দেশী ফল আমড়া পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন এবং একটি সুন্দর দিন অতিবাহিত করেছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। স্টিমিট আইডি @farhanaaysha.বান্দরবান বাংলাদেশ।
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের বাগানের আমড়া ফলের ফটোগ্রাফি ও এর পুষ্টিগুণ উপকারী দিক সম্পর্কে কিছু তথ্য। গাছের টাটকা আমড়া ফল খেতে একটু বেশীই মজার। দুপুর বা বিকেলে আমড়া মাখা খেতে আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করি। লবণ মরিচের গুঁড়ো দিয়ে অথবা কাসুন্দি দিয়ে মাখানো আমড়া খেতে খুবই সুস্বাদু। আমড়া একটি ফল বর্তমানে আমড়ার সিজন চলছে। আমড়া ফল হিসেবে যেমন খাওয়া যায় তেমনি এর আচার ও ভর্তা বেশ জনপ্রিয় খাবার। আয়রণ, ক্যালসিয়ামে ভরপুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমড়া ফল দেশীয় ফল হিসেবে বেশ পুষ্টিকর ও সহজলভ্য। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দেশী ফল আমড়াকে সোনালি আপেল ও বলা হয়।
আমরা সবাই জানি মৌসুমি ফল আমাদের শরীরের জন্য কতোটা উপকারী। এসব দেশীয় মৌসুমি ফল আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরাবরাহ করে আমাদের সুস্থতা নিশ্চিত করে। টক- মিষ্টি স্বাদের আমড়া শুধুমাত্র আচার কিংবা ফল হিসেবে নয় রান্নাতেও ব্যবহার করা হয়। আমড়া দিয়ে রান্না করা এসব রেসিপি বেশ সুস্বাদু হয় খেতে।আমাদের বাংলাদেশের বরিশাল ও সিলেট বিভাগের লোকজন আমড়া ফলকে রান্নার কাজে ব্যবহার করে নানান রকম রেসিপি তৈরি করে যা তাদের অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় খাবার। সাধারণত আমরা সব অঞ্চলের মানুষ ছোট মাছ রান্না, আমড়ার টক,কিংবা ডালের সাথে রান্না করতে পছন্দ করি।
প্রথমত আমড়া খেলে মুখের রুচি বাড়ে। সিজনাল ফ্লু, ভাইরাস জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা,ও সর্দিকাশি রোগ সারাতে আমড়া ফল দারুণ উপকারী। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকায় আমড়া ফল খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। ঠান্ডা লেগে কফ বসে গেলে তা কমাতে সাহায্য করে। আমড়া ফলে থাকা আঁশ বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে এবং ক্যালসিয়াসের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। আমরা সবাই জানি এন্টিঅক্সিডেন্ট রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। আমড়া ফল দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। পেশী গঠনে সাহায্য করে। হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে আমাদের সুস্থতা নিশ্চিত করে।
ফল হিসেবে আমড়া টক স্বাদের। আমড়া ফল খাওয়ার তেমন কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই তবে বেশি পরিমাণে খেলে মাথাঘোরানো হতে পারে। আমড়া ওজন কমাতে সাহায্য করে।টক স্বাদের ফল হওয়ায় খালি পেটে খেলে এসিডিটি ও গ্যাস হতে পারে এমন কি পেটে ব্যথাও। যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তাদের এই টকমিষ্টি স্বাদের আমড়া খেতে সতর্ক হওয়া উচিত। রাস্তাঘাটে কিংবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আমড়া ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত এসব অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্বাস্থ্যকর খাবার ও হতে পারে অস্বাস্থ্যকর।গর্ভকালীন সময়ে আমড়া ফল পরিমিত পরিমাণ খাওয়া উচিত নয়তো নানান রকম পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজকের ব্লগটি এই পযন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ফিরে আসছি নতুন কোনো লিখা নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
camera📸smartphone
Original image click by @farhanaaysha
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেনী | ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা📷 | স্মার্টফোন |
ডিভাইস | vivo v25 pro |
ফটোগ্রাফার | @farhanaaysha |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
https://twitter.com/farhana87988/status/1684256849909141504?s=20
