এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স
সকলে নিশ্চয়ই ভালোই আছেন।আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি।আজকে আমি মেডিকেল টার্মের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই।যেটি সম্পর্কে সকলের জানা উচিত।
আজকের আলোচিত বিষয়টি হচ্ছে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স।এটি এমন একটি বিষয় যেটি আমাদের সকলেরই জানা উচিত। অল্পমানুষ এই বিষয়ে জানলেও বেশিরভাগ মানুষ এটির সম্পর্কে অবগত নয়।হয়তো আমিও এই বিষয়ে বেশি কিছু জানিনা কিন্তু যতটুকু জানি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আসলে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স বলতে আমি যতটুকু জানি, কোনো এন্টিবায়োটিকের কর্মক্ষমতা হারিয়ে যাওয়াকেই বোঝায়।মানে যখন আমরা কোনো এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করি সেটি পরিপূর্ণ ডোজ ব্যবহার না করার আগেই এটি গ্রহণ করা বন্ধ করে দেওয়া কিংবা সঠিক সময় মেইনটেইন না করেই এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা এসব কারণে আমাদের এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স হয়ে থাকে।
আসলে এন্টিবায়োটিক গ্রহন করার পর কি ঘটে জানেন কি?যখন আমরা এন্টিবায়োটিকের সম্পুর্ন ডোজ শেষ না করেই আমাদের রোগ ভালো হয়ে যায় তখন আমরা মনে করি "আমি আর ঔষধ গ্রহন করবো না।আমি তো ভালো হয়েই গেছি"। তখন আমাদের শরীরের ৭০% কিংবা ৮০% মাইক্রোওরগানাইজম মারা যায়।যার ফলে আমাদের আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হয়।কিন্তু আমাদের শরীরে যে অনুজীবগুলো বেচে যায়, তখন তারা তাদের নিজেদের শক্তিশালী করে গড়ে তুলে।উক্ত সুযোগ নিয়ে তখন তারা তাদের রুপ একেবারেই পরিবর্তন করে নেয়। এরপর বংশবৃদ্ধি করতে থাকে তাদের মতো চেহেরা আকৃতিতে।এরপর ওই ব্যক্তি আবার কোনো একদিন সেই ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর অথবা ফাঙাসের দারা আক্রমণের স্বীকার হয়ে পড়ে।তখনেই বাধে বিপত্তি। তখন ওই ব্যক্তি যখন আবার উক্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করে তখন আর অনুজীবদের কোনো প্রকার ক্ষতি হয় না।মানে আপনার ওই এন্টিবায়োটিকটি রেজিস্টেন্স হয়ে গেছে।
আগের যুগে মানুষ অল্পপরিমাণে ছোটোখাটো রোগজীবাণুর দারায় আক্রমণের শিকার হলেই মারা যেত।তারা যুগেযুগে এন্টিবায়োটিকের অভাবে জীবন হারিয়েছে। আর বর্তমানে মানুষের পর্যাপ্ত এন্টিবায়োটিক আছে ঠিকই কিন্তু তারা নিজেদের নিয়মানুবর্তিতার কারণেই নিজেকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে।আজকে থেকে কয়েক বছর পর আবার মানুষ জ্বর স্বর্দি নিয়েই মৃত্যুবরণ করবে।তখন সকল এন্টিবায়োটিক কোনো প্রকার কোনো কাজ করবে না।আরেকটা বিষয়, মনে করেন আমার শরীরে একটা রেজিস্টেন্স হওয়া ব্যাকটেরিয়া আরেকজনের শরিরে ছড়াই গেলো।তখন সেও কিন্তু চাইলে আর সেই এন্টিবায়োটিকে ভালো হবে না।তার মানে কি দাড়ালো জানেন?আমাদের কর্মফলে রেজিস্টেন্স হওয়া অনুজীব আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বহন করতে হবে।তাই পৃথিবীতে কোনো এক সময় সব মানুষের শরীরে রেজিস্টেন্স হওয়া অনুজীব বিচরণ করবে।তখন আর চাইলেও মানুষ বাচতে পারবে না।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের বেশ কিছু নিয়মাবলি মেনে চলতে হবে।তার মধ্যে প্রধান করনীয় হচ্ছে যখন আমরা এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করবো তখন সম্পুর্ন ডোজ পরিপূর্ণ করতে হবে।কোনভাবেই ভাবা যাবে না যে, আমি সুস্থ হয়েছি আর ঔষধ খেতে হবে না।আর সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে এখনকার দিনে ফার্মেসি গুলোতেও প্রেশক্রিপশন ছাড়াই এন্টিবায়োটিক হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।এতে করে এন্টিবায়োটিকের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত হয় না।তাই আমাদের উচিত একজন পূর্নাঙ্গ অনুমোদনপ্রাপ্ত ডাক্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা।এতে করে সবাই এই ভয়ংকর রেসিস্টেন্স থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পেতে পারে।
@alamin125,
ভাই , আপনার লেখাতে ১৮% GPT সনাক্ত হয়েছে। কিছু মাত্র শব্দ না বরং একটি সম্পূর্ণ প্যারাতে সনাক্ত।
