Better Life With Steem | | The Diary Game | | 24 June, 2024
আজকে আমার ঘুম ভাঙে ৯টায়।কয়েকদিন যাবত বাসায় বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারিনাই।আর সকালবেলা প্রতিদিন আমার বাবা আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতো।তাই বাসায় যাওয়ার পরে থেকে সেভাবে ঘুমাতে পারিনাই।তবে গতকাল মেসে আসছি।
আর তাই আজকে এতো সকাল পর্যন্ত ঘুমের পসরা সাজিয়ে বসেছি।ঘুম থেকে উঠেই আমি ফ্রেশ হয়ে নিই।এরপর আমার বন্ধু ফরহাদকে জাগিয়ে তুলি।গতকাল বাসা থেকে কয়েকটি আপেল, মালটা, কলা নিয়ে এসেছিলাম।
সেগুলো আজকের নাস্তা হিসেবে গ্রহণ করি।এরপর আমি পড়াশোনা শুরু করি।বাসা থেকে ফোন আসলো।ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করার জন্য। বাসায় কথা বলা শেষ করে আমি মেসের ম্যানেজারের সাথে দেখা করতে যাই।মিল সংকট বিষয়ে তার সাথে মুলত দেখা করতে গেছিলাম।
দুপুর হতেই আমরা দুইবন্ধু মিলে দুপুরের খাবার নিয়ে আসি।এরপর গোসল করে নিই।গোসল শেষে খাওয়া করি।আজকে দুপুরের মিলে ছিলো মাছভাজি আর আলু-বেগুনের ঘন্ট।খেতে বেশ ভালোই লেগেছিলো।এরপর আমি কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিই।
আসলে ইদানীং শরীরটা ক্লান্ত থাকায় সব সময় চোখে ঘুম লেগেই থাকে।ঘুম থেকে উঠেই আমি দেখতে পাই বিদ্যুৎ চলে গেছে।অত্যাধিক গরমে ঘুম ভেঙে গেছে।উঠেই দেখি শরীর ঘেমে ভিজে গেছে।আমাদের রুমগুলোতে তাপমাত্রা বেশি কারন এটি একটা একতলা বিশিষ্ট ভবন। এরপর আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
বিকেল হতেই আমার বন্ধুকে সাথে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।আসলে আজকে বেশ কিছু জিনিস কিনতে হবে।বাজারে গিয়ে আমরা প্রথমেই হালকা নাস্তা করে নিলাম।বিকেল বেলা একটু খিদে পায়।তাই কিছু খেয়ে নেওয়াই উত্তম। এরপর আমরা ৫কেজি চাল কিনে নিলাম।এরপর আমার ফোনে রিচার্জ করে নিলাম।
কারণ আজকে আমার এমবি শেষ হয়ে যাবে।আজকে ইন্ডিয়া বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টি টোয়েন্টি ম্যাসটি অনুষ্ঠিত হবে। তাই আমি আগেই ৩ জিবি ইন্টারনেট কিনে রাখলাম।আমাদের মেসে এখনো ওয়াইফাই চালু করা হয়নি।কারণ এখনো অনেকে বাসায় অবস্থান করতেছে।
এরপর আমরা চলে আসি।আসার পর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া করে নিই।এর ভিতর বাধে বিপত্তি আমার এক বান্ধুবী আমার জন্য খাবার পাঠাবে। তাই আমাকে ফোন করে ডাক দিছে।এদিকে খেলা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছি তার উপর এই কাহিনি।
এরপর তড়িঘড়ি করে চলে গেলাম তার মেসের সামনে।এরপর খাবার নিয়ে আসলাম।আসতে আসতে খেলা শুরু হয়ে গেছে।এরপর খেলা দেখতে দেখতে খাওয়া করে নিলাম।ইন্ডিয়ার রহিত শর্মা আমার প্রিয় খেলোয়াড় সেই অনেক আগে থেকেই।আজকে তিনি যে ইনিংসটা খেলেছে তার প্রসংসা করে শেষ হবে না।
খেলা দেখেই মানুষিক প্রশান্তি লাগে।এরপর তারা ম্যাসটা জিতে যায়।ম্যাচ শেষে হঠাৎ করে কারেন্ট চলে যায়।এরপর বাধে বিপত্তি। আমার ফোনে চার্জও ছিলো না।তাই আমি আজকে সঠিক সময়ে কমিউনিটিতে পোস্ট করতে পারিনি।তার ২ টার দিক কারেন্ট আসলে ফোন চার্জ করে নিয়ে তারপর পোস্ট করতে সক্ষম হই।
আমরা বিগত পোস্টে অবগত হয়েছি, আপনি দিনাজপুরে ম্যাচে গিয়েছেন। আসলে ম্যাচ লাইফ এর জীবনটা একদম অন্যরকম। বাসায় থাকলে ঠিকমতো ঘুমানো যেত না কিন্তু ম্যাচে পুরো ইচ্ছা মতো ঘুমানো যায়।
