পাঙ্গাশ মাছ ভুনার রেসিপি।
হ্যালো,
কিছু পারিবারিক কারণে আমি কমিউনিটিতে নিয়মিত পোস্ট করতে পারছি না,, তার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। পোস্ট শুরু করার আগে আপনাদের কাছে জানতে চাই সবাই আপনারা কেমন আছেন??
আজকে আমি আপনাদের সাথে পাঙ্গাশ মাছের একটি রেসিপি শেয়ার করবো। পাঙ্গাশ মাছের সাথে আমার ছোট বেলার কিছু স্মৃতি জরিয়ে আছে, অন্য আরেক দিন আপনাদের সাথে তা শেয়ার করবো। তো আর কথা না বাড়িয়ে রেসিপি শুরু করা যাক। রান্নাটি করতে আমার যা উপকরণ লেগেছে:-
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পাঙ্গাশ মাছ | ৮ পিছ |
পিয়াজ বাটা | ১টেবিল চামচ |
রসুন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
টমেটো | ১টা |
পিয়াজ কুঁচি | ১/২ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৭-৮টা |
হলুদ গুড়া | ১চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১চা চামচ |
মরিচ গুড়া | ২ চা চামচ |
জিরা গুড়া | ১চা চামচ |
দারুচিনি | ২টা |
তেজপাতা | ২টা |
এলাজ | ২টা |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | ১/২ কাপ |
প্রথমে মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি। আমি মাছ প্রায় ৭-৮ বার ধুয়ে নেই, তা না হলে আমার কাছে ভালো লাগে না। মাছ ধোয়া হয়ে গেলে আমি মাছের পানি ধরিয়ে নেই। তারপরে মাছ গুলো লবন, হলুদ, মরিচ দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি, তারপরে চুলায় একটি একটি কড়াই দিয়ে ভালো মতো গরম করে নিয়ে ৩টেবিল চামচ তেল দিয়ে গরম করে নিয়ে তাতে লবন, হলুদ,মরিচ মাখিয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে একটু কড়া করে ভেজে নিয়েছি।
মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেলে কড়াই থেকে উঠিয়ে তেল থেকে আলাদা করে রাখবো। তারপর অন্য একটা কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে পিয়াজ কুচি আর মরিচ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে তাতে পিয়াজ বাটা, রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে তার মধ্যে হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা গুড়া ও লবন দিয়ে ভালো করে কসিয়ে নিয়েছি।
মসলা কসানো হয়ে গেলে তার মধ্যে একটি টমেটো কুচি করে কেটে মসলার মধ্যে দিয়ে কসিয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।।
কিছুক্ষণ পরে ঢাকনা তুলে টমেটো মসলার সাথে আরো কিছুক্ষণ কসিয়ে নিয়ে তার মধ্যে ভাজা মাছ গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ মসলার মধ্যে দিয়ে একটু উল্টে পাল্টে দিয়ে একটু ভাজা ভাজা করে নিয়েছি এবং পরিমান মতো পানি দিয়ে দিয়েছি।
তারপরে ১০ মিনিট মতো চুলার জ্বাল মাঝারি করে দিয়ে রান্না করে নিয়েছি এবং ৫ মিনিট ঢেকে রান্না করে নিয়েছি। মাছের ঝোল টেনে মাখা মাখা হয়ে এলে চুলা নিভিয়ে কিছুটা ভাজা জিরার গুড়া দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। তারপর গরম গরম ভাতপর সাথে পরিবেশন করেছি।
আমার বড় মেয়ে এভাবে পাঙ্গাশ মাছ রান্না করলে অনেক মজা করে খায়। আমার রেসিপি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন,,, সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
পাঙ্গাস মাছ আমার অনেক প্রিয়, পাঙ্গাস মাছের খুব একটা বেশি কাটা থাকে না তাই খাওয়ার সময় অতটা ঝামেলা হয় না। বিশেষ করে পাঙ্গাস মাছের ভুনা খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পাঙ্গাস মাছ ভুনা রেসিপি আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার পোস্ট টা পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
মাছের মধ্য আমি পাঙ্গাস মাছটাই বেশি পছন্দ করি এই মাছে কাটা নিয়ে কোন ঝামেলা থাকে না শুধু মাছের মধ্যে বড় একটি কাটা থাকে।তারপর যদি মাছটা ভুনা করে তাহলে তো কথাই নেই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পাঙ্গাস মাছের ভুনা রান্নার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু, আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন।
থ্যাঙ্ক ইউ
পাঙ্গাস মাছ আমারও অনেক পছন্দ আর এই মাছ পছন্দ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে এই মাছে কাটা কম।
আপনি খুব সুন্দরভাবে পাঙ্গাস মাছের রেসিপি পোস্ট করেছেন। যেখানে আপনি সকল উপকরণ খুব সুন্দরভাবে বলেছেন খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার পোস্ট টা পড়ে সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপু আপনিও ভালো থাকবেন আর আমাদের মাঝে নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করবেন।
আমার প্রিয় কিছু মাছের মধ্যে পাঙ্গাস মাছ অন্যতম। আমার এই মাছ খুবই ভালো লাগে, বিশেষ করে কাটার ঝামেলা থাকে না বলে।
আপনার পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি যেভাবে কোনটা কতটুকু পরিমান নেওয়া উচিত আর তার পরে কিভাবে তা রান্না করা উচিত সেটা খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। যদিও আমি পাঙ্গাস মাছ খাই না। এজন্য আমাদের বাড়িতে আর কেউ পাঙ্গাস মাছ খায় না। এজন্য বাড়িতে পাঙ্গাস মাছ রান্না করা হয় না। না হলে আপনার রেসিপিটি একদিন হলেও চেষ্টা করে দেখতাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপু অপনাকে, আপনি এই মাছ খান না তাও আমার রেসিপি ফলো করে রান্না করবেন শুনে অনেক ভালোলাগলো। ভালো থাকবেন আপু।
আমার জায়গা থেকে আমি মনে করি,, বাচ্চাদের জন্য পাঙ্গাস মাছ খুবই পারফেক্ট একটা খাবার।কেননা পাঙ্গাস মাছের তেমন একটা কাটা নেই বললেই চলে। বাচ্চাদের খাওয়াতে খুবই সুবিধা। আর আমি এমনও শুনেছি পাঙ্গাস মাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে আমাদের অনেকেরই হাঁড়ের সমস্যা রয়েছে,, তারা যদি প্রতিনিয়ত পাঙ্গাস মাছ খাওয়া যায়। তাহলে তাদের হাঁড়ের কিছুটা হলেও সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
আজকে আপনি আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবেই পাঙ্গাস মাছ রান্না করার রেসিপিটা শেয়ার করেছেন।আমিও পাঙ্গাস মাছ ঠিক একই ভাবে রান্না করি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপিটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।