প্রবিত্র জুমার দিন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হলো।
প্রবিত্র জুমার দিন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হলো।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহিম। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করিলাম। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব। আলোচ্য বিষয় হলো: প্রবিত্র জুমার দিন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হলো।
আমি আজকে আপনাদের সাথে যে বিষয়টি শেয়ার করব তা হচ্ছে জুমার দিনের কিছু ফজিলত এবং আজকে আমার জুমার দিনের কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ।নিঃসন্দেহে জুমার দিন একটি পবিত্র দিন এবং বরকতময় দিন।
ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। জুমার দিনের সওয়াব ও মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতোই।
এ দিন ইসলামী ইতিহাসে বড় বড় ও মহৎ কিছু ঘটনা ঘটেছে। জুমার গুরুত্ব আল্লাহ তায়ালার কাছে এত বেশি যে, কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল করা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা কোরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়।
তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে মসজিদে এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর হবে।যদি তোমরা জানতে। (সূরা জুমা- ০৯)।
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ একটি দিন। জুমার দিনে আমরা জুমার নামাজ আদায় করে থাকি। যে ব্যক্তি একাধারে তিন জুমার নামায ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিল তার নাম মুসলমানের খাতা থেকে কেটে দেওয়া হল। নিঃসন্দেহে জুমার দিন গরিবের জন্য ঈদের দিন। কারণ যারা গরিব তারা হজ্ব করার জন্য মক্কা-মদিনায় যেতে পারেন না।
তাদের জন্য জুমার দিন ঈদের দিন বলা হয়।তাই তারা যদি আগে আগে গোসল করে তাড়াতাড়ি মসজিদে গমন করে এবং ইমাম সাহেবের কাছাকাছি বসে এবং ইমাম সাহেব যে খুদবা পড়ে সেই খুদবা মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং নামাজ গুরুত্ব সহকারে শেষ করে তাহলে তার অনেক ফজিলত রয়েছে।
তাই আসুন আমরা জুমার দিনে জুমার নামাজের ফজিলত গুলো ভালোভাবে জেনে নিই এবং যেন আমাদের একটি জুমার নামাজও যেন ইচ্ছাকৃতভাবে ছুটে না যায়। এই বিষয়ে আমরা পুরোপুরি সতর্ক হবো ইনশাআল্লাহ ।
তাই আমি এবং আপনারা প্রবিত্র জুমার নামাজের ফজিলত জেনে সঠিকভাবে আমরা আমল করব এবং আমরা অন্য মুসলমান ভাইকে আমল করার জন্য দাওয়াত দিই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে উত্তম জাযা খায়ের দান করুন। আমিন
বন্ধুরা আজকে আর লিখছি না। আজকে এখানেই শেষ করছি। আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন। অন্যদিন আবার নতুন বিষয় নিয়ে আসব।ভালো থাকবেন সকলে এবং আমার জন্য প্রার্থনা করবেন।খোদা হাফেজ
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @pixabay |
জুম্মার দিন উপলক্ষে আপনি অনেক মূল্যবান কিছু কথা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।জুম্মার দিনে সর্বপ্রথম যে আযান শুনে মসজিদে প্রবেশ করে তাকে আল্লাহতায়ালা উট কুরবানী দেয়ার সব দিয়ে থাকেন। দ্বিতীয় জনকে গরু কোরবানির সওয়াব দিয়ে থাকেন। এরকমই গরিবদের জন্য জুম্মার দিন হজের দিন বলা হয। মূল্যবান ইসলামিক কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার মন্তব্যটা পড়ে খুব ভালো লাগলো কারণ আপনি বলেছেন শুক্রবারে আপনার পবিত্র দিনে কেউ যদি আযান শুনে সর্বপ্রথম উপস্থিত হয় মসজিদে গিয়ে সে উট কোরবানির সওয়াব পাবে এবং দ্বিতীয় জন গরু কোরবানির সাওয়াব পাবেন আসলে ঠিক বলেছেন এবং আমি আমার পোস্টে বলেছি যে শুক্রবার সাপ্তাহিক পবিত্র দিনকে দুই ঈদের সাথে তুলনা করা হয় কারণ যারা গরীব তারা টাকা পয়সার না থাকার কারণে মক্কা হজ করতে যেতে পারে না তাই আল্লাহতালা এই গরিবদের জন্য এই সাপ্তাহিক চরিত্র দিনটিকে দুটি ঈদের সাথে তুলনা করেছেন তাই আমাদের এই সাপ্তাহিক পবিত্র দিনটিকে সঠিক ভাবে পালন করা উচিত আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সেই তৌফিক দিন আমিন।
#miwcc
প্রতি সপ্তাহে একবার করে জুম্মার দিন চলে আসে আমাদের জীবনে এবং আমরা অনেকেই বা সবাই মনে করি জুম্মার দিন মনে একটি হজের দিন প্রতি দিন আমরা ঠিকমত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারি না কিন্তু জুম্মার দিনে আমরা সবাই চলে যায় একসাথে নামাজ আদায় করতে এবং শুক্রবারে জুম্মার দিন মনে হয় একটি ঈদের দিন।
যাই হোক আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার পোস্টটি জুম্মার দিনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আপনার পোষ্টের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি ভাই ঠিক বুঝতে পেরেছেন সাপ্তাহিক শুক্রবার এই দিনটি একটি মুসলমানদের জন্য একটি প্রবিত্র দিন।এই দিনটি কে ২টি ঈদের সাথে তুলনা করা হয়।কারন যারা গরিব তারা হজ্ব করতে পারে না। তাই এই এই সাপ্তাহিক শুক্রবার দিনটিতে গরিবরা নামাজ আদায় করে অধিক সওয়াব পায় এজন্য এই জুমার দিনটি মনে হয় ঈদের দিন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ভালো থাকবেন ভাই।
#miwcc
জ্বী ভাইয়া,জুম্মার দিন মুসলমানদের জন্য খুবই ফজিলতের একটি দিন। আমি শুনেছিলাম এই দিনে একটি সময় আছে যে সময়ে দোয়া করলে নাকি আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন।
#miwcc
জি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন জুমার দিনটি মুসলমানদের জন্য একটা ফজিলতের দিন।এবং জুমার দিন কে২টি ঈদের সাথে তুলনা করা হয়। অর্থাৎ সাপ্তাহিক শুক্রবার জুমার দিন নামাজ পড়লে এবং দোয়া করলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন ভাই।
#miwcc