেলাম। রাস্তায় আরো কতই না বিজ্ঞানের গবেষণার ফল। দেখতে পেলাম দেখতে পেলাম সৃষ্টিকর্তার কতই না অপরূপ সৌন্দর্য।
এইসব যাতায়াত সম্পূর্ণভাবেই উদ্দেশ্য সেই সিলেটে যাওয়ার।
Device | Name |
---|---|
Android | Tecno Spark 7 |
Camera | 16M Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @jakaria121 |
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য। সুন্দর একটি বাস ভ্রমন করার বর্ণনা দিয়েছো। সেই সাথে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছো।
আরো দেখতে পেলাম আমাদের উওর বঙ্গের সেতু এবং আরো দেখতে পেলাম নতুন কাজ চলমান ব্রিজ রেললাইন ব্রিজ। এর সম্পর্কে দেখলাম সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য, অপেক্ষায় রইলাম সামনের পোস্টের জন্য।
হ্যাঁ ভাই আমাদের উত্তরবঙ্গের রেললাইন ব্রিজ তৈরি করতেছে কেননা যমুনা সেতুর সাথেই লাগানো রেললাইন যমুনা সেটির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এ কারণেই পাশে আরো একটি বিষ তৈরি করতেছেন সেটি শুধুমাত্র ট্রেনের জন্যই থাকবে।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ধন্যবাদ আপনার মনোযোগের জন্য এবং সমর্থনের জন্য 💐।
ভাই আপনার শিক্ষাসফর দ্বিতীয় পরবর্তীতে অনেক ভাল ফটোগ্রাফি করেছে, এবং বন্ধুদের সঙ্গে যখনই কোন মানুষ বাহিরে সফর করতে যায় তার মন অনেক আনন্দে ভরে ওঠে। কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় জায়গা চেনা অচেনা জায়গা গুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায় । এভাবে আপনার জীবনের গল্পগুলো সামনের দিকে এগিয়ে যাক শিক্ষা সফরের দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
শুনে খুবই খারাপ লাগলো আপনাদের গাড়ি এক্সিডেন্ট করছিল পেছনের গাড়ি এসে ধাক্কা মারার কারণে আপনাদের গাড়ির অনেক ক্ষতি ও হয়েছে আসলে আনন্দ ভ্রমন গেলে কখন কি হবে কেউ বলতে পারে না।
যাইহোক বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি এটাই শুকরিয়া জানাই ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে আপনার আনন্দ ভ্রমনের স্মৃতিগুলো তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ এটাই বড় কথা আল্লাহতালা আমাদেরকে হেফাজত করেছেন পরেও কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। আসলে এটি হঠাৎ করেই হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য।
যাইহোক আপনি বাসার মধ্যে যে সমস্যাটা হয়েছিল সে সমস্যাটা থেকে সৃষ্টিকর্তা আপনাদেরকে রক্ষা করেছে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।
পদ্মার ব্রিজের উপরে উঠে আপনি বেশ কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আসলে আমিও যখন ঢাকায় গিয়েছিলাম জায়গাগুলো উপভোগ করেছিলাম অসম্ভব সুন্দর নদীর মাঝে স্টিমার চলে।
আপনার শিক্ষা সফরের এই পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম যাইহোক অবশেষে আপনি দিয়েই দিলেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
বাসের মধ্যে কোন অসুবিধা হয়নি তবে বাস এক্সিডেন্ট করেছিল। আলহামদুলিল্লাহ বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এটা পদ্মা ব্রিজ না, যমুনা ব্রিজের কথা লিখেছিলাম। যাই হোক আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে যদি পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেন তাহলে বেশ ভালো হয়।