Better life with Steem || The Diary game ||28 June 2024||বিয়ের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা।
![]() |
---|
গতকালের পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম আজকে বিয়ের কেনাকাটার জন্য মার্কেটে যাওয়ার কথা।প্রথমে কথা ছিল সকালে মার্কেটে যাব।খুব বেশি হলে সাড়ে দশটা বাজবে।কিন্তু কেন যেন এই প্রোগ্রাম পিছাতে পিছাতে দুপুর হয়ে গেল।অতঃপর দুপুর প্রায় দেড়টার দিকে বাসা থেকে বের হলাম।এরপর সোজা বসুন্ধরা সিটিতে।
মূলত আজকে নতুন বউয়ের গায়ে হলুদ,বিয়ে ও বৌভাতের দিনের জন্য পোশাক কেনা হবে।তিনটি অনুষ্ঠানের জন্য মোট তিন ধরনের পোশাক।প্রথমে চলে গেলাম বসুন্ধরা লেভেল ফোর।শাড়ি,লেহেঙ্গার দোকানগুলোতে।বউয়ের প্রথম পছন্দ বিয়ের দিনে সে গাউন পরবে। প্রথমে বেশ কিছু গাউন দেখলাম।কিন্তু পছন্দ হলো না।পরে ওরা কিছু লেহেঙ্গা দেখিয়ে বলল এটাকে গাউনের মত করে দেয়া যাবে।
পরবর্তীতে বউয়ের পছন্দ কিছুটা পরিবর্তন হলো।বলে রাখি আজকে কেনাকাটায় বিয়ের কনে, তার দুই ভাবি,আমি,বরের মা,বরের খালা ও বরের ভাইসহ মোট আট জন গিয়েছিলাম। প্রথম একটি দোকানে ঢুকে অনেকগুলো লেহেঙ্গা দেখলাম। প্রথম লেহেঙ্গার দাম চাইলো ৪৬ হাজার পরের টা ৩২ হাজার।অত:পর সেখান থেকে আরেকটি দোকানে গেলাম।এই দোকানদার বউয়ের ভাবির পরিচিত।
সেখানে অনেকগুলো লেহেঙ্গা দেখার পরে বউয়ের একটি লেহেঙ্গা পছন্দ হলো।এটার মূল্য ৩৭ হাজার। তাও ডিসকাউন্ট দেওয়ার পরে। এরপর বৌভাতের জন্য শাড়ি দেখলাম।এই দিনের জন্য বউয়ের পছন্দ হলো হালকা রঙের শাড়ি।দুটি শাড়ি ট্রায়াল দেওয়ার পরে তৃতীয় শাড়িটি পছন্দ হলো।শাড়ি,লেহেঙ্গা শেষ করে সারারা খুঁজছিলাম কারণ বউ গায়ে হলুদের জন্য সারারা পরতে চাইছে।
![]() |
---|
কিন্তু এই দোকানে ভালো সারারা নেই।এদিকে লেহেঙ্গা শাড়ি বউয়ের মাপ নিয়ে বানাতে দেয়া হলো। পিকু ফল সেলাই পলিশ ব্লাউজ পেটিকোট ওড়না সবমিলিয়ে পুরো ১০হাজার টাকা বিল হলো।শুধুমাত্র বিয়ে ও বৌভাতের পোশাকেই চলে গেল ৭০ হাজার টাকা। অতঃপর অন্য দোকানে গেলাম সারারা দেখার জন্য।কিন্তু এখানেও কিছুক্ষণ সারারা খোঁজার পরে বউয়ের আবার পছন্দ পরিবর্তন হয়ে লেহেঙ্গাতে চলে গেল। এখানে এবার সে রাজস্থানের হাতে কাজ করা একটি লেহেঙ্গা পছন্দ করলো যার মূল্য ১৮ হাজার টাকা আর মেকিং চার্জ ২০০০ টাকা।
আমি নীরব দর্শকের মত দেখছিলাম।এগুলো কেনাকাটা শেষ করে আমরা চলে গেলাম ছয় তলায়।সেখানে জুতা ও ব্যাগের কালেকশন আছে। এবার ওরা পছন্দ করে তিন অনুষ্ঠানের জন্য তিন জোড়া জুতা কিনলো।অতঃপর ব্যাগ খুঁজতে লাগলো।যদিও এবার আমি ওদের সাথে ছিলাম না।আমি আমার নিজের ও মেয়ের জন্য জুতা ও ব্যাগ কিনলাম।কেনার পরে মনে হলো জুতা ইদানিং বেশি কিনে ফেলছি!!! আসলে কাজটা ঠিক হচ্ছে না!!!
