জীবনে কাউকে কখনো অতিরিক্ত বিশ্বাস ও অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে নেই।
আমরা মানুষ।। পরিবার, পরিজন,, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু,, বান্ধব নিয়ে আমাদের সমাজে থাকতে হয়। কথাই রয়েছে যার সাথে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে সেই আত্মীয়।
আর একসাথে একই এলাকায় অনেকদিন থাকতে থাকতে আমাদের অনেক ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী তৈরি হয়। তারাও একটা সময় আমাদের আপন জনের মত হয়ে ওঠে। কারন আমরা যারা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে অন্য শহরে এসে বসবাস শুরু করি তখন আমাদের যে কোনো বিপদে আপদে আমাদের প্রতিবেশীরাই সবার আগে এগিয়ে আসে।। এটা অনেকটা স্বাভাবিক, কারন একই সাথে অনেকদিন থাকার ফলে মনের মাঝে এটা জায়গা তৈরি হয়ে যায়। একটা সময় আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে আমাদের সুখের দুঃখের সব রকমের কথা শেয়ার করে থাকি।। কারন আমরা তাদের প্রতি অনেকটা বিশ্বাস করতে শুরু করি।
তখন কিছু মানুষ আমাদের এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে থাকে। আমি মনে করি এটা তাদের দোষ না বরং এটা আমাদের দোষ কারন দুইদিন কেউ আমাদের সাথে হাসি মুখে কথা বললে আমরা তাদের আপন ভেবে আমাদের মনের সব কথা আমরা তাদের বলে দেই।। আর তখন আমাদের মনের কথা গুলো তাদের কাছ থেকে পাঁচ কান হতে শুরু করে।। আমি এটা বলছি না যে সবাই এমনটা করে থাকে কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মানুষের ভালোটা কখনোই ভালো মনে মেনে নিতে পারে না।
pixabay
আমার আম্মা আমাকে সব সময় একটা কথা বলেন,, কখনো কোনো কাজ করার সময় কাউকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে তাকে জিজ্ঞেসা করে সব কাজ করবা না, তাহলে তার কাছে তোমার গুরুত্ব টা হারিয়ে যাবে।। কারন তুমি যদি তার থেকে কোনো কাজে আগিয়ে যাও সেসময় সে তোমাকে আর কেনো ভালো পরামর্শ দিবে না। আমি সব সময় আম্মুর এই কথাটা মেনে চলার চেষ্টা করি।
একটা সময় আমিও অনেকটা ইমোশনাল ছিলাম।। অল্পতেই মানুষের ওপর বিশ্বাস করতে শুরু করতাম, তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ মনে করে সব শেয়ার করতাম, আর সেই সময় লাইফে অনেক হোঁচট খেতে হয়েছে।। লাইফে সঠিক বন্ধু নির্বাচন করতে না পারায় অনেক সময় অনেক বিপদে পরতে হয়েছে। কারন পরিবারের থেকে তাদেরই আপন মনে করতাম।।
কিন্তু যেই দিন থেকে আমি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে শুরু করেছি,,, নিজেকে গুরুত্ব দিতে শিখছি আমার যত দূর মনে হয় সেই দিন থেকে আমি কোন কিছুতে ঠকতে হয়নি। এতে তার মনে এই না যে আমি আর কাউকে গুরুত্ব দেই না, আমি আমার বাবা মা আমার পরিবারকে সব থেকে বিশ্বাস করি আর তাদেরই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ মনে করি।।। কারন সারা দুনিয়ার মানুষ আমার সাপোর্টে না থাকলেও আমার পরিবার সব সময় আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে সাপোর্ট করে যাচ্ছে।।
লাইফে ইমোশনটাকে কনট্রোল করে সব সময় বাস্তব নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।।
জানিনা আমি আমার মনের কথা গুলো কতটা গুছিয়ে বলতে পেরেছি।। আজ এখানেই শেষ করছি।
আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করেছেন। আমরা চলার পথে অনেক মানুষের সাথে মিশে থাকি। একটা সময় তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক হয়ে যায় আর তখন আমরা আমাদের অনেক কিছু তাদের সাথে শেয়ার করি। একটা সময় তারা এই কথাগুলো সুযোগ নেই আর আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
আমার সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে আপনার মায়ের পরামর্শটা। যেটি একদম বাস্তব আর আপনি আপনার মায়ের কথা গুলো শুনে চলেন এটি সত্যিই অনেক ভালো।
খুবই ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
জ্বী, আমাদের সবারই উচিত আমাদের মা বাবার কথা মেনে চলা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া, আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
জি আপু আপনাকেও ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সবসময়।
আসলে আমরা যখন কোন মানুষকে বা কোন বস্তুকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলি। তখন সেই বস্তু বা মানুষের কাছে আমাদের কোন দাম থাকে না। তাই কাউকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করা এবং কাউকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া থাকে বিরত থাকাটাই উত্তম। কারণ অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে গেলেই,, সেখানে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আজকে আপনি খুবই সুন্দর একটা বিষয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। যেটা আমাদের বাস্তব জীবনে আমাদের অনেক জায়গাতেই শিক্ষা দিয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
আজকে খুবই সুন্দর একটি বিষয় আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে কাউকে অনেক বেশি বিশ্বাস করলে কিংবা কাউকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিলে পরে নিজেরই ক্ষতি হয়। এজন্য কাউকে গুরুত্ব না দিয়ে সব সময় নিজেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপু, সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। অতিরিক্ত বিশ্বাস ,অন্ধ ভালোবাসা অনেক ক্ষতির কারণ হয়। মানুষ খুব অদ্ভুত প্রাণী তারা দুর্বলতায় আঘাত করতে পছন্দ করে। আপনার মায়ের কথাটি শুনে আমার ভালো লাগলো। আসলেই তাই মা-বাবার পরামর্শ অনুযায়ী চললে আমরা অনেক বিপদ থেকেই রক্ষা করতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট এ সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।