আমরা এই ফলটি অনেক সুস্বাদু আমাদের বাড়িতেও এই গাছ রয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমরা এর বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। কাসুন্দি দিয়ে সত্যিই অসাধারণ খেতে মজা লাগে। বর্তমানে আমি বগুড়ায় কলেজ হোস্টেলে অবস্থান করছি। এখানেও আমাদের একটি আমরা গাছ রয়েছে। এই তো কিছুদিন আগে অনেকগুলো আমরা পেরে নিয়ে এসে খুবই মজা করে মেখে খেয়েছি।
আমি এ পর্যন্ত আমরা তরকারি রান্না করে খাইনি হয়তোবা আপনারা খেয়েছেন। তবে রান্না করেও খাওয়া যায়। অনেকেই এই গাছের পাতা অনেক মজা করে খায়। যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন এই আমড়া গাছের পাতা ছিড়ে লবণ দিয়ে লিখে পেতাম অনেক মজা করতাম।
আপনি সঠিক কথাই বলেছেন মৌসুমী ফসল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। ধন্যবাদ জানাই মৌসুমীর ফসল বিষয়টি নিয়ে উপকারিতা ও অপকারিতা সবকিছুই তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জেনে ভালো লাগলো আপনি আমড়া ফল পছন্দ করেন এবার আমড়ার রেসিপি ট্রাই করবেন আশা করবো আপনার অপছন্দ হবে না
অবশ্যই আমি চেষ্টা করব। যদিও এখন পর্যন্ত এসিপি টেস্ট করে দেখিনি তবে, হবে ইনশাল্লাহ।
আজকের আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টটি দেখে খুবই ভালো লাগলো কারণ আমার আমড়া খেতে খুবই পছন্দ, এবং আমাদের গ্রামগঞ্জে খুব বেশি দেখা যায় এই আমড়া এবং আপনার পোষ্টের মাধ্যমে কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো পাশাপাশি অপকারিতা সম্পর্কেও জানতে পেরে আরো বেশি ভালো লেগেছে কারণ যে কোন একটি জিনিসের ভালো এবং খারাপ দিক জেনে রাখা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি খুব সুন্দর করে আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আলোচনা করেছেন যা পড়ে অনেক ভালো লাগল। আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কিংবা গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আমড়া আমাদের সকলের প্রিয় একটি ফল। আমড়া হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ আমড়া তো প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আমড়া খেলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এবং আমরা যদি নিয়মিত খাবারের পরে আমড়া খাই তবে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবো।আমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্যারোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য পরিমাণে প্রোটিন, পেকনিক জাতীয় ফাইবার ও আন্টি অক্সিডেন্ট।আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে, হাড় দাঁত সমস্যা সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করার ক্ষেত্রে আমরা আর ভূমিকা রয়েছে অনেক।
আমড়ার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। আমড়া আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও অনেক কার্যকরী। আমড়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা ওজন বাড়াতে চান তারা প্রতিদিন আমড়া খান কারন আমড়াতে ক্যালরির মাত্রা কম থাকায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে তাই যারা ওজন কমাতে চায় তাদের আমড়া খাওয়া যাবে না। আমড়া একটি টক মিষ্টি ফল। আমড়া টক হওয়ায় খালি পেটে খাওয়া যাবেনা খেলে পেটব্যথা বা বদহজম হওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরিশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন
আপু আমার বাড়ি বরিশালে তাই এর সম্পর্কে আমার একটু ধারণা রয়েছে কিন্তু আপনি যে বললেন বরিশাল অঞ্চল গুলোতে আমরা কে বেশ কয়েকটি রেসিপিতে রান্না করা হয়। সেটি আসলে এখন আর হয় না এখানকার মানুষ অনেক মডার্ন হয়ে গিয়েছে এখন তাই এইসব অত্যাধুনিক খাবারগুলো এড়িয়ে চলছে।
আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে পারলাম।আমড়া হল সুস্বাদু একটি ফল। যা গ্রাম অঞ্চলের মহিলারা বেশি বাকি রান্না করে খায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি করার জন্য