Better Life with Steem||The Diary Game|| 09 May 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: ব্যস্তময় দিন অতিবাহিত করলাম ।
প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে উঠে কিছুক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা সম্পূর্ণ করি। সকালের নাস্তা সম্পন্ন করেই আজকে যেহেতু ঢাকা যেতে হবে। কারণ ১১ মে আমাদের কনভোকেশন রয়েছে। এজন্য বাড়ি থেকে একদিন আগেই ঢাকা যাব।
তাই আমি ও আমার বন্ধু দুজনে মিলে ঢাকা যাব। এর জন্য বন্ধুকে আগেই বলে রেখেছিলাম। তাই বন্ধুকে সকালে আসতে বলেছিলাম আমাদের বাড়ি। কিন্তু আসেনি। তাই আমি আমার বন্ধুকে ফোন করেছিলাম। যাইহোক ফোন করে যখন আসতে বললাম।
তখন ২০ মিনিট পরেই বন্ধু আমাদের বাড়িতে আসে। তখন আমি এবং আমার বন্ধু দুজনে কিছুক্ষণ পরেই আমাদের বাড়ি হতে বের হয়ে আমাদের বাড়ির পিছনে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম গাড়ির জন্য।
যাইহোক দাঁড়ানো অবস্থায় আমি এবং বন্ধু দুজনে মিলে একটা ছবিও তুলেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক ছবি তোলার কিছুক্ষণ পরেই একটা গাড়ি আসলো। তখন আমি এবং আমার বন্ধু দুজনে মিলে সেই অটো গাড়ি করে নৌকা ঘাটে গিয়েছিলাম।
যাইহোক নৌকাঘাটে গিয়ে দেখতে পেলাম বিশ জন যাত্রী হয়েছে। আরো ১৫ জন যাত্রী লাগবে। তাই আমিও বন্ধু মিলে দুজনে যাত্রীদের জন্য যেখানে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে বসেছিলাম এবং সেখানে বসলে আমি একটা মেয়েকে দেখতে পেলাম,
সেই মেয়েটি তার পোষা বিড়ালটিকে তার কোলে রেখে আদর করছে। তখন আমি সেই বিড়ালটিকে মেয়েটির কোলে দেখে একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। ছবি তুলে আমি সেই মেয়েটিকে বলেছিলাম। এই বিড়ালটি ছেলে বিড়াল নাকি মেয়ে বিড়াল।
তখন মেয়েটি বলল মেয়ে বিড়াল। যাইহোক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বললাম এবং পরিশেষে বললাম বিড়ালটি কি কি খাওয়ান? যাইহোক তখন মেয়েটি বলল আমি এই বিড়ালটিকে নিজ হাতে গোসল করে দেই। অনেক আদর যত্ন করি।
আরো বলল প্রতিদিন মাংস দুধ খেতে দেই। যাইহোক সে কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আসলে যার প্রতি যার ভালোবাসা সেটা প্রাণী হোক বা মানুষ হোক তাকে মন উজার করে ভালবাসে। যেমনটি দেখলাম এই প্রাণীটি বিড়াল হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিনই দুধ মাংস খাওয়ায় খুব যত্ন করে পালন করে।
আসলে আমাদের উচিত সকল জীবের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকা। যাইহোক এভাবে কথা বলতে বলতে যখন নৌকাতে ৩৫ জন যাত্রি হল। তখন আমরা উঠে দাঁড়ালাম এবং উঠে দাঁড়িয়ে নৌকাতে গিয়ে বসলাম।
যাইহোক কিছুক্ষণ পরেই নৌকা ছেড়ে দিল। নৌকা টা প্রায় এক ঘন্টা দশ মিনিট পর গন্তব্যস্থলে পৌঁছে।নৌকা গন্তব্যস্থলে পৌঁছলে আমরা নেমে গেলাম।নেমে গিয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলাম। বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ৩৫০ টাকা করে ৭০০ টাকা দিয়ে দুইটা টিকিট কেটেছিলাম।
যাইহোক টিকিট কেটে বাসে গিয়ে বসলাম।বাসে গিয়ে বসলে বাসটা নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে দিল। নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে দিয়ে বাসটি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে ছিল দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা পর। যাই হোক দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা পর আমরা চান্দুরা এসে পৌঁছলাম। যাইহোক চান্দুরা এসে বাস পোঁছলে আমি এবং বন্ধু নেমে পড়লাম।
যাইহোক নেমে পড়ে যেহেতু আমার একটা বেল্ট কেনার দরকার। তাই আমিও বন্ধু দুইজনে মিলে মার্কেটে মার্কেটে ঢুকে বেল্ট কেনার জন্য বেল্ট দেখেছিলাম। বেল্ট দেখে অনেকগুলো বেল্টের মধ্যে একটা বেল্ট পছন্দ করেছিলাম।
সেই বেল্ট ৪৫০ টাকা চেয়েছিল। কিন্তু আমি বেল্টটা ২৫০ টাকা দিয়ে নিয়েছিলাম। যাইহোক ঢাকা শহর যে কোন জিনিসের দাম অনেক টাকা চায়। চাইবে দেখেই তাদেরকে অত টাকা দেওয়া যাবে না। যাইহোক আমি বেল্টটা ২৫০ টাকা দিয়ে নিয়েছিলাম।
