ভিড় কাকে বলে - মেলা প্রাঙ্গন
আমি কিছুদিন আগেই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার শহরের কথা। শহরে একটি বিখ্যাত মেলা হয় সেই সংক্রান্ত ব্যাপারে সেই পোস্টে লিখেছিলাম। মেলাটির নাম বারোদোলের মেলা। আমি সাথে এটাও লিখেছিলাম এই মেলার প্রথম তিনদিন খুবই ভিড় হয়। কারণ এই তিনদিন নানান জায়গা থেকে বিগ্রহ নাট মন্দিরে আনা হয়। এবং বিগ্রহগুলিকে পূজা করা হয়। এই সকল বিগ্রহ গুলি দেখার জন্যই শহরের মানুষের সমাগম এত বেশি হয়।
তো যাই হোক, আমরা মেলার প্রথম এবং দ্বিতীয় দিন না যেতে পারলেও একুশে এপ্রিল অর্থাৎ তৃতীয় দিন গিয়েছিলাম। বিকেল বেলায় যেতে পারলে বেশি ভালো হতো।
কারণ, আমার মা-বাবা দ্বিতীয় দিনকে অর্থাৎ আমরা যাওয়ার আগের দিনকে গিয়েছিল বিকেল বেলার দিকে। স্বাভাবিক এই গরমে মানুষ ঘুরতে যাওয়ার জন্য সন্ধ্যেবেলা টাই ঠিক করে। তাই মা বাবা বুদ্ধি করে বিকেল বেলায় গিয়েছিল যাতে ভিড় কম হয়। ওরা গিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ফাঁকা ফাঁকা তে পুজো দিয়ে আসতে পেরেছে। এর সাথেই বহু সন্ন্যাসী এবং ভিক্ষুকদেরও মন মত দান করে আসতে পেরেছে।
কিন্তু আমাদের বিকেলে বেরোনোর কথা ঠিক হলেও, বেরোতে বেরোতে সন্ধ্যে পার হয়ে গেল। আর যেহেতু পূজোর শেষ দিন। তাই মেলায় ঢোকার আগে থেকেই রাস্তায় জ্যাম দেখতে পেলাম। আমরা মোট পাঁচজন গিয়েছিলাম। সাথে আমার ভাই ছিল। মা বাবা যেহেতু পূজো দিয়েছে একবার ,তাই আর যায়নি।
মেলায় ঢোকার আগে কিছুটা থেমে থেমে যেতে হলেও খুব বেশি দেরি হয়নি। কিন্তু মেলার মুখে নেমেই, অর্থাৎ রাজবাড়ীর গেটের সামনে নামতেই দেখি পুরো একদম জনসমুদ্রে ছেয়ে গেছে রাজ বাড়ির মাঠ ।
এত লোক যে আমার শহরে থাকে শুধুমাত্র এই মেলাতে আসলেই হয়তো টের পাওয়া যাবে। যে কোন অনুষ্ঠান এবং মেলাতেই আমরা টের পাই শহরে আসলে কত মানুষ বসবাস করে। তার ওপর জনপ্রিয়মেলা বলে কথা। আশেপাশের শহর থেকেও লোকে এসে ভিড় করে। আমরা ধীরে ধীরে নাট মন্দিরের দিকে যেতে লাগলাম। এত লোকের মাঝে নাট মন্দির অব্দি পৌঁছতে পৌঁছতে বেশ অনেকটা সময় লেগে গেল।
কারণ সেদিন সকলেই প্রায় পূজো দেওয়ার জন্যই এসেছে। আমরা মন্দির পৌঁছানোর পর ,এত ভিড় ছিল বলে বোঝাবার নয়। আপনারা হয়তো আমার পুরো পোষ্টের ছবিগুলো দেখে বুঝতে পারবেন, মেলার জিনিসপত্রর থেকে মানুষের মুখ বেশি চোখে পড়বে।
আমরা আবির দিয়ে প্রত্যেকটি বিগ্রহকে বরণ করে নিলাম। এছাড়াও রাজবাড়ী সুন্দর করে সাজিয়েছিল ।ঠাকুর দালানের ওখানে কিছুটা সময় কাটালাম। তারপর মেলার দিকে অগ্রসর হলাম।
নাট মন্দির থেকে বেরিয়ে মেলা অব্দি যেতেও আমাদের বেশ খানিকটা সময় লাগলো। এত ভিড়ের মধ্যে স্বাভাবিক কারোরই আর মেজাজ থাকবে না বেলা ঘোরার। তার উপরে এত গরম। তাই আমরা মেলা সেভাবে সেদিন ঘুরিনি। শুধুমাত্র পুজো দেওয়ার পর মেলার দিকে এগিয়ে অল্প কিছু খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে এসেছি।
সেদিন আমরা পাপরি চাট, ফুচকা ,আইসক্রিম, লস্যি খেয়েছিলাম আর বাড়ি ফেরার সময় আমার পছন্দের জিলাপি, গজা ,বাদাম ভাজা কিনে ফিরেছিলাম।
এরপরেও আরেকদিন মেলাতে গিয়েছিলাম সেই গল্প অন্য পোস্টে জানাবো।আজকের মত এখানেই শেষ করলাম।সকলে ভালো থাকুন।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/6) Get profit votes with @tipU :)
সাধরনত প্রতিটি মেলায় বিকেল বেলা এবং সন্ধ্যার সময় ভিড় থাকে আর যখন ভিড় থাকে তখন মেলাতে ঘুরাঘুরি টা একরকমে হয়ে যায় ৷ আর আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে মেলাতে প্রচুর পরিমানে ভিড় জমেছে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মেলার পরিদর্শন করার সুযোগ দিয়ে ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
Hope there will not be so much heat over there looking at the crowd and the population over there actually. But it will be fun actually to interact with different people