গতকালকে আমিও ইন্ডিয়ার খেলার কিছু অংশ দেখেছিলাম। রোহিত শর্মা যে হিসেবে ব্যাটিং করেছিল তা আসলেই প্রশংসার যোগ্য।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
আসলেই ঠিক বলেছেন।মেস লাইফ আর বাসায় কাটানো জীবন একেবারেই ভিন্ন রকম।মেসে আসার পর কেউ কিছু বলার মতো থাকে না।নিজের মতো করে সময় অতিবাহিত করা যায়।তবে আমাদের সেই সময়গুলো অবশ্যই ভালো কাজে ব্যায় করা উচিত। আসলে আমি রোহিত শর্মার অনেক বড় ভক্ত।ইন্ডিয়ান এই একটা প্লেয়ারের ভক্ত আমি।তার পাওয়ার হিটিং আমি যতবারই দেখি ঠিক ততবারই মুগ্ধ হয়ে যাই।ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।
ম্যাচ লাইফ এর কথা শুনলেই কেন জানি আবারো ম্যাচ লাইফে ফিরে যেতে ইচ্ছে হয়। কারণ ম্যাচ লাইফ এর মতো স্বাধীনতা আর কোথাও নেই। সবকিছুই নিজের ইচ্ছামত করা যায়। ম্যাচ লাইফের বিশেষ করে আমি সবার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো খুব মিস করি। সত্যি কালকে ইন্ডিয়া যে খেলা দেখাইছে অবাক করার মত। আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি অনেকটাই ইন্ডিয়ার ভক্ত।
আমার কমেন্টের সুন্দর রিপ্লাই দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
দিনলিপি মানেই একটি দিনের সকল কার্যক্রম যেটা একজন মানুষের জীবন-যাপনের প্রতিচ্ছবি সরূপ। আপনার দিনলিপির মধ্যে উপস্থাপিত ফলের দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো ছিল ভাই।
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মানুষের শরীরের অবস্থা বেহাল। প্রতিদিন আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় একইরকম ভিটামিন সি যুক্ত ফল থাকা শরীরে জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
আসলে বর্তমানে যে পরিমান গরম চলতেছে।তার উপর ১ ঘন্টা পরপর কারেন্ট যাচ্ছে আবার একঘন্টা পর আসতেছে।বিগত ২দিন যাবত আমার এইখানে এমন সমস্যা চলতেই আছে।কমেন্টের উত্তর দেওয়ার মুহুর্তেও আমার এখানে কারেন্ট নাই।এই হলো আমার দেশের অবস্থা। মাঝে মাঝে কান্না পায় এসব পরিস্থিতি দেখে। আমি আজকে সারারাত ঘুমাইতে যাইনি।আমার পোস্টটি দেখবেন রাত ৩ টার দিকে করা।সকালে ঘুমাইছিলাম।এরপর ২ ঘন্টা ঘুমাইছি।খুব কষ্টে আছি দিদি।
রাতে ঘুম না হলে দিনের বেলায় ঘুমের বেশ চাপ দেয় আর হ্যাঁ আপনাদের সকালের নাস্তাটা বেশ লোভনীয় ছিল।। দুপুরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন বিদ্যুৎ এসেছে আসলে বিদ্যুৎ না থাকলে অনেক সমস্যায়।। আর খেলা দেখার জন্য এমবি নিয়ে রেখেছেন আসলে বর্তমান সময়ে এমবির অনেক মূল্য।।
রাতে ঘুম না হলে তো বুঝতেই পারছেন কি অবস্থা হয়।যখন তখন উলটে পড়ে ঘুমিয়ে থাকি।আর এখানে বলার মতোও কেউ নেই।তাই কিছুদিন থেকে আমি নিজের টাইমটেবল হারিয়ে ফেলেছি।এখানে আসার পর থেকে কেনা এমবি দিয়েই দিন অতিবাহিত হচ্ছে।আসলে আমাদের এখানে অনেকেই আসেনাই।তাই আমাদের এখানে এখনো ওয়াইফাই রিসার্জ দেওয়া হয়নি।
এটা মনে হয় সকলের সাথেই ঘটে থাকে রাতে ঘুম না হলে দিনের বেলায় বারবার ঘুম চলে আসে।। আশা করি খুব শীঘ্রই তাই অনুযায়ী চলাফেরা শুরু করে দেবেন।। আর হ্যাঁ বর্তমানে ওয়াইফাই না থাকলে অনেক সমস্যা কারণ এমবি কিনে ফোন ব্যবহার করলে অনেক খরচ পড়ে যায়।