Incredible India contest by @sduttaskitchen|My all-time favorite food

in Incredible India10 months ago

আমি আজ ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটি কছে কৃতজ্ঞ এই সুন্দর শীর্ষক Incredible India contest by @sduttaskitchen|My all-time favorite food প্রতিবেদন উপস্থাপন করার জন্য। আমি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে পেরে খুব আনন্দিত। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী আমি তিন জন সদস্যকে এই কন্টেস্টে অংশ গ্রহন করতে অনুরোধ করে @mdrasel442 @muktaseo @rubina203 আমার পোস্ট শুরু করলাম


01. Share your views about your all-time favorite food

আমার প্রিয় খাবার কি জানতে হলে, আমার খাবারের অভিজ্ঞতা ও অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করা দরকার। প্রথমে আলোচনা করি "বাড়ির খাবার" নিয়ে। আমার বন্ধুর প্রায় পঁচিশ বছর বয়সেও জানতো না যে মাছ দিয়েও শুক্তো রান্না হয়। ও আমাদের বাড়িতে মাছের শুক্তো প্রথম খায়। ছোট পুঁটি, মৌড়লা, বা ছোট টেংরা মাছ দিয়ে তৈরি হয়। মাছের মাথা দিয়েও একটা ভাঙ্গাচূড়া শুক্তো হত।

শুক্তোর পরে মাছের মাথা দিয়ে ডাল, ইলিশ, চিংড়ি, রুই, কাতলা, মুড়িঘন্ট, বোয়াল, শোল, মাছ পোড়া, মাছের কালিয়া, চিতল মাছের পেটির (কোল) ঝাল, মুইঠা, পার্শে-কই-পাবদা ঝাল বা রশা, বাঁধাকপি কই, সিং, মাগুর আদাবাটা, এসবই আমার শৈশবে প্রিয় খাদ্য ছিল।

বাড়িতে তৈরি মকর সংক্রান্তির পিঠ, পায়েস (চশির পায়েস চল্লিশ বছর আগে খেয়েছি), পাটিসাপটা; জন্মাষ্টমীর মালপোয়া, তালের বড়া; লক্ষ্মীপুজার নাড়ু, মোয়া, রসকরা, পদ্মচিনি; স্বরসতী পূজার খিচুড়ি, অন্নকূট ভোগ, সত্যনারায়ণ পূজার সিন্নী সবই বাল্লকালের মধুর স্মৃতি হয়ে আছে।

এগুলি বাড়িতে খুবই সহজলভ্য ছিল, তাই বোধহয় এই সব খাবার আস্তে আস্তে একঘেয়ে লাগত।

যাই হোক এবার আমার কলকাতার নামিদামি, রাস্তার খাবারের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করছি।

চাইনিজ

ষাটের দশকে কলকাতার বিখ্যাত চাইনিজ রেস্টুরেন্ট পিপ ইন ঠিক পার্কস্ট্রিট মোরে পার্ক হোটেলের পরের পরের বিল্ডিংয়ে ছিল। এটা ছিল একটি খাঁটি চাইনিজ পরিবারের রেস্টুরেন্ট। এখানে আমি প্রথম খাই ১৯৬৯ সালে। তখন থেকে আমি চাইনিজ খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হই।

১৯৭৫ সাল নাগাদ এর মালিকানা হস্তান্তরিত হয়, কোন লোকাল রেস্তোরাঁ, চাইনিজ পরিবার থেকে এটা কিনে নেয়, কিন্তু তারা ওই নামে ব্যবসা চালিয়ে যায়। আমি পরে দু-একবার খেয়ে দেখেছি আগের তুলনায় অনেক অন্য মানের ছিল।

তার বছর দুয়েক বাদেই আমি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট নিউ এমব্যাসিতে যাই। এটা ৪৯ চৌরঙ্গী রোডে ছিল। খুব দুঃখের বিষয় দোকানটি এবছর বন্ধ হয়ে গেল।

চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ওয়াল্ড্রপ সম্ভবত পার্ক স্ট্রিটের সবথেকে পুরনো রেস্টুরেন্ট এখানে আমি শেষবারের মতো খাই ২০০০ সালে। এরপর এই দোকানটি মার্কো পোলো চেইন এর কব্জায় যায়। এটা একটা মাল্টিকুইজিন, এখানেও আমি দুই এক বার গিয়েছিলাম। কিন্তু আগের পরিবেশের নস্টালজিয়া আমাকে আঁকড়ে ধরত। আমি ২০০৫ সালে এখানে শেষ বার যাই।

নব্বই দশকে কলকাতার আরেকটি বিখ্যাত চাইনিজ রেস্টুরেন্ট জিমিস কিচেন কয়েক বার গিয়েছিলাম এটা হল শেক্সপিয়ার সরণি ও লোয়ার সার্কুলার রোড ক্রসিং এবং নিউ মার্কেট অঞ্চলে।

