ভ্রমণ:- হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর মাজার ভ্রমণ।
প্রিয় স্টিমিয়াম
আজকে আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম ভ্রমণ এর বিষয় নিয়ে। গিয়েছিলাম সিলেট হযরত শাহজালাল (রহ:) এর মাজারে। তিনি একজন বিশ্ব বিখ্যাত আল্লার অলি ছিলেন। জানতে পেরেছি লেখাপড়ার মাধ্যমে।
এখানে ইতিহাস অনেক রয়েছে আমি ইতিহাস নিয়ে বেশি কথা বলবো না। যেহেতু ভ্রমণ তাই কোথায় কি করেছি দেখেছি কেমন লেগেছে সবকিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এখানে দেখতে পারতেছেন আমরা তিন ভাই মিলে হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মাজারে প্রবেশ করার স্থানে দাঁড়িয়ে ছবি উঠেছে। যদিও এর পশ্চিম পাশে আরও একটি প্রবেশ করার দরজা রয়েছে।
ছোট ভাইকে সুন্দরভাবে একটি ছবি ধারণ করে দিলাম আমার মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে। আমার মোবাইল ক্যামেরাটি (এ আই) তাই ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে।
![TQ.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfAkUqGw5uy1jNmTcb68ECgENHtdXjHrr83YSaNXr9hjW/TQ.png)
যেহেতু আমরা সকলেই পশ্চিম দিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছি তাই প্রথমেই আমরা দেখতে পেলাম এখানে অনেকগুলো অসহায় এবং অনেক পাগল রয়েছে তাদের হয়তোবা থাকার জায়গা নেই। তাই এখানে তাদের অবস্থান।
পূর্ব পাশে যে দরজা রয়েছে সেই দরজার পাশেই এই কবুতর গুলোর সমারোহ। এই কবুতরগুলো দেখে সত্যিই আমার প্রাণ জুড়ে গেল।
কেননা এখানে যেভাবে তাদেরকে খাবার দেওয়া হচ্ছে তারা এখান থেকে আর কোথাও যায় না। সর্বসময় তাদের জন্য খাবার হিসেবে গোম প্রস্তুত।
পাশেই রয়েছে তাদের থাকার জায়গা। খাওয়া-দাওয়া করতেছে এবং তাদের সেই খাঁচার ভিতর গিয়ে উঠতেছে। এদেরকে পরিচালনা করার জন্য সর্বসময় নিযুক্ত রয়েছে কিছু ব্যক্তিবর্গ।
দেখতে পেলাম খেজুরের যে সমস্ত ডাল গুলো রয়েছে পাতাযুক্ত সেই ডাল দ্বারা আধা ঘন্টা পর পর টাইলস করা জায়গা গুলো পরিষ্কার করতেছে কেননা কবুতর মূত্র বিসর্জন করে। জায়গাগুলো অপরিষ্কার হয়ে থাকে তাই সবসময় এদেরকে নিযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে পরিষ্কার রাখার জন্য। এই বিষয়টি আমার কাছে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে।
আমরা চার ভাই এখানে ছবি উঠেছি। কবুতরগুলো নির্ভয়ে খাবার খাচ্ছে উড়ে যাচ্ছে কত সুন্দর স্বাধীনভাবে তারা উড়ে বেড়াচ্ছে চতুরপাশ দিয়ে।
যদি আপনারা এই পুকুর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সঠিক ধারণা নিতে চান তাহলে এই উইকিপিডিয়া থেকে জানতে পারেন এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ভিডিও কনটেন্ট ক্রিকেটাররা তৈরি করে রেখেছে শুধুমাত্র সার্চ দিয়ে আপনারা বের করে পড়বেন তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সঠিক তথ্য নেওয়ার জন্য। কেননা বর্তমান সময়ে মানুষ সঠিক তথ্য না দিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতেছে একমাত্র টাকা উপার্জনের লক্ষ্যে।
কবুতর দেখার পরেই তার পাশেই দেখতে পেলাম মাছ। পুকুরের মধ্যে অনেকগুলো মাছ ভেসে ভেসে উঠতেছে আবার নিজ দিকে চলে যাচ্ছে।
সেখানে মানুষের সমাগম হয়েছে। আমিও চলে গেলাম সেখানে মোবাইল দিয়ে ছবি তুললাম। মাছগুলো মনে হচ্ছে অনেক পুরনো এবং বড় বড়।
