অন্য মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে কখনো সুখে থাকা যায় না। পর্ব-২
হ্যাপি বেশ কিছু দিন থেকে আবার চলে গেলো তার নিজের জায়গায়, এবং অনেকদিন পিয়া দের বাড়ি আসে না কারণ পথ অনেক দূরে তাই সব সময় আশতে পরে না। এভাবে কেটে গেলো চার বছর,২০২০ সালে পিয়া কলেজে উঠেছিলো তাই তার বাসা থেকে বিয়ে দেবে বলে ঠিক করেছিলো, হ্যাপি এই কথা শুনে পিয়া দের বাসায় আবার চলে আসলো।
PixeILab অ্যাপস দিয়ে এডিট করা হয়েছে ছবিটি।
পিয়াকে এসে বলে তুমি কি এখন বিয়ে করতে চাও পিয়া বলল আর লেখাপড়া করা আমার পক্ষে সম্ভব না, বাসা থেকে বিয়ের চাপ দিচ্ছে হ্যাপি এই কথা শুনে একটু মন খারাপ হয়ে পড়লো কারণ হ্যাপি পিয়া কে নিজের ছোট বোনের মতো দেখত। এবং হ্যাপি চায়না এতো দ্রুত পিয়া বিয়ে করুক পিয়া কে অনেক লেখাপড়া শেখাবে এমন মনো ভাবনা নিয়েছিলো হ্যাপি।
কিন্তু হ্যাপির কথা কেউ শুনতে চাই না পিয়ার বাবা এবং মা বিয়ে দিতে চাই, সাথে পিয়ার ও মত আছে তাই অনেক চাকরিজীবী ছেলেরা দেখতে আসে পিয়াকে কিন্তু পিয়া এবং পিয়ার মা-বাবাকে একটি ছেলেও পছন্দ হয় না।
অবশেষে গ্রামের একটি মানুষ পিয়ার জন্য একটি ছেলে নিয়ে আসে, ছেলেটি দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলো বয়স অনেক বেশি পিয়ার আব্বার বড় পাশের গ্রামে তাদের বাসা। ছেলেটি যখন পিয়া কে দেখতে আসে সাথে ছিলো পিয়ার দাদি এবং হ্যাপি পিয়ার আম্মা বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিলো।
এবং পিয়াকে দেখে ছেলের অনেক পছন্দ হয়ে যায় কিন্তু পিয়ার আম্মার এবং বাড়ির কোন সদস্যর পছন্দ হয় না সেই ছেলেকে কারণ ছেলের বয়স অনেক বেশি। প্রথমে সবাই বলছিলো এই ছেলে কখন চলে যাবে কিন্তু একটু পরে ছেলে পিয়ার মায়ের সাথে কথা বলতে চাইলো।
বাহিরে এসে কথা বলছিলো এবং ছেলে পিয়ার মাকে বলল আপনার মেয়েকে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। বিয়ের সব খরচ আমি দিবো এবং আপনার বড় ছেলেকে আমি বিদেশ নিয়ে যাবো। আপনাদের পুরো পরিবারের দায়িত্ব আমি নিতে চাই এবং আট ভরি স্বর্ণ দিয়ে নিয়ে যাবো সাজিয়ে। আপনার মেয়েকে শুধু আপনার মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিতে হবে।
এই কথা শুনে পিয়ার আম্মা রাজি হয়ে গেলো কিন্তু হ্যাপি রাজি ছিলো না, হ্যাপি পিয়াকে বলল তুমি অন্য ছেলেকে বিয়ে করো তোমার চেয়ে অনেক বয়স বেশি এই মানুষের সাথে তুমি কখনো সংসার করতে পারবে না। তাই পিয়া বলে উঠলো হ্যাপিকে আমি বিয়ে করবো কারণ সে আমার পুরো পরিবারের দায়িত্ব নিতে চাই।
হ্যাপি বলল আমি পাঁচটি বছর তোমার পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে চালিয়ে এসেছি, এবং আগামীতেও তোমার পরিবারের দায়িত্ব আমি নিবো তুমি এই বিয়েটি করো না। কিন্তু হ্যাপির কথা কেউ শুনতে চাইলো না। এবং হ্যাপিকে অনেক বাজে কথা বলে তাদের বাসা থেকে চলে যেতে বললো পিয়ার পরিবার ও পিয়া।
বন্ধুরা পরবর্তী পোস্টে জানতে পারবেন হ্যাপির সাথে কি হয়েছে সব শেষে, আজ এখানে শেষ করছি ধন্যবাদ সবাইকে।
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
.............
Upvoted 👌 (Mana: 1/8) Get profit votes with @tipU :)
গল্প শুরুটা অনেক ভালোই লাগছিল কেননা একজন অসহায় ফ্যামিলির পাশে দাঁড়িয়েছিল হ্যাপির মত ব্যক্তি, চার বছর যাবত সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে তার কথায় কোন গুরুত্ব নাই তাই গল্পটা যত শেষ হচ্ছে ততই খারাপ লাগছে কেননা যে ব্যক্তি উপকার করলো তাকে আস্তে আস্তে ভুলে যাচ্ছে নতুন কাউকে খোঁজার চেষ্টা করছে। তৃতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর গল্প উপস্থাপনা করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ে একটি সুন্দর মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য।
হ্যাপি তাদের সংসারের দায়িত্ব নিয়েছিল,, অনেকদিন এবং তাকে পড়াশোনা করার টাকাও দিয়েছিল! কিন্তু আজকে একটা বিদেশি ছেলের কথা শুনে তারা সবাই প্রিয়াকে অনেক বাজে কথা বলে! এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এ বিষয়টি আসলে আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে।
আপনার গল্পের পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সমাজের কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন আপনার লেখার মাধ্যমে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।