মনে পড়ে শৈশব স্মৃতিচারণ !!! আলোকচিত্র
সবাইকে স্বাগতম
হ্যালো, বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন আশা করছি পরমেশ্বর ভগবান ও ঈশ্বরের কৃপায় সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আপনাদের আর্শিবাদ দোয়া এবং ভগবানের কৃপায় অনেক ভালো আছি ৷
শৈশব জীবন
আপনার নিশ্চয়ই সবাই আজকে পোষ্টের টাইটেল টা পড়েছেন ৷ যে ঠিক কি বিষয়ে আজকের পোষ্ট ৷ আমরা সবাই শৈশব জীবন পার করে এখন নিজের পায়ে দাড়িয়েছি ৷ নিজের পায়ে দাড়িয়েছি বলতে বুঝচ্ছেন তো ৷
অর্থাৎ এখন আমরা জীবন জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন বিভিন্ন কাজে কাজে নিয়োজিত ৷ বলা যায় এখন জীবন টা কত কষ্টের তা বেশ ভাল করেই অনুভব করছি ৷
সময় বড় অদ্ভুত প্রতিনিয়ত ছুটে চলতে হয় ৷ মাঝে মধ্যে মনে হয় সেই শৈশব জীবন টাই অনেক ভালো ছিল ৷ কারন জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ আর সুখের জীবন ছিল শৈশব জীবন টাই ৷ কিন্তু আমরা কী আজ চাইলেও সেই পুরনো দিনে ফিরে যেতে পারবো ৷ চাইলে ও আর পরাবো না ৷ কারন আমরা সেই জীবন অতিবাহিত করে এসেছি ৷
হয়তো সবার অনেক মনে পড়ে সেই সময়ের সৃতি গুলো ৷ আসলে আমি মনে করি জীবনটা তখনই ভাল ছিল ৷ যখন জানতাম না জীবন মনে কী ৷ আমরা মত হয়তো সবার ভাবচ্ছেন ৷ আর ভাবারি কথা ৷
শৈশব জীবনটা ছিল এমন কোনো চিন্তা ভাবনা ছিল না ৷শুধু ছিল আনন্দ আর আনন্দ ৷ বাবা মা কত যত্ন করে আগলে রাখতো ৷ ছোট ছোট আবদার গুলো পূরন করার জন্য কত কিছু করতো ৷
সত্যি বলতে এই শৈশব জীবন নিয়ে লিখে শেষ করা যাবে না ৷ শৈশব জীবন মানে এক আকাশ ভরা সৃতি ৷
তো যা হোক
আসলে আজকে তো ছুটির দিন৷ আর ছুটির দিন থাকলে গ্রামের সকল বাচ্চারা খেলতে বসে ৷ আর আমি একজন গ্রামের ছেলে৷ আজ দুপুর বেলা দেখি ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা আনন্দ করে খেলছিল৷ আর তখন তাদের সুন্দর মূহুর্ত গুলো ফটোগ্রাফ করার চেষ্টা করেছি ৷
আর সেই মূহুর্ত গুলোই আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ৷
আলোকচিত্র
- কি বন্ধুরা এই আলোকচিত্র গুলো দেখে কিছু মনে পড়ছে ৷ অবশ্যই যারা যারা এই সময় গুলো ভেলে এসেছেন ৷ নিশ্চয়ই তাদের মনে পড়ছে ৷ ছোট ছোট বাশ বেত দিয়ে তৈরি ঘড় বানানো ৷ তবে এখানে দোকান দিয়েছে ৷ সাথে কলার বাকল দিয়ে পাল্লা বানিয়েছে ৷
- কেনো মনে পড়বে না বলেন ৷ এমন সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখলে ৷ তাদের এমন সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখে ৷ খুবই ইচ্ছে করে ৷ সেই সময়ে ফিরে যেতে ৷
- মাটিতে বসে ভরদুপুরে চোখ বাধা খেলেছেন নিশ্চয়ই ৷ ঠিক যেমন আজকে মনে ঠিক দুপুরে সকল বাচ্চারা সবাই মিলে খেলছিল ৷ তখন আমি তাদের খেলার মূহুর্ত গুলো ফটোগ্রাফ করছিলাম ৷
- নদীতে কিংবা খালে বিলে মাছ ধরেছেন নিশ্চয়ই ৷ সত্যি বলতে এসব সৃতি কখনো ভুলে যাওয়ার নয় ৷
- নদীর হাটু জলে বালু দিয়ে কোনো কিছু বানানো আবার ভেঙ্গে দেয়া ৷ আবার সেই হাটু জলে সারাদিন স্নান করা ৷ এসব সৃতি আজও মনে পড়ে৷
বিষয় | শৈশব স্মৃতিচারণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার: | @gopiray |
ক্যামেরা: | realme 12 |
লোকেশন: | বাংলাদেশ 🇧🇩 |
তো বন্ধুরা সর্বোপরি এই ছিল আজকের পোষ্ট ৷ শৈশব স্মৃতিচারণ ও তার কিছু আলোকচিত্র ৷ আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লেগেছে ৷
*সর্বোপরি সবার সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করে৷ আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি আবারো হাজির হব নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে ৷ সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন ৷
__
আপনার পোস্ট পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই আসলে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। শৈশবে আমরাও এমন ভাবেই খেলাধুলা করতাম। এখন বুঝতে পারি জীবনটা কতটা কষ্টের।
শৈশবের জীবনটাই আমাদের সবচাইতে সুন্দর একটা মুহূর্ত ছিল। যেখানে ছিল না কোন কষ্টও ছিল না কোন কাজ ছিল, না কারো প্রতি কোন অভিযোগ।
স্কুল থেকে এসে সবাই মিলে পুকুরে ঝাঁপ দিতাম।ঘন্টার পর ঘন্টা সাঁতার কাটতাম সেদিন গুলোকে অনেক মিস করি।
আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল। চোখের সামনে যেন শৈশবটা ভেসে উঠেছে। এক কথায় আপনি অসাধারণ লিখেছেন।তার সাথে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম এরকম করে অনেক ঘর বানিয়েছিলাম। চাচাতো মামাতো বোনদেরকে বউ বানাইতাম😬😬। বাজার করে আনতাম গাছের পাতা। খেলনা সংসার করতাম।
গ্রীষ্মের দুপুরে খুব গরম লাগতো। তখন বাচ্চারা মাটিতে লেপটে বসে এসব খেলতো, আমিও অনেক খেলতাম এসব। গড়াগড়িও করেছি🤣
এটা কখনো ভোলা সম্ভব না। বন্ধু বান্ধব, ভাই ব্রাদার মিলে এসব যেন শৈশবের মাছ ধরার বড় আনন্দদায়ক সময় ছিলো৷ গুটি কয়েক মাছ আনলেই আম্মু খুশি হয়ে মাছ ভুনা করে দিতেন। কী দারুণ সময় ছিলো তখন....!
ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। আপনি শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে করে দিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে এমন ভাবে আপনার পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।