গ্লেজ লাইন এন্ড প্রিন্টিং এর পরিচিতি।
![]() |
---|
আজকে আমি আপনাদের সাথে যেই বিষয়টি নিয়ে শেয়ার করতে এসেছি তা হল গ্লেজ লাইন এন্ড প্রিন্টিং।
গ্লেজ লাইনে তিনদিন ট্রেনিং করতে হয়েছে আমাদের। ২৪-২৬-২৭, আগস্ট, ২০২৩। অনেক ব্যস্ত থাকার কারণে আমি আপনাদের মাঝে এই বিষয়গুলো সময় মতো তুলে ধরতে পারতেছি না।
আজকে আগস্ট মাসের ২৯ তারিখ। ইতিমধ্যে কিলন সেক্টরে দুই দিন ট্রেনিং হয়ে গেছে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতেছি গ্লেজ লাইন এন্ড প্রিন্টিং। এরপর তুলে ধরব কিলন।
![]() |
---|
Training date:-
- 21-22-23, Aug, 2023
Post date:-
- 24, Aug, 2023
গত যে পোস্টটি করেছিলাম, সেখানকার একটু সামারি তুলে ধরি।
সেই সেক্টরে আমরা শিখেছিলাম প্রেস এবং ড্রয়ার কিভাবে কন্ট্রোল করতে হয় কিভাবে টাইলস উৎপাদন এবং শুষ্ক করা হয় সেই প্রসেস।
এর পরের সেক্টর হচ্ছে গ্লেজ লাইন। চলুন তাহলে ড্রয়ার থেকে কিভাবে গ্লেজ লাইনে কাজ করতে হয় বা সেখানকার কাজ কি? সেগুলো সম্পর্কে তুলে ধরা যাক।
glaze line and printing |
---|
যখন ড্রায়ার থেকে টাইলস বের হবে তখন সেই টাইলসের তাপমাত্রা কত থাকে তার জন্য টেম্পারেচার গান দিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। সচরাচর তাপমাত্রা থাকে ৮০-৯০-১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে এই তাপমাত্রা বিভিন্ন বডির ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়ে থাকে কখনো কম কখনো বেশি তাই সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা অসম্ভব।
এরপরে সেই টাইলস ব্রাশিং করা হয়ে থাকে, যেন তার উপরে লেগে থাকা অপ দ্রব্য বা ডাস্ট দূর হয়ে যায়। এরপর ব্লোয়ার দ্বারা ময়লা দূর করা হয় যদি তার উপরে ডাস্ট থেকেও যায়। ব্লোয়ার এর কাজ হচ্ছে বাতাস প্রবাহ করা।
এরপর বেল্ট এর সাহায্যে যাচ্ছি সারি বদ্ধ ভাবে। বলাই হয়নি সেই কথা, দ্রব্যাদি উৎপাদন থেকে শুরু করে আউটপুট পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেল্ট এবং রোলার এর সাহায্যে রানিং থাকে।
![]() |
---|
এরপর ওয়াটার স্প্রে করা হয়। ওয়াটার স্প্রে করার কারণ হচ্ছে, টাইলস এর ওপর যেন পর-সিটি বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ ছিদ্রতা যেন বন্ধ হয়।
আরো ডিপলি যদি বলতে হয় তাহলে বলা যায়, যখন টাইলস ড্রায়ারে ২৩০-২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ড্রয়িং করা হয়, তখন দ্রব্যাদি অধিক পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যায় যে কারণে অধিক পরিমাণে শোষণ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় এবং ছিদ্রতার সৃষ্টি হয় যার মধ্য দিয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে।
যখন আমি ওয়াটার স্প্রে করব তখন সেই ছিদ্র গুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাবে সামান্য পানি পাওয়ার কারণে। এই পানি অধিক পরিমাণে দেওয়া যাবে না। ৩০-৩০ cm এর ক্ষেত্রে পানি স্প্রে করতে হয় 4-9 gm and 60-60 cm এর ক্ষেত্রে পানি স্প্রে করতে হয় 24-26 gm. এখানে একটি অংক রয়েছে, সেই অংক অনুসারে এই হিসাব বের করতে হয়।
যদি পানির পরিমাণ কম হয় কিংবা পানি না দেওয়া হয় তাহলে অধিক পরিমাণে পিনহোল এর সৃষ্টি হবে। ইহা অত্যান্ত ক্ষতিকর হয়ে যাবে। এজন্য পানির পরিমাণ সঠিক রাখতে হবে।
এরপর চলে যেতে হবে এনগোব এর মধ্যে। এনগোব মূলত বডির লাল পৃষ্ঠ কে ঢেকে দেয়। আমরা যদি পানি কম ব্যবহার করতাম কিংবা পানি ব্যবহার করতাম না, তাহলে এনগোব দেওয়ার পরে দেখা যেত কত ডিফেক্ট আসে। তখন অত্যাধিক পরিমাণে ডিফেক্ট দেখা যেত।
