Better Life With Steem || The Diary Game || 20th November.
Photo edited by picsart.
Hello Everyone |
---|
Morning |
---|
ভোর ৫.৩০ মিনিটের দিকে মহান আল্লাহ তাআলার নাম স্মরণ করে আজকে ঘুম থেকে উঠেছি এবং নামায আদায় করে নিয়েছি।। আজকে সারাদিন বিদ্যুৎ থাকবে না তাই অনেক সকাল করেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম।
এরপরে আবারও কিছু সময়ের জন্য একটু শুয়ে থেকে উঠি ৬.৩০ এর দিকে।। যেহেতু বেশ কিছু দিন ধরেই আমার শরীরটা বেশ খারাপ যাচ্ছে আর প্রতিদিন দুই বেলা করে এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার কারণে শরীরটা আরো বেশি দূর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে রান্না- বান্নার কাজ থেকে ছুটিতে আছি,,আম্মুই সব বেলার রান্না করে তাই আজকে সকালেও আম্মু সকালের নাস্তা তৈরি করে আর আমি কিছু ঘরের টুকিটাকি কাজ সেরে নেই।।
যেহেতু সকাল ৮টায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কথা ছিল তাই ৮টার আগেই গোসল করে নেই আর এরপরে জারিনকে স্কুলে দিয়ে এসে আমি আর আসাদ সকালের নাস্তা করে নেই।।সকালের নাস্তার পরপরই দুপুরের জন্য রান্না বাসিয়ে দেই।
Noon |
---|
আজকের আবহাওয়া টা বেশ ভালো ছিল তাই দুপুরের জন্য খিচুড়ি, মুরগির মাংস, ডাল আর আলু ভর্তা করা হয়েছিল। রান্না শেষে জারিনকে স্কুলের থেকে আনতে যাই,,ওর স্কুল থেকে আজকে এই বছরের বই গুলো দিয়ে দিয়েছে।।বই বাসায় দেওয়ায় মেয়ে অনেক খুশি হয়েছে।। আর স্কুল থেকে আসার সময় মেয়ে বায়না ধরে ফুসকা খাবে তাই ফুসকা খাইয়ে বাসায় নিয়ে আসি।
এরপরে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু ঘুমিয়ে উঠে বিকালে বাহিরে গিয়েছিলাম।। আজকে মেয়েদের নিউ মার্কেট এর ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড এ নিয়ে গিয়েছিলাম,, সেখানে যেয়ে মেয়েরা বেশ ভালোই খুশি হয়েছিল।।
Evening |
---|
সেখানে প্রায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত থেকে এরপরে বের হয়ে কসমেটিকস এর দোকানে যাই একটা ময়েশ্চারাইজার কিনার জন্য।। তো একটা ময়েশ্চারাইজার কিনে পাশের দোকানে একটা ঘড়ির দিকে চোখ পড়লো মোটামোটি ভালোই লাগলো দেওয়াল ঘড়িটা,, আর কিছুদিন ধরেই চাচ্ছিলাম যে একটা দেওয়াল ঘড়ি কিনবো,,সুতরাং ঘড়িটা কিনে নেই।
এরপরে সেখান থেকে স্বপ্ন সুপার শপে যাই কিছু গ্রোসারি আর সংসারের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে।। স্বপ্ন তে গেলে আমার দুই মেয়েই হাবিজাবি জিনিস নেওয়া শুরু করে ছোট মেয়ে তো বোঝে না আর বড় মেয়ের শুধু খেলনা কিনার বায়না থাকে।।
এরপরে আসাদ আজকে বাহিরে রাতের খাবার খাওয়া জন্য অফার করে আমাকে সাথে বড় মেয়েও তার তার বাবার কথায় তাল মিলায় কিন্তু শরীর ভালো না থাকার কারণে বাহিরের কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না।। বাহিরে খাবার খাওয়ার জন্য না করাতে মেয়ের বাবা বেশ অনেকটা অবাক হয়,,কারণ আমিই সব সময় তার নিকটে বায়না করি বাহিরে আসলে কিছু খাওয়ার জন্য,, কিন্তু শরীর ভালো না থাকলে আসলে কিছু ভালোও লাগে না।।
আর আজকে বাহিরে আসার উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড এ একটু ঘুড়িয়ে বাসায় নিয়ে যাবো,,কোনো কিছু কেনাকাটা করার উদ্দেশ্য ছিল না তবুও আজকে বেশ অনেক কিছুই কেনা হয়েছে।।আসলে সব সময় প্ল্যান করে কিছু হয় না।
