Better Life With Steem || The Diary game || 31/12/2023
আশা করি সকলে স্টিমেট বন্ধুরা আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও মোটামুটি আল্লাহর রহমতে ভালোআছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার সারাদিনের ডাইরি গেম চলুন এবার শুরু করা যাক সারা দিনের কাটানো মুহূর্তগুলো।
![]() |
---|
সকালবেলা |
---|
সকাল বেলা মার এক ডাকে শুনে ঘুম থেকে উঠে যায় এবং ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষ করে আবার ছেলের পাশে শুয়ে থাকে এবং কিছু কমেন্ট করি।মা চা করে কাপে ঢেলে আমাকে ডাক দিল কিন্তু আমি কম্বলের ভিতর গরম জায়গা ছেড়ে গেলাম না। আর আমি বলেছি খাবো না এত সকালে খেতে ইচ্ছা করছে না। তার কিছুক্ষণ পর দেখি আমার জন্য মা চা বিস্কুট নিয়ে আসলো এবং আমার পাশে রাখলো। রাখার দুই তিন মিনিট পর আমি খেতে গেলাম তখন দেখি চা ঠান্ডা হয়ে গেছে তারপর আর চা খাইনি বিস্কুট খেয়ে নিলাম। প্রায় সকাল আটটা বেজে গেল ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেছে হাত মুখ ধুয়ে দিয়ে কিছু খাইয়ে দিলাম। আর আমি এদিকে আমার কাজে লেগে পড়লাম।
দুপুর + বিকেল |
---|
আজ দুপুরে রান্না শুরুতে আমি মাকে সবকিছু রান্নার গুছিয়ে সামনে দিয়েছি তারপর মা রান্না করেছে। মাকে মার মতন কাজে গুছিয়ে দিলাম আর আমি এদিকে ফোনে হাতে নিয়ে কমেন্ট করি। আজকের দুপুর বেলা আব্বু তাড়াতাড়ি এসে পড়েছে। এবং চারটি সিঙ্গারা নিয়ে এসেছে আমি একটা খেলাম তারপর মনের পরল ছবি তোলার কথা তারপর একটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। একটা ছেলেকে দিলাম ও খেতে পারল না কারন সিঙ্গার একটু ঝাল ছিল এরপর আমি মা খেয়ে নিলাম।
আব্বু এসে মসজিদে গেল নামাজ পড়তে আর মা এদিকে তাড়াতাড়ি রান্না করে নিল কারণ আব্বুকে তো ভাত দিতে হবে। আগে আমি গোসল করে আসলাম আবার ছেলেকে গোসল করে দিলাম এবং মার রান্না বান্না হয়ে গেল সে গোসল করতে গেল। আমি গোসল করে আগে নামাজটা পড়ে নিলাম তারপর ছেলেকে ভাত খাইয়ে দিলাম এরই মাঝে আব্বু এসে পড়েছে তাকেও দুপুরে ভাত খেতে দিলাম। আব্বু ভাত খাওয়ার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল তারপর সে তার কাজে চলে গেল। এরপর না গোসল করে নামাজ পড়ে আসলো আর ছেলেকেও খাওয়ানো শেষ হয়ে গিয়েছে ছেলেকে মুখ মুছে দিলাম এবং সামনের ফোনে কার্টুন দিয়ে গেলাম কারণ আমি ভাত খেতে গেলে ও সঙ্গে যাবে এবং অনেক দুষ্টুমি করবে আমাকে শান্তি মতন ভাত খেতে দেবে না তার জন্য ওর মতো ওকে রেখে গেলাম।
বিকেল বেলা:দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে উঠে পড়লাম এবং ছেলে আর ফোন দেখলো না সে উঠনি খেলতে গেল। ওর সঙ্গে কিছুক্ষণ আছিলাম এবং ঘুমানোর জন্য ডাকছিলাম সে কিছুতে আসতে চাইলে না খেলা করবে। তারপরও জোর করে নিয়ে আসছি কারণ বিকেলে না ঘুমালে সন্ধ্যার সময় ঘুমিয়ে পড়বে না খেয়ে। আজকে বিকালে সহজে ঘুম পরলো না তারপর ছড়া গান শুনিয়ে ঘুম পাড়ালাম। ছেলে ঘুমানোর পর ওর পাশে শুয়ে থেকে আমি কিছু কমেন্ট করি। যেহেতু আমাদের একটা টুর্নামেন্ট চলছে তাই সময় পেলে ফোন নিয়ে বসে পড়ি। কয়েকটি কমেন্ট করার পর আসলে আজান দিল নামাজ পড়ে আসলাম। নামাজ পড়ে উঠুন একটু হাঁটাহাঁটি করলাম কারন সারাক্ষণ শুয়ে বসে থাকি তেমন হাটাহাটি করা হয় না।
