Incredible India monthly contest August#2 |My best and worst memories of life.

in Incredible Indialast year
20230824_205504.jpg(Image edit pixellab)

Source

প্রত্যেক মানুষের জীবনে ভালো এবং খারাপ উভয় স্মৃতি থাকে। কারণ অতীতে আমরা প্রত্যেকে ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি তেমনি আমাদের জীবনে খারাপ মুহূর্ত ও কাটিয়েছি। তবে অতীতে যেগুলো ঘটে গেছে সেগুলো শুধু স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। তবে এই স্মৃতিগুলো থেকে আমরা অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি এবং জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুজে পায়।

ধন্যবাদ আমাদের এডমিন ম্যামকে প্রতিযোগিতায় এত সুন্দর একটি বিষয়বস্তু রাখার জন্য। আমি আমার পক্ষ থেকে অবশ্যই চেষ্টা করব সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার।

১-আপনি কি মনে করেন স্মৃতি গুলো নিজেদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক? কিভাবে বর্ননা?

আমি অবশ্যই মনে করি যে স্মৃতিগুলো নিজেদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কারণ আমাদের জীবনে যেমন ভালো মুহূর্ত থাকে তেমনি খারাপ মুহূর্ত থাকে। কিছু কিছু স্মৃতি থাকে যেগুলো আমরা চাইলেও ভুলতে পারি না। সেটা ভালো স্মৃতি হোক কিংবা খারাপ স্মৃতি। তবে আমাদের সাথে এমন ভালো কিছু ঘটনা আবার খারাপ কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলো থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি এবং ভালো মানুষ হিসেবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারি। কারণ আমরা অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি এবং বর্তমানকে কাজে লাগিয়ে অবশ্যই ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারি।

২-আপনার জীবনের সেরা এবং সবচেয়ে খারাপ মুহূর্তগুলি ভাগ করুন যা এখনও আপনার স্মৃতিতে জীবিত রয়েছে।

প্রত্যেক মানুষের জীবনে যেমন ভালো মুহূর্ত থাকে তেমনি খারাপ মুহূর্ত থাকে। তেমনি আমার জীবনে ও যেমন ভালো মুহূর্ত ছিল তেমনি খারাপ মুহূর্ত ছিল। তবে সেগুলো শুধু এখন স্মৃতি হয়ে বেঁচে আছে।

আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত-

বাড়ি থেকে সাধারণত কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হতো না। কিন্তু সেইবার আমি প্রথম আমার দাদুর বাড়িতে ঘুরতে যাই। আসলে আমি হওয়ার আগে আমার বাবা এবং মা বাসা বাড়িতে এসে ভাড়া থাকতেন। তো আমি হওয়ার পরে খুব একটা আমার দাদুর বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া হতো না। আসলে এটা আমার বুদ্ধি হওয়ার পরের ঘটনা। তো সেবার প্রথম ঘুরতে গিয়েছিলাম অনেকটা আনন্দ করছিলাম।

happy-838981_1280.jpg
Source

অবশ্য সেখানে বাসে করে যেতে হয়। তো সেখানে যাওয়ার সময় রাস্তার ধারে অনেক গাছপালা দেখা যেত, অনেক বড় বড় বিল্ডিং দেখা যেত। তো সেগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগতো। তারপর সেখানে গিয়ে দাদা দাদির ভালোবাসা পাওয়া সত্যি খুবই আনন্দের ছিল। যে কটা দিন সেখানে থাকতাম খুবই আনন্দে কাটতো।খুবই মজা করতাম। আসলে সেই দিনগুলো হয়তো আর কখনো ফিরে আসবে না, সেই দিনগুলি এখন স্মৃতি হয়ে গেছে তবুও আজও মনের ভেতরে গেঁথে রয়েছে।

আমার জীবনের খারাপ মুহূর্ত-

আমি যখন আমার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেই তখন আমার দিনগুলি খুবই খারাপ গিয়েছিল। কারণ তখন আমার পাশে কেউ ছিল না। আপনার হয়ত অনেকেই জানেন যে আমার স্বামী একজন প্রবাসী। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। আমার শাশুড়ি, শ্বশুর, জা সবাই বাড়িতে ছিলেন। আমার যেদিন সিজার করবে তার আগের দিন আমার মা আমার শ্বশুরবাড়িতে আসেন। তো যখন আমি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম তখন বুঝতে পারিনি যখন সন্ধ্যার দিকে সিজার করে আমি দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলাম তখনও কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি আমি কতটা একা।

time-1739629_1280.jpg
Source

এরপর রাত পার হয়ে যখন সকাল হলো তখন বুঝলাম যে আমি ঠিক কতটা একা। আমার মা এবং আমার শাশুড়ি হাসপাতালে ছিলেন। কিন্তু আমার শাশুড়ি শুধু নামেই ছিলেন। আমার মা আর শাশুড়িকে সকাল হতে না হতেই বলছিলেন যে বাসা থেকে কিছু রান্না করে নিয়ে আসার কথা। কিন্তু আমার শাশুড়ি আমার মাকে বলে যে তোমার মেয়ের জন্য তুমি রান্না করে আনো আমি পারবো না। এই কথা বলে আমার শাশুড়ি বাড়িতে চলে আসে।