এরপরে বাসায় এসে রাতের খাবার খেয়ে এবং ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি,ডাক্তার রিল্যাক্স এর ঔষধ দেওয়ার কারণে রাত ১০টার পরে আর জেগে থাকতে পারি না।
সকালে আপনার মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এরপর নাস্তা তৈরি করে দুপুরে রান্না শেষ করে মেয়েকে আবার স্কুল থেকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু আপনার মেয়ে বারবার বায়না করছিল ফুচকা খাওয়ার জন্য। আসলে ফুচকা মেয়েদের খুবই ফেভারিট একটা জিনিস। এরপর আপনি আপনার মেয়েকে ফুচকা খাইয়ে নিয়ে এসেছেন।
বিকেল বেলায় আপনারা একটু শপিংয়ে গিয়েছেন। আপনার মেয়ে অনেক বেশি খুশি। বিশেষ করে আপনার বড় মেয়ে খেলনা কেনার জন্য বায়না করছিল। আপনার হাজবেন্ড আপনাকে বলেছিল বাহিরে খাবার খাওয়ার জন্য। কিন্তু আপনার শরীর ভালো না থাকার কারণে বাহিরে খাবার খাওয়া থেকে আপনি অনীহা প্রকাশ করেছেন। আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে তার ভিত্তিতে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শুনে খারাপ লাগলো আপনি এখনো অনেক অসুস্থ। আসলে অসুস্থ থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগে না ।।। না কাজ না খাওয়া কোন কিছুই একদম পছন্দ না।
আজকে মেয়েদের নিয়ে মার্কেটে গিয়েছিলাম আর তারা সেখানেই যে অনেক বেশি খুশি হয়েছে।। ছোট বাচ্চাদের বাইরে ঘোরাঘুরি করলে তারা আসলে অনেক বেশি খুশি হয়।।
জি ভাইয়া,, মাঝে মাঝে বাচ্চাদের বাহিরে ঘুরতে নিয়ে গেলে তাদের মনটাও অনেকটা ফ্রেশ হয়।। আসলে বাচ্চা হলেও তাদেরও একটা রিফ্রেশমেন্ট এর প্রয়োজন রয়েছে,,সেই জন্যই চেষ্টা করি সুযোগ হলেই তাদের বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
এটি অনেক ভালো একটি কাজ করেন মাঝেমধ্যে বাচ্চাদের বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া।।
বাড়ি নিয়ে গেলে বাচ্চারা খুশি হওয়ার পাশাপাশি অনেক কিছু জানতেও পারে।।
জি,একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
প্রথমে প্রার্থনা করছি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন তবে অসুস্থের মাঝে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন কারণ, ওরা একটা জায়গা থাকতে থাকতে একঘেয়েমি হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
স্বপ্নের মেম্বার সীপ আছে আমার বিগ অফার চলছে। তাই আমি ও দেখি যাব স্বপ্নে।আর আপনার দিন টি খুব সুন্দর ভাবে ই কেটচ্ছে বেবিদের নিয়ে।তা বুঝতে পারছি। আপনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভালো থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দেখে মুরগির মাংস খিচুড়ি আমার সাথে আলু ভর্তা ও ডাল রান্না করেছিলেন। ফুচকাটা যেন সকল বাচ্চারাই পছন্দ করে। আপনি ভালো করেছিলেন আপনার সন্তানের ফুচকা খাওয়ার ইচ্ছা পূরণ করে।
লেখার এই অংশে আপনি বই বিতরণের কথা উল্লেখ করেছেন। আপনার সন্তান বই পেয়ে খুবই খুশি হয়েছিলেন। শিক্ষা জীবনে বছরের প্রথম দিন নতুন বই পাওয়ার মূহুর্তটা অন্যরকম। আমিতো নতুন বই হাতে পেয়ে বই রেখে উঠতামই না।
আপু,,আমার মেয়ের স্কুলে প্লে থেকে কেজি ক্লাস পর্যন্ত কোনো বই বাসায়,দেয় না বছরের শুরুতে।। স্কুলেই ওদের পড়া করিয়ে দেয়।। আর বছর শেষে সেই বই গুলো বাসায় দিয়ে দেয়।। পোস্ট এই বিষয়টি আমি ক্লিয়ার করে লিখতে পারি নি।।
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করার জন্য।