Better life with Steem || The Diary game ||7 September 2024||
আজকে শনিবার ছুটির দিন। সকালটা বেশ আরামে কাটাবো এই ভাবনাটাই ছিল।কিছুটা নিষ্ক্রিয় ভাবেই সকালটা কাটালাম।নাস্তা খেয়ে উঠতে উঠতে প্রায় দশটা।ভাবছিলাম আজকে শুধু এ বেলাতেই কাজ।টেইলারের দোকানে যাব আর মেয়ে নীলক্ষেতে বই কিনতে যাবে।ওকে নিয়ে যাব।
আগের রাতে ১১ টার দিকে বড় জা ফোন দিয়ে বলছিল তার মেয়ের জন্য ছেলে দেখার কথা। তখনো কোন কিছু ফাইনাল হয়নি।সকালে আবার বড় জা কে ফোন দিলাম যে কোন আপডেট খবর আছে কিনা।উনি বললো যে আজকে যেতে হবে বিকেল চারটায়।সবমিলিয়ে হঠাৎ করে আমি বেশ চাপে পড়ে গেলাম।কারন চারটায় যদি আমাকে সাভারে থাকতে হয় তাহলে অন্তত দুইটায় বাসা থেকে বের হতে হবে। এদিকে সকালে এতগুলো কাজ।
মেয়েকে রেডি হতে বলে চট জলদি টেইলারের দোকানে গেলাম।আর কখনো টেইলারের দোকানে খুব বেশি সময় লাগেনি।কিন্তু ওই যে বলে যেদিন ঝামেলা হয় সেদিন সব কিছুতেই ঝামেলা হয়।যেয়ে দেখি দুজন কাস্টমার দাঁড়িয়ে আছে।তাদের ড্রেসে কোন ভুল-ত্রুটি হয়েছে।ফলে বেশ সময় লাগছে।আমি বেশ কিছুক্ষণ বসলাম।
এরআগে আমার একটি ড্রেস অল্টারে দেয়া ছিল।টেইলার জসিম ভাই সেই ড্রেস ঠিক করা শুরু করলেন।যতবারই আমি বলি ভাই আজকে আমার লাগবে না।আপনি পরে একসাথে দিয়েন।উনি আর আমার কথা শুনছেন না। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার অন্য কাস্টমারও চলে আসলো।আমি দেখলাম আমার অনেক দেরি হচ্ছে।
পরবর্তীতে থ্রি-পিস ও মাপের জামা দিয়ে বললাম যে এই মাপ মতো বানিয়ে রাখুন।এটা বলেই আমি চলে আসলাম।ফেরার পথে ছেলের জন্য এক পিস কেক ও একটি সিঙ্গারা নিলাম। বিকাশে ৫০০ টাকা ক্যাশ ইন করলাম কারণ ইন্টারনেটের মেয়াদ শেষ।বাসায় ফিরে ছেলেকে নাস্তা দিলাম।এরপর চট জলদি মেয়েকে নিয়ে বের হয়ে গেলাম।
নিচে নামার পরপরই পরিচিত একটা মেয়ের সাথে দেখা হলো।এখানেও কিছুক্ষণ দেরি হলো।আজকে বুঝতে পারলাম আমার সবকিছুতেই এমন হবে।এরপরে খুঁজে মটর লাগানো রিকশা নিলাম যাতে দ্রুত যেতে পারি।৮০ টাকা ভাড়া নিল।নীলক্ষেতে নেমে প্রথমে ওর প্রয়োজনীয় বই গুলো খুঁজতে লাগলাম।পরে একটি দোকান থেকে সবগুলো বই কিনে নিলাম।
বই কেনা শেষ করেও এক রীম কাগজ ও মেকানিক্যাল পেন্সিল কিনলো।ততক্ষণে দেখি আমার কাছে বেশ ক্লান্ত লাগছে।সামনেই ছিল জিলাপি, সিঙ্গারার দোকান।আমি একটি জিলাপি নিলাম দশ টাকা দিয়ে।মেয়ে ও আমি ভাগ করে খেলাম।এরপর যথারীতি আমার মেয়ের গল্পের বইয়ের দিকে নজর গেলো।বান্ধবীকে গিফট করবে তাই সে চারটি বই কিনলো।
স্কুলে চা-কফি নেয়ার জন্য আমি একটি মিনি ফ্লাক্স কিনলাম।এরপরে সাড়ে বারোটার দিকে আবারো রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় পৌঁছাতে একটা বেজে গেলো।বাসায় ফিরে প্রথমে হাসবেন্ডকে ফোন দিলাম যে গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে কিনা।সে বলল গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে।বরাবর আড়াইটা বাজে গাড়ি বিল্ডিং এর নিচে থাকবে।
