আজকের গল্প//টান (শেষ পর্ব)
আসসলামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি আজকে আপনাদের মাঝে আবারও চলে এসেছি আজকের গল্প//টান (শেষ পর্ব) নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
যারা প্রথম পর্ব পড়ে আসেননি নিচে লিঙ্ক দেওয়া রইল।
প্রথম পর্ব👉 | লিংক |
---|
শেষ পর্বের ক্লিপ: পাহাড় সমান বাধা তো তার কালো চামড়া। সেই পাহাড় ডিঙিয়ে কাছে আসা সেতো প্রয়োজনে। ক্ষিদে মিটে গেলেই ফেলনা কালোখোসা। বিন্তি যেন মূল্যহীন সেই খোসা।
গল্প এখান থেকে শুরু: গাড়ি রাস্তায় আসার পর বিন্তি যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে। এই ভাদ্রমাসের ঠা-ঠা রোদ মাথায় নিয়ে হাটা কী কম কথা। পেট জানান দেয় তার কিছু চাই। গোটা রাত না খাওয়া শরীর যেন আর চলতেই চাইছে না। যাত্রী চাওনির বেঞ্জটাতেই বসে পরে বিন্তি। পিয়াসে কলিজা ফাটার উপক্রম। রাগের মাথায় ঘুমিয়ে থাকা মানুষটার পকেট থেকে হাতড়িয়ে আনা টাকা কয়টাই এখন সম্বল।
চা ফেড়িওয়ালাকে ডাক দিয়ে এক-কাপ চা আর দুটো বানরুটির হাতে নিয়ে। নিজেকে কেমন একদিনের রানী মনে হয়। চলে এসেছে, বেশ করেছে। তার টাকাতেই কেমন কোনকাজে হাত না লাগিয়েই খাবার হাজির। সেই মুহুর্তেই তার পাশেই বসে পড়ে এক বয়স্ক দম্পতি। পুরুষ মানুষটার ডানহাত বিষেশ কায়দায় গলায় ঝুলানো।
বান রুটির খানিকটা চা-তে ডুবিয়ে মুখে দিতেই। কেমন যেন গা গুলিয়ে আসে বিন্তির। কোন রকমে পানি দিয়ে কিছুটা গিলে। বাকিটা ফেলেই রাখে। জোর করে খেলেই বমি হবে।
শরীরের এই অস্বস্তি ভাবটা বেশ কিছুদিন থেকেই অনুভব করে বিন্তি। কাজের চাপে আর বেখেয়ালে মনেই আসেনি নিজের কথা। মেয়ে মানুষের শরীর যেন শরীরই নয়। যেন যন্ত্র। ব্যস্ত রাস্তায় মানুষের আনাগোনা । রিকশার টুংটাং শব্দ। বড় বড় গাড়িগুলো গন্তব্য ছেড়ে চলে যাওয়া। এতো সবকিছু চোখে দেখার ভিতরেও মনে যেন প্রশ্নটা বিধেই থাকে। এক আকাশের নিচে কতো বিস্তর জায়গা। তবুও যেন একটা ঠিকানার বড়ই অভাব। কোথায় যাবে বিন্তি।
একটানা কাসির শব্দে ফিরে তাকাতেই দেখে। বয়স্ক লোকটা কেসেই চলেছে। মহিলা বুকেপিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আবার কখনো পানির গ্লাস ধরছে মুখের কাছে। কাসি থামতেই ক্লান্ত চোখ বুজে আছে। অস্বাভাবিক বুকের ওঠা নামা।
ঠিক এই মুহুর্তে ঘুমিয়ে থাকা একটা মুখই ভেসে ওঠে মনে। সারাদিন খাটুনির পর মাথা গরম মানুষটা। ঘরে ফিরে হয়তো দুমুঠো ভাত ফুটিয়েও খাবেনা।
না খেলে না খাবে। বিন্তির তাতে কী। গতরাতটাই আবার ছবি হয় মনে।
শারীরিক আঘাতের চাইতে মবের আঘাতটাও কী কম। চোখ বুজে কিছু অনুভব করে বিন্তি। আবারও নড়ে ওঠে গর্ভে কিছু একটা। আনন্দের ঢেউ বুকে এসে ভাঙে। তবেকি এতোদিন পর করিম চাচার তাবিজের কাজ হলো। আর যেন ভাবনার সময়ই নেই। মানুষটাকে নতুন অতিথির খবরটা যে দিতেই হয়। সব অভিমান ভুলে আবার চেনা পথে পা বাড়ায় বিন্তি।
আজকের মত এখানে শেষ করছি বন্ধুরা, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং কমেন্টে জানাবেন গল্পটি কেমন হয়েছে |
---|
cc: @farhan456
Device | name |
---|---|
Android: | realme 8 |
Android version: | realme UI 3.0 Android 12 |
Camera: | 64MP |
Location: | Bangladesh-bogura |
Short by : | Pixabay |
গল্পটা পড়তে পড়তে একটু খারাপ লাগছিল বিন্তির জন্য। কিন্তু নতুন অতিথির কথা শুনতে পেয়ে খুব খুশি হলাম।কারণ সে তার নতুন অতীতের খবর দেয়ার জন্য। আবারো তার পুরনো ঠিকানায় ফিরে যাচ্ছে। আসলেই মায়া জিনিসটা বড্ড বেমানান।
রাগ দেখিয়ে হয়তো বা প্রিয়জনের কাছ থেকে কিছুটা সময় দূরে থাকা যায়। কিন্তু বেশিক্ষণ দূরে থাকা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারণ আমরা একটা মায়ার বাঁধনে সবাই আবদ্ধ, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। এত সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ভালো থাকবেন।
শারিরীক কষ্ট তো সাময়িক , ক্ষনিকের জন্য। আর মনের কষ্ট? সেটা চেষ্টা করলেও হৃদয়ে থেকেই যায়। শারিরীক কষ্ট শুধুমাত্র ব্যাথা, আর মনের কষ্ট জীবন্ত লাশ। তবে যাই হোক একজন নারী তখনই সবচেয়ে বেশি আনন্দ উপভোগ করে, যখন বুঝতে পারে তার গর্ভে কিছু একটা উকি দেয় খোচা দেয়। ভালো থাকবেন। গল্পটি সুন্দর হয়েছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া পোষ্ট টি মূল্যায়ন করে পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।