কলকাতার চায়না টাউনের খাবার না খেলে চাইনিজ খাবারের অভিজ্ঞতা অপূর্ণ থেকে যাবে। এদের মধ্যে, সুস্বাদু খাবার বেশী পরিমাণে পরিবেশন করার ঝোঁক আছে।

এছাড়াও টেরিটি বাজার পোদ্দার কোর্টের কাছে কয়েকটি অতিপ্রাচীন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

ধিরে ধিরে আমার চাইনিজ খাওয়ার স্পৃহা কমে যায়।

সাউথ ইন্ডিয়ান

মেট্রো সিনেমা হল সংলগ্ন ম্যাড্রাস টিফিন একটি জনপ্রিয় সাউথ ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট। চাঁদনী চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আছে আনন্দ রেস্টুরেন্ট, সাউথ ইন্ডিয়ানদের জন্য বেশ বিলাসী খাবারের দোকান।

নর্থ ইন্ডিয়ান

মাঝখানে একটু নর্থ ইন্ডিয়ান খাবারের গল্প করি, সত্তরের দশকে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল অম্বর, এরা কলকাতায় ফিশ ফিঙ্গারের জন্মদাতা। মেয়োনিজ সস দিয়ে একটি মনমোহিনী খাবার। এখানকার ফিস ফ্রাই অনেক নামিদামি লোকের প্রিয় স্টাটার ছিল।

মেনগো লেনে কাকাস একটা বিখ্যাত জয়েন্ট এই প্রজন্মের নিরামিষ ভোজিদের কাছে।

মোগলাই

অনাদি কেবিন - প্রত্যেক বাঙালিই এখানে মোগলাই পরোটা খাওয়ার জন্য এসেছে। আমিও বহুবার খেয়েছি। শেষ বার খাই ২০১৪ সালে, কিছু সুরাপায়ী বন্ধু সঙ্গে থাকার জন্য সেই দিনই আমরা গিয়েছিলাম নিউ ক্যাথে একটি প্রাচীন রেস্টুরেন্ট কাম বার, চৌরঙ্গী ফিরপো বিল্ডিং তলায় অবস্থিত। মূলত এখানে চাইনিজ খাবার পাওয়া যায়। এটি একটি উচ্চবিত্ত যুগলের প্রিয় গন্তব্য স্থান।

এক সময় আমরা খুব সাবিরে যেতাম, ওখানকার রেজালা আর তন্দুরি রুটি কলকাতার একটি প্রসিদ্ধ খাবার। এখানকার চিকেন চাপও খুব সুস্বাদু।

মোগলাই খাবারের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে আলু বিরিয়ানি। আমি প্রথম খাই আমিনিয়া রেস্টুরেন্টে। পরে আরো অনেক জায়গায় যেমন সিরাজ, আর্সেনাল, হাজী সাহেব ইত্যাদি। বর্তমানে ব্যরাকপুর পশ্চিম বাংলার বিরিয়ানি হাব।

১৯০৫ সালে আমেদ হুসেইন রয়েল ইন্ডিয়া হোটেল প্রধান শাখা নাখদা মসজিদের উল্টো দিকে প্রতিষ্ঠা করেন। এরা আলু ছাড়া বিরিয়ানি করে। ধীরে ধীরে আমার কাছে রয়েলের বিরিয়ানি খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিল। শেষ খাই ২০১৬, দাম তখনো খুব কম ছিল।





02. Why is that food on your all-time favorite list? Explain

কিন্তু সেই দিনই ছিল আমার জীবনে শেষ বিরিয়ানি খাওয়া।

পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্যের করনে আমাকে সংযত হয়ে, ওই বাইরের অত্যধিক তৈলাক্ত, রিচ মশলা অস্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিত্যাগ করে নিমিত্ত নুন, লো ফ্যাট, সুগার লেস বেলেন্সড প্রটিন ডায়েটকেই, আমার একমাত্র ডায়েট বলে গন্য করলাম। এটা অবশ্যম্ভাবী ভাবে আমার প্রিয় খাদ্য হয়ে গেল।

