ছোটবেলায় নানার কাছে থেকে অনেক গল্প শুনতাম। এরকম গল্প শুনতে সবারই ভালো লাগে। (Beneficiaries 10% meraindia)
ছোটবেলায় নানার কাছে থেকে অনেক গল্প শুনতাম। এরকম গল্প শুনতে সবারই ভালো লাগে।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি টপিক শেয়ার করব। টপিকটার নাম হলো: ছোটবেলায় নানার কাছে থেকে অনেক গল্প শুনতাম।এরকম গল্প শুনতে সবারই ভালো লাগে।
আমি ছোট বেলায় নানার কাছ থেকে অনেক গল্প শুনতাম।অথবা গ্রামের বয়স্ক লোকের কাছে বিভিন্ন ধরণের গল্প শুনতাম। সেই গল্পের মাঝে সব থেকে বেশি তিন ধরণের গল্প শুনতাম।১ নম্বর হচ্ছে বাঘ এবং শিয়াল এর গল্প।২ নম্বর হচ্ছে রাজার গল্প এবং ৩ নম্বর হচ্ছে রূপকথার গল্প। এই তিন ধরনের গল্প বেশি বলতো।আরও অনেক রকম গল্প শুনতাম কিন্তু এই তিন ধরণের গল্প বেশি শুনতাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা গল্প শেয়ার করব। গল্পটা রাজা এবং রূপকথা মিলিয়ে।
এক দেশে ছিল এক রাজা।সেই রাজার একটি ডালিমের বাগান ছিল।সেই বাগানে বারো মাস ডালিম ধরত।রাজা সেই ডালিম খেতে খুব ভালবাসতেন। সেই রাজার ছিল তিন ছেলে, রাজা তার ছেলেদের খুব ভালবাসতেন। তিন ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে ছিল খুব বুদ্ধিমান এবং সাহসী।তাই রাজা ছোট ছেলেকে বেশি ভালবাসতেন।
এক দিন রাজা দেখে যে তার বাগান থেকে ডালিম চুরি হয়ে গেছে। পরের দিন আবার দেখে ডালিম চুরি হয়েছে।এই ভাবে প্রতিদিন একটা করে ডালিম বাগান থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে। রাজা ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেল, প্রতিদিন বাগান থেকে ডালিম চুরি করে কে? প্রতিদিন রাতে একটা করে ডালিম চুরি হয়।
রাজা তার তিন ছেলেদের সাথে পরামর্শ করল এবং সিদ্ধান্ত নিল যে প্রতিদিন বড় ছেলে রাতে বাগান পাহারা দিবে এবং চোর ধরে নিয়ে আসবে।তাই রাতে রাজার বড় ছেলে বাগান পাহারা দেওয়ার জন্য গেল। রাত গভীর হতেই সে সেখানে ঘুমিয়ে গেল। চোর এসে ডালিম নিয়ে গেল, সে বুঝতেই পারল না। তাই পরেরদিন রাজা মেঝো ছেলেকে বাগান পাহারা দিতে পাঠালো। সেও রাতে ঘুমিয়ে পড়ল, আর চোর ধরতে পারল না।
পরেরদিন রাজা তার ছোট ছেলেকে বাগান পাহারা দিতে পাঠালো। সে রাত জেগে পাহারা দেওয়া শুরু করল, রাত গভীর হতেই দেখে যে, একটা স্বর্ণের পাখি এসে একটা ডালিম নিয়ে চলে যাচ্ছে। সে পাখিটা ধরার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। পরেরদিন সে রাজার কাছে গেল এবং রাজাকে স্বর্ণের পাখির খবর দিল যে, ঐ স্বর্ণের পাখি প্রতিদিন ডালিম নিয়ে যায়।
রাজা এবার তার তিন ছেলেকে আদেশ দিলেন যে, যেভাবেই হোক আমি ঐ স্বর্ণের পাখি চাই। তিনজনই স্বর্ণের পাখির খোঁজে বাহির হল। কিছুদূর যাওয়ার পর তাদের সামনে একটা শিয়াল আসলো।এবং শিয়াল তাদের পরামর্শ দিল যে, এই জঙ্গল দিয়ে সামনে গেলে দুইটা ঘর দেখতে পাবে।একটা হচ্ছে ভাঙা ঘর যার মধ্যে কিছুই নাই। আর একটা হচ্ছে অনেক বড় মহল যেটার মধ্যে অনেক কিছুই আছে। তোমাদের মধ্যে যে আজকের রাতে ঐ ভাঙা ঘরে থাকতে পারবে সেই স্বর্ণের পাখি পাবে।
কিছুদূর যাওয়ার পর তারা দুইটা ঘর দেখতে পেল, একটা হচ্ছে ভাঙা ঘর, যেটার মধ্যে অনেক ময়লা এবং পোকা দিয়ে ভর্তি। আরেকটা হচ্ছে অনেক বড় এবং অনেক সুন্দর পাকা ঘর, যেটা স্বর্ণের তৈরী এবং যেটার মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর খাবার এবং অনেক সুন্দর বিছানা, বড় দুই ভাই এত সুন্দর বিল্ডিং দেখে আর থাকতে পারল না। তারা সেই বিল্ডিং এর মধ্যে প্রবেশ করল। আর ছোট ভাই সেই ভাঙা ঘরে প্রবেশ করল।
রাতে সেই স্বর্ণের পাখি ডালিম নিয়ে এসে এই ভাঙা ঘরে প্রবেশ করল এবং ডালিম খাওয়া শুরু করল।যখনই পাখিটা ডালিম খাওয়া শুরু করল তখনই রাজার ছোট ছেলে পাখিটাকে ধরে ফেলল এবং পরেরদিন সকালে সে পাখিটা রাজা কাছে নিয়ে আসল।রাজা খুব খুশি হলেন এবং তার ছোট ছেলেকে অনেক পুরস্কার দিলেন। আর বড় দুই ছেলেকে মাফ করে দিলেন।