তবে আমার কেনাকাটা করতে একেবারেই সময় লাগলো না।দেখলাম যে তারা ব্যাগ নিয়ে বেশ ঘুরাঘুরি করছে।কারণ ব্যাগ তাদের পছন্দ হলেও দাম অত্যন্ত চড়া।এক একটি ব্যাগ প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা করে চাচ্ছে।অতঃপর ব্যাগ বাদ দিয়ে আমরা লেভেল এইটে খাওয়ার জন্য গেলাম।কারণ প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে।দুপুরে খাওয়া হয়নি আর এদিকে সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে।খাবার দোকানের এক পাশে সিনেমা হল তাই প্রচন্ড ভিড়।অবশেষে আমরা এক পাশে জায়গা খুঁজে পেলাম।
সেখানে সবাই বসলাম।খাবারের অর্ডার দিলাম।একেক জন একেক রকমের খাবার অর্ডার দিল। তবে আমাদের খাবার আসতে সবচেয়ে বেশি দেরি করেছে।কারণ আমরা নান রুটির অর্ডার দিয়েছি।ওদের ওভেন নষ্ট হয়ে গেছে তাই নান রুটি দিতে পারছিল না।শেষ পর্যন্ত ওরা আমাদেরকে লুচি সার্ভ করলো।যদিও ততক্ষণে খিদেয় পেট চোঁচোঁ করছে। তাই খাবার আসার পরেই হুমড়ি খেয়ে পড়লাম এবং ছবি তোলার কথা যথারীতি আমি ভুলে গেলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার ওরা ছয় তলায় গেলো ব্যাগ কেনার জন্য।কিন্তু এতক্ষণে আমার শরীর ছেড়ে দিয়েছে।এদিকে রাত প্রায় আটটা বাজে।ভীষণ টায়ার্ড লাগছে। কোনভাবেই আমার আর হাঁটাচলা করতে ইচ্ছে করছে না।শেষ পর্যন্ত ওরা একটি ব্যাগ কিনতে পারল।আর দুটি ব্যাগ পছন্দ করতে পারেনি। এদিকে মার্কেট প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।এই অবস্থাতে ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা বাসায় চলে আসলাম। ঠিক করলাম পরে আবার ব্যাগ কিনে নেয়া হবে।
![]() |
---|
আজকে বিয়ের কেনাকাটার কিছুটা অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।বিশেষ করে বর্তমানে বিয়ের বাজারে পোশাক-আশাকের মূল্য।এক ফাঁকে সুযোগ পেয়ে আমি গাদোয়াল ও খাড্ডি শাড়ি দেখলাম।যেগুলো এক একটা ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা করে দাম।আসলে অনেকদিন মার্কেটে যাওয়া হয় না।আর শাড়ী ও একেবারেই পরা হয় না।তাই এগুলো সম্পর্কে আমার ধারণা অনেকখানি চলে গেছে।আজকে কেনাকাটা করতে গিয়ে আমার নিজেরও অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে।তাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।আপনাদের কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। ভালো থাকবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
Your post has been successfully curated by our team via @kouba01 at 35%.
Thank you for your committed efforts, we urge you to do more and keep posting high-quality content for a chance to earn valuable upvotes from our team of curators and why not be selected for an additional upvote later this week in our top selection.