আমি শিক্ষা পেলাম

আমরা খাওয়ার জন্য বাঁচি না
আমরা বেঁচে থাকার জন্য খাই।

03. Share if there is any story behind your favorite food

আমি একজন ডায়বেটিক মানুষ আমার এই অনিয়মিত খাবার খাওয়ার জন্য আমার সুগার কন্ট্রোল থাকতো না। ২০১৬ সালে আমার একটা দুর্ঘটনা ঘটে। সেদিন সেই মুহূর্তে আমার ব্লাড সুগার ছিল ৪২৫, প্রেসার ছিল ২২০/১৪০ এবং হৃদস্পন্দন ছিল ১২০। হেলথ সেন্টারের ডাক্তার আমাকে বিভিন্ন ঔষধ দিয়ে বাঁচায়। আমি বুকে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে সারা রাত হেলথ সেন্টারে কাটাই। ঘটনাটা ঘটেছিল একটি প্রত্যন্ত দ্বীপে সেখান থেকে পরের দিন সকালের আগে মেইন লেন্ডে ফেরার কোন সুযোগ ছিল না। আমি চিকিৎসার গোল্ডেন আয়ার মিস করি। আমার হার্টের মেইন আর্টারি ডেড হয়ে যায়। আমার হার্টের ইজেকশন ফ্রেকশন স্বাভাবিক ৩৩- ৫০% থেকে কমে ২৫% হয়ে যায়। আমি পরবর্তী কালে কোলকাতায় এসে চিকিৎসা শুরু করি। ডাক্তার আই সি ডি (Implantable cardioverter-defibrillator) নামে একটা যন্ত্র আমার বুকে প্রতিস্থাপন করে। ২০১৬ সালে মেডট্রনিক্স আই সি ডি র দাম ছিল ₹২.৫ লক্ষ্য। ২০২৬ সালে আমাকে এটা পাল্টাতে হবে। জানিনা তখন কত দাম হবে। গত বছরের আমার ইকো কার্ডিওগ্রামের একটা ভিডিও শেয়ার করলাম। তখন আমার ইজেকশন ফ্রেকশন ছিল ৩৯%।

স্বাভাবিক ভাবে আমার জীবন থেকে খাবারের ব্যাপারে প্রিয় অপ্রিয় বলে কিছু রইল না। রাতারাতি আমার খাদ্যভাস পাল্টে গেল।

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ!!

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
Loading...
 10 months ago 

আপনার পোস্টটি আমি তিন বার পড়েছি ।আপনি সুন্দর একটি কথা বলেছেন ,
আমরা খাওয়ার জন্য বাঁচি না
আমরা বেঁচে থাকার জন্য খাই।
ঠিক তাই সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার খেতে সবার ভালো লাগে ।কিন্তু এটা য়ে আমাদের স্বাস্থ্যের কতটা ক্ষতি করে তা যেনেও আমরা খাই ।
তাই শরীরের দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের খাবার খেতে হবে ।
আপনার শরীরের দিকে লকাষ্য নিবেন ।ভালো থাকবেন ওসুস্থ থাকবেন ।আপনার জন্য রই্ল শুভকামনা ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। হেল্দি খান সুস্থ থাকুন।

আপনার পছন্দের খাবারের তালিকা পড়তে গিয়ে আমার মুখে জল চলে এসেছিল খাবারগুলো খাওয়ার জন্য। আর এই বিষয়টা আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় মনে হয়েছে এই পোস্টের শুরুতেই।

আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি খাবার প্রিয় একজন মানুষ এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খেতে খুব পছন্দ করেন। আপনি কলকাতার বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টের নাম উল্লেখ করেছেন আজকের পোস্টে।

খুব ভালোই লাগছিল আপনার পোস্টটি পড়তে কিন্তু শেষে খুবই কষ্ট পেয়েছি আমি যখনই জানতে পারলাম আপনার সেই প্রিয় খাবারগুলো আপনার অসুস্থতার কারণে আর খেতে পারছেন না।

তবে হ্যাঁ আমাদের শারীরিক দিক বিবেচনা করে আমাদের প্রিয় খাবারগুলো ত্যাগ করতে হয় আর এটাই শ্রেয় বলে মনে করি আমি।

আপনার প্রত্যেকটি খাবারের অভিজ্ঞতা এবং প্রিয় খাবার গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরো বেশি ধন্যবাদ জানাই আমাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন আপনি। আমি চেষ্টা করব এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।

ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর নিজের প্রতি একটু যত্ন নিবেন। আল্লাহ হাফেজ।

আমি বুঝলাম আপনি আমার পোস্ট খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরেছেন। আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার সহায় হোন এই আমি প্রার্থনা করি।

আপনিও ভালো থাকবেন আল্লাহ তায়ালার কাছে আমি তাই দোয়া করছি।

আমার কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 10 months ago 

আপনার পোস্টটি আমি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।আপনার লেখাটি ভিন্ন ধরনের এবং অনবদ্য। আর যে পরিমাণ খাবারের লিস্ট আপনি দিয়েছেন তা জিভে জল আনার মতো ।

খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। বিশেষ করে আপনি যে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন রিচ খাবার খেয়ে এটা ও জানলাম।নিজের শরীরের দিকে যত্ন নেবেন আর স্বাস্থ্যকর খাবার কি সঙ্গী বানিয়ে নিন। দেখবেন আপনি দীর্ঘদিন ভালো থাকবেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্যে।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আপনার প্রিয় খাবারের তালিকায় মউগলআই, চাইনিজ খাবার, বিরিয়ানি। কিন্তু আপনি অসুস্থতার জন্য এসব মুখরোচক ও তৈল যুক্ত খাবার নিষিদ্ধ।তার পর ভালো থাকুন‌এই কামনাই করি। খুব ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 62907.89
ETH 3379.73
USDT 1.00
SBD 2.50