🌺আসসালামুয়ালাইকুম🌺

• একটা সুন্দর দিন
• ২৬-জানুয়ারি-২০২৪
• শুক্রবার

আশা করি আপনারা সকলের ভালো আছেন সুস্থ আছেন আর আপনাদের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

"🌺 সকাল বেলা 🌺"

আজ আমি সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠলাম, আমি আরো একটি নতুন ভোরের জন্য আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে ধন্যবাদ জানাই, ঘুম থেকে উঠে বাইরে গিয়ে দেখি যে, বাইরে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা। আমি দাঁত ব্রাশ করতে করতে টিউবওয়েল ওপর যাই। আর হাত মুখ ধুয়ে রুমে চলে আসি আর রেডি হয়ে নিয়। কারণ হলো আমার বড় চাচার জন্য ঔষধ কিনে আনতে হবে।

আমি রেডি হয়ে মোটরসাইকেল বের করে নিয়ে সোজা চলে যায় খোকসা খেয়াঘাটে। আমি নদী পার হয়ে খোকসা বাজারে পৌঁছে যায় এবং আমি একটা ঔষধের দোকানে যায়। ঔষধের দোকানে গিয়ে আমি সেই ঔষধটা কিনে নিয়। ঔষধ কিনার পর আমার প্রচুর পরিমাণে ক্ষুধা লেগে যায়। তাই আমি পাশের হোটেল থেকে দুইটা রুটি ঘন ডাল দিয়ে খেয়ে নিয়। তারপর আমি সেখানকার বিল পরিশোধ করি।

বিল পরিশোধ করে আমি চলে আসি একটা জুতার দোকানে। সেখান থেকে আমি রাফ ব্যবহার করার জন্য একটা জুতা কিনে নিয়ে নদীর ঘাটে আসি। নদীর পার হয়ে আমি বাড়ি চলে আসি আর আমার বড় চাচার ঔষধটা হাতে দিয়। ঔষধ হাতে দেওয়ার পর আমার বড় চাচা বলে চল একটা জায়গায় থেকে ঘুরে আসি। আমি রাজি হয়ে যায় এবং আমার বড় চাচাকে নিয়ে আমি একটা বাড়ি যায়।

আমার দুইজন যে বাড়িতে যায়। সেটা হলো আমার বড় চাচার বন্ধু বাড়ি। আমার দুইজন অনেক সময় ধরে সেখানে বসে গল্প করি এবং সকলের খাবার সেখান থেকে খেয়ে বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি পোশাক পরিবর্তন করে গোসল করে নিয়। গোসল করে আমি রেডি হয়ে মসজিদে চলে যায়। মসজিদে গিয়ে আমি জুম্মার নামাজ আদায় করে বাড়ি চলে আসি আমার বন্ধু জামিরুলের সাথে।

"🌺 দুপুর বেলা 🌺"

বাড়ি এসে আমি রুমে না গিয়ে আমার ঘরে সিঁড়ির ওপর বসে রোদ উপভোগ করতে থাকি। আজকের রোদের অনেক হিট আছে। বসে বসে রোদ উপভোগ করতে থাকি আর সাদিকার সাথে মজা করতে থাকি আর মুরগি যাতে ধান না খাই সেদিকে লক্ষ্য রাখি। এইরকম কিছু সময় মজা আর মুরগি দেখার পর দেখি আমারে বাড়ি চলে আসে আমার ছোট মামা আর আমার নানা। আজকে তাদের আমারে বাড়িতে আসার কথা ছিল। সেই জন্য মা আজকে অনেক কিছু রান্না করেছেন।

আমি তাদেরকে হাত মুখ ধুয়ে দিয় আর দুপুরে খাবার রেডি করতে থাকি। দুপুরে খাবার রেডি হয়ে গেলে আমরা তিনজন একসাথে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করি। দুপুরে খাওয়া হয়ে গেলে আমার সবাই মিলে একসাথে গল্প করতে থাকি। এভাবে কিছুক্ষণ সময় গল্প করা হয়ে গেলে মামা আর আমার নানা বাড়ি চলে যায়। আমাদের বাড়ির সবাই মিলে তাদেরকে বিদায় জানিয়ে দিয়।

তারা চলে গেলে আমি মোড়ের ওপরে যায় এবং  দেখি মালেক ভাই দোকানে কাজে ব্যস্ত। আর সেই দোকানে আশরাফুল বসে আছে। তারপর আমি আর আশরাফুল মাঠের ভিতরে ঘুরতে যায়। আর আমাদের সাথে আশরাফুলের মেয়েও যায়। আশরাফুলের মেয়ের হাতে একটা মুখোশ ছিল। আমি ওকে বলি মুখোশটা পড়তে। ও ওই মুখোশটা পড়ে আর আমি কিছু ছবি তুলি ওর মাঠের এবং সূর্য আস্ত যাওয়ার।

"🌺 রাত্রি বেলা 🌺"

এভাবে আমরা কিছু সময় মাঠের ভিতরে সময় কাটায়। তারপর আমার মোড়ের ওপরে চলে আসি। আর কিছু সময় পর আশরাফুল ওর মেয়েকে বাড়ি রাখে যায়। তারপর আবার মোড়ের ওপরে আসে। আমরা দুইজন আবার সালাম চাচার দোকানে যায় এবং কিছু সময় আড্ডা দিয়ে আমি আর আশরাফুল আমারে বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি আমার মাকে বলি খাবার দেওয়ার কথা। আমার মা আমারে দুইজনকে খাবার খেয়ে দেয়।

আমার দুইজন মিলে রাতের খাবার খাই। রাতের খাবার খেয়ে আশরাফুল আর আমি আমার রুমে চলে আসি আর বসে বসে গল্প করতে থাকি। কিছুক্ষণ গল্প করার করার পর আশরাফুল বাড়ি চলে যায়। আর আমি বসে বসে মোবাইল টিপতে থাকি। এভাবে কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আমি মনে মনে ভাবতে থাকি আজকে আমি সারাদিন কি কি কাজকর্ম করেছি?

আর ভাবার পর সেটা লেখা শুরু করি। কিছু সময় লেখার পর আমার লেখা শেষ হয়ে যায়। আমি দুই তিন বার পড়ে দেখি যে, কোথায় কোন ভুল আছে কিনা। যখন আর কোন ভূল আমার চোখে ধরা পড়ল না, তখন আমি স্টিমে প্রবেশ করি। আর আজকে ডাইরি গেমটা পোস্ট করি। ডাইরি গেমটা পোস্ট করে আমি শুয়ে পড়ি।

এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন চলে গেল। জানিনা আজকে আমি কোন ভালো কাজ করতে পেরেছে কিনা। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। খুব সুন্দর ভাবেই আরো একটা দিন পার করতে পেরেছি তার জন্য।

সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। আর আমার লেখা আপনাদের সকলের কাছে কেমন লাগল সেটা বলবেন? ধন্যবাদ।

" 💖 আল্লাহ হাফেজ 💖 "