বেল্টটা নিয়ে কিছু ছবিও তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক যখন বেল্টের দোকানে প্রবেশ করলাম। তখন ও একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
যাইহোক বেল্ট নিয়ে আমরা মার্কেটে বের হলাম। বের হয়ে যেহেতু প্রচন্ড গরম। তাই রাস্তার পাশে শরবতের দোকান দেখতে পেলাম। তখন দেরি না করে দুইটা শরবত অর্ডার করলাম। তখন শরবওয়ালা দুইটা শরবত দিলে, আমরা দুইটা শরবত খেয়েছিলাম।
যাইহোক শরবত এর বিল ৩০ টাকা দিয়েছিলাম।যাইহোক শরবতের বিল দিয়ে সরাসরি আমি বোনের বাসায় চলে আসলাম। আর বন্ধু চলে গেল তার ভাইয়ের বাসায়। যাইহোক দুই জন দুই দিকে চলে গেলাম।
কিন্তু আমাদের যোগাযোগ ফোনে থাকবেই।যাইহোক নির্দিষ্ট সময়ে বোনের বাসায় গিয়েছিলাম। বোনের বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম। রুমে আসলে আমার আপু আমাকে খাওয়ার জন্য বলল, তখন আমি বললাম ঠিক আছে খাবার দাও।
তখন আপু আমাকে খাবার দিলে আমি খাবার সম্পন্ন করলাম। যাইহোক খাবার সম্পূর্ণ করে যেহেতু জার্নি করে আপুর বাসায় আসলাম। তাই প্রায় এক ঘণ্টার মতো রুমে বিশ্রাম নিয়েছিলাম। যাইহোক বিশ্রাম নিয়ে এক পর্যায়ে দেখতে পেলাম।
আমার আপু আমার জন্য ফ্রিজ হতে জিলাপি এবং কয়েকটা ঝালে পিঠা সামনে এনে দিল। সেগুলো খেতে বলল, তখন আমি এবং আপু দুজনে মিলে সেগুলো খেয়েছিলাম। যাইহোক খাওয়ার আগে একটা ছবিও তুলে রেখেছিলাম।
এটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো না। এভাবে যখন রাত আটটা বাজলো। তখন ভাইয়া অফিস থেকে আসলো। অফিস থেকে এসে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ পরে তিনজনে মিলে রাতের খাবার সম্পন্ন করি।
রাতের খাবার সম্পূর্ণ করে তিনজনে মিলে কিছু সময় আলাপ গল্প করে সময় অতিবাহিত করে, রাতের নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়ি। যাইহোক এটাই ছিল আমার গতকালকের সারাদিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
ঢাকা আসার জন্য একজন ভালো বন্ধু পেয়েছে এবং দুজন বন্ধু মিলে ঢাকা উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন এবং বিড়ালকে ভালো খাবার খাওয়াই সুন্দরভাবে ঢাকায় পৌঁছেছেন এবং মার্কেটে করেছেন বাসায় গিয়ে আবার আপুর হাতে জিলাপি আর জাল পিঠা দেখতে অনেক সুন্দর।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।ভালো থাকবেন
চমৎকার দৈনন্দিন কার্যাবলী,
ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত গ্রহণ করেছ একই সাথে এক নয় বরঞ্চ বন্ধুকে সাথে নিয়ে যাচ্ছো ঢাকায় দুই বন্ধু মিলে সত্যিই জার্নিটা আরামদায়ক হয়। কেননা দীর্ঘ একটি পথ অতিক্রম করতে হয় আমাদের এইখান থেকে ঢাকায় যেতে।
পরিচিত কেউ থাকলে গল্প করতে করতে যাওয়া যায় বা একটা ভালো লাগে না পরিচিত কেউ আছে।
ছোট ভাই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবে
ভাই আপনাকে ধন্যবাদ আপনার দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।আপনি দিনটি ভ্রমনের মাধ্যমে কাটিয়েছেন। ভ্রমনের সময় একটি মেয়ের সাথে দেখা হয়েছিলো। মেয়েটির কোলে একটি বিড়াল ছিলো। বিড়াল সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বার্তা হয়েছিলো আপনার মেয়েটির সাথে। এরপর সুস্থমতন গন্তব্য স্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে কিছু জিনিস কেনাকাটা করেছেন।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন
সকালে ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা করে নিয়েছেন। আজকে আপনাকে ঢাকা আসতে হবে কারণ আপনার ১১মে কনভোকেশন রয়েছে।
ঢাকাতে আপনার সাথে আপনার এক বন্ধুরা আসার কথা তাই তাকেও আপনি আপনার বাসায় আসতে বলেছেন।
তাকে আসতে বলে অবশ্য ভালো করেছেন কারণ একসাথে দুজনে গেলে রাস্তায় কথা বলতে বলতে সময় পার হয়ে যাবে।
অটোতে করে আপনারা প্রথমে নদীর ঘাটে আসেন সেখান থেকে নৌকা পার হয়ে বাসে উঠেন।
ঢাকাতে এসে নিজের জন্য একটা বেল্ট কিনেছেন আপনি। এরপর আপনি আপনার বোনের বাসায় গিয়ে খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ রেস্ট নেন।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে সেই অনুযায়ী মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.Many many thank for your support didi❤️❤️