ওরে বাবা আপনি আজ সেই পরিমাণ ব্যস্ত ছিলেন। তবে আপনার পোশাকের ক্ষেত্রে পছন্দ আছে যেটা আপনার লেখা পরিদর্শন করে বুঝতে পারলাম। তাছাড়া বসুন্ধরা শপিংয়ে আমার কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার লেখা পরিদর্শনের মাধ্যমে একবার এটাও পরিদর্শনের সুযোগ পেলাম।
আপু, আপনি যদি ক্রয়কৃত পোশাকের বাংলাদেশী মূল্যের সাথে তালিকা করে স্টিম মূল্য ও তুলে ধরতেন তাহলে আপনার লেখাটা আরো ভালো হতো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখা পরিদর্শনের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনি সারাদিন খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন। সারাদিন অনেক কেনাকাটা করেছেন ।আসলে বিয়ে বাড়ি মানে কেনাকাটা শেষ নেই। তাতে আবার আপনি সাথে করে হবু বউকে নিয়ে গেছে। আসলে দোকানে গেলে এরকমটাই হয় ।কোনটা ছেড়ে কোনটা নেব ঠিক করে ওঠা যায় না। আপনার বিয়ে বাড়ির কেনাকাটা অভিজ্ঞতাটা পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো।
আসলে কেউ যদি কোনদিন বিয়ের জন্য কেনাকাটা না করে তাহলে তার কোন অভিজ্ঞতা থাকে না বিয়ের জিনিস কেনাকাটার জন্য। যাইহোক আপনার বিয়ের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা বিষয় নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা অনেক সুন্দর ছিল সেই সাথে সাথে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি মুহূর্ত বিষয়টি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
অনেকদিন কারো বিয়ের শপিং এ যাওয়া হয় না।শেষ বার ভাগ্নের বিয়ের শপিং করেছিলাম, সেটাও কোভিডের বছর দুয়েক আগে।
তাই ইদানীংকার অবস্থা সম্পর্কে ধারণা ছিলো না।আমি পড়তে ছিলাম আর ভাবতেছিলাম যে, এখনই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমার ছেলেদের বিয়ে করতে এখনো দেরি আছে।ততদিনে সবকিছুর দাম কতটা বাড়তে পারে।
মনে মনে হিসাব করতে ছিলাম এটা নিয়ে যে, সাথে আরো কত টুকিটাকি জিনিস কিনতে হবে😀
ভালো লাগলো আপানার বিয়ের শপিং এর অভিজ্ঞতা পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
বিয়ের কেনাকাটার কথা শুনলেই মজার একটা কথা মনে পড়ে, বড় ভাইয়ের বিয়েতে ভাবীর জন্যে সাড়ি কিনতে গিয়েছিলাম মিরপুরের বেনারশি পল্লিতে, দোকানদার ছেলেটা কি দ্রুত নিজেই শাড়িটা পড়ে দেখালো,দেখে তো আমি হাসি চেপে রাখতে পারছিলাম না।
অনেকদিন পর আপনার শাড়ি কেনার ছবি দেখে আমার সেই স্মৃতি মনে পড়লো। শপিং করে সারাটাদিন আপনার ভালোই কেটেছে বলে মনে হচ্ছে।
একই ঘটনায় এবারো ঘটেছে। যে পোশাকটি আমরা পছন্দ করছি ওদের পুরুষ বিক্রেতারা ওটা পড়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে গেছে। হয়তো এটাই বিক্রি করার ধরন। আর আসলেই দেখলে অনেক হাসি পায়। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে ওরা একটার পর একটা ব্যাগ খুলেই যায় আর পোশাক দেখাতেও ক্লান্ত হয় না। অথচ আমি দু'চারটা দেখেই ক্লান্ত হয়ে গেছি। আসলে বিয়ের বাজার করার আনন্দই আলাদা।
আর বিয়ের বাজার বর্তমানে অনেক খরচের বাজার হয়ে গেছে। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।
মাশাআল্লাহ আপনাদের বউ কিন্তু দারুণ। বিয়ের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাটা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এটা একেবারেই ঠিক অনেকদিন পরে যখন আমরা কিছু কেনাকাটা করতে যাই। তখন তার সম্পর্কে আমাদের আগের অভিজ্ঞতার চাইতে, বর্তমান অভিজ্ঞতার পার্থক্য অনেকটাই থাকে। যেখানে আপনি শেয়ার করলেন একটা শাড়ি 16 থেকে 18 হাজার টাকা। তার মানে মার্কেটের অবস্থা অনেক দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ শাড়ি লেহেঙ্গা এবং বৌদের জন্য জামা কাপড় কেনার অভিজ্ঞতা, আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।