Better Life With Steem | | The Diary Game | | 01 June, 2024
আপনার সবাই কেমন আছেন?আশা করছি ভালোই আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে অনেক ভালোই আছি।আজকে আমি আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করছি ভালো লাগবে।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমার ঘুম ভাঙে ৭:০০ টা বেজে।আজকে থেকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে আমার ডিউটি শুরু হবে। সেই জন্য ঘুম থেকে উঠার পর থেকে মোটামুটি প্রস্তুত নিতে থাকি।প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর কলেজ ড্রেস লন্ড্রি করা শুরু করি।এরপর আইডি কার্ড, নেইম প্লেট ইত্যাদি প্রস্তুত করে রাখি।সব কিছু করার পর গোসল সেরে নিলাম।
এরপর আমি এবং আমার বন্ধু আব্দুল্লাহ বাইরে গিয়ে একটা হোটেলে খিচুড়ি খেয়ে আসলাম। ড্রেস পড়ে নিলাম,এরপর আমার বন্ধুদের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম।তারপর সবাই মিলে আমরা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।সেখানে যাওয়ার পর আমরা আমাদের ম্যামের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।আমাদের ক্লাস টিচার ম্যাম এসে হাসপাতালের অথরিটির সাথে কথা বলে কার্যক্রম শুরু করে দিয়ে যাবে।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার মূহুর্তে আমি আমার বন্ধুর দ্বারায় বেশ কিছু ছবি ক্যাপচার করে নিই।এরপর আমাদের ম্যাম আসার সাথে সাথে আমাদেরকে সব কিছু ঠিকঠাক করে দেই।আমাদের আমাদের মর্নিং,ইভিনিং এবং নাইট ডিউটির জন্য একটা রোস্টার তৈরি করা হয়।এরপর আমাদের সাথে সকল সিনিয়র স্টাফের পরিচয় পর্ব হয়ে যায়।এরপর আজকে আমাদের প্রথম দিন হওয়ায় অল্প কিছুক্ষণ ডিউটি দেওয়া হয়।
আগামীকাল থেকে ৬ ঘন্টা করে ডিউটি হবে।এরপর আমরা বাসায় চলে আসলাম।তারপর সবাই মিলে ফ্রেশ হওয়ার পর বাইরে খাওয়া করতে গেলাম।আমরা কালকে থেকে সব বন্ধুরা মিলেমিশে রান্না করা শুরু করে দিবো।এতে করে বাইরে খাওয়া কমে যাবে আমরা আর্থিকভাবেও লাভবান হবো আবার শারীরিকভাবেও।
এরপর মেসে এসে সবাই একটু করে বিশ্রাম নিলাম।কেউ কেউ ঘুমালো।বিকেল হতেই আমার কয়েকজন বন্ধু বাইরে ঘুরতে যেতে চাইলো।যেই বলা সেই কাজ সবাই মিলে আশেপাশের ভালো যায়গা গুলোতে ঘুরতে শুরু করলাম।
এরপর রাস্তার পাশে হঠাৎ দেখা মিলে গেলো একটা সিঙারার দোকান।কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে এখানে প্রতি সিঙারার মূল্য মাত্র ২.৫ টাকা।মানে ১০ টাকায় ৪ টা করে শিঙারা বিক্রি হচ্ছে।সেখানে গিয়ে আমরা ৬ জন মিলে ২৪ টা সিঙারা খেলাম।এরপর আবার হাটা শুরু করলাম।
হাটটে হাটটে চলে গেলাম একটা খেলার মাঠে।সেখানে বিভিন্ন বয়সী ছেলেরা নানান খেলায় মেতেছে।এরপর সেখানে কিছুক্ষন অতিবাহিত করার পর আমরা চলে গেলাম নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের দিকে।
সেখানে বেশ কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখলাম। এরপর রাত গড়াতে থাকলো আর আমরাও বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া শুরু করলাম।এরপর বাসার পাশে আসার পর আমরা একটা হোটেলে ঢুকে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।খাওয়া শেষ করে আমরা চলে গেলাম আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাসায়।
রাতের বেলাটা আমাদের জন্য অনেক অনেক আনন্দের সাথে কাটে।কারণ আমরা একসাথে বেশ কয়েকজন মিলে থাকি।আমাদের রুমটা অনেক বড় একটা রুম।অনায়াসে চারজন থাকা যায়।ফ্লোরিং করে থাকি।একেকজনের মনের ভিতরের গল্প একেক রকমের ইন্টেরেস্টিং।কেউ না গান বলে আবার কেউবা ভুতের গল্প বলে।
আমার কেউ বা গালফ্রেন্ডের সাথে চুপিচুপি ম্যাসেজ করে।আমি শুধু চুপিচুপি স্টিমিটে পোস্ট করার জন্য টাইপিং করি।সবাই মনে করে আমিও গালফ্রেন্ডকে সময় দিচ্ছি😄।যেহেতু নতুন নতুন একটা যায়গায়য় আসলাম তাই পড়াশোনা কয়েকদিনের জন্য নাহয় বন্ধ থাক।৩-৪ দিন পরথেকে নাহয় বই খুলানো শুরু করবো।