এই গল্পটি আরও অনেক বড়, কিন্তু আমি এখানেই গল্পটা শেষ করলাম।আপনারা হয়ত এ গল্পটা অনেক শুনেছেন।এখন আর এই রকম গল্প শোনা হয় না। কারন গল্প কে শোনাবে? গল্প শোনানোর মানুষ নাই। তাই দেখা যায় এরকম গল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখছি না। আজকে এখানেই শেষ করছি। আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন। ভালো থাকবেন আপনারা।আল্লাহ হাফেজ।
@hafizur46n
ছোট বেলায় আমিও নানা নাতি মিলে গল্প, আড্ডা, দিতাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কিছুটা মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন
নানা নানি এবং দাদা-দাদির কাছ থেকে শৈশব জীবনে আমরা অনেক গল্প শুনেছি যে গল্পগুলো শুনলে আমাদের সেই সময় খুবই ভালো লাগতো, আসলে সত্য কথা বলতে আমি কখনো নানা এবং নানীর আদোর পায়নি কারণ আমি ছোট থাকতে আমার নানা নানি মারা গিয়েছে যার জন্য আমি আমার নানা নানীর কথা কখনো বলতে পারি না কারণ আমার কিছু মনে নাই তবে দাদা দাদির আদর ভালোবাসা পেয়েছি। এবং অন্য মানুষের নানা-নানির কাছ থেকে গল্প ভালোবাসা সবকিছু দেখে কিছুটা অনুভব করতে পারি আসলে নানা নাতি সম্পর্ক অনেক মধুর একটি সম্পর্ক যে সম্পর্ক প্রতিটা মানুষের জীবনে জড়িয়ে থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে এত সুন্দর করে সেই অনুযায়ী মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন
ছোট বেলায় নানা দাদু বলেন এদের সাথে খুবই আড্ডা হতো আর গল্প বলতো ৷ নানা ধরনের গল্প আমাদের কে শোনাতেন ৷ এমন কোন গল্প শোনাতেন আমরা ভয়ে রাতের বেলা এই খান থেকে ঐ খানেই যেতে পারি না ৷ ছোট বেলায় নানা নাতি একটি সুন্দর মূহুর্তের সময় পার করেছিলাম ৷
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর করে সেই মোতাবেক মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন
সত্যি কথা বলতে আমি আমার নানা নানীকে দেখতে পাইনি! কিন্তু দাদির কাছে বেহুলার গল্প অনেক শুনতাম! বেহুলা সুন্দরী কে নিয়ে দাদি অনেক সুন্দর করে গল্প বলতে পারতেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গত ডিসেম্বরে দাদি আমাদেরকে ছেড়ে পরকালে চলে গেছেন! এখন আর তেমন একটা গল্প শোনা হয় না! মাঝে মাঝে যদি গল্প শুনতে ইচ্ছে করে! তাহলে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে গল্প শুনতে হয়।
আসলে ঠিক বলেছেন,, এই গল্পগুলো বলার মত মানুষ যেমন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে! তেমনি এই গল্পগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে! আপনার গল্পটা আজকে পড়ে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর করে সেই মোতাবেক মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন
সুন্দর একটি লেখা প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আহ কি অমায়িক ছিলো আমাদের ছোটবেলা। আমাকে একটু ঘুম পাড়ানোর জন্য আমার নানুভাই কতইনা সুন্দর সুন্দর গল্প বলতেন।নানু গল্প বলতেন আর আমি ঘুমিয়ে যেতাম।দুঃখের ব্যাপার হলো, এখন আর ওসব দিনের মতো সময় ও সুযোগ হয় না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন ভাই
আপনার শেয়ার করা গল্পটা পড়ে আমার ছোটবেলার স্মৃতি চারণ হলো। গল্পটি আমি রাজার আঙুর বাগান সম্পর্কে শুনেছিলাম আমার বড় বোনের কাছে। আপনার বলা গল্পটি ইন্টারেস্টিং আমি যখন যখন ছোটবেলায় শুনেছিলাম দারুণ একটা অনুভূতি হয়েছিল তাই আজো স্মৃতিতে রয়ে গেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর গল্প শেয়ারের জন্য