জীবনে কখনো কখনো নিজেকে ছোট হতে হয়
হ্যালো সকল স্টিমিয়ান বন্ধুরা,
আমার পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ইনশাল্লাহ অনেক ভালো আছি।
জীবনে কখনো কখনো নিজেকে ছোট হতে হয়। এমন অনেক সময় আসে যে পরিস্থিতিতে নিজে দোষ না করলেও, কোন ভুল না করলেও ভুলের মাশুল নিজেকেই গুনতে হয়। কিন্তু এমন এক সময় আসে যে সময় তারাও বুঝতে পারে যে ভুলটা তাদের। তখন কিন্তু তারাই আবার আমাদেরকে কাছে টেনে নেয়, আপন করে নেয়।
যেমন খুবই সাধারণ একটি উদাহরণ দেয় বাড়ির বউরা কোন দোষ না করলেও কিন্তু তার দোষ ধরা হয়। সবকিছুতেই যেন তাদের দোষই খুঁজে বের করে। বাড়ির বউরা শ্বশুর-শাশুড়ি বলেন স্বামী বলেন কিংবা বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের কথাই বলেন না কেন তারা যদি কোন অন্যায় কাজ করে এবং বাড়ির বউরা যদি সেই অন্যায় কাজে বাধা দেয় কিংবা সেই অন্যায় কাজ করতে বারণ করে তাহলে কিন্তু বাড়ির বউদের নানা ধরনের কথা শুনতে হয়।
বাড়ির বউরা যদি বলে এটা করো না, এটা করলে ক্ষতি হবে, এটা করলে বিভিন্ন সমস্যা হবে এরকম কোন কথা বাড়ির বউরা বলতে পারবে না, বললেই নানান কথার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু যখনই বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা কোন বিপদের সম্মুখীন হবে তখন কিন্তু সেই বাড়ির বউদেরই কাজে লাগে। তখন কিন্তু আবার তাদের দেখাশোনা করার জন্য আর কেউ থাকেনা। তখন বাড়ির বউরা তাদের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়।
অথচ দেখুন এই বাড়ির বউরা সংসারের জন্য কত কিছু না করে। তারা বাড়ির মানুষের জন্য কতই না ত্যাগ স্বীকার করে, অথচ কোন দোষ না করলেও তাদেরকে নানান কথার সম্মুখীন হতে হয়। আসলে এরকম আমাদের সমাজের যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। বাড়ির বউরা যাই বলুক না কেন ভালো কথা হোক কিংবা খারাপ কথা সব কথাতেই যেন তাদেরই দোষ।
দোষ না থাকা সত্ত্বেও বাড়ির বউদের কিন্তু অনেক ছোট হতে হয়। বাড়িতে সামান্য অশান্তির সৃষ্টি হলেও বাড়ির বউদের ক্ষমা চাইতে হয় অন্যায় না করা সত্ত্বেও। কিন্তু তারাও পরে এটা বুঝতে পারে যে দোষটা তাদের। দোষটা বাড়ির বউয়ের না। তারপরেও তারা কিন্তু বাড়ির বউদের কাছে কখনো ছোট হয় না। সব সময় বাড়ির বউদেরকেই ছোট হতে হয়।
এছাড়া আমাদের সমাজে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যেখানে সংসারের সামান্য অশান্তির ফলে সংসার ভেঙে যায়। সে ক্ষেত্রেও যদি মেয়েদের কোন দোষ না থাকে তাহলেও কিন্তু মেয়েদের দোষটাই ধরা হয়। তাদের নানান কটু কথার সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রেও কিন্তু মেয়েদেরকে ছোট হতে হয়।
অবশেষে বলবো কিছু কিছু সময় নিজে ছোট হলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। আমরা কেমন কিংবা কিভাবে চলি কিংবা কতটা খারাপ সেটা কেউ না জানলে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানে। এজন্য কে কি ভাবলো, কে কি বলল সেসব কথায় কান না দিয়ে সব সময় নিজে কি করছি সেটা নিয়ে ভাবা উচিত। নিজে সৎ হলে একসময় না একসময় সৃষ্টিকর্তাও সহায় হবে। আর তারাও কিন্তু তাদের ভুলটা বুঝতে পারবে এবং আমাদেরকে কাছে টেনে নেবে। এজন্য বলব যাই করেন না কেন সব সময় সততার সাথে করতে হবে।
তো বন্ধুরা আজকের মত লেখাটি এখানেই শেষ করছি। সবাই ভাল থাকুন এবং সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন বাড়ির বউদের সব কিছুতেই খুঁটিনাটি কাজে দোষ ধরেই থাকে। আমরা যে কোন কাজ করি না কেন কিন্তু ভয়ের ভিতরে কাজটা করি তারপর সে তারা দোষ ধরে থাকে।
পরে তারা নিজেরাই বুঝতে পারে দোষটা কার হয়েছে। তারা যে পরে এটা বুঝতে পারে এটাই আমাদের কাছে অনেক বড় একটা জিনিস। আসলে ঘরের বউদের সব কিছু কাজের সম্মুখীন হতে হয় আমাদের এটা বুঝে চলতে হবে।
আপনাকে অনেক অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।
থ্যাঙ্ক ইউ আমার কমেন্টে আবার রিপ্লাই দেওয়ার জন্য
আপনার লেখার পড়ার পর কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না। আসলে আমাদের বাংলাদেশের পুরুষ শাসিত সমাজে,, নারীদের কোন মূল্য নেই বললেই চলে। কথাটা একদমই বাস্তব। হয়তো বা পুরুষের কাছে এই কথাটা গিয়ে আপনি বলুন। উনি কখনোই এটা স্বীকার করবে না। বাড়ির বউরা কতটা ত্যাগ স্বীকার করে। সেটা হয়তো বা তারাই জানে,, সকালে হয়তো বা মাঝে মাঝে দেখা যায়। সবার জন্য নাস্তা তৈরি করা হয়। সবাই নাস্তা খেয়ে যে যার মত করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। কখনো কেউ জিজ্ঞেস করে না,, ঘরের বউ নাস্তা খেয়েছে কিনা।
বিশেষ করে আমার ফ্যামিলিতেই দেখি,, সামান্য একটু ভুল হলেই আমার যত দোষ। যেই দোষ আমি করিনি,, সেটাও মাথা পেতে গ্রহণ করতে হয়। কারণ আমি তো ঘরের বউ। ঘরের মেয়েরা দোষ করলেও আমারই দোষ,, সবকিছু মেনে নিতে নিতে এখন আর কোন কিছুই ভালো লাগেনা। মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা হয়তোবা এভাবেই পার হয়ে যাবে,, আর কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো না।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, এত সুন্দর একটা টপিক আলোচনা করার জন্য। দোষ না করেও দোষারোপ আমাদেরকেই স্বীকার করে নিতে হয়। কারণ আমরা মেয়ে,, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন। সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই আপনার সহায় হবেন। ভরসা রাখুন,,, ইনশাআল্লাহ কোন একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।