আমার খুবি পাবনা মানুষিক হাসপাতালে যেতে আগ্রহী। কিন্তু আমাদের ৩য় বর্ষে পদার্পন করার পর সেখানে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়।আশা করছি পরের বছর সেখানে আমাদেরকেও যাওয়ার সুযোগ করে দিবে।এরপর আমি আমাদের কমিউনিটিতে পোস্ট করে ফেলি।আর হ্যাঁ বন্ধুগণ , আমি ফেসবুক থেকে পুরোপুরি বাইরে চলে আসছি।
ফোন যখনি পাই ঠিক তখনই স্টিমিট একাউন্টে চলে যাই।এই সাইডটিকে আমি আমার আর্নিং সোর্স এর পাশাপাশি বিনোদনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে চাই।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন , যেন সুস্থ থাকি এবং প্রতিদিন একটা করে পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি।আল্লাহ হাফেজ।
কলেজ ড্রেস লন্ড্রি করতে দিয়ে হোটেলে এসে বন্ধুর সাথে খিচুড়ি খেয়েছিলেন। সত্যি বলতে আমি বাইরে তেমন একটা খাইনা এতে অনেকে আমাকে কৃপণ ভাবতে পারে হবে অতিরিক্ত বাইরে খেলে আমার পেটে সমস্যা হয়।
তাই বাসার খাবারেই সন্তুষ্ট থাকি। আপনি উচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজেরা রান্না করার কথা ভেবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমারো আপনার মতোই পেটে সমস্যা হয় ভাই।বিশেষ করে বাইরে খেতে গেলে সময় মেইনটেইন হয় না।যার ফলে আমার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়।আসলে মানুষ কে কি ভাবলো আর কে কি বললো সেটা না দেখাই ভালো।নিজের ভালো নিজের কাছে।আমি নিজের ভালোর জন্য ক্রিপন হতেও পারি।
একদম ঠিক বলেছেন, মানুষের ভাবনায় আমাদের কিছু আসে যায় না। লোকে তো নানা কথা বলবেই তবে আমার কিসে ভালো হবে সেটা আমিই ভালো বুঝবো। বাইরে খেলে আমার শরীর খারাপ হয় এজন্য যতটা পারি না খাওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
সকালবেলা নাস্তা হিসেবে খিচুড়ি খেয়েছেন। যেটা আসলে সবার অনেক বেশি প্রিয়। আপনার বন্ধুসহ আবার কর্মস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। নিজের কার্যক্রম শেষ করে বাসায় এসে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়েছেন। বিকেল বেলায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়াসহ, নিজের কিছু চিন্তাভাবনা আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। আসলে আপনি ফেসবুক থেকে কতটুকু সরে এসেছেন। সেটা আপনার পোস্ট এবং কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়। আশা করি এভাবেই আমাদের সাথে যুক্ত থাকবেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে মনে গভীর থেকে ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি।আসলে মানুষ অভ্যাসের দাস।যেটা মন থেকে চাইবে সেটা নিজেই বাচতে পারবে।দিনে দিনে স্টিমিট পরিবারের প্রতি অন্যরকম একটা ভালোবাসা তৈরি হচ্ছে। আশা করছি এই পরিবারের সাথে আমার সম্পর্কটা অটুট থাকবে।
বিগত পোস্টে আমরা অবগত হয়েছিলাম আপনাদের দুই মাসের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ট্রেনিং রয়েছে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে হাসপাতালে গিয়েছেন। সেদিন আপনাদের ডিউটির প্রথম দিন ছিল। তবে বেশ কিছু কাজও করেছেন। দোয়া করি, আপনি এভাবে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন।
ব্যস্তময় একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই এই কারণেই যে আপনি আমার খোজখবর রাখেন।আসলে এই দুনিয়ায় এমন মানুষ কমেই পাওয়া যায় যারা আরেক জনের উপকারে নিজের সময় বিসর্জন দেয়।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। আর আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি