Incredible India monthly contest of April| All about my favorite day of the week.
নমস্কার বন্ধুরা, আজ আমি কমিউনিটি আয়োজিত একটি কনটেস্টে প্রথমবার অংশগ্রহণ করছি। এই কারণে আমি ভীষণ আনন্দিত। কনটেস্টের থিমটাও এত সুন্দর যে একটা আলাদা ধরনের লেখা তৈরি হবে। লেখালেখি করতে ভীষণ ভালো লাগে, তাই একটু নতুন কিছু দেখলেই চোখ সরাতে পারি না।
সত্যি বলতে, সপ্তাহের প্রিয় দিন বলে আমার কাছে বর্তমানে এখন আর কোন নির্দিষ্ট করে প্রিয় দিন নেই ।হঠাৎ করেই কোন না কোনদিন খুব সুন্দর হয়ে ওঠে। আবার হঠাৎ করেই কোন না কোনদিন খারাপ যায়। এটা হওয়াটাও স্বাভাবিক। জীবন এত রঙিন বলেই তো সবকিছু খুবই মূল্যবান।
এখন প্রত্যেকদিনই একই রুটিনে আমাকে কাজ করে যেতে হয় ।কাজের ফাঁকে ফাঁকে যেটুকু আমি নিজের জন্য সময় পাই। এছাড়া সেরকমভাবে কোনদিন নির্দিষ্ট করে আলাদা হয় না। প্রত্যেকটি দিন আমার সেম রুটিন থাকে।
ঘুম থেকে ওঠার পর ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে পড়তে বসে যাই আর তারপর স্নান করে ,খাওয়া দাওয়া করে আমি আবার পড়তে বসি। না হলে আমাদের বিজনেসের কাজে কিছুটা সময় দিই। আর তা না হলে আমি যেখান থেকে আমার বি এড কোর্স করছি। সেই টিচিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে কোন দরকারি কাজ থাকলে, সেখানে যেতে হয়। তারপর আবার এসে খাওয়া-দাওয়া করে একটু রেস্ট করি। বিকেল বেলার সময় নিজের মতো করে সময়টা কাটিয়ে আবার সন্ধ্যে থেকে পড়তে বসে যাই । আর রাত অবধি পড়ার পর খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ি। আমার জীবনে এখন নিজের কেরিয়ার সেট করার স্টেজ চলছে, তো স্বাভাবিকভাবেই পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকি।
কোনো এক রবিবারে পছন্দের রেসিপি বানিয়ে
তবে যেহেতু কনটেস্টের উত্তর আমাকে দিতেই হবে, সেই অনুযায়ী আমি বলতে পারি,রবিবারে দিনটা আমার বেশ ভালই কাটে। তাই সপ্তাহের প্রিয় দিন বলতে রবিবারকে আমি বেছে নিতে পারি।
কারণ, সেদিনকে আমার গানের ক্লাস থাকে। খুব ছোট থেকেই আমি গান শিখছি।আর এতগুলো বছর ধরে প্রত্যেক রবিবার আমার গানের ক্লাস থাকে।গান নিয়ে থাকতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমাদের এখানকার ছুটির দিন রবিবার। তাই রবিবার একটু নিজের মতো করেই কাটানোর চেষ্টা করি। এই দিন এদিন নিজের মন এবং শরীরকে একটু রিলাক্স দিতে পারি। পছন্দের কাজগুলো নিশ্চিন্তে করতে পারি।
কোনো সপ্তাহে রবিবারে গান শিখতে আমাকে কলকাতাতে যেতে হয়। আবার কখনও অনলাইনেই স্যার শেখান। গানের ক্লাসের সময়টুকু আমার ভীষণ ভালো লাগে। নতুন নতুন গান রবীন্দ্র সংগীত শিখতে আমি ভীষণ ভালোবাসি এবং সেগুলো নিয়ে চর্চা করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই রবিবারের দিন একটু আলাদাভাবেই কাটে।
স্যারের সাথে গানের ক্লাসে
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর। স্নান খাওয়া-দাওয়া করে আমি গান নিয়ে বসি। তারপর গান শেখা হয়ে গেলে, কিছুক্ষণ সেই নতুন গান নিয়েই চর্চা করি। পছন্দের ওয়েব সিরিজ দেখি। অথবা বাবার সাথে আবদার করে বাড়ির সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে যাই। কারণ আমার ছোট ভাইয়েরও রবিবার ছুটি থাকে। এছাড়াও বাবা যদি সময় না দিতে পারে তবে বন্ধুদের সাথে সেদিনকে একটু দেখা করার চেষ্টা করি। রবিবারের বিকেলে আমাদের বন্ধুরা সবাই মোটামুটি ফাঁকা থাকে। যারা বাইরে থাকে তারা সপ্তাহে রবিবারের দিনে বাড়িতে থাকে, তাই সকলেরই ছুটির দিন বলে দেখা করা সম্ভব হয়।
