আমার জীনের সেরা স্মৃতি, আমার শৈশব স্মৃতি।
শৈশবস্মৃতি এমন এক স্মৃতি যা আমাদের সাথে সারাজীবন থেকে যায়। আমার মতে, জীবনের সব থেকে সেরা স্মৃতি গুলোর মাঝে শৈশবস্মৃতি অন্যতম হয়ে থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে এক না ও হতে পারে।
আমার শৈশবস্মৃতি আমাকে এখনও প্রচুর আনন্দ দেয়। আমার বাবারবাড়ি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় হলেও আমার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা ঢাকা জেলার সাভার এলাকায়। আমি আমার বাবা - মায়ের একমাত্র সন্তান অতএব ছোট থেকেই যেমন প্রচুর আদর পেয়েছি সেভাবে প্রচুর শাসনের মধ্যেও ছিলাম। আমাকে সব থেকে বেশি শাসন করতো আমার আম্মু।
আনেক কড়া নিয়ম এর মাঝে আমি বড় হয়েছি। সব কিছু একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করতে হতো। কিছুদিন আগে আমি আমার আম্মুকে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, "আচ্ছা আম্মা ছোটবেলায় এতো বেশি শাসন করতা কেন?" সেসময় আম্মা আমাকে উত্তরে বলেছিল, " সেই সময় শাসন করেছিলাম বলেই আজকে এই পর্যন্ত ভালো মতো আসতে পেরেছিস। এবং তোর সন্তানেরা যখন আর একটু বড় হবে সেসময় আরো ভালো মতো বুঝতে পারবি।"
এখন বড় হয়ে আমার মা সব থেকে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। এবং এই মুহূর্তে মনে হয় ছোটবেলার আম্মুর বকা গুলো প্রচুর মিস করি।
আমার শৈশবে আমি যেই বাসায় থাকতাম সেই বাসার সাথে বেশ বড় একটা খেলার মাঠ ছিল। প্রতিদিন বিকালে আমাদের বাসার আমার সম বয়সী ও আমার থেকে একটু বড় আপু ভাইয়ারা সেই মাঠে খেলা করতাম। বিকাল হলেই আমারা মাঠে যেয়ে কপাল টুকা, কানা মাছি, কুমির ডাঙা, চোর পুলিশ, সাত পাতা, রান্না বাটি সহ আরো অনেক ধরনের খেলা করতাম। আর বৃষ্টির দিনে সবাই মিলে মাঠে বৃষ্টিতে ভিজতাম।
আমাদের সময় রাতের বেলায় কারেন্ট গেলে অনেক খুশি লাগতো কারণ কারেন্ট গেলেই আমরা সবাই বাহিরে বের হয়ে কানা মাছি খেলতাম আর নাহলে বাসার মুরুব্বি নানু ছিল তাদের কাছে নানা রকম গল্প শুনতাম যেমন ভুতের গল্প, রাজা রানীর গল্প, শেয়ালের গল্প।
যে কোনো ধরনের উৎসব অনুষ্ঠান হলে আমাদের সেই বাসার সবাই মিলে আয়োজন করতো বিশেষ করে পহেলা বৈশাখ, নতুন বছর, শীতের কালের পিকনিক। প্রচুর আনন্দ উল্লাস করতাম সবাই মিলে।
ছোটবেলার সেই দিন গুলো অনেক ভালো ছিল, সবার সাথে মিলে মিশে থাকতাম, মনের মাঝে কোনো দ্বিধা ছিলো না, কোনো বাধা ছিল না, এবং কারো মাঝে কোনো ভেদাভেদ ছিলো না।
সেসব কথা গুলো এখন মনে চোখের সামনে ছবির মতো ভেসে ওঠে। সেই সোনালী দিন গুলো হয়তো আর কখনো ফিরে পাবো না কিন্তু সেই দিন গুলো আজীবন স্মৃতির পাতায় রয়ে যাবে জীবনের সব থেকে সুন্দর স্মৃতি হিসেবে।
আসলে শৈশব দিনের স্মৃতিগুলো মনে রাখা এটা স্বাভাবিক। আমরা যে দিনটা ফেলে আসি, ওটি আমাদের স্মৃতি হয়ে থাকে । তবে সবচেয়ে বেশিভাগ মনে পড়ে ছোটবেলায় সেই স্মৃতিগুলোর কথা। আপনেএগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন পোস্টটা পড়ে পরে খুব ভালোই লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শৈশব স্মৃতিগুলোর কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন থ্যাঙ্ক ইউ।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
আজকে আপনি আপনার ছোটবেলার শৈশবের কিছু মূহুর্ত শেয়ার করেছেন ৷ আপনি ছোট বেলায় অনেক খেলাধুলা করতেন তারপর আপনার মা আপনাকে অনেক শাসন করতো ৷ তারপর রাতের বেলা কারন্টে গেলে আপনি অনেক খুশি হয়ে থাকেন কারন সেই সময়ে আপনাকে বই পড়তে হয় না ৷ এভাবেই কাটিয়েছেন আপনার ছোটবেলার কিছু শৈশবের কিছু মূহুর্ত ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
শৈশবকালের স্মৃতিগুলো সত্যি অনেক আনন্দের ছিল। যখন জীবন সম্পর্কে এত বুঝতাম না জানতাম না তখন মন খুলে খেলা করতাম খুবই ভালো লাগতো।
আপনি আপনার বাবা-মার একমাত্র সন্তান তাই আপনাকে যতটা আদর করেছে,, ঠিক ততটাই শাসন করেছে। আর আপনি বলেছেন আপনাকে সবচাইতে বেশি আপনার বাবা শাসন করেছে।
প্রত্যেকটি বাবা-মা চায় তার সন্তানটি সুশিক্ষিত হোক এবং ভালো হোক আর সেই জন্যই বাবা-মা সন্তানদেরকে শাসন করে থাকে।
আপনার পোস্টটি পড়ে আমারও শৈশবকালের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল ।খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ,ভালো থাকবেন আপু।
শৈশবস্মৃতিগুলো সত্যি সবার জন্য স্বরণীয় হয়ে থাকবে। কেননা শৈশবে আমাদের কোন টেনশন ছিল না। আমরা তখন অনেক মজার সময় কাটাতাম। আপনার শৈশবের ঘটনাগুলো জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিক বলেছেন শৈশব স্মৃতি গুলো আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শৈশব এমন একটা জিনিস যে তাকে ভোলা কোনদিনই সম্ভব না। আমাদের এখন কার জীবন শৈশবে কাটানোর সময় এর সাথে কোন মিল নেই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট এ সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।