গতকাল দুপুরের পর যে ভাবে চলেছিলাম।
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভালো আছেন। আসলে আজ কয়েক দিন ধরে আমাদের এখানে একাধিক ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। যার জন্য মোবাইলে নেটের সমস্যাটাও অনেক বেশি। গতকালকে পোস্ট লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু নেটওয়ার্কের অনেক সমস্যা ছিলো। তাই আর গতকালকে পোস্ট শেয়ার করা হয়নি। ভেবেছিলাম গতকালকে দুপুরের পরে যে কাজ গুলো করেছিলাম সেই কাজ গুলো শেয়ার করব। যাইহোক তাই আজকে গতকালকে সেই দুপুরের পরের কাজ গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করছি।
এখন বর্তমানে আমাদের এখানে কাজ হচ্ছে শেষের মুখে এটা আমি আমার আগের পোস্টেও উল্লেখ করেছিলাম। যাইহোক এখন চলছে আমাদের এসি দেয়ালে ফিট করা। যে কাজটি করার জন্য আমরা তিন জন ওপরে যাই। আমি এখনো ভালো ভাবে এসি লাগাতে পারি না। তবে যতটুকু দেখেছি কম বেশি বুঝি। এবং মামুন ভাই এখন কম বেশি এসি লাগাতে পারে। মামুন ভাই অনেক পুরাতন একটি মানুষ তাই সে এখন কম বেশি কাজ পারে।
যাই হোক তিন জন আমরা ওপরে গিয়ে আমি কালকে ওপরে উঠে এসি লাগাতে গিয়ে ছিলাম। বেশির ভাগ ওপরে ওঠে মামুন ভাই । এখন বর্তমানে আমাদের সাথে কাজ করে। যাইহোক মামুন ভাই কে বলে আমি ওপরে উঠে যাই এসি লাগাতে। অবশ্য সব কিছু পেরে ছিলাম কিন্তু মনের মধ্যে একটু ভয় লেগেছিল। তাই কিছু সময় পরে মামুন ভাই কে বলে আমি নিচে নেমে আসি। আমাদের সাথে আরেকটি যে ভাই ছিলো সে এবং মামুন ভাই এক সাথে কাজ করছিল।
আমি নিচে এসে আরো যে এসির মেশিন গুলো আছে সেই মেশিন গুলো ঠিক করছিলাম। কারণ এখানে কিছু নাট আছে যে নাট গুলো খুলে রেখে দিলে উপরে উঠে লাগাতে অনেক সুবিধা হবে। তাই আমি সেই গুলো বসে বসে খুলছিলাম এবং সব কিছু ঠিক করে রেখেছিলাম। কিছু কিছু জায়গায় বিলাক টেপ পেচাতে হয় যে গুলো উপরে উঠে করতে অনেক কষ্ট হয়। তাই আমি সে গুলো নিচে বসে বসে ঠিক করছিলাম। বাহিরে কিন্তু তখন অনেক বৃষ্টি ছিলো যাই হোক বৃষ্টি অবস্থায় ছবিটি ধারণ করা হয়নি।
কিছু সময় পরে বাহিরের দিকে লক্ষ্য করলাম বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। আসলে ২-৩ দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হতেই আছে। যার জন্য আমরা অনেকটা বিরক্তি হয়ে আছি। যাই হোক বাহিরে এসে দেখতে পেলাম ছোট ছোট কিছু ফুল গাছ। আসলে ফুল গাছের নাম আমি জানি না তবে ফুল গাছে বৃষ্টির পানি পড়ে অনেক সুন্দর লাগছিল। আমাদের আশে পাশে এই ছোট্ট ছোট্ট ফুল গাছ গুলো আসলেই দেখতে অনেক সুন্দর।
অবশ্যই যখন এই গাছে ছোট ছোট ফুল দারুন হবে তখন দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগবে। যাই হোক সেখানে দাঁড়িয়ে আমি তিন টি ফুল গাছের ছবি ধারণ করি। অবশ্যই ফুল গাছ গুলো আমি বাংলাদেশ এর আগে কখনো দেখিনি। তবে এখানে ফুল গাছ গুলো সত্যি বৃষ্টির পানি পেয়ে অনেক সুন্দর এবং মধুময় পরিবেশ ছিলো। হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পরে আসলে পরিবেশটি অনেক সুন্দর লাগে যে পরিবেশ টি আপনারা সবাই উপভোগ করেন মাঝে মধ্যে অবশ্যই।
আকাশের রংটি কালো মেঘে ভরা ছিলো গাছের মধ্য থেকে এই আকাশের রংটি দেখতে সত্যিই মুগ্ধকর ছিলো । অবশ্যই ছবি দেখে আপনারা সেটা অনুভব করতে পারছেন। যেহেতু আমরা দুই তিন দিন পরে এই বৃষ্টি থামা পেয়েছি কিছুটা ভালো লেগেছিল। আসলে বৃষ্টি আসছে কিন্তু কাজে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও যেতে হয়েছিল । কারণ কাজ ছিলো আমাদের ঘরের মধ্যে। যেহেতু ঘরের মধ্যে আমাদের কাজ তাই বৃষ্টি আসলেও কোনো সমস্যা নেই তাই আমরা উপরে ধীরে ধীরে চলে যাই কাজে।
বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরে আমাদের যে কাজ গুলো ছিলো সে গুলো আমরা শেষ করে ভালো ভাবে চলে আসি। কিন্তু রাতে অনেক বৃষ্টি হয়ে যায় নেটের অনেক সমস্যা থাকে। অবশ্যই আপনারা বুঝতে পারছেন বৃষ্টি আসলে আকাশের অবস্থা অনেক খারাপ থাকে। এবং নেটওয়ার্কের ও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। যেটা আমার সাথেও গতকাল হয়েছিল। যাইহোক আশা করব আমার আজকের পোস্টটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।












Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মালয়েশিয়ার বৃষ্টির ছোঁয়া এখন আমাদের এখানেও চলে এসেছে, তাই আজ ভোর থেকে এখানেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সারাদিন মোটামুটি টুপটাপ বৃষ্টি চলেছে, যদিও এই মুহূর্তে বৃষ্টি বন্ধ আছে। বৃষ্টির মধ্যে আপনাদের কাজ চলেছে এবং আপনি আপনার সাধ্য মতন এ.সি.র কাজ করার চেষ্টা করেন। আমার বিশ্বাস একটা সময় আপনিও এ.সি.র সম্পূর্ণ কাজ করা শিখে যাবেন। বৃষ্টি ভেজা ফুল গাছের ছবিগুলো খুবই সুন্দর তুলেছেন, তার সাথে মেঘলা আকাশের ছবিও। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রমের পাশাপাশি এতো সুন্দর ছবিগুলো দেখে। ভালো থাকবেন।
আসলে আমাদের এখানে আজ কয়েক দিন ধরে অনেক বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। তবুও আমাদের রুমের মধ্য কাজ ছিল বলে খুব বেশি সমস্যা হয় নাই কাজের দিক থেকে। আসলে দিদি একটি কাজ করতে করতে অভ্যাস হয়ে যায় এবং এই অভ্যাস থেকে পারদর্শী। চেষ্টা করেছেন নিজের মতো করে এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য। যাইহোক আমার ধারণ করা ফুল গাছের ছবিগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটা জানতে পেরে আনন্দ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।