Better Life With Steem || The Diary game || 11/08/2024
কালকে রাতে খাওয়া দাওয়া করে তাড়াতাড়ি শুয়েছি কিন্তু চোখে ঘুম আসছিল না, শরীর ভীষণ খারাপ লাগছিল। আর এদিকে হাত পা ঝিমঝিম করছে ভীষণ দুর্বল শরীর। তাই এপাশ-ওপাশ ওলট-পালট করতে করতে রাত চারটার সময় ঘুম আসে। আর আমার কিছু একটা হল কারো কাছে শেয়ার করি না, সবকিছু নিজের ভিতরে চেপে রাখার চেষ্টা করি। আর এই অভ্যাসটা আমার একদম ছোটবেলা থেকেই।
রাতে ঠিক মতন ঘুম না হওয়ার কারণে সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়ি এবং সেই ঘুম থেকে সকাল সাড়ে দশটার সময় উঠি। ওঠে হাতমুখ ধুয়ে এক গ্লাস পানি খাই, আমি ওঠার কিছুক্ষণ বাদেই ছেলে উঠে যায়। এরপর ছেলেকে হাতমুখ ধুয়ে এনে এক পিস কেক খাইয়ে দি। ছেলে কেক পিস খেয়ে ফোন দিয়ে কাটুন দেখতে লাগল আর আমি এদিকে রান্না ঘরে চলে গেলাম।
সারা রাত শরীর এত খারাপ লাগার পরও সকালে উঠে আর বসে থাকতে তো পারেনি ঠিক সংসারের কাজে মন দিতে হয়েছে। আজ যদি মা পাশে থাকতো তাহলে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারতো মেয়ের কিছু একটা হয়েছে।আর কেউ পাশে থাকুক বা নাই থাকুক তাদের চোখ থেকে সবকিছু এড়ানো গেলেও মার চোখ থেকে এড়ানো যায় না। জানিনা আজ ভীষণ মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে।
আই লাভ ইউ( মা )
যাইহোক সব ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে রান্নার কাজে হাত দি, তবে রান্না করতে বেশি একটা সময় লাগেনি কারণ ঘুম থেকে উঠেই তো রান্না কাজে হাত দিলাম তার জন্য।আজকে রান্না করেছি আলু দিয়ে চিচিঙ্গা,আর ডাল ভুনা।রান্না গুলো হয়ে গেলে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি আর মোবাইল ব্যবহার করি। ১০ মিনিটের মতন ফোন দেখে তারপরে গোসল করে আসি।
গোসল করে এসে নামাজ পড়ে সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে ভাত খাইয়ে দেই, কারণ একবার খুদার কথা বলছিল তাই এদিক ওদিক না তাকিয়ে ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসি। ছেলের খাওয়া হয়ে গেলে আমি খেতে বসি কারণ সকাল অব্দি দুপুর পর্যন্ত কিছুই খাইনি আর খেতে ইচ্ছা করছিল না। তাই দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেরে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি ছেলে ঘুমাতে চেয়েছিল না তাই জোর করে ঘুম পড়ালাম আর আমিও ঘুমালাম।
ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই মা কাকিমার ফোন দিয়ে ভিডিও কল দিল। তাদের ফোন পেয়ে ঘুম ভাঙলো, এরপর মা এবং কাকিমা তাদের সাথে অনেকক্ষণ কথা বলি। তাদের সাথে কথা বলার মধ্যে ভাইয়া আসে। এসে গোসল করল ফ্রেশ হলো এরপর তাকে জিজ্ঞেস করলাম দুপুরে খাবার খেয়েছে কিনা, সে উত্তর বলল না খাইনি তারপর তাড়াতাড়ি করে তাকে খেতে দিলাম।
ভাইয়া খেয়ে দেয়ে সন্ধ্যার পর মার্কেটে চলে গেল। এরপর মাগরিবের আজান দিল ওযু করেন নামাজ পড়ি। সন্ধ্যার পর ছেলেকে বিস্কুট খেতে দি, খেয়ে খেলা করতে লাগলো আর আমি আপনাদের জন্য পোস্ট লিখতে শুরু করি।
পোস্টটা লিখে এশার নামাজ পড়ি। তারপর দশটার ভিতরেই ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দি। ছেলের খাওয়া হয়ে গেলে তারপর আমরা মা মেয়ে খেয়ে শুয়ে পড়ি। আমরা খেয়ে তাদের দুই ভাইয়ের জন্য ভাত তরকারি বেরে রাখি যানিনা তারা রাত কয়টা সময় আসে।। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন চলে গেলো, সবার সুস্থতা কামনা করে এখানে বিদায় নিচ্ছি (আল্লাহ হাফেজ)
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/6) Get profit votes with @tipU :)
সমস্যা ছাড়া মানুষ পাওয়া যাবে না। কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই কাছের মানুষজনের সাথে শেয়ার করা উচিত। নিজের মধ্যে চেপে রাখলে সমস্যার সমাধান তো হবেই না বরং সমস্যা বেড়ে যায়। সন্তানের সমস্যা কেউ বুঝুক আর নাই বুঝুক মা নিশ্চয়ই বোঝে। মায়ের চোখ কেউ ফাকি দিতে পারে না। ভালো থাকবেন।
রাতের বেলায় ঘুম না আসলে শরীরের ভিতরে অস্বস্তি করে। তবে সকালবেলায় ঘুমিয়ে নিয়ে খুব ভালো করেছেন ।না হলে সারাদিনই শরীর খারাপ করত। তবে রাতের বেলায় শরীরের ভেতর অস্বস্তি করলে কাছের মানুষকে বলা উচিত। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সারাদিন খুব সুন্দর ভাবে কেটেছে। তাদের সবচাইতে সুন্দর একটি বিষয় হচ্ছে বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানো আমাদের কাছে খুবই ভালো লাগে। আশা করি আপনার আগামী দিনগুলো অনেক ভালো কাটবে। ধন্যবাদ।
মাঝে মাঝে অনেক কারণেই আমার রাতে ঘুম আসে না কিন্তু শুনে খারাপ লাগলো আপনার শরীরটা ভীষণ দুর্বল।। আমার মনে হয় নিয়মিত আপনি খাবার খান না অন্য কোন সমস্যার জন্য এমন হতে পারে।। ছেলে দেখতে দেখতেই কত বড় হয়ে গেল এইতো সেদিন শুনলাম বাবু হয়েছে আর আজ কত বড় হলো।।