পুরোনো স্মৃতিচারণ | | দিনাজপুর চঞ্চল রিসোর্টে একদিন
সবাই কেমন আছেন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালোই আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালোই আছি।আজকে আমি একটা ব্যাতিক্রমী বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।আজকে থেকে বেশ কিছুদিন আগে আমরা দিনাজপুর চঞ্চল রিসোর্টে ঘুরতে যাওয়ার কিছু স্মৃতিচারন করতে চাই।আর সে সময়ের ছবিগুলোও আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করছি ভালো লাগবে-
কোনো এক ছুটিতে বন্ধুরা মিলে একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য। এমন সময় আমি দিনাজপুরের চঞ্চল রিসোর্টের কথা উত্থাপন করি।কাছাকাছি যায়গার মধ্যে এটাই সবাই বেশ পছন্দ হলো।আমরা সবাই যাওয়ার জন্য ভালো একটা দিন নির্ধারণ করলাম।আসলে উক্ত বিশেষ দিনটির তারিখ আমার মনে নেই।এরপর আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে আগামীকাল ভোরে ঘুম থেকে উঠে দিনাজপুরের উদ্যেশে রওনা দিবো।এরপর আমরা সবাই এটাতে সম্মত হলাম।আমরা আমাদের ভ্রমণের জন্য ট্রেনকেই সিলেক্ট করি।
পরের দিন আমরা সকালেই ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে নিই। এরপর হালকা কিছু খেয়েই এলাকার একটা ভ্যানে করে পার্বতীপুরে পৌঁছে যাই।আমরা ৬ বন্ধু মিলেই সেখানে যাওয়ার প্লানিং করেছিলাম।কথামতো সবাই মিলেই যাচ্ছি আমাদের পছন্দের চঞ্চলতা রিসোর্টে।
ট্রেনে করে ১ ঘন্টা জার্নি করার পর আমরা দিনাজপুরে পৌঁছে যাই।এরপর সেখানে থেকে আরো ১৫ কিলোমিটার দূরে আমাদের গন্তব্য।যায়গাটি হচ্ছে চঞ্চল রিসোর্ট,বিরল।এরপর আমরা একটা অটোরিকশা করে জনপ্রতি ৩০ টাকা করে দিয়ে পৌঁছে গেলাম আমাদের সেই গন্তব্যের মধ্যে।
এরপর সেখানে ঢুকতে ৫০ টাকা করে টিকেট কেটে নিলাম।সেখানে ঢোকার সময় আমরা বেশ কিছু নাস্তা সাথে করে নিয়ে যাই।এরপর আমরা ভিতরে ঢুকে বেশ কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করে নিলাম। এরপর আমরা একে একে সব যায়গা ঘুরতে শুরু করলাম।সব থেকে যে বিষয়টি আমার কাছে মজার লেগেছে তা হচ্ছে সুইমিংপুলে গোসল করার মুহুর্তটা।সেখানে গোসল করার জন্য জন প্রতি ১০০ টাকা
করে টিকেট নিয়েছিলো।যারা শর্ট প্যান্ট নিয়ে যায়নি তাদের জন্য প্যান্ট ভাড়া নেওয়ার ব্যাবস্থা ছিলো।সেখানেও ১০০টাকা জমা সহ ১২০ টাকা নিয়েছিলো।আর যারা সাতার কাটতে টিউব নিয়েছিল তাদের কাছে আরো ১০০ টাকা করে নিয়েছিলো।সব মিলিয়ে সুইমিংপুলে আমাদের সব থেকে বেশি টাকা ব্যায় হয়েছিলো।সেখানে দেখা যায়গাগুলোর সব কয়েকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিলো
বিশেষ করে সুইমিংপুল, শুরুর দিকে একটা শিশু পার্ক, মাঝখানে একটা পুকুর,পুকুর পাড়ে নানান রকমের কাছে।একজাতের ছোট ছোট বাশঝাড় আছে।সেগুলো দেখতে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।আর একটা বিষয়ে না বললেই নয়,পুরো রিসোর্টটি জুড়ে কালারফুল একটা কম্বিনেশন ছিলো।মানে চোখ ধাধানো, মনমাতানো একটা শৈল্পিক একটা কার্যকলাপ সেখানে আমাদের চোখে পড়েছিলো সেইদিন।
সারাদিন ঘুরাফেরা করার পর আমাদের অনেক ক্ষুধা লেগে যায়।যদিও ইচ্ছা ছিলো সেখানকার রাতের দৃশ্যটা উপভোগ করবো।কিন্তু বাসা ফিরতে দেরি হবে এই ভেবে তাড়াতাড়ি বের হয়ে পড়লাম।বাইরে বের হয়ে আবার অটোরিকশা করে গোর-ই-শহীদ বড়মাঠে চলে আসলাম।সেখানে বিখ্যাত রুস্তম হোটেলে গেলাম এবং গরুর মাংস দিয়ে খাওয়া করলাম।সেখানে আমাদের ৬ জনের খাবারের বিল আসছিলো ১৪৫০ টাকা।এরপর আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই।সন্ধ্যা ৬টার ট্রেনে করে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
দিনাজপুরের চঞ্চল রিসোর্টে সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না আপনার লেখাটা পড়ার পর সৌন্দর্য ঘেরা প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো অনুভব করতে পেরেছি। ইনশাল্লাহ
