Better Life With Steem || The Diary game || 6/2/2024
হ্যালো স্টিমেট বন্ধুরা
![]() |
---|
আশা করি আল্লাহর রহমতে সকল বন্ধুরা ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকে সমস্ত কাটানো সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চাই।
সকালবেলা |
---|
আবার ও নতুন একটা ভোরের আলো দেখতে পেলাম তার জন্য আলহামদুলিল্লাহ, সকালের ঘুম থেকে জেগে ওঠে ফজরের নামাজ আদায় করে কিছুক্ষণ আবার শুয়ে থাকি। শুয়া থেকে ওঠে একটি মোহা খাই যেহেতু এখন বেশি শীতটা কমে গেছে গরম পড়েছে তার জন্য এখন তেমন একটা আমি আর চা খাবো না।
![]() |
---|
চা আমি খাই এবং পছন্দ করি মোটামুটি তবে শীতের বেলা প্রতিনিয়ত চা খেয়ে থাকি শরীরটা গরম করার জন্য। তাই সকালে একটি মোহা খেয়ে পানি খেয়েছি এতেই আমার হয়ে গেল।
আজ সকাল ৯ টার সময় আমাদের বাড়ির পাশে ফুফুদের বাড়িতে গেলাম কারণ অনেকদিন হয়েছে তাদের সাথে দেখা করা হয় না। তারপর মাকে বললাম ফুফুদের বাড়িতে যাবো আর মাও শুনে রাজি হয়ে গেল । ফুফুর বাড়ি যেতে মাত্র সাত আট মিনিট সময় লাগে বেশি দূরে না ।
![]() |
---|
তাদের বাড়িতে যাওয়ার পথে দেখলাম ফুফু ধান রোদে শুকাচ্ছে এরপর তার কাছে গেলাম এবং ধানের কাছে কিছুটা সাহায্য করলাম। অনেক গুলো ধান মোলছিলো সে একা একা মেলতে পারে না এবং তার অনেক কষ্ট হয় তাই আমি ধান গুলো তার সাথে মেলে দিলাম। এরপর তাদের ঘরে গেলাম তার সাথে অনেকক্ষণ কথা বললাম।অনেকক্ষণ ফুফুর সাথে কথা বলার এবং সবার কথা জিজ্ঞাসা করলাম। তারপর তাদের বাড়ি থেকে চলে আসলাম আমাদের থাকার জন্য অনেক জোড়াজোড়ি করেছিল থাকলাম না এসে পড়েছি।
দুপুর +বিকেল |
---|
ফুফুদের বাড়ি থেকে এসে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। তারপর রান্না ঘরে গেলাম যা যা রান্না করবো তা সবকিছু কেটেকুটে গুছিয়ে নিলাম এরপর মা রান্না করতে বসলো। আজকে দুপুরবেলা অনেক কাজ করেছি এই জন্য কোমর দাঁড় করাতে পারছি না। আজকে বাড়ির সবকিছু আঙ্গিনা এবং উঠানের পাশে রাস্তাটাও ঝাড়ু দিয়েছি। আসলে শুকনোর সিজনের যে জায়গায়টা ঝাড়ু দেওয়া হয় সেই জায়গাটাই খুব সুন্দর লাগে।
আমার ঝাড়ু দেওয়া কাজ শেষ করেছি এদিকে মার রান্না করা হয়ে গেছে।আজকে দুপুরে রান্না করেছে চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ আর লাউয়ের ছোলা ভাজি। ছেলেকে আজ গোসল করলাম না হাতমুখ ধুয়ে দিলাম কারণ কালকে ছেলের শরীরটা অনেক খারাপ জ্বর এবং সর্দি শ্বাস নিতে পারছে না তাই গরম পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে দিলাম। ছেলেকে ফ্রেশ করিয়ে তারপর আমি গোসল করে আসি এবং জোহরের নামাজ পড়ি।
![]() |
---|
নামায শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে খাওয়াতে বসেছি ছেলের শরীরটা অনেক খারাপ থাকার কারনে সকালবেলা কিছুই খাইনি। তাই ভাবলাম গরম কয়টা ভাত মেখে খাইয়ে দি হয়তো ভালো লাগতে পারে তাই খাওয়াতে বসলাম খাওয়াতে প্রায় এক-দেড় ঘণ্টার মতো লেগে গেল। ভাত মুখে দিলে ভালো মতন চিবিয়েও খেতে পারছে না শ্বাস নিতে পারছে না অনেক কষ্ট হয়। কোনরকম করে কয়েক লোকমা খাইয়ে দিলাম তারপর ঘুমিয়ে গেল। ওকে খাইয়ে ঘুম পড়িয়ে আমিও দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
বিকেল বেলা:আজ দুপুরে খেয়ে দেয়ে বিকালে বেশিক্ষণ বিশ্রাম নেইনি একটু হাঁটতে বের হলাম । আমরা একসাথে ৪-৫ জন চাচাতো বোন বাড়ির পাশের রাস্তায় হাঁটতে বের হলাম। হাঁটতে হাঁটতে আমাদের বাড়ির পাশে প্রাইমারি স্কুলের দিকে গেলাম। অনেক বছর হয়ে গেছে আমরা ৪-৫ জন আবার একসাথে হাঁটতে পেরেছি ছোটবেলার মতন। তাই আজকের বিকালটা খুব আনন্দ মুহূর্তে কেটে গেল। একটা দেয়াল পেইন্টিং আঁকা সেটি ফটোগ্রাফি করলাম এবং স্কুলের ও ফটোগ্রাফি করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করব তাই।
