শিক্ষা সফর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সমূহ দেখুন || পরিকল্পনা ও রওনা (পর্ব - ০১)
প্রিয় স্টিমিয়াম,
আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম শিক্ষা সফরের শুরু থেকে শেষ অবধি কিছু পর্ব নিয়ে।
আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন? শিক্ষা সফল থেকে আমরা কি শিক্ষা অর্জন করি? কখনো আমরা শিক্ষাগুলোকে অনুধাবন করি না!
শিক্ষা সফর মানেই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সমূহ, নিদর্শন সমূহ দেখা এবং তার শুকরিয়া আদায় করা আমি মনে করি। এছাড়াও মানুষের তৈরি কৃত্রিম বিজ্ঞান সমূহ দেখা। আল্লাহতালা মানুষ এর মাঝে কতই না সৃজনশীল দিয়েছে। এগুলো গবেষণা করতে হয় চিন্তা ফিকির করতে হয়।
যাইহোক ধীরে ধীরে আপনাদের সাথে সবই তুলে ধরবো।
12-03-2023 এই দিন ভাবতেছি যে প্রায় কলেজে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। ছোটদের নবীনবরণ করে নিল এই দিনেই। কিন্তু আমরা থাকতে পারিনি কেননা দীর্ঘ দিন পর পরীক্ষার ছুটিতে বাড়িতে এসেছি।
হঠাৎ করে রাত্রিবেলায় ছোট ভাই কল দিল আমাকে। কল দিয়ে বলতেছে ভাইয়া আমাদের মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা সফরে যাবে। বললাম ভালো তাহলে যাও।
আমাকে বলল, ভাইয়া আমাদের মাদ্রাসা থেকে দুইটি বাস নিয়ে যাবে শিক্ষা সকলের জন্য। প্রত্যেকটা ছাত্রের অভিভাবক, এবং শিক্ষকের অভিভাবক কিংবা আত্মীয় যাওয়ার অনুমতি রয়েছে।
বলতেছে চলো যাই আমাদের সাথে। আব্দুল্লাহ বলল যে আরিফ ভাইয়া, জুবায়ের যাবে তাহলে তুমিও চলো। তাহলে আমরা চার ভাই একসাথে ঘুরতে পারবো।
আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে তোমাকে এক ঘন্টা পর জানিয়ে দিচ্ছি কেননা আমাদের প্রতিষ্ঠানে অলরেডি নবীন বরণ হয়ে গিয়েছে ক্লাস শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই।
বলল ঠিক আছে তুমি একটু চিন্তা ভাবনা করো। যেহেতু আত্মীয়-স্বজন ও নিয়ে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। আরো বললো ঢাকা থেকে সিলেট এবং খাওয়া দাওয়া সবকিছু মিলিয়ে এক হাজার টাকা ফি।
বললাম ঠিক আছে তাহলে তোমাকে জানাচ্ছি। ফোন রেখে দেওয়ার পর চিন্তা ভাবনা করলাম অভারল। আমাকে একটু পর পর শুধু নাম দিচ্ছে ভাইয়া চলো যাই মিস করিও না।
যদিও কথাগুলো লিখতে হচ্ছে তবে কলের মাধ্যমে ছোট ভাই বড় ভাইয়ের মধ্যে যে সম্পর্ক এটা লিখে প্রকাশের মত নয়। ভালোবাসার মহব্বত। অবশেষে বললাম ঠিক আছে আমি তাহলে যাচ্ছি।
আব্দুল্লাহকে বলার পর সে সিটির জন্য টিকিট কাটলো। বললাম ঠিক আছে তাহলে বুধবারের দিন তোমাদের বাসায় যাব। ছোট ভাই মহা খুশি। ওই দিক থেকে আবার ছোট ভাই আরিফ আমাকে ফোন দিচ্ছে চলো যাই তাহলে। বললাম হ্যাঁ যাচ্ছি। আব্দুল্লাহ আরিফ জুবায়ের সব ছোট ভাই খুশি হয়ে গিয়েছে আমি যাচ্ছি বলে।
পরিশেষে দুইদিন পর বাড়ি থেকে রওনা দিলাম শেরপুরের উদ্দেশ্যে। ১৪-০৩-২০২৩ তারিখে রওনা দিচ্ছি বাড়ি থেকে।
সাথে দাদা-দাদী রয়েছে। দাদা পর্যাপ্ত অসুস্থ থাকায় দাদাকে নিয়ে যাচ্ছি শেরপুর হসপিটালে। শাহজাহান কাকা হসপিটালে কর্মরত রয়েছে।
ছোট ভাইয়ের সাথে ছবি উঠে নিলাম। ছোট ভাই সব সময় আমার সাথেই থাকতো। অনেক মিস করবো হাবিবুল্লাহ তোমাকে। আমি হাবিবুল্লাহ কে নিয়ে দু একটি পোষ্ট লিখেছি যার মধ্যে আপনারা দেখেছেন, ছোট ভাইয়ের আবদার ভালোবাসা সব কিছুই।
যাওয়ার সময় সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম যেহেতু আবার আসতে হবে প্রায় দীর্ঘ এক মাস পর। কেননা রমজানের 25 - 26 রোজা যাওয়ার পরেই ছুটি হবে।