আর যদি কলকাতাতে ক্লাস করতে যেতে হয় তবে আমাকে তো সকালের ট্রেনে বেরিয়ে যেতে হয়। কারণ আমার বাড়ি থেকে কলকাতা প্রায় আড়াই ঘন্টা লাগে। কলকাতা যাতায়াত এবং গানের ক্লাস ধরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে যায়। তারপর তো বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিতে হয়। আর যেহেতু সকাল থেকে পড়তে পারিনি, সন্ধ্যেবেলায় পড়তে বসতে হয়।
তাই রবিবারের সময়টা বাইরে ক্লাস থাকলে এভাবেই কেটে যায়।
এত গরমে কলকাতা যেতে তো একদমই ভালো লাগেনা ।কিন্তু এখনো অব্দি গরম পড়ার পর থেকে স্যার অনলাইনে ক্লাস করিয়েছেন ,তাই আমি বেঁচে গিয়েছি। 😄
আমি অবশ্যই মনে করি সপ্তাহে একদিন আমাদের এমন হওয়া উচিত যেদিনকে আমরা রিলাক্স করব। কারণ অবসর খুবই প্রয়োজন । টানা কাজ করতে করতে একটা মানুষ নিজের এনার্জি হারিয়ে ফেলে। এনার্জি বুস্ট করতে অবশ্যই একটু অবসর দরকার। কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাঝেমধ্যেই আমরা একটু ব্রেক নিয়ে থাকি। কিন্তু এর সাথে একটা দিন হওয়া উচিত ,যেদিনকে আমাদের ফ্যামিলিকে সময় দেওয়া উচিত। কাজের কথা একটু সরিয়ে নিজের কথা ভাবা উচিত ।নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা উচিত। অথবা নিজের প্রিয় কাজগুলো করা উচিত। আমি আমার অনেক বন্ধুদের দেখেছি, তারা প্রত্যেক সপ্তাহে রবিবার করে বাড়ি থেকে বার না হয়ে ,সারাদিনই বিছানায় পড়ে থাকে পছন্দের ওয়েব সিরিজ দেখে আর ঘুমোয়।😄
কোনো এক রবিবারে সবাই মিলে দূরে কোথাও ঘোরাঘুরি
একটা দিন একটু রেস্ট নিয়ে নিলে , আমরা সকলেই আবার নতুন ভাবে কাজে ফিরতে পারি । অনেক সময় আমি নিজেও খেয়াল করেছি একটানা কাজ করার পর নতুন কোন লেখা মাথাতে আসতে চায় না, নতুন কোন প্ল্যান সৃষ্টি হতে চায় না। কিন্তু এর মাঝে যদি একটা ব্রেক নিয়ে নিই , তাহলে পুনরায় ভাবতে বসলে খুব সহজেই কম সময়ে নতুন কিছু মাথায় চলে আসে এবং কাজটা সম্পূর্ণ হয়। সফল হয়।
অবশ্যই আমাদের ছোটবেলা সবথেকে সুন্দর ছিল। সেই সময় আমাদের কাজের প্রেসার এত ছিল না। যত বড় হয়েছি নানান ধরনের প্রেসার আমাদের মাথায় চেপে বসেছে। বড় হলে অনেক দায়িত্ব নিতে হয়। বড় হলে আমরা কর্তব্য পরায়ণ হয়ে উঠি। তাইতো আমাদের এত প্রেসার থাকে। ছোটবেলায় আমরা নিজেদের মতো থাকি। মা-বাবা যে কত চিন্তা করেন সেগুলো তখন বুঝতেই পারতাম না। যা এখন বুঝতে পারি এবং তাদের প্রেসার নিজেরাও ভাগ করে নিই। দায়িত্ব নিতে শিখে গেলে মানুষ বড় হয়ে যায়। ছোটবেলায় কোন দায়িত্ব থাকে না সেভাবে। তাই স্বাভাবিকভাবে সেই সময়গুলো অন্যরকম আনন্দের হয়।
কোনো এক রবিবারে বান্ধবীর সাথে আড্ডায়
ছেলেবেলায় আমার মনে আছে, রবিবারই আমার পছন্দের দিন ছিল। রবিবারে সমস্ত কাজ বন্ধ থাকতো। আর ছোটবেলা থেকেই রবিবার করেই আমার গানের ক্লাস থাকতো। আমি হিন্দুস্থানী ক্লাসিক্যাল শিখতে যেতাম, রবীন্দ্র সংগীত শিখতে যেতাম।
প্রত্যেক রবিবার গানের ক্লাসের জন্য আমার ভীষণই পছন্দ। তাছাড়া ছেলেবেলায় ছুটির দিনগুলোতেই আমরা চেষ্টা করতাম ঘুরতে বেরোনোর ।ছোটবেলায় পড়াশোনার চাপ, টিউশনের চাপ এত বেশি পরিমাণে থাকতো না। ঘুরতে যাওয়ার সময় হতো প্রচুর। রবিবার করে পিসির বাড়ি , জেঠুদের বাড়িতে যেতাম অথবা বাবা -মা এর সাথে ঘুরতে বের হতাম।
