Better Life With Steem || The Diary Game || 23 January 2024.

in Incredible India8 months ago
আসসালামু আলাইকুম

আজকে আরও একটি নতুন দিন অতিবাহিত করার সৌভাগ্য হলো তার জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট লাখ লাখ শুকরিয়া জানাই। চেষ্টা করি প্রতিটা দিন পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালো ভাবে আনন্দে সাথে কাটানোর জন্য। তেমনি ভাবে আজকের দিনটাও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো ভাবেই অতিবাহিত করতে পেরেছি। এবং দিন শেষে আমার আজকের দিনের গল্প গুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে হাজির হলাম।

1000009423.png

সকাল

আজকের সকাল শুরু হয়েছে ভোর ছয়টা থেকে।ঘুম থেকে উঠে যথারীতি ফ্রেশ হয়ে,রান্না ঘরে চলে গেলাম। এবং নাস্তা বানাতে শুরু করলাম।রুটি বানিয়ে এবং ডিম ভাজি করে হাসবেন্ড এর জন্য টেবিলে খাবার তৈরি করে রাখি।

1000009400.jpg

ঠান্ডা পানি দিয়ে কাজ করে তখন অত্যন্ত ঠান্ডা লাগছিল তাই আমি এসে আবারও কম্বল মুড়ে শুয়ে পড়ি।শীতের মধ্যে কম্বল মুড়ে থাকলেই যেন ঘুম পায় আমার,তাই নিজের অজান্তেই আবারও ঘুমিয়ে পরি। চেষ্টা করি মেয়েদের একটু দেরি ঘুম থেকে উঠাতে আর আমি পাশে না থাকলে ওরাও ঘুমায় না।

যাইহোক এবার ঘুম ভাঙলো সকাল দশটায় এবং উঠে মেয়েদের মুখ হাত ধুইয়ে দিয়ে নাস্তা করিয়ে দেই।আর আমি যেহেতু সকাল বেলা নাস্তা তৈরি করে একটা রুটি খেয়েছিলাম যার জন্য তেমন একটা ক্ষুধা ছিলো না।এরজন্য চা বানিয়ে ব্রেড দিয়ে খেয়েছিলাম।

দুপুর
1000009403.jpg

ইদানীং কেন যেন রান্না করতে আমার একটুও ভালো লাগে না।হয়তো শীতের কারণে। তাই আমি রান্নার জন্য কাটা কুটির সব কাজ করে আম্মুকে রান্না করতে বলি।
আজকে বাজারে যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু একটা কারণে যাওয়া হয় নি,আর বাসার নিচেই মাছ ওয়ালা এসেছিলো তাই সেখান থেকেই এক কেজি চিংড়ি মাছ কিনে নেই ৬০০ টাকা করে।

আজকে সকালে আমার ছোট মেয়েকে আমার ছোট খালা এসে উনার বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন তাই কেমন যেন বাসাটা ফাকা ফাকা লাগছিলো। আর আমার তখন তেমন কোনো কাজও ছিলো না তাই স্টিমিটে কিছু পোস্ট পড়ে কমেন্ট করি।

1000009402.jpg

আজকে বাসায় কাজের আন্টির তেমন কোনো কাজ ছিলো না তাই হঠাৎ উনি আমার চুলে তেল দিয়ে দেওয়ার জন্য বললেন, আর এই সুযোগ তো আর হাত ছাড়া করা যায় না।বারান্দায় রোদে বসে চুলে তেল দিয়ে নেই।

এরপরে গোসল করে নামাযের পরে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। খাবার খাওয়ার পরে বড় মেয়েকে ঘুম পারিয়ে দেই এবং ভেবেছিলাম স্টিমিটে কিছু পোস্ট পড়ে কমেন্ট করবো,কিন্তু সেই সময়ই লোডশেডিং হয়। কিছু দিন হলো অনেক বেশি লোডশেডিং হচ্ছে প্রতি দুই ঘন্টা পর পর বিদ্যুৎ থাকে না।