বাড়িতে এসে এখানে বেড়াতে যাব খুব সুন্দর একটি জায়গা তৈরি করছে।
বন্ধুদের সাথে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানটা খুবই ভালো আমরাও মাঝেমধ্যে এমনটাই করতাম আর পুরনো দিনের স্মৃতি আসলে বলে থাকা যায় না
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কিছু স্মৃতি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাই।আসলেই দিনাজপুরের মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর যায়গা আছে যেগুলা সম্পর্কে আগে অবগত ছিলাম না।এখন আলহামদুলিল্লাহ সবগুলা সম্পর্কে মোটামুটি জানি।ঘুরাঘুরি আমার অনেক পছন্দ। ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যেতে হয়। এতে করে মন চাঙা হয়। আপনারা ৬ জন বন্ধু মিলে দিনাজপুরের চঞ্চল রিসোর্টে গিয়েছিলেন যেটি আপনার বাসা থেকে বেশী দূরে নয়। আর বাস জার্নি থেকে ট্রেন জার্নি বেশী ভালো বলে আমি মনে করি।
সু্ইমিংপুল আমারও খুব পছন্দ। যদিও আমি সাঁতার জানিনা। কিন্তু গলা পর্যন্ত পানি থাকলে নামতে কোন ভয় নেই। আর সেখানকার নীল রংয়ের পানি আমার খুব ভালো লাগে। ফেরার পথে হোটেল থেকে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি সময় পার করেছেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
খুব ভালো লাগলো যে আপনি আমার পোস্টটি সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ সহকারে পড়েছেন।এসলেই ট্রেন জার্নি আমার কাছে অনেক পছন্দের। যায়গাটার অনুভূতি আমার কাছে অনেক ভালো ছিলো।আপনারাও পারলে ঘুরে আসেন একদিন। তবে হ্যাঁ, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাবেন অবশ্যই। তাহলেই পরিপূর্ণ আনন্দ পাবেন।
আপনি ঠিক আমার মতই আমরা কয়েকটা ফ্রেন্ড ছুটি পেলে ঘুরতে বের হয়ে যায়। ছুটি পাওয়া দেরি হয় কিন্তু ঘুরার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে বা জায়গা নির্ধারণ করতে আমাদের একটু দেরি হয় না। ছুটি আগ পর্যন্ত আমরা কোন রিসোর্ট বা পাহাড় বা সমুদ্রে কাটিয়ে আসি।
বন্ধুদের সাথে সময় কাটালে অনেক ভালো লাগে আমার অনেক ভালো সময় কাটে
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে বা সুন্দর মুহুর্ত কাটাতে আমাদের সকলেরই অনেক ভালো লাগে। তবে পরবর্তীতে এই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে ভালোও লাগে আবার সেগুলো অনেক বেশি মিস করে থাকি। আমাদের সকলের জীবনেই বন্ধুদের সাথে কাটানো এমন অনেক মুহুর্ত রয়েছে যেগুলো আমাদের জীবনে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
আপনিও আপনার বন্ধুদের সাথে চঞ্চল রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং তার প্লানিং থেকে শুরু করে, সুন্দর আনন্দঘন মুহুর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আসলে ভাই বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরির সময়গুলো এখন আর তেমন আসেনা।এখন সবাই সবার যায়গা থেকে ব্যাস্ত। হাতেগুলা দুই-একজনকেই শুধু কাছে পাওয়া যায়।ঈদের ছুটিতে বেশ কয়েকজন বন্ধু বাসায় এসেছে।সবার সাথে একটা সিদ্ধান্ত করে দেখি,আবার কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় কিনা।
বরাবরের মতোই বলবো বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় গুলো অনেক বেশি স্মৃতি মধুর হয়ে থাকে। আজকে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার বন্ধুদের সাথে রিসোর্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত। আসলে আপনার যে জায়গায় গিয়েছেন জায়গাটা সত্যিই অসম্ভব সুন্দর। পুরনো দিনগুলো হয়তোবা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তার স্মৃতি এখনো আমাদের মাঝে রয়ে যায় আজীবন। ধন্যবাদ বন্ধুদের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।