যখনই সেই বড় মাছগুলোকে ধরতে যাই তখনই নিচের দিকে চলে যায় দেয় না ধরা আমার কাছে। পানির বর্ণ কেমন জানি দেখাচ্ছে। এই পুকুরের পানি দিয়ে কেউ ওযুর উচ্ছে হাতমুখ ধুচ্ছে এমনকি পানি পান করতেছে। যদি ছবিগুলোতে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন কিছু নোটিশ টানিয়ে দেওয়া রয়েছে।
একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, পেছনে কালো ব্ল্যাক-বোরর্ডে সাদা কালি গিয়ে লেখা মসজিদের অভ্যন্তরে ছবি এবং ভিডিও করা নিষেধ।
বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নোটিশ বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া থাকে যেগুলো করা নিষেধ এগুলোর প্রতি আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। যেহেতু মসজিদের ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ তাই আমরা বাহিরে ছবি তুললাম এবং ভেতরে ছবি তোলা হয়নি।
কিছু কবরের স্থান রয়েছে যেগুলো আমরা ঘুরে ঘুরে দেখলাম এবং মনে করতে থাকলাম আমাদের সেই কবরের মধ্যেই যেতে হবে।
সততা নেইনিষ্ঠা আমাদের প্রত্যেকেরই দরকার এবং সেই অনুযায়ী জীবনযাপন পরিচালনা করা দরকার। কেননা কেউ আমরা চিরস্থায়ীভাবে বেঁচে থাকতে পারবো না আমাদের কেউ একদিন এভাবে চলে যেতে হবে।
অনেক কিছুই মনে পড়েছিল তখন চিন্তা করলাম ভাবলাম আসলে আমরা যেভাবে জীবনকে পরিচালনা করে করতেছি এটা একদমই সঠিক নয়। সৃষ্টিকর্তার হুকুম অনুযায়ী আমাদের জীবন পরিচালনা করা উচিত।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি এটা বেশ ভালো কেননা স্মৃতি হিসেবে এখানে থেকে যাবে হয়তোবা একদিন গ্যালারি থেকে ডিলেট হয়েও যেতে পারে। মনের মাঝে থেকে যাবে সেই ভ্রমণ এবং আল্লাহতালার নিদর্শনগুলো। আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম সমস্ত কিছু।
Device | Name |
---|---|
Android | Tecno Spark 7 |
Camera | 16MP Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @jakaria121 |
মানতেই হবে মাজারটি অনেক সুন্দর ৷ মাজারের ভিতরে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য অসাধারন লাগতেছে ৷
বিশেষ করে ভালো লাগলো কবুতর গুলা দেখে কবুতর গুলো অনেক সুন্দর ভাবে খাবার খাচ্ছে এই দৃশ্য গুলো দেখে মন ভরে গেল ৷
যাই হোক ভাই অনেক সুন্দর লাগলো আপনার মাজার ভ্রমন করার দৃশ্য গুলি দেখে ৷
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
#miwcc
হ্যাঁ অবশ্যই অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য যদি উপভোগ করতে পারেন বেশ ভালো লাগবে। অবশ্যই এই দৃশ্যগুলো দেখে সকলেরই ভালো লাগার কথা কেননা সিলেটের বিখ্যাত জায়গার মধ্যে অন্যতম একটি হযরত শাহজালাল রহঃ এর মাজার।
#miwcc
এই মাজারটা যেহেতু হোক আমাদের অঞ্চলের দিকে এবং মাজারে দুইটা কুমির আছে লাল পাহাড় বলে পরিচিত সবার কাছে আমি একবার গিয়েছিলাম মাজারে গিয়ে আমার খুবই ভালো লাগছিলো।
যাইহোক আপনার আনন্দ ভ্রমণের আনন্দ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
#miwcc
আসলে আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ দেখা যায়। যারা কিনা এ ধরনের বড় বড় ঐতিহ্যবাহী মসজিদ, মন্দির বিভিন্ন স্থানে। নিজেদের বাসস্থান তৈরি করে নেয়। কেননা তাদের থাকার মত সঠিক কোন জায়গা থাকে না। তারা এই জায়গা গুলোকে নিজেদের মত করে থাকার মত ব্যবস্থা করে নেয়।