1000009409.jpg

বিকাল

বিকাল বেলা খালা আমার ছোট মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে এবং বাসায় এসে সে এক দৌড়ে আমার কোলে এসে বসে।এবং অনেকক্ষণ সময় সে আমার সাথে তার আধো আধো ভাষায় গল্প করে।

1000008968.jpg

এরপরে বারান্দায় থেকে শুকনা কাপড় গুলো তলে এনে গুছিয়ে নেই।

সন্ধ্যা থেকে রাত

বেশ কিছু দিন ধরেই ভাবছি যে পিঠা বানাবো, কিন্তু সময় হচ্ছিল না।আজকে দেখলাম সন্ধ্যার সময় মেয়েরা খেলা করতে ব্যস্ত তাই আমি আর আম্মু মিলে পিঠা বানাই।

1000009348.jpg

আচ্ছা দেখিতো আপনাদের মধ্যে কেউ এই পিঠার নাম কি তাই বলতে পারেন কিনা?যদিও অনেক কমম একটি পিঠা।কেউ চিনতে পারলে কমেন্ট করে বলবেন কিন্তু।

পিঠা,বানানো শেষে রাতের খাবার খেয়ে, তারাতাড়ি করে মেয়েদের ঘুুম পারিয়ে দেই,কারণ আজকে সাংঘাতিক ঠান্ডা পরেছে আমাদের এখানে।বাসার সবাই ঘুমে বেভর এখন পোস্ট করে আমার ঘুমানোর পালা।
আজ এখানেই সমাপ্তি করছি।আল্লাহ হাফেজ।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
Sort:  
Loading...
 8 months ago 
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানিয়ে আবার ঘুমিয়েছিলেন একটু তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করেছিলেন। সন্ধ্যায় আপনি আর আপনার আম্মু পিঠা বানিয়েছেন, সত্যি বলতে এই পিঠার নাম আমি জানি না।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।।।

 8 months ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য, এবং খুব তাড়াতাড়ি এই পিঠার রেসিপি টি শেয়ার করবো।

 8 months ago 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।।

 8 months ago 

সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার সাহেবের জন্য নাস্তা বানিয়ে আবার কম্বলের ভিতর মুড়ে দিয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। এরপর আবার ঘুম থেকে উঠে সকালে নাস্তা করে নিলেন। আসলে কেউ চুলে তেল দিয়ে দিলে এবং চুল আছরে দিলে খুব ভালো
লাগে এবং চোখে ঘুম আসে যায়। সন্ধ্যাবেলায় আপনি আর আপনার আম্মু পিঠা বানিয়েছেন । সম্ভবত পিঠা গুলো রস এবং দুধ দিয়ে ভেজানো হয়েছে আর পিঠাগুলো দেখে মনে হয় কোন তেলের পিঠা।
থ্যাংক ইউ আপু সারাদিনই কার্যকর্ম করব তুলে ধরলেন।

 8 months ago 

ঠিকই বলেছেন আপু, আমারও অনেক ঘুম পায় কেউ চুলে তেল দিয়ে দিলে। আর কখনো যদি রাতে তেল দিয়ে নেই কাউকে দিয়ে সেদিন তো অনেক আরাম করে ঘুম হয়।
ধন্যবাদ আপু আৃার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য।

 8 months ago 

সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্না ঘরে ঢুকে শীতের মাঝে নাস্তা বানানোটা বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু কিছু করার নেই এই কাজটা অপছন্দ সত্যেও করতেই হয়।আপনি ভাইকে রুটি আর ডিম ভাজি করে দিয়ে আবার কম্বল এর মাঝে ঢুকে পরেছিলেন।
বাসায় মাছওয়ালা আসলে অনেক সুবিধা হয়। কিন্তু আমআদের বাসার উপরে উঠতে দেয় না। আর নিচ থেকে ডাকলে শুনতে কম পাই যার কারনে বাজারই ভরসা।
মাথায় কেউ তেল দিয়ে দিলে আসলেই খুব ভালো লাগে। আমার মা আগে দিয়ে দিতো তারপর আর কেউ কোনদিন দেয় নাই । মিস করি জিনিসটা।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago (edited)