![]() |
---|
এনগোব ইহা মূলত ৫০ গ্রাম থেকে ৬০ গ্রাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে নির্দিষ্টভাবে বলা অসম্ভব, কেননা একেক সময় একেক ধরনের টাইলস উৎপাদন করা হয়। কখনো কখনো wall tiles and floor tiles. একেক টাইলসের ক্ষেত্রে একেক রকম ওজন বা গ্রাম বিবেচনা করা হয়। এগুলো সবকিছুই ল্যাব থেকে বলে দেয়।
এনগোব প্রয়োগ করার পরেই আবার গ্লেজ প্রয়োগ করতে হয়। গ্লেজ ক্ষেত্রেও একই সিস্টেম। এর পরিমাণ আরো একটু কম থাকে। সবকিছুই আসলে লিখে বোঝানো অসম্ভব। লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে যা আপনাদের জন্যও বিরক্তিকর এবং আমার জন্যেও। তবে আমি এগুলো ডাইরিতে নোট করে রেখেছি। যেগুলো important topic সেগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে।
এরপর দুই সাইড ওয়াস করা হয়। অর্থাৎ এনগোব এবং গ্লেজ প্রয়োগ করার পর চতুর সাইডে লেগে রয়েছে সেগুলো ওয়াশ করে পরিষ্কার করা হয় এবং ডাস্ট গুলো ব্লোয়ার ফ্যানের মাধ্যমে টেনে নেওয়া হয়।
ট্রার্নার এর সাহায্যে টাইলস কি ঘোরানো হয়, যেই দুই সাইট ওয়াশ করা হয়নি সেগুলো ওয়াশ করা হয়।
![]() |
---|
এরপর প্রিন্টিং এর সাহায্যে প্রিন্টিং করা হয়। এই প্রিন্টিং মেশিন সম্পূর্ণ ডিজিটাল। রং থাকে সর্বোচ্চ আটটি। অর্থাৎ আটটি রং এর সংমিশ্রণে বিভিন্ন কালারের ডিজাইন শেপ দিয়ে থাকে। এর জন্য প্যারামিটার রয়েছে সেখান থেকে কন্ট্রোল করতে হয়। প্রত্যেকটি লাইনের প্রত্যেকটি সেকশনে প্যারামিটার রয়েছে।
এরপর বটম এনগোব করা হয়। এর কারণ হচ্ছে, নিচে কোন প্রকার এনগোব কিংবা গ্লেজ প্রয়োগ না করায়, উহার সম্পূর্ণ ফাঁকা থেকে যাচ্ছে। এ কারণে ডাস্ট সৃষ্টি হবে এবং রোলার নষ্ট হবে একই সাথে দ্রব্যের শেপ নষ্ট হয়ে যাবে ফায়ারিং করার সময়।
এ পর্যন্তই মূলত গ্লেজ লাইন এন্ড প্রিন্টিং এর কাজ। এর মধ্যে অনেক সূত্র রয়েছে অনেক যন্ত্রাংশ রয়েছে অনেক ক্রিটিকাল বিষয় রয়েছে যেগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হয়নি। কিভাবে ওজন নিতে হয়, দ্রব্যাদির নাম, সকল সূত্রের সাথে পরিচয় এবং প্রয়োগ পদ্ধতি। অনেক বিষয় রয়েছে, ইনশাআল্লাহ আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এর পরের সেকশন নিয়ে আলোচনা করব।
ইতিমধ্যে অত্যন্ত বড়লেখা হয়ে গেছে। আমার নিজের জন্যও এই লেখাগুলো পরবর্তীতে কাজে লাগবে। একই সাথে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হচ্ছে এই লেখাগুলো।
সকলেই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন, দেখা হবে পরবর্তী কোনো লেখা নিয়ে।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1696541750201127153?t=a0dlAh8bG8IzhCgHaSb0Zg&s=19
আপনি একটি বিশেষ পদ্ধতিতে টাইলস তৈরি করার হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন।
আমরা শুধু ফ্লোর টাইলস বা ওয়াল টাইলস দেখেছি কিন্তু এগুলো কি ভাবে তৈরি হয় বা তৈরি করা কত জটিল এ বিষয়ে কোন ধারনাই ছিল না।
যাইহোক আপনার এই পোস্ট পড়ে কিছুটা জানতে পারলাম যেমন ড্রাইং, ওয়াশিং, গ্লেজিং এবং প্রিন্টিং ও এনগ্রভিং।
আপনার উদ্দেশ্য সফল হওক। এই সুন্দর পোস্টটি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক জটিল এবং কঠিন প্রসেস। যদি কোন ব্যক্তি এবং এই প্রসেস গুলো দেখে এর আগে কখনো দেখিনি তাহলে সে সত্যি অনেক অবাক হয়ে যাবে।
👍