দেশকে বাঁচাতে হলে নৈতিক বিপ্লব দরকার।
আমাদের সকলের কাছেই নিজের দেশ অত্যন্ত প্রিয়। দেশের উন্নতির স্বার্থে আমরা সবাই কম বেশি ভাবি। কিন্তু কাজ ক'জনই বা করতে পারি। আজ বিভিন্ন কারণে দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কারণে দেশে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের সংকট। দেশকে বাঁচাতে পারে এমন বহু পন্থা বিভিন্ন জনেই বলছে। কিন্তু প্রকৃত পরিবর্তনকারী সত্যিকার অর্থে আছে কি?
আমার মতে দেশ বাঁচাতে পারে কেবলমাত্র একটি পথ,সে পথটি হচ্ছে নৈতিক বিপ্লব। খেয়াল করে দেখুন তো, আজ দুর্নীতি দেশকে এমন ভাবে ছেঁয়ে ফেলেছে যে কোন কাজ ঘুষ ছাড়া হয় না। তদবিরের উপর তদবির চলছে।প্রতিটি কাজে টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না। রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে মিথ্যার বেসাতি অহরহ চালিয়ে যাচ্ছে। চলছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।
কারণে অকারণে এখন হরতাল-ধর্মঘট বন্ধ হলেও ভিন্ন পন্থা আবিষ্কার হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে নিদারুণ যন্ত্রণার মধ্যে ফেলা যেন কোন ব্যাপারই নয়। কলকারখানা বিধ্বস্ত, দেশ বেকারত্বে ডুবে যাচ্ছে। দেশের কলকারখানা গুলো ভেঙে পড়ছে। হতাশা বাড়ছে দেশের শিক্ষিত-অশিক্ষিত আপামর জনসাধারণের মধ্যে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব-কলহের পরিমাণ শুধু বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা ভেজাল দ্রব্য বাজারজাত করছে। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে আজ এ দেশের মানুষ পামঅয়েল তেল হিসেবে খাচ্ছে।ওজনে কারচুপি,কালো বাজারী এগুলোকে কেউ এখন আর অপরাধ হিসেবে মনে করে না। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা প্রায় অবলুপ্ত। শিক্ষিতদের মধ্যেও আছে নৈতিকতার অভাব। দেশপ্রেম শব্দটি এখন অসাঢ়।
দেশ আমাদের কে অনেক কিছু দিয়েছে। আমরা দেশকে কি দিলাম তা কেউ ভাবছে না। যারা ভাবছে তারা ঠিক থাকতে পারছে না। সাধারণের ভাবনা তিনি বড় হবেন কি করে!!!. দেশে এমন কোন দল নেই যার পেছনে মানুষ কাতার বন্দি হবে। এই অভাব দূর করতে হলে নৈতিক বিপ্লব দরকার।
বিভিন্ন শ্রেণী ফুলের মতো ছড়িয়ে আছে সারাদেশে। এদেরকে জড়ো করে মালা গাঁথতে হবে। এ মালাই হবে নৈতিক বিপ্লবের সংগঠন।একটি ফুলের মূল্য হয়তো কম কিন্তু একটি মালা অমূল্য সম্পদ। মোয়াজ্জিন আযান দিলে মুসল্লিদের মধ্যে থেকে যেমন ইমাম বেরিয়ে আসে। তেমনি আমরাও নিশ্চয়ই একজন ইমাম পাবো।
নৈতিক বিপ্লবের কর্মীরা ঘুষ দেবে না, নিজেরা খাবে না। কোন কিছুতে ভেজাল করবে না, ভেজাল করতে দেবে না। কাউকে ঠকাবে না, নিজে ঠকবে না।নকল করবে না, অন্যকে নকল করতেও দেবে না। সদ্ব্যবহার করবে, সৎ শিক্ষা দেবে। ভালো নেতার ভালো শীষ্য, ভালো শিক্ষকের ভালো ছাত্র হবে।সমাজের নেতা যদি ভালো হয় সমাজ ও হবে ভালো।
আজকে দরকার সমাজ হিতৈষীর, বক্তৃতার নয়।কাজে ভাল হতে হবে। কথায় ও কাজে এক ও অভিন্ন ব্যক্তি নেতৃত্ব দিবে। সাধারণ মানুষ রাজনীতির কেরামতি বোঝেনা।শুধু এ ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। তারা বোঝে নেতা যা বলেন তা হলো কিনা!!! হচ্ছে কি আমাদের কথা ও কাজের মধ্যে সমন্বয়?
.
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, এমন অসাধারণ একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার সম্পূর্ণ লেখার মধ্যে অনেকগুলি লাইন আমার ভীষণ ভালো লেগেছে, তবে সবথেকে মন ছুঁয়েছে উপরের লাইনগুলো। সত্যি কথা বলতে আজ আপনি পোস্টে যে কথাগুলো লিখেছেন,সেটি শুধু আপনার নয়, আপনার/আমার মতন প্রতিটি সাধারণ মানুষের মনের জিজ্ঞাসাও বলতে পারেন।
তবে সমাজে এই প্রশ্নগুলো করার মতন ও তার সঠিক উত্তর দেওয়ার মতন যোগ্য ব্যক্তির বড্ড অভাব। শুধু তাই নয় সমাজকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার মতন ব্যক্তিও আজ বিরল। এই কারণেই অনৈতিক কার্যে লিপ্ত মানুষগুলি রাজনীতির নামে নিজেদের কেরামতি দেখানোর সুযোগ পায়। আর সাধারণ মানুষেরা তাদের সেই কেরামতিকে সামাজিক উন্নয়ন ভেবে নিয়ে তাদেরকে অনুসরণ করে।
আর এখানেই সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যক্তিরা এগিয়ে চলে, আর সমাজ পিছিয়ে পড়ে নিঃশব্দে। নৈতিক বিপ্লবের সম্পর্কে নিজস্ব চিন্তা ভাবনা গুলি এতো সুন্দরভাবে একটি পোস্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে আরও একবার ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার প্রথমত একটি কথা ভালো লেগেছে আমরা সবাই এই দেশকে ভালবাসি। কিন্তু আমাদের মত আবার ভিতরে ভিতরে অনেকেই এই দেশের ক্ষতি করে যাচ্ছে।
আমাদের বাংলাদেশে অনেক জনগণ রয়েছে কিন্তু অনেকের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধকতা নেই। এজন্য দিনদিন দেশ অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে।
এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।