সন্ধ্যা+ রাত |
---|
এরই মাঝে মাগরিবের আজান দিলো আর ছেলেও ঘুম থেকে উঠে গেল। অজু করে আসলাম এবং ছেলেকে পাশে বসিয়ে রেখে নামাজটা পড়ে নিলাম। হঠাৎ করে ক্ষুদার ভাব হলে এরপর একটা প্লিজে করে কিছু মনে মনেক্কা খেয়েছি। আর মনেক্কা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। কারণ মনেক্কা কামড় দিলে কুড়কুড় করে শব্দটা হয় আমার কাছে খুব ভালো লাগে এবং খেতে খুব স্বাদ লাগে। আজ ছেলে আর সন্ধ্যা বেলা কিছু খেতে চাইলে না এবং খাওয়াতেও পারিনি। তারপর আমি এদিকে মনেক্কা খেতে লাগলাম আর পোস্ট লিখতে শুরু করলাম। পোস্ট লেখা প্রায় শেষ করব তার ভিতরে ছেলে খুদার জন্য কান্না করছিল তারপর ওকে ভাত খাইয়ে দিলাম। এবং আমিও আজকে ছেলের সঙ্গে তাড়াতাড়ি খেয়েছি।
ভাত খাওয়ার পর আমার মুখ কেমন জানি টকটক হয়ে গেল। কেমন যেন লাগছিল তারপর মনে মনে ভাবলাম অল্প কিছু পান খাবো পান হাতে নিয়ে আবার রেখে দিয়েছি কারণ পান খাইলে আমার মাথা ঘুরে। হাতে অল্প কিছু একটু সুপারি নিলাম খেলাম এবং মুখের টক ভাবটা চলে গেল। আব্বু এসে গেল মা আর আব্বু একসাথে ভাত খেলো। আর এদিকে আমি আর আমার ছেলে শুয়ে পড়লাম। তারপর ফোন হাতে নিয়ে যেটুকু লেখা পোস্ট বাকি ছিল সেটুকু কমপ্লিট করলাম। এরপর সব কাজ সম্পন্ন করে মা ছেলে ঘুমিয়ে গেলাম।
আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন (আল্লাহ হাফেজ) |
---|
কম্বল ছেড়ে কার আর উঠতে ইচ্ছে করে, তবুও আমাকে বাধ্য হয়েই উঠতে হয়। আপনি একটা সিঙ্গারা খেয়ে নিয়েছেন বলে তিনটি সিঙ্গারার ছবি উঠেছে। মনেক্কা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে কিন্তু মনেক্কা খাওয়ার পর অনেক সময় অম্বল হয়ে যায়। আপনার ভাত খাওয়ার পর মুখে যে টকভাব এসেছে মনে হয় ওই মনেক্কা খাওয়ার কারণেই। যাইহোক ভালো থাকবেন। আপনাকে নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানাই।
শীতের দিনে কম্বল ছেড়ে কারোই ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। আপনারও আজকে ইচ্ছে করেনি। কিন্তু এ কম্বলের কারনে আপনি আজকে চা খেতে পারলেন না। অতঃপর উঠে সাংসারিক বেশ কিছু কাজ সেরে নিলেন। ছেলেকেও সময় দিলেন। ফাঁকে ফাঁকে কমিউনিটির কাজও করেন আবার ছবিও তুলে রাখেন। আমি তো ছবি না তোলার কারণে বহুদিন পোস্ট করতে পারিনি ডেইলি ডায়েরি
গেম।
আপনি মনেক্কা খেতে খুব পছন্দ করেন। আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে মনেক্কা। তবে আমার কাছে গুড় দেওয়াটা বেশি ভালো লাগে। যেহেতু শীতের দিন তাই জলদি জলদি মা-ছেলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে শুয়ে পড়লেন। আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়লাম।ভালো লাগলো পড়ে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো। ঠান্ডার কারনে মা ডাকলেও খেতে চান নাই আপনি।তবুওতো আপনার একদিক থেকে সৌভাগ্য যে সকালে উঠে রান্না বা অন্য কোন কাজ করতে হয় না।মা থাকার এই সুবিধা। সবটুকু কস্ট নিজের ওপর দিয়ে নিয়ে যায়।
