Better Life With Steem || The Diary Game || 10th March.
আসসালামু আলাইকুম। |
---|
কমিউনিটির সকল সদস্যকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই,এবং সেই সাথে সকলকে জানাই পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
আজকে আমি আমার ১০ই মার্চের অতিবাহিত সারাদিনর গল্প নিয়ে হাজির হলাম।
চলুন তাহলে আজ আর কোনো কথা না বাড়িয়ে মূল পোস্ট শুরু করি।
সকাল |
---|
শনিবার দিন গ্রাম থেকে আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি এসেছেন। আপনাদের সাথে আগে বলেছিলাম যে,বেশ কিছুদিন আগে গ্রাম থেকে আমার শ্বশুর বাড়ির প্রায় অনেক আত্নীয় এসেছিলেন। কিন্তু সেই সময় বিশেষ কিছু কাজের কারণে আমার শ্বশুর মশাই আসতে পারেন নি। উনার দুই নাতনিকে দেখার জন্য মন ছুটে গিয়েছিল, তাই গত শনিবার শ্বশুর শ্বাশুড়ি দুজনেই এসেছিলেন।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছি কিছুটা দেরিতেই। ততক্ষণে আমার হাসবেন্ড অফিসে চলে গিয়েছে। শ্বাশুড়ি মা মাথার কাছে বসে হাত রাখতেই ঘুম ভেঙে যায়।আসলে আগের রাত থেকে ব্যাথায় শরীরে জ্বর চলে এসেছে। আর সকালে উঠেও বুঝতে পারলাম এখনও জ্বর রয়েছে।
আমি ফ্রেশ হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি, বড় মেয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর আমার শ্বশুড় বড় মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যায়,সাথে ছোট মেয়েকেও নিয়ে যায়।
এরপর আমি সকালের নাস্তা করে ঔষধ খেয়ে নেই। আর ছোট মেয়ের বাহির থেকে ঘুরে এলে ওর দাদু ওকে খাইয়ে দেয়।
দুপুর |
---|
দুপুরের রান্না থেকে আমার ছুটি ছিল।আম্মু রান্না করতে শুরু করে ১১টা থেকে।
আর আমার মাথার মধ্যে খারাপ লাগছিল তাই,আমি শ্বাশুড়ির থেকে চুলে তেল দিয়ে নিচ্ছিলাম।
আমার শ্বাশুড়ি অনেক সুন্দর করে চুলে তেল দিয়ে দেয়।মাথা একদম সুন্দর ঠান্ডা হয়ে যায়।
একটু পরেই মোবাইলে কুরিয়ার থেকে কল আসে,কিছুদিন আগে যেই কসমেটিকস গুলো অর্ডার করেছিলাম,সেগুলো আজ ডেলিভারি দিবে।
আমি বাসার নিচে গিয়ে সেগুলো নিয়ে আসি।
মেয়েরা ওদের দাদু কে পেয়ে তার কাছেই ছিল।আর আমিও একটু রেস্ট করার সুযোগ পেয়েছিলাম। মেয়েরা ওর দাদুর কাছ থেকে গোসল করে নিলে পরে আমি গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই।
বিকাল |
---|
কিছুদিন ধরে পায়ের ব্যাথা অনেক বেশি হয়েছে,তাই বিকালবেলা ফিজিওথেরাপি দিতে গিয়েছিলাম।
থেরাপি দেওয়ার সময় অনেকটা আমার লাগছিল।
থেরাপি দিয়ে বের হয়ে,অনেকটা গলা শুকিয়ে গিয়েছিল।সাথে পানিও নিয়ে যাই নি।
যার কারণে পাশেই একটা রেস্টুরেন্টে বসে একটা কোল্ড কফি অর্ডার করে খেয়েছিলাম।
এরপর হাটতে হাটতে বাসায় চলে আসি।কারণ রিক্সায় উঠবো না তা আগেই তওবা করে রেখেছিলাম।
সন্ধ্যা থেকে রাত |
---|
সন্ধ্যায় শ্বশুর শ্বাশুড়ির নাস্তার জন্য পুরি সিঙ্গারা কিনে এনে দেই,আর,সাথে চা বানিয়ে দেই। সাথে আমিও এক কাপ চা খেয়ে নেই।
মেয়ের স্কুল থেকে পেপার কাটিং করে করে অক্ষর বানিয়ে নিয়ে যেতে বলেছিল।ওটা বানিয়ে দেওয়ার জন্য বড় মেয়ে বায়না করে।
কিন্তু ছোট মেয়ের জন্য তাই আর সম্ভব হচ্ছিল না।ওকে বুঝিয়ে আগে ছোট মেয়েকে খাবার খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দিয়ে তারপরে ওর কাজ নিয়ে বসি।আর ওকে স্কুল থেকে বলে দিয়েছিল D অক্ষর কেটে নিয়ে যেতে।এরপর আমরা মা মেয়ে মিলে পেপার কাটিং শেষ করে ঘুমাতে চলে যাই।
আপনার শশুড় -শাশুড়ী আসায় ভালোই হয়েছে আপনার জন্য। আপনার ওপর থেকে অনেক কাজের চাপ কমেছে।।আসলে বাচ্চারা দাদা-দাদিকে কাছে পেলে যেমন খুশি হয় অপরদিকে আবার দাদা-দাদির নাতি নাতনিদেরকে কাছে পেলে খুব খুশি হয়।
চমৎকার একটা সম্পর্ক এটা।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। এত চমৎকার একটা দিনলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
খুব সুন্দর একটি দিন কেটেছে আপনার শ্বশুর শাশুড়ি এসেছে তাদের নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে চলছে আপনার দিন।।
যেহেতু আপনার মেয়ে রা দাদা বাড়িতে থাকে না তাই ওরা ওদের দাদা-দাদি আসলে অনেক বেশি আনন্দ পায় এবং সুন্দর সময় কাটায় আপনার দিনটি শুভ হোক সে প্রার্থনাই করছি।।
মেয়েদের কসমেটিক্স কেনার কথা মনে করিয়ে দিতেই মনে হয় ফেসবুক খুল্লেই এসব ভিডিও আসা শুরু হয়। অনলাইনে কেনাকাটা হওয়ায় এখন ঘরে বসেই এরকম দরকারি জিনিস গুলো কিনতে পারছে সবাই। ডিজিটাল দেশ বলে কথা।
মোটামুটি নিজের শরীর অসুস্থ থাকার কারণে, আজকের দিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গেছে। তবে কুরিয়ার থেকে যে জিনিসগুলো অর্ডার করেছেন সেগুলো সঠিকভাবে পেয়েছেন, জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।