এরপর আমার মা ও হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসেন রান্না করার জন্য। তখন আমার পাশে কেউই ছিল না। তখন আমার মেয়ের প্রসাব পায়খানা পরিষ্কার করা সবকিছুই আমাকেই করতে হয়। সন্ধ্যার সময় সিজার করা রাত পার হয়ে সকাল হতে পারেনি আমাকে নিজের কাজ সবকিছু নিজেকেই করতে হয়েছে। আমার পাশে তখন কেউই ছিল না।

আসলে বাড়ি যেহেতু পাশে এজন্যই বাড়িতে আমার মা রান্না করতে এসেছিল। এক থেকে দেড় ঘন্টা পরে আবার আমার মা হাসপাতালে যাই। যে কটা দিন হাসপাতালে ছিলাম আমার মা বাড়িতে আসতেন আর আমাকে সব একা একাই করতে হতো। এই সময় যখন পাশে কেউ না থাকে তখন নিজের যে কতটা খারাপ লাগে সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আসলে আমি মনে করি এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত। হয়তো অপরদিকে মা হওয়াটা অনেকটাই আনন্দের মুহূর্ত ছিল কিন্তু সে সময় কাউকে পাশে না পাওয়াটা যে কতটা কষ্টের সেটা যাদের সাথে ঘটেছে একমাত্র তারাই জানে। আর এই স্মৃতি সারা জীবন আমার মনে থাকবে।

৩- সেই স্মৃতিগুলির সাথে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন, আপনি কীভাবে সেই পরিস্থিতিগুলি মোকাবেলা করবেন?

একা একা থাকার যে মুহূর্ত সেই মুহূর্ত থেকে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটা থেকে আমি বুঝতে পেরেছি বিপদের সময় নিজের কাছের মানুষ জন কেউ কাছে পাওয়া যায় না। যাদের জন্য নিজের সারাটা জীবন দিয়ে দিলাম বিপদের সময় তাদেরকে পাশে পাওয়া যায় না।

এই পরিস্থিতিতে নিজের কাজ সব সময় নিজেকেই করতে হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায়ও নিজেকে লড়াই করতে হয়েছে। আর এই স্মৃতিগুলো সারা জীবন মনে থাকবে। তবে যারা অবশ্য আমার বিপদে আমার হাত ছেড়ে চলে গিয়েছিল আমার পাশে দাঁড়ায়নি আমি তাদের সাথে কখনো এরকম কোন কাজ করব না। তারা আমার বিপদের সময় আমার পাশে না থাকার কারণে আমি এটা বুঝতে পেরেছি যে সব সময় নিজেকে জীবনে লড়াই করে বাঁচতে হবে তবেই জীবনটা অনেক সুন্দর হবে।

৪- আপনি এই পরিস্থিতি থেকে কোন পাঠ শিখেছেন?

workshop-4524838_1280.jpg
Source

আমি এই পরিস্থিতি থেকে এটা শিখেছি যে সব সময় নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়। কখনো অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে নেই। অন্যের উপর নির্ভরশীল হলেই জীবনে অনেক কষ্ট পেতে হয়। অনেক আঘাত পেতে হয়। কারণ যাদের ওপর নির্ভরশীল হবেন তারাই বেশি বেশি আঘাত দেয়। এজন্য সব সময় নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে এবং সব সময় নিজেই নিজের উপর নির্ভরশীল হতে হবে। আর অবশ্যই সুন্দরভাবে বাঁচতে হলে নিজেকে লড়াই করে বাঁচতে হবে।

আমি ঠিক জানিনা প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পেরেছি কিনা। তবুও আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেওয়ার।

আমি এখানে আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত এখানে শেয়ার করুন @xhadhin, @sayeedasultana, @samin1

সবাই ভাল থাকুন এবং সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
Loading...
 last year 

