মহালয়া
সকলকে মহালয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছা। সকলকে আগাম শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাই। আশা করছি আপনারা সকলে ভাল আছেন। আজ মহালয়ার পূণ্য তিথিতে আমি আপনাদের সাথে আমার আজকের দিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করে নিচ্ছি।
ছোট থেকেই মহালয়ার দিন ভোর বেলায় উঠে মহালয়া শোনার অভ্যাস রয়েছে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখনও পর্যন্ত রেডিওতে মহালয়া শুনতাম। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহালয়া র সকাল জাগরিত হয়ে উঠতো। আমি ছোট থেকেই আমার ঠাকুমার সাথে মহালয়া শুনে বড় হয়েছি। আবার যখন বয়স ১৩ বছর তখন ঠাকুমা মারা যান। কিন্তু তারপরেও এতগুলো বছর ধরে আমি ভোরবেলায় মহালয়া শোনার অভ্যেস ছাড়িনি।
প্রথম থেকেই টিভিতে মহালয়ার থেকে রেডিওর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র এর কন্ঠ আমার সব সময় মন ছুঁয়ে গেছে।
বর্তমানে রেডিও হয়তো অনেকের বাড়িতেই উপস্থিত থাকে না। আমার বাড়িতেও এখন আর রেডিও নেই। তবে ইউটিউব থাকায় উনার কন্ঠ ইউটিউব থেকেই আমরা শুনতে পাই। এখন মহালয়া সোনার আমার সঙ্গী হয়েছেন আমার মা। ঠাকুরমা চলে যাওয়ার পর থেকে আমি মায়ের সাথেই মহালয়া শুনে থাকি। প্রত্যেক বছরের মত এ বছরে ভোর পাঁচটা নাগাদ মহালয়া প্লে করলাম ইউটিউবে। আমাদের ব্লুটুথ একটা ডিভাইস রয়েছে। যেটাতে অনেক জোরে সাউন্ড দিয়ে মহালয়া প্লে করলে সত্যি খুব ভালো লাগে । ভোর পাঁচটার সময় উঠে ঘুমে ধুলুঢুলু চোখে প্রত্যেক বছরের মত এ বছরও মহালয়া শুরু হল।
শর্টসের লিংক
মহালয়া শুনতে শুনতে এক ঘন্টা কেটে গেল। তারপর চলে গেলাম স্নানে। মায়ের প্রত্যেক বারের মতো এবারও ইচ্ছা ছিল নদীতে তর্পণ করতে যাওয়ার। কিন্তু এখন চারিদিকে জল থৈ থৈ। তাই আমি মাকে এবারে যেতে নিষেধ করেছি। আমার মাও আমার আগে স্নান সেরে পূজোর ঘরে চলে আসলো।
প্রাণ ভরে মা মেয়ে মিলে ঠাকুর দেবতাদের পুজো দিলাম। বাবা আগের দিন শখ করে ভোট দেবার জন্য হরেক রকম মিষ্টি কিনে নিয়ে এসেছিল।। সাথে ছিল ফলপ্রসাদ। পুজো করতে করতেই দেখছি আকাশের রং কেমন যেন অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। শুরু হয়ে গেল হঠাৎ করেই ঝমঝম করে বৃষ্টি। বিশ অবান্তর লাগলেও ব্যাপারটা মেনে নেওয়ার মতো ছিল না। মহালয়ার দিন এরকম বৃষ্টি হতে আমি আগে কখনো দেখিনি।
যদিও এবার পুজো পুজো ভাবটা আর নেই। কোথাও যেন একটা বিরাট যন্ত্রণা রয়ে গেছে। শরতের আকাশটাও মাঝেমধ্যে ম্লান লাগে। এমত অবস্থাতে মহালয়ার দিন এরকম একটা ঘটনা হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমি এইটুকু ভেবে বাঁচলাম যে ভাগ্যিস আমি বাইরে বের হইনি। গতরাত থেকে ইচ্ছে ছিল মহালয়ার দিন সকালবেলায় একটু ঘুরতে যাব। ঘুরতে গেলে হয়ত এই বৃষ্টির মধ্যে আটকে পড়ে যেতাম।
বৃষ্টি মোটামুটি এক ঘন্টা হয়ে যাওয়ার পর থেমে গেল। আমার ভয় ছিল যে বৃষ্টি থামবে না সারাদিন চলবে। আসলে আজকের দিনে আমার অনুষ্ঠানও ছিল। সকালবেলায় উঠে মহালয়া শুনতে প্রত্যেক বছর ভাল লাগে। আজকের সকালটাও খুব সুন্দরভাবে কেটেছে।
আজ এখানেই শেষ করছি সকালের গল্প নিয়ে, পরবর্তীতে আমার অনুষ্ঠানের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
আমি মালয়েশিয়াতে দেখেছি কিছু কিছু তামিল বাড়িতে সব সময় এই মহালয় বাঁচতে আমি এর বাংলা বুঝি না তবে হয়তো বা এগুলো আপনাদের কোন ধর্মীয় মন্ত্র হবে। আপনি ছোটবেলা থেকেই মহালয় শুনে আসছেন এখনো তার প্রতি আপনার ভালোবাসা রয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মহালয় সম্পর্কে আমাদেরকে অবগত করার জন্য ভালো থাকবেন।
তোমাকে জানাই শুভ মহালয়ার অনেক শুভেচ্ছা অভিনন্দন। ঠিকই বলেছ মহালয়ার দিন সকালবেলায় বেরোলে বৃষ্টিতে ভিজতে হতো ।আমার এখন আর মহালয়া দেখতে ইচ্ছে করে না। বেশ কয়েক বছর ধরে মহালয়া দেখা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছি। এই ছোটবেলাকার মহালয়ার সুরার পায়না। সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।