রাস্তা দিয়ে হাঁটতে আবার বাড়ির দিকে এসে পড়েছি এসে দেখি এখনো ছেলে ঘুম থেকে ওঠেনি নাক দিয়ে শ্বাস নিতে পারছে না মুখ দিয়ে অনেক জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।
সন্ধ্যা +রাত |
---|
সন্ধ্যা হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেছে। ঘুম থেকে উঠে কান্না করছিল শরীর ভালো লাগছিল না তাই তারপর আমি ওকে কোলে করে কিছুক্ষণ ঘরে ভিতরে হাটাহাটি করি। তারপর আমার ছোট বোনের কাছে ওকে রেখে আমি মাগরিবের মা নামাজ পড়ে আসি।
![]() |
---|
নামাজ পড়ে এসে সবাই একসাথে চানাচুর মুড়ি মাখা খেয়ে নিলাম তারপর পোস্ট লিখতে বসি।পোস্ট লিখতে বেশিক্ষণ সময় লাগে নি তাড়াতাড়ি করে পোস্ট লেখা শেষ করে এশার নামাজ পড়েছি। তারপর ছেলেকে খাওয়াতে বসেছি ভাত খাইনি এক পিস খাইয়ে দিয়েছি খাওয়া দাওয়া করে অসুস্থ শরীর নিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। এরপরে আমিও রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। (আল্লাহাফেজ) |
---|
শীতের সময় চা না খেলে মনে হয় শরীর গরম হয় না। তবে আমি চা তেমন একটা খাই না, শীতকালে একটু খাওয়া পড়ে। আসলে আমি দেখলাম আপনি লিখেছেন ঘুরতে বের হয়েছেন। আপনার চাচাতো বোনদের সাথে, বিকেল বেলা ঘুরতে বেশ ভালই লাগে।
আপনার ছেলেকে ভাত খাওয়াতে গিয়েছেন। ভাত খাইনি কিন্তু কি খাইয়ে ঘুম পাড়িয়েছেন, সেই বিষয়টা আমি ক্লিয়ার হতে পারলাম না। যদি বিষয়টা ক্লিয়ার করে বলতেন ভালো হতো ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু শীতের সময় চা না খেলে শরীর একদম গরমই হয় না। আমি তেমন একটা চা খাই না শীতের বেলায় বেশি একটা খাওয়ার পরে। অনেকদিন পর একসাথে কয়েকজন চাচাতো বোন মিলে বা বিকেলবেলা ঘুরতে বের হলাম।
আসলে আপু আমার লেখায় ভুল হয়েছে ভাত খাইনি তারপর এক পিস কেক খাইয়ে দিয়েছি। থ্যাংক ইউ
সকালে উঠে চা খেলেন তার সাথে একটি মুড়ির নাড়ু খেয়েছেন ৷ তারপর রাতে মুড়ির সাথে চানাচুর মাখা খেয়েছেন ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
গরমের সময়ের চাইতে শীতের সময় মানুষ চা বেশি খেয়ে থাকে।। আজকে ফুফুর বাসায় গিয়েছিলেন যেহেতু বাসার কাছে তাই বেশি সময় লাগেনি।। সেই সাথে বাসায় এসে বেশ করেছেন।।। বিকালে চাচাতো বোনগুলো মিলে হাঁটতে বের হয়েছিলেন।।
ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।।
বিকাল একটু হাঁটা হাঁটি করলে শরীর এবং মন ফ্রেশ থাকে। আজকে বিকেলে আপনারা ৪-৫ জন চাচাতো বোন মিলে হাঁটতে বের হয়েছেন হাঁটতে হাঁটতে প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছেন সেখানে অঙ্কন করা অনেক চিত্র দেখতে পেলাম এখন প্রায় প্রত্যেকটি প্রাইমারিতে বাচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য এবং প্রিন্টিং শেখানোর জন্য এমন অঙ্কন করে থাকে দেয়ালের গায়ে।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় দিনা লিপি লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক বলেছেন ভাই বিকেলে হাঁটাহাঁটি করলে শরীর এবং মন দুইটাই ফ্রেশ থাকে। আর আজকে হাঁটাহাঁটি কারণ হয়েছে কারণ আমরা কয়েকজন চাচাতো বোন মিলে হাঁটতে ছিলাম।
আর হাঁটার সবাই সবার সাথে কথা বলা হয় হাসি ঠাট্টা করা খুব ভালোই লাগে।
থ্যাঙ্ক ইউ আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য।
জেনে ভালো লাগলো শীতের বেলা আপনি চা খেতে একটু পছন্দ করেন,
অনেক দিন ধরেই আপনার আপনাদের ফুফুদের বাসায় যাওয়া হয় না তাই আজ সিদ্ধান্ত নিলেন এবং মাকে নিয়ে আপনার ফুপু বাড়ি গেলেন।
এবং সেখান থেকে এসে দুপুর রান্নার কাজে মাকে বেশ সাহায্য করলেন সবমিলিয়ে আজকের কার্যক্রম টা বেশ সুন্দর ছিল।