আসলে কবুতর খুবই সুন্দর একটা প্রাণী। আর এই কবুতর যেখানে বসবাস করে। সেই জায়গাটা অবশ্যই সুন্দর হওয়া প্রয়োজন। এর কারণটা হচ্ছে কবুতর হচ্ছে পাক পবিত্র জিনিস। এটার যেখানে বসবাস করবে, সে জায়গাটা অবশ্যই পরিষ্কার থাকতে হবে। আর তাই ওখানে থাকা ব্যক্তিবর্গরা এই জিনিসটা অনেক ভালো করছেন। যেটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আপনার পোস্ট পড়ে আমার কাছেও ভালো লেগেছে।
দেখলাম আপনার পোস্টে আপনি উল্লেখ করেছেন হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহির মাজার।আসলে আমার এখনো দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবে ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকলে একদিন গিয়ে দেখে আসবো।
আপনি আপনার পোস্টে কিছু কবরের ছবি শেয়ার করেছেন। আর আপনি কবরের পাশ দিয়ে হেটে গিয়েছেন, চিন্তা করেছেন আমাদেরকে এই কবরে যেতে হবে।
আমরা যখন এই পৃথিবীতে এসেছি। তাহলে তো আমাদেরকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে,ওই মাটির ছোট্ট ঘরে যেতেই হবে।
সততা নিষ্ঠা এই দুইটা জিনিস যদি আমাদের মাঝে থাকে। তাহলে কিন্তু রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে বেশি পছন্দ করে। যে ব্যক্তির মধ্যে ঈমান আছে। সে ব্যক্তি আল্লাহতালার কাছে সবচাইতে প্রিয়।
আসলে সর্বশেষ একটা কথা বলব। যে জিনিসটা আমার দেখার খুব আগ্রহ ছিল। আজকে আমি আপনার পোস্টে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সে জিনিসটার কিছুটা অংশ হলেও দেখতে পেরেছি।
সেজন্য আমি আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। এবং হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি মাজার ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতাটা, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
#miwcc
হ্যাঁ তা তো অবশ্যই। কেননা পাগল এবং গরিব দুঃখীরা সেখানে নিজের মতো করেই বেঁচে থাকে কেননা যাওয়ার নেই কোন জায়গা থাকার নেই কোন জায়গা।
ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকবে অবশ্যই যাবেন। কবুতর দেখলে অবশ্যই ভালো লাগবে আশা করি। এছাড়াও বাস রয়েছে এটাও বেশ ভালো লাগবে।
মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে যখন আপনি কবরস্থানগুলোতে পরিদর্শন করবেন অবশ্যই আপনার মন নরম হয়ে যাবে আখেরাতের কথা মনে পড়ে যাবে।
#miwcc
আমি হযরত শাহজালাল এর মাজারে যাইতে পারিনি ছোট ভাই। কিন্ত তোমার পোস্টটা পড়ে বুঝতে পারলাম এবং অনেক কিছু দেখতে পারলাম যে হযরত শাহজালালের মাজারে দৃশ্য গুলো কেমন। আসলে দৃশ্যগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দৃশ্যগুলো খুবই সুন্দর এবং সবচেয়ে আমার বেশি ভালো লেগেছে কবুতরগুলো দেখে এই কবুতর এমন কবুতর যে কোথাও যায় না। তারা ওখানেই থাকে এবং কবুতর গুলোর খাদ্য হিসেবে গোম দেয় এই কথাগুলো জানতে পারলাম তোমার পোস্ট পড়ে। তাই ছোট ভাই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
#miwcc
হ্যাঁ ভাই জানি যেতে পারোনি তবে আশা করি আগামীতে যাবে। আমি দেখছি সকলের কাছে এই কবুতর এর দৃশ্যটি বেশ আকর্ষণ লেগেছে। আর কবুতর সেখানে গোম খেয়ে থাকেন বেশিরভাগ। ধন্যবাদ মতামত উপস্থাপনের জন্য।
#miwcc