Better Life With Steem || The Diary game || 30/09/2024

in Incredible Indialast year
1000149857.jpg

হ্যালো বন্ধুরা, আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি। আবার আমি আপনাদের মাঝে আজকের ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার শুরু করি।।


আলহামদুলিল্লাহ আবারো খুব সুন্দর একটি সকালের আলো দেখতে পেলাম। সকালবেলা মেয়েকে সাড়ে পাঁচটা ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম, আর ভাবির দরজার নক করে তাকেও উঠিয়ে দিলাম সে উঠে ভাইয়ার জন্য নাস্তা বানালো। আমি উঠে আর বেশিক্ষণ সজাগ থাকিনি মেয়েকে সকালে নাস্তা দিয়ে আবার শুয়ে পড়িছি।

1000149851.jpg

মেয়েকে দুইবার নাস্তা দিতে হয় সাড়ে পাঁচটার সময় শুকনো খাবার দিয়ে দি, আবার সাড়ে নয়টার সময় বাসায় আমরা সকালের খাওয়ার যে নাস্তা বানাই সেগুলো দিয়ে আসি। আজকে সকালে নুডুলস রান্না করেছি, নুডুলস রান্না হয়ে গেলে ছেলে ঘুম ঘুম থাকতে মেয়ের মাদ্রাসায় গিয়ে খাবার দিয়ে আসি।

আমি মাদ্রাসায় থেকে এসে দেখি সাহেবও উঠে গেল, তারপর সে উঠে হাতমুখ ধুয়ে গোসল করে সকালের নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পরল। সাহেব যাওয়ার পর ছেলেকে সকালের নাস্তা খাইয়ে দিলাম তারপর আমরা খেলাম।

1000149829.jpg

সকালের খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ করে তারপর দুপুরে রান্নার কাজে লেগে পড়ি। আজকে রান্না করতে তেমন একটা ঝামেলা হয়নি খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে গেল। আজকে রান্না করেছি মাছ ভুনা, আলু ভর্তা ,ডাল, আর ডিম ভুনা, তাই তাড়াতাড়ি দুপুরে রান্নাটা হয়ে গেল। রান্নার কাজটা শেষ করে এরপর ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে তারপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি।

গোসল করে এসে সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়ি তারপর ছেলেকে খাওয়াতে বসি। আজকে ছেলেকে খুব দ্রুতভাবে খাওয়াতে বসেছি। প্রতিদিনের চেয়ে আজকে থেকে ছেলের খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুমের রুটিন পাল্টানো হয়েছে। তাই ছেলেকে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করিয়ে তিনটার ভিতরে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম এবং আমি ঘুমিয়ে পড়ি। আধা ঘন্টার মতন ঘুমিয়েছি তার পরে সাহেব এসে যায় দরজা খুলে দিলাম কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলো তারপর তাকে দুপুরে খাবার খেতে দিলাম।

1000149722.jpg

এই যে, উপারে পেন্টিনের মতোন ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন, এগুলো মেয়ের হাতের আঁকা ছবি। ইউটিউব থেকে দেখে নিজে নিজে জল রং দিয়ে এঁকেছে। মাদ্রাসার ছুটি হয় সাড়ে নয়টায় সেই সময় এসে এইসব কাজ করে। জল রং কেনে দেওয়ার জন্য আমাকে একদম পাগলের মতো বানিয়েছে। কিনে দিয়েছি তারপর ঠান্ডা হয়েছে, এরপরে এরকম ছবি প্রতিদিনই আঁকতে থাকে । এই ছবি গুলো গত পরশুদিন রাতে একেছে সেই সময়ের তোলা।

যাই হোক এরপর সাহেব দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল তারপর মাগরিবের কিছুক্ষণ পর আবার চলে গেল। ছেলেও ঘুম থেকে উঠে গেল, ওকে বসিয়ে রেখে আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর ছেলে বলে আম্মু ক্ষুধা লাগছে তাই একটা রুটির উপরে সস্ দিয়ে খেতে দিলাম। সামনে এনে দেওয়ার পর বলছে এগুলো খাবেনা তারপর স্যুপ রান্না করে সন্ধ্যা বেলা সকালে খেলাম।

1000149854.jpg

সন্ধ্যার নাস্তা খাওয়া দাওয়া করে এরপর ঠান্ডা মাথায় পোস্ট লিখতে বসি। আগে পোস্টটা তাড়াতাড়ি করে লেখে তারপরে ছেলেকে পড়াতে বসি, ছেড়ে একদম পড়তেই চায় না জোর করে কোলের ভিতরে নিয়ে বসে তারপর কিছুক্ষণ পরালাম। জোরজোপ করে কিছুক্ষণ পরলাম তারপর রাতে খাবার খাইয়ে দিলাম। এইতো এভাবেই করে আজকের দিনের মুহূর্তটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Sort:  
Loading...

@tipu curate

;) Holisss...

--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.

 last year 

আপনার মেয়ে খুব সুন্দর ছবি আঁকে। সাথে আগ্রহও আছে। ওর ছবি আকাটা ওকে চালিয়ে নিতে দিবেন। আমাদের দেশের মানুষের একটা সমস্যা আছে আর সেটা হলো প্রতিভার মূল্যায়ন করে না। তাই ওর যতদিন আগ্রহ আছে ওকে একটা দিয়েন সাথে নিজেও উৎসাহ দিবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.08
TRX 0.30
JST 0.035
BTC 109952.01
ETH 3856.29
USDT 1.00
SBD 0.52