আপনার মতোই আমিও পান খেতে পারিনা। অবশ্য সুপারিও খেতে পারি না।পান খেলে তিন/চার দিন আর কিছু খেতে পারিনা।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আসলে মা ভাবে সন্তানের যত্ন নেওয়া হবে কেউই নেয় না। তাই তো আপনি সকালবেলা নাস্তা না খেতে চাইলেও আপনার মা আপনার জন্য চা বিস্কিট নিয়ে এসেছেন।
আপনি দুপুরবেলা মাকে কাজে সাহায্য করেছেন
। আপনার আব্বু বাজার থেকে চারটি সিঙ্গারা নিয়ে এসেছে। ছেলে কি গোসল করিয়ে দিয়েছেন। ওকে খাবার খাইয়ে দিয়েছেন। আপনিও এখন দুপুরে খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিয়েছেন। মনেক্কা এটা আমারও খুব ভালো লাগে যেহেতু এটাতে মিষ্টি কম থাকে আর এটি খুবই কুরকুরে। তাই এই মনেক্কা খাওয়ার আওয়াজটা আমার খুব ভালো লাগে। আপনার দিনলিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।
শীতের সময় গরম গরম চা খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। সেই সাথে আপনার বাবা আপনাদের জন্য সিঙ্গারা নিয়ে এসেছে আসলে সালাত দিয়ে সিঙ্গারা খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ভাত খাওয়ার পর আপনার সুপারি খেতে হয়। যদি আমি সুপারি খাই না কেন আমার সুপারি খেলে নাকি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয়। আর আমি সুপারি খেলে আমার মাথা ঘুরানো শুরু হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
আমি বেশি একটা সিঙ্গারার সাথে পেঁয়াজ দিয়ে খেতে খুব পছন্দ করি। কাঁচা পেয়াজ আমাদের সব সময় ভালো লাগে ভাতের সাথে খেতে সিঙ্গারার সাথে খেতে ঝাল মুড়ির সাথে। না আমি ভাত খাওয়ার পর সুপারী আমার খেতে হয় না। কিন্তু ওদিন আমার খুব খারাপ লাগছিল মুখের টকটক ভাব হয়েছিল তার জন্য একটু সুপরি খেলাম। আর প্রতিনিয়ত সুপারি খাওয়া তো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। থ্যাংক ইউ আপু আপনার কমেন্টটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো ।
শীতের সময় এমন একটা সমস্যায় সকাল বেলা কম্বল ছেড়ে উঠতে মন চায় না,,
কিন্তুু সংসারিক এত বেশি কাজের চাপ থাকে কম্বলের ভিতরে থেকেও শান্তি পাওয়া যায় না।
রাতে ছেলেকে খাওয়ার পরে নিজেও খেয়ে নিলেন আমার মনে হয় টক টক ভাবটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিয়েছিল আপনার।
তবে হ্যাঁ কাঁচা সুপারি খেলে বেশ ভালোই লাগে। এটা আমিও মাঝেমধ্যে খাই।
আপু তবে এটা একটা ঠিক কথা বলেছেন যে টক টক ভাবটা মানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। ওদির রাতে আমার প্রচুর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা করছিল এবং গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দুটো খেয়েছি। আর কাঁচা সুপারের যে বুড়াটা ওটা খেতে আমার বেশি ভালো লাগে। থ্যাঙ্ক ইউ আমার পরিচিত হয়েছে সহকারে পরে আপনি সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।
প্রিয়া আপু ,আমিপ্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকে ভুগেছি কিছুদিন।