বাসি ভাত দিয়ে সুন্দর কিছু ভাজি তৈরি।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজ একটি ভিন্নতা ধরনের পোস্ট নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে। আজকে কিছু ছবি ধারণ করেছিলাম। সেই ছবিটার বিষয় নিয়ে কিছু কথা। আমরা অনেকে খাদ্য নষ্ট করে থাকি। কেউ ভাত নষ্ট কি আবার কেউ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল নষ্ট করে থাকি। আসলে এই খাদ্য গুলো আমরা নষ্ট না করে যে কোনো একটি কাজে লাগাতে পারি।
ভাত বাসি হয়ে গেলে আমরা ফেলে দেই কিন্তু এই বাসি ভাত দিয়ে অনেক সুন্দর কিছু তৈরি করা যায়। আমরা বাংলাদেশে পাপড় দেখেছি এবং খেয়েছি। তবে ইন্দোনেশিয়ারা অনেক সুন্দর করে ছোট ছোট করে কিছু পাপড় তৈরি করে। এটা শুধু ভাত এবং লবণ দিয়ে তৈরি। এই জিনিসটা যে শুধু শুধু খাবে তা কিন্তু নয়। এটা ভাতের সাথে যে কোন তরকারির সাথে খাওয়া যায়। বাংলাদেশের পাপড় ভাত দিয়ে খেয়ে দেখবেন সেটা খেতে অনেক ভালো লাগে।
যে কোনো তরকারির সাথে যে কোন সময় ভাতের সাথে একটি পাপড় নিয়ে খেলে আসলেই সুন্দর লাগে। আমি অবশ্যই ২ দিন খেয়েছি কিন্তু সেই দুই দিন আমার কাছে আসলেই ভালো লেগেছিল। যাইহোক ইন্দোনেশিয়ারা বাজার থেকে পাপড় না নিয়ে এসে নিজেদের ঘরে বসে তৈরি করে। এবং সে গুলো অনেক সুন্দর ভাবে রোদ দিয়ে শুকিয়ে। পরে খাওয়ার সময় অল্প কিছু ভেজে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে।
এক কথা বলতে গেলে তাদের এটি প্রতি দিনের অভ্যাস বললে ভুল হবে না। তাদের যে কোনো সময় খাওয়ার মুহূর্তে তারা সাথে এই জিনিসটা খেয়ে থাকে। আমি আসলে এখান থেকে বেশ কিছু দিন আগে। একটি ইন্দোনেশিয়ার মহিলা আমাকে দিয়েছিল। অবশ্যই তার আগে আমি কখনো খাইনি। এবং সত্য কথা বলতে নেওয়ার কোন ইচ্ছা ছিলো না। তবুও মানুষের সম্মানের খাতিরে নিয়েছিলাম এবং নেওয়ার পরে বুঝতে পারলাম এটা খেতে কতটা সুস্বাদু। এবং তার পরে গিয়ে আরো একদিন আমি নিজে গিয়ে তার কাছ থেকে নিয়ে এসেছিলাম।
তাইতো আজকে যখন আমি এই জিনিসটার রোদ দিতে দেখলাম। এবং হঠাৎ মনে হলো এই দিক থেকে একটু ঘুরে আসি। যখন গিয়ে দেখলাম এই জিনিসটা রোদে শুকাতে দিয়েছেন তাই কয়েকটা ছবি ধারণ করেছিলাম। এই জিনিসটা এক বার খেলে আসলে তার বার বার খেতে মন চাবে। যাহোক এটা কিন্তু খুবই সাধারণ ভাবে তৈরি করা। পান্তা ভাত এবং লবণ এক সাথে দিয়ে অল্প অল্প করে রেখে দেওয়া।
দুই তিন দিন একাধিক ভাবে রোদ দিতে দিতে এই জিনিসটা শুকিয়ে অনেক সুন্দর হয়ে যায়। এবং আমরা তো এইটা বুঝি কোনটা শুকিয়ে আছে ভালো এবং কোনটা শুকাতে দেরি হবে। তারপরে খুবই সুন্দর করে তেল দিয়ে এটা ভেজে নিয়ে আসতে হয়। এবং ভাতের সাথে অল্প কিছু কিছু খেতে হয়। অবশ্যই আমরা নিজেরা তৈরি করতে পারি কিন্তু আমাদের সেই সময় নেই। যাহোক ইন্দোনেশিয়াদের এই সময়টা অনেক আছে। কারণ তাদের এটা অভ্যাস তারা হাজার ব্যস্ততার মধ্যে থাকলেও তাদের এটা করে নিতে হয়।
আসলে এই জিনিসটা দেওয়ার কারণ আমাদের বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে ভাত নষ্ট করে। সেই ভাত গুলো নষ্ট না করে কিন্তু আমরা এই সুন্দর জিনিসটা তৈরি করতে পারি। তাতে করে আমাদের ভাত অপচয় হবে না। যাই হোক বন্ধুরা আমি আশা করি আমার এই লেখাটা এবং পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে সবাই ভালো থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খাবার অপচয় করা অনেক বড় একটা অপরাধ বলে আমি মনে করি। মানুষ বেঁচে থাকে খাদ্যের উপর নির্ভর করে, খাবারের মূল্য তারাই বোঝে যারা দু'বেলা ঠিক মতো খেতে পারে না। এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয় আমাদের আশেপাশে।
তবে বেঁচে যাওয়া খাবারও যে অন্য ভাবে মুখরোচক খাবার হিসাবে তৈরি করা যায় সেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। বাসি ভাত দিয়ে এমন খাবার তৈরি করা যায় সেটা আমার জানা ছিলো না। যারা বেঁচে যাওয়া খাবার ফেলে দেয় তাদের জন্য আপনার পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভালো থাকবেন।
We would like to appreciate your presence and activities towards the community. Our community also likes to inspire you to participate in the engagement by visiting others' posts and making insightful comments.
Regards
@tanay123( Moderator )
Incredible India
Date:- 12/12/2024
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটিপোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার পোস্টটি সত্যি অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক এবং বাস্তবিক। খাবার নষ্ট না করে কীভাবে সেটিকে নতুনভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে আপনার এই ভাবনা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বাসি ভাত দিয়ে পাপড় তৈরি করার এই ধারণাটি অত্যন্ত সৃজনশীল এবং পরিবেশবান্ধব।
ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী এই পদ্ধতিটি দেখে শেখার মতো। এটি শুধু খাদ্য সংরক্ষণই নয়, বরং অপচয় রোধেরও একটি চমৎকার উদাহরণ। আপনার ছবিগুলো এবং লেখার মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
বাংলাদেশেও যদি এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যায়, তাহলে অনেক খাবারের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। আপনার এই পোস্ট থেকে অনেকেই নতুন কিছু শিখতে পারবে এবং নিজেদের বাড়িতে এই পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করতে উৎসাহিত হবে।
আপনার এই সচেতনতা এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার জন্য আবারোও অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন সুন্দর পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা। আশা করি, ভবিষ্যতেও এমন আরও নতুন কিছু শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
একদম ঠিক কথা বলেছেন বাসি ভাত ফল মূল নষ্ট করা আমারও একদম পছন্দ হয় না। তবে বাসি ভাত দিয়ে এত কিছু তৈরি করা যায় সেটা আমার একদমই জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।