আমাদের বাসা দোতালায় হওয়াতে এই দিক দিয়ে সুবিধা আছে আপু। বারান্দা থেকে রশির সাথে ব্যাগ বেধে ধুলিয়ে দিয়েই বাজার করা যায়।
আমাকেও আগে সব সময় আম্মু চুলে তেল দিয়ে দিতো, কিন্তু এখন আম্মুর হাতের ব্যাথার কারণে আর হয়ে উঠে না।
মন খারাপ করবেন না আপু।

 8 months ago 

আসলে ঠান্ডার মধ্যে কাজ করতে মনে হয় না কারো ভালো লাগে।। তারপরও পরিস্থিতির জন্য করতে হয়।। আজকে খুব সকালে উঠে নাস্তা তৈরি করে আবার ঘুমিয়ে ছিলেন।। আবার উঠে সকালের নাস্তা করে নিয়েছেন।। আবার কাজের আংটি মাথায় তেল দিয়ে দিয়েছে কি আরাম 😊 আর হ্যাঁ পিঠাটার নাম আমি জানিনা।।

 8 months ago 

কেউ মাথা ম্যাসেজ করে তেল দিয়ে দিলে, আসলেই অনেক আরাম বোধ হয়। আমি মাঝে মাঝেই আন্টি কে দিয়ে তেল দিয়ে নেই।
এটা বকুল পিঠা ভাইয়া।

 8 months ago 

আমার মাথা কেউ টিপে দিলে আমার অনেক ভালো লাগে।। আমার একটা ভাগ্নি আছে সে আসলে আমার মাথা টিপে দেয়।। আর পিঠার নাম শুনে ভালো লাগলো‌। কখনো শুনিনি।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

ঠান্ডার সময় ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু আমরা যেহেতু একটা সংসারের দায়িত্ব নিয়েছি। তাই দায়িত্বটা পালন করার জন্য আমাদেরকে খুব ভোরেই ঘুম থেকে উঠতে হয়। ছোট বাচ্চারা ঘরে না থাকলে ঘরে একেবারেই ফাঁকা হয়ে থাকে। আসলে আমি এই পিঠার নাম জানিনা। তবে আপনাকে অনুরোধ করবো। অবশ্যই আপনি আমার কমেন্টের উত্তর এই পিঠার নাম লিখে দেবেন। পিঠাগুলো দেখতে কিন্তু অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য।

 8 months ago 

জি আপু, বাচ্চারা যখন বপশি দুষ্টুমি করে তখন খুবই বিরক্তি লাগে,কিন্তু চোখের আড়াল হলে একদম খালি খালি লাগে।
আপু এই পিঠা টার নাম বকুল পিঠা।খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।

 8 months ago 

আজকেও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা তৈরির জন্য রান্না ঘরে যান কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে আবার চলে যান রুমে আর রুমে এসে শুয়ে পড়েন ৷ তারপর দুপুর বেলা চিংড়ি মাছ কিনে নিয়ে আসলেন ৷ তারপরে দেখলাম পিঠা তৈরির ব্যাপার টা আসলে এই পিঠা গুলো চিনতে পারলাম না ৷

যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷

 8 months ago 

শীতের মধ্যে যে কোন কাজই আসলে করতে ইচ্ছে করে না। আর এই শীতে মেয়েদের চুল নিয়েই মনে হয় সবথেকে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। চুল শুকায় না, তেল দেয়া যায়না, চুলে জট লাগে।

আপনার বানানো এটা যে পিঠা সেটাই তো বুঝতে পারি নি, আর নাম কিভাবে বলবো। ভেবেছিলাম এটা কুমরোবড়ি

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 62300.84
ETH 2421.47
USDT 1.00
SBD 2.56