সব শেষে আমি এটাই বলতে চাই, আমার কাছে এখনও সপ্তাহের প্রিয় একটা দিন হলো রবিবার।কারণ এই দিন ছুটির দিন। আর এই দিন গান নিয়ে আমি অনেকক্ষণ চর্চা করতে পারি। এই কারণেই ছোটবেলা থেকেই রবিবার আমার পছন্দের।
আমি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ করতে চাই আমার তিন বন্ধুকে - @kyrie1234 @pijushmitra @karobiamin71
আশা করছি আমি সমস্ত উত্তর সঠিকভাবে দিতে পেরেছি ।সকলকে ধন্যবাদ আমার এই পোস্ট পড়ার জন্য। এত সুন্দর একটি কনটেস্টের আয়োজন করার জন্য প্রিয় দিদিকে @sduttaskitchen এবং কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানাই।
cutie sister
🥹❤️🥹
দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য। আপনার সম্পূর্ণ লেখা পড়ে আপনার পছন্দের দিন রবিবার সম্পর্কে জানতে পারলাম। যদিও আপনি উল্লেখ করেছেন বর্তমান সময়ে আপনার পছন্দের তেমন কোন দিন নেই। রবিবার আপনার কাছে স্পেশাল কেননা রবিবার আপনি গান শেখেন। আর গান শেখা এবং গান গাওয়া আপনি অনেক পছন্দ করেন।
এছাড়াও আপনার ছোটবেলার কিছু স্মৃতি সম্পর্কে যে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন প্রতিযোগিতায় আপনার সাফল্য কামনা করছি।
আমারও ভালো লাগলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে, এত সুন্দর প্রতিযোগিতার থিম, তাই আমারও ভালো লেগেছে লিখতে। অনেক ধন্যবাদ।
আপনার সপ্তাহের প্রিয় দিন হিসেবে আপনি রবিবারকে নির্বাচন করেছেন। কেননা রবিবার আপনার গানের ক্লাস থাকে, আর আপনি গান কতটা পছন্দ করেন সেটা আপনার গান শুনে আমি বুঝতে পেরেছি। আশা করি আপনি ভবিষ্যতে বেশ ভালো একজন সঙ্গীত শিল্পী হবেন।
রবিবারকে নিয়ে আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। সেই সাথে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া এবং ছোটবেলায় আপনি কিভাবে আপনার প্রিয় দিনটি পার করতেন, সেটাও আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ চমৎকার ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। ঈশ্বর আপনার সহায় হোন। ভালো থাকবেন।
আমি চেষ্টা করেছি যতটা পারা যায় সহজ ভাবে লেখার এবং খুব সুন্দর করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার। আপনাদের ভালো লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ।
TEAM 1
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.ধন্যবাদ এই প্রতিযোগিতায় আমাকে অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। আমি চেষ্টা করছি এই প্রতিযোগিতায় যোগদান করার। আপনি স্যার মনোজ মুরালী নায়ারের কাছে রবীন্দ্র সংগীত শেখেন জেনে খুব ভালো লাগছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এই কনটেস্টে আপনার সাফল্য কামনা করি।
হ্যাঁ, আমি কলকাতা যাওয়ার পর থেকে ওনার কাছেই শিখি, স্যার ভীষণ ভালো মানুষ। আমিও ধন্য ওনার থেকে গানের তালিম নিতে পেরে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ভাগ্যবান বা সঠিকভাবে বললে ভাগ্যবতী। স্যার বাঙালি না হয়েও যেরকম ভাবে উনি বাংলা ভাষাকে আর রবীন্দ্র সংগীত কে আপন করে নিয়েছেন তার কোনো তুলনাই হয় না।