আমাদের কমিউনিটিতে এই সব খুব সূক্ষ্মভাবে চেক করা হয়। পাশাপাশি আপনিও জানেন যে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য গুলো গুগলে পাওয়া সম্ভব যে কারণেই এই সমস্যাটা হয়েছে।
আসসালামু আলাইকুম মেম।আসলে যদিও আমি আমাদের স্যারের ক্লাসে করা আলোচনার ভিত্তিতে পোস্টটা করেছি।তবুও জানিনা কেনো এমনটা ধরা পড়লো।তবে যেহেতু ডিভাইস থেকেই এমনটা ধরা পড়েছে তবে আমি অবশ্যই এটার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।পরের বার থেকে চেষ্টা করবো এই ধরনের টপিক নিয়ে বেশি কথা না বলতে।ধন্যবাদ মেম এতো সুন্দরভাবে আমাকে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। ❤️
❤️❤️
আপনি খুবই শিক্ষনীয় একটি পোস্ট করেছেন।। আপনি একদম সঠিক বলেছেন এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স সম্পর্কে আমরা প্রায় মানুষ অবগত না বা সচেতন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ডোস শেষ আগে এন্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করে দেই।। আপনি অনেক বিস্তারিত ভাবে আলোচনা কর আমি একান্ত অনেক কিছু শিখতে পেরেছি সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।।
আশা করি এরকম শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে আপনি আরো পোস্ট করবেন যেখান থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখতে পারবো।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।অনেক খুশি হলাম যে আপনি আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন।এটাই আমার স্বার্থকতা।অবশ্যই আরো এমন পোস্ট করবো।যেহেতু আপনার ভালো লেগেছে।সেক্ষেত্রে না তো আর করতে পারবো না।শুভকামনা রইলো।ভালো থাকবেন।
অবশ্যই ভাই এরকম শিক্ষা নিয়ে পোষ্ট আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজন এছাড়াও আমি মাঝে মাঝে shuyad ভাইয়ের কাছে অনেক পরামর্শ নেই।। আর আপনি তার বন্ধু আর তার কাছে অনেক পরামর্শ নিতে হবে।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স এই বিষয়টা সম্পর্কে আমি প্রথম আপনার পোস্টে জানতে পারলাম। আপনি খুব চমৎকার ভাবে আমাদের শেয়ারে শেয়ার করেছেন এর প্রবণতা এবং এটি দেরিতে খেলে, আমাদের শরীরে কি কি সমস্যা হতে পারে। এবং এই সমস্যাগুলো থেকে আমরা কিভাবে বের হয়ে আসতে পারি। সে বিষয়টা আপনি আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন।
আসলে আমরা এন্টিবায়োটিক ঔষধ যখন অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা এই ওষুধ সঠিক সময়ে খেতে পারি না। আবার মাঝে মাঝে দেখা যায় ২-৩ ডোজ ঔষধ খাওয়ার পরে। আমাদের অসুখ যখন ভালো হয়ে যায়। তখন আমরা এই ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকি। সম্পন্ন কোর্স কমপ্লিট করতে পারি না। আপনার উপরোক্ত বিষয়ে থেকে আমি বুঝতে পারলাম। অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়া শুরু করলে। অবশ্যই তার সম্পূর্ণ ডোজ আমাদেরকে খেতে হবে। তা না হলে আমাদের অনেক বেশি সমস্যা হবে। ধন্যবাদ বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমি অনেক খুশি হলাম যে আপনি আমার পোস্টটি খুব মনোযোগ সাথে পড়েছেন।একটা কাজ করে তখনই আনন্দ পাবেন যখন আপনি আপনার উপযুক্ত ফিডব্যাক পাবেন।আমিও আপনার এতো বড় কমেন্ট দেখে বুঝলাম আমার কষ্ট করে লিখা পোস্টটি বিফলে যায়নি।ধন্যবাদ আপনাকে আপু🥰
আপনি যে আজকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স সম্পর্কে তথ্য তুলেছেন এটি আমাদের সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আসলে বর্তমানে মানুষ খুব কম সময় সুস্থ হতে পারলেই মনে করে যে তারা অনেক ভালো আছে। কিছু কিছু সময় যে রোগীকে ডাক্তার এন্টিবায়োটিক দেয় তারা কিছুদিন খাওয়ার পর সুস্থ হয়ে গেলে আর খেতে চায় না। তারা হয়তো ভাবে আর ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখানে সুস্থ হওয়ার থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ বন্ধু আপনাকে আমার কষ্টে লিখা পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আসলে তখনই অনেক ভালো লাগে যখন আপনার কষ্টের মূল্য পাবেন।আপনারা সবাই আমার অনেক প্রসংশা করায় আমি আমার মনে থেকে অনেক সেটিসফাইড।সামনে আরো ভালো কাজ করার চেষ্টা করবো।দোয়া রাখবেন