আমার আজকের দিনের কিছু কার্যক্রম সম্পর্কে কথা।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার আজকের দিনের কিছু কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা ভাবে দিন পার করে কেউ সারাটা দিন ঘুমিয়ে পার করে ফেলে। আবার কেউ কোথাও ঘুরতে গিয়ে দিন পার করে ফেলে। নয়তো কেউ সারাদিন পরিশ্রম করে দিন পার করে ফেলে। আরো অনেক ভাবে মানুষ দিন যাপন করছে।
কিন্তু আমরা প্রবাসীরা পেরায় ৩৬৫ দিনের মধ্য ৩৬০ দিন একই ভাবে দিন পার করি। খুবই কম সময় পাই অন্য ভাবে দিন পার করার জন্য। তো বন্ধুরা ঠিক সকাল ৭ টার সময় ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলাম। দ্রুত চলে যায় গোসল করার জন্য। গোসল শেষ করে এসে নিজে ফ্রেশ হয়ে গুছিয়ে নিয়ে ছিলাম কাজে যাওয়ার জন্য।
সকালে আজ কয়েক দিন ধরে ক্ষুধা লাগছে তাই গতকালকে বিস্কিট নিয়ে এসেছিলাম। যা সকালে খেয়ে চলে যাই কাজের জায়গায়। আজকে আমার কাজ ছিলো ১৪ তলায়। লিফটের ওখানে গিয়ে দেখতে পেলাম আজকে লিফট বন্ধ। কি আর করার পায়ে হেঁটে যেতে হবে ১৪ তালায় কাজ আছে যে।
যাই হোক হাঁটা শুরু করেছিলাম হেঁটে ১৪ তলায় পৌঁছে গেলাম। আমার সাথে আরো দুই জন ছিলো কাজ করছে। আমি আজ ২-৩ দিন ধরে ছয় ইঞ্চি পাইপ দেওয়ালে দিচ্ছি। আমার সাথে যারা আছে তারা হ্যাক মেরে দেয়াল ছিদ্র করে যাচ্ছে। তার পরে আমি পাইপ দিতে দিতে যাচ্ছি সিমেন্ট দিয়ে।
আমার দুটি খালাতো ভাই দোকানে যাওয়ার জন্য আমাদের এখানে মানুষ একটু কম হয়েছে। তাই আমি একা একা পাইপ দিতে দিতে যাচ্ছি। একটু কষ্ট হয়ে যায় সিমেন্ট তৈরি করে সব জিনিস গুলো অন্য রুমে নিয়ে যেতে। তবুও কিছু করার নেই কাজ তো করতে হবে।
যাই হোক কাজের মধ্যে ১৪ তলায় একটি রুমের মধ্য দেখতে পেলাম লিফট দাঁড়িয়ে আছে। তখন বুঝতে পারলাম তাহলে কালকে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই এখানে রেখে তারা চলে গিয়েছে এবং আজকে লিফট বন্ধ রেখেছে। যাই হোক এভাবে কাজ করতে করতে আবারো খেয়াল করলাম লিফট ঠিক করার মেকানিক চলে এসেছে। বিষয়টি দেখে ভালো লাগছে কারণ এতো উপরে পায়ে হেঁটে ওঠা অনেক কষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পরে যখন উপরে যেতে হয় তখন বেশি কষ্ট হয়।
দুপুরে খাওয়ার সময় লিফট ঠিক হয়ে যায় লিফটে করে নিচে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছু সময় রেস্ট নিয়ে ছিলাম। দেখতে দেখতে আবার কাজের সময় হয়ে যায় আমার। আবার ওপরে গিয়ে একই কাজ শুরু করছিলাম আজকে সারাদিন এই কাজ করতে হয়েছে। আসলে আমি খুবই অল্প সময় পাই ভিন্ন কাজ করার জন্য। আমাদের প্রায় প্রত্যেকটা দিন একই ধরনের কাজ বেশি থাকে।
যাই হোক তবুও করতে তো হবে কারণ বাহিরে এসেছি কাজ করার জন্য। এভাবে কাটছে প্রবাসী জীবন এবং যতদিন এই প্রবাসী হয়ে থাকবো ততদিন করে যেতে হবে। ভিন্ন সময় আমরা খুবই কম কাটাতে পারি তবুও ভালো আছি। ভালো আছি ভেবে পার করছি প্রত্যেকটা দিন প্রত্যেকটা মুহূর্ত।
এভাবে কাজ করতে হয় আমার প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত কাজ শেষ করে এসে আবার ফ্রেস হয়ে রান্নার কাজে লেগে যেতে হয়। যাইহোক বন্ধুরা এই ছিলো আজকের দিনের কিছু কাজের কথা আপনাদের মাঝে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা যে ধরনের কাজ করেন সেগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। বাইরে এই সব ধরনের কাজ করেন তাদের পক্ষে খুবই বিপদজনক। সাবধানে কাজ করবেন। ভালো থাকবেন ।সুস্থ থাকবেন।
যারা প্রবাসে থাকি তার অনেক বেশি কষ্ট করে, যেমনটা আপনি উল্লেখ করেছেন ৩৬৫ দিনের ৩৬০ দিনে কাজ করতে হয়, এবং একরকম ভাবে অতিবাহিত হয়, আশা করি আপনার জীবনটা আরো বেশি সুন্দর হবে, সব দুঃখ একদিন দূর হয়ে যাবে, আপনার একদিনের কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের দেশ থেকে যারা প্রবাসে থাকে তারা প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করে যায় নিজের পরিবারের জন্য। তারা দিনের বেশি সময় কর্মে কাটিয়ে দেয়।তাদের জীবনটা আসলেই খুবই কষ্টের। প্রবাসীরা সুখে থাকে তখনই যখন তাদের পরিবার সুখে থাকে। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার দিনটির বর্ণনা পড়ে বুঝা যায় প্রবাসী জীবন আসলেই কতটা কঠিন আর পরিশ্রমের। প্রতিদিন একই রুটিনে কাজ করাটা খুবই চ্যালেঞ্জিং, বিশেষ করে যখন অনেক পরিশ্রম করতে হয় এবং পরিবর্তনের সুযোগ খুব কম থাকে। ১৪ তলায় লিফট বন্ধ থাকার পরেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আপনার পরিশ্রম এবং সহ্যশক্তির জন্য আপনি সত্যিই অনুপ্রেরণা! প্রবাসে এত কষ্টের মাঝেও যেভাবে আপনি আপনার দিনগুলো পার করছেন, তা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করি আপনি সুস্থ থাকবেন এবং আরও সফল হবেন। আল্লাহ আপনাকে সবসময় ভালো রাখুন এবং আপনার কঠোর পরিশ্রমের সঠিক প্রতিদান দিন।