প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি এই প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর খুব ভালোভাবে উপস্থাপনা করছেন। মা হওয়াটা আনন্দের কিন্তু, যদি এই আনন্দের মুহূর্তে কেউ না থাকে পাশে তাহলে আমি মনে করি অনেকটাই বেদনাদায়ক। সিজার করার পর শরীর থেকে অনেক রক্ত প্রবাহিত হয় তখন একজন মা কতটা দুর্বল অনুভব করে সেটা যার সাথে ঘটছে সেই একমাত্র জানে। এমত অবস্থায় আপনি নিজের কাজ নিজেই করেছেন এটা শুনে অনেক খারাপ লাগছে। আপনার সন্তান ও আপনার জন্য দোয়া রইল, ভালো থাকবেন।

 last year 

আসলে বিপদের সময় খুব কাছের মানুষকে ভালোভাবে চেনা যায়। যেমনটা আমি বুঝতে পেরেছি যতক্ষণ কারো জন্য কাজ করবেন ততক্ষণ ভালো থাকা যায় আর যখনই নিজে বিপদে পড়া হয় তখন আর কাউকেই পাওয়া যায় না। যাই হোক এখন আমি আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।

ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।

 last year 

প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।

আপনি আপনার মত করে প্রতিযোগিতা প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম। আপনি লিখেছেন যখন আপনার দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তখন আপনার সময়টা ছিল খুব খারাপ। আসলে আমাদের মেয়েদের জীবনটাই এমন সামান্য একটু কষ্ট পেলে। আমরা মা বলে চিৎকার করি,,, কিন্তু যখন একটা মেয়ের সন্তান প্রসব করে। সেই যন্ত্রণা কতটা হৃদয়বিদারক সেটা হয়তবা একটা মেয়ে বুঝতে পারে।

আপনার শাশুড়ি আপনাদের কে রেখে চলে এসেছিল। আপনার মা বাড়িতে গিয়েছিল রান্না করার জন্য। সেই বিষয়টা খুবই খারাপ লাগলো আপনি সেই ঘটনাগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে। হ্যাঁ এটাই একদম সত্য। কারণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলে গিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি হাত পা নাড়াতে পারেন,,, ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের কাজ নিজেই করুন। আমার কাজ আমি একাই করব।

অসংখ্য ধন্যবাদ,, নিজের জীবনের দুঃসময় এর অভিজ্ঞতাটা আমাদের সাথে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

 last year 

নিজের কাজ নিজে করা ভালো তাহলে আর কারো কাছ থেকে কোন আঘাত পেতে হয় না এটা আমি মনে করি। আর এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলে গিয়েছেন নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন

 last year 

আসলে মেয়েরা জীবনের অনেক কষ্ট ভুলে যেতে পারে তবে গর্ভাবস্থায় ও সন্তান জন্মদানের আগে পরে সে যদি কোন কষ্ট করে থাকে সে কষ্টের কথা সে জীবনেও ভুলতে পারে না। এটা আমি জানি কারন এরকম বহু স্মৃতি আমারও আছে।আপনার জন্য অনেক সমবেদনা রইল। আপনি যে চরম কষ্টে ওই দিনগুলো পার করেছিলেন সেই কষ্ট যাতে আপনি ভুলে যান। দিনগুলোর বিপরীতে আপনি সাহস সঞ্চয় করে আপনার জীবন অতিবাহিত করতে পারেন সে কামনাই করছি।ভালো থাকবেন আপনার প্রতি অনেক শুভকামনা থাকলো।

 last year 

মেয়েরা জীবনে সব কষ্ট ভুলে যেতে পারে কিন্তু কিছু কিছু কষ্ট বা আঘাত মন থেকে মুছে ফেলতে পারে না। তবুও হাসিমুখে সবকিছু মেনে নিয়ে এগিয়ে চলে।

ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।

 last year 

শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সুন্দরভাবে দেয়ার জন্য।
আসলে আমাদের মাঝে অনেকেই যখন মা হয় তখন শশুড় বাড়ি থেকে যতটা সাপোর্ট পাওয়া প্রয়োজন ততটা পায় না।আপনার সাথেও এমন হয়েছিল জেনে খারাপ লাগলো।

আপনার এবং আপনার সন্তান সবসময় ভালো থাকুক এই দোয়া করি।

 last year 

আসলে অনেকের সাথেই এরকম ঘটনা ঘটে। তবু ও মেয়েরা সব হাসিমুখে মেনে নেয়। তবে কোথাও না কোথাও মনের ভিতরে একটা কষ্ট তো থেকেই যায়। সেটা হয়তো কখনো প্রকাশ করতে পারে না।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 63957.85
ETH 2753.76
USDT 1.00
SBD 2.66