আমি খুব দ্রুত গোসল করে নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।ঘর পরিষ্কার করা হয়নি।কারণ ঘর মোছার খালা আসার কথা। দুইটার মধ্যে আমি রেডি হয়ে গেলাম।গাড়ি ঠিক আড়াইটা বাজে আসলো।নিচে নেমে আমি ঘর মোছার খালাকে খোঁজ করলাম।শুনলাম যে সে এসেছে ঠিকই তবে শরীর খারাপ লাগার কারণে চলে গেছে। কি আর করা 😡
প্রথম ভেবেছিলাম জায়ের বাসায় যাব। কিন্তু রাস্তায় যে জ্যাম তাতে বেশ বুঝতে পারছিলাম যে সম্ভব নয়।এদিকে পাত্র সাড়ে তিনটা বাজেই kfc তে পৌঁছে গেছে।তাই আমিও বাসায় যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে এম.কে টাওয়ারের লোকেশন সেট করলাম গুগল ম্যাপে।
বরাবর চারটাতেই আমি পৌঁছে গেলাম।পরিচয় পর্ব শেষ করে ওখানে বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো। এরপর খাবারের অর্ডার দেয়া হলো।মোমো পিজা, গার্লিক ব্রেড ও ড্রিংকস।দুজনের উপযোগী খাবার আরেকটি টেবিলে দিয়ে আমরা ছেলে ও মেয়েকে কথা বলার সুযোগ করে দিলাম।বাকি সবাই এক টেবিলে বসে ছিলাম।
ছয়টার দিকে কথাবার্তা শেষ হলে আমি আবার আমার জা এর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে গিয়ে আগে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম।তারপর সবার সাথে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করে সাড়ে সাতটার দিকে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।ততক্ষণে অবশ্য আমার হাজব্যান্ড গ্রামের বাড়ি থেকে চলে এসেছে।
আমার বেশ রাত হয়ে গেলো ফিরতে। গাবতলীতে প্রচন্ড জ্যামে পড়েছিলাম।প্রায় দশটার দিকে বাসায় পৌছালাম।ততক্ষণে বেশ ক্লান্ত লাগছিল।এসে প্রথমে নামাজ পড়ে নিলাম।এরপরে রাতের খাবার খেয়ে সবকিছু গুছিয়ে নিলাম।বাড়ি থেকে আমার ননদ পিঠা ও আমসত্ত্ব পাঠিয়েছে।আমসত্ত্ব আমার ভীষণ পছন্দ তাই ও সব সময় আমার জন্য আমসত্ত্ব পাঠায়।
খুব বেশি রাত জাগা হলো না। মোবাইল সাইলেন্ট করে ১১ টার দিকে শুয়ে পড়লাম।অবশ্য ততক্ষণে জানতাম না যে জলদি শুয়ে পড়ার কারণে বড় চাচার মারা যাওয়ার খবর মিস করলাম।মনোবেদনা নিয়েই আজকে গতকালের দিনলিপি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
.
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/7) Get profit votes with @tipU :)
আমরা চাইলেও অনেক সময় অনেক কিছু করতে পারি না ব্যস্ত থাকার জন্য।। ছুটির দিন থাকায় সকালে তেমন চাপ ছিল না আর এদিকে আপনার জা মেয়ের জন্য ছেলে দেখার কথা ছিল এদিকে খবর নিয়েছেন।।
আবার টেইলারের দোকানে গিয়েছেন ছেলের জন্য বইও নিয়েছে সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিনটা পার করেছেন।।