অযথা কষ্ট দিয়ে নিজে কষ্টে পতিত না হই।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।
প্রিয় সাথী বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায়, আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি সুস্থ আছি।
এই পৃথিবীতে কিছু কিছু প্রাণী আছে, যাদেরকে কষ্ট দেওয়া একেবারে নিষেধ করা হয়েছে। যেমনঃ পিঁপড়া, বিড়াল, কবুতর, ব্যাঙ এই চারটা প্রাণী।
আমরা সচরাচর বাড়ি, রাস্তাঘাটে অনেক কুকুর এবং বিড়ালকে দেখি খুরিয়ে খুরিয়ে হাঁটছে। এই প্রাণীগুলোকে কেউ না কেউ হয়তো পা ভেঙ্গে দিয়েছে বা কেটে দিয়েছে। পিঁপড়ের উপদ্রব বেশি হলে আমরা ওষুধের মাধ্যমে পিঁপড়ে গুলোকে মেরে ফেলি অথবা আগুন ওয়ালা ছাই দিয়ে পিঁপড়ে গুলোকে মেরে ফেলি।
আসলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপরে উল্লেখিত চারটি প্রাণীকে কষ্ট দেওয়া একেবারে নিষেধ করা হয়েছে। এই প্রাণীগুলোকে কোনক্রমেই কষ্ট দেওয়া যাবে না।
বনী ইসরাঈলের এক মহিলা একটি পিপাসিত কুকুরকে পানি খাওয়ানোর কারণে তার জিন্দেগির গুনার খাতা আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন। এছাড়া আমরা জানতে পারি, কোন এক মহিলা একটি বিড়ালকে অনাহারে বেঁধে রাখার কারণে বিড়ালটি মারা যায় আর এই মারা যাওয়ার ফলে তাকে আল্লাহতালা শাস্তি দিয়েছেন।
পিঁপড়াকে এত মর্যাদা দেওয়ার কারণ হলো পিঁপড়া স্বজাতির কল্যাণের জন্য আহবান করেছিল। আর এই কারণেই মহান আল্লাহতালা পিপড়ার মর্যাদা এত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনের একটি সূরা পিঁপড়ার নামে নামকরণ করেছেন।
source
আমাদের এই পিঁপড়া থেকেও শিক্ষা নেওয়া উচিত আমাদের স্বজাতির প্রতি আমরা কখনই কল্যাণ কামনা করি না। আমরা শুধু একজন আরেকজনকে দমিয়ে রাখতে চাই। আমরা অন্যের ভালো কখনই চাই না। শুধু নিজের ভালোটাই বুঝতে চায়, অন্যের ভালো কখনো বুঝতে চায় না।
source
এরপর ব্