রাস্তায় গিয়ে ছোট ভাইকে কিছু সদাই কিনে দিলাম নিয়ে বাড়িতে চলে গেল। যখন বাড়ি থেকে বাহির হই তখন বলতেছে ভাইয়া কই যাও আমাকে নিয়ে যাও। বললাম আমি আবার আসবো থাকো তুমি।
এভাবে ছোট ভাইসহ সবাইকে বিদায় জানিয়ে দাদাকে নিয়ে গাড়িতে উঠলাম।
Device | Name |
---|---|
Android | Tecno Spark 7 |
Camera | 16M Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @jakaria121 |
আসলে কি বলবো আপনাদের কপালটা অনেক ভালো। কারণ আপনারা এ পৃথিবীতে ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছেন। যেখানে ইচ্ছা সেখানেই বন্ধুদের সাথে ঘুরতে পারেন। অনেক কিছু উপভোগ করতে পারেন।
আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো,অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম,ভালো থাকবেন।
চালিয়ে যান ভাই এবং আপনার শিক্ষাসফর ভালো ভাবে কাটুক এবং নিজের মত করে সবাই আনন্দ এবং নানা ধরনের জায়গাগুলো পরিদর্শন করেন ৷ আশা করি দিন গুলি অনেক ভালো লাগবে ৷
আপনার শিক্ষাসফর যাওয়ার কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ঘোরাফেরা করার সময় এখন মন যেখানে চাই সেখানে ঘুরতে চলে যান ব্যস্ত জীবনের মাঝে ঘোরাফেরা করা অনেক ভালো অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য।
হ্যাঁ ভাই ঘোরাফেরা করতে হবে তবে সময়ই হয় না। বেশ কয়েক বছর পর অনেক দূর সফরে গিয়েছিলাম।
আসলেই ভাই স্কুল জীবন থেকে শিক্ষা সফর মানে একটা অন্যরকম আনন্দের বিষয় যে আনন্দ আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মত নয় আসলে আমার জীবনে আমি যতদিন স্কুলে পড়েছি কখনো সম্ভব হয়নি শিক্ষা সফরে যাওয়া তবে স্কুল বাদ দেওয়ার পরে আমি একবার অবশ্য ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম স্বপ্নপুর সর্বপ্রথম ভ্রমণ ছিল আসলে স্কুল থেকে তেমনভাবে আমার যাওয়া হয়নি কারণ আসলে আমার বাবা-মা রাজি হতো না আমাকে শিক্ষা সফরে পাঠানোর জন্য আসলে যাওয়া হয়নি
যাইহোক ভাই অনেক ভালো লাগলো আপনার শিক্ষা সফর সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলার জন্য যে আসলে কিভাবে আপনি হঠাৎ করেই এই শিক্ষা সফরে চলে গেলেন আপনার ছোট ভাইয়ের সাথে একটা কথা যদি শিক্ষা সফর সম্পর্কে আপনি পুরো ঘটনাগুলো একটি পোস্টের মাধ্যমে সাজিয়ে লিখতেন হয়তো একটু দেরি হতো বা একটু বড় হতো তারপর পড়ে অনেক ভালো লাগতো যাইহোক অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
আমারও একই অবস্থা আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণি সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণীতে পড়তাম তখন আমাকেও বাড়ি থেকে যেতে দিত না কেননা অনেক দূর। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যেতে পারি নাই।
যাইহোক পাঠ করেছি এ কারণেই যে, শুরু থেকে শেষ অব্দি শিক্ষা সফরের সবকিছুই ইনভল্ভ করতে চেয়েছি। আর একটি পোষ্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করা যায় না কেননা অনেক বড় হবে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য।
আমার জীবনেও কখনোই আমি শিক্ষা সফর করতে পারিনি শিক্ষা সফর মানে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ ঘোরাঘুরি করা। বন্ধুদের সঙ্গে এবং শিক্ষকের সঙ্গে আমি যখন স্কুল জীবনে ছিলাম তখন সফর করতে না পারলেও। এখন নিজের ইচ্ছাকৃতভাবে যে কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারি অনেক সুন্দর পোস্ট করছেন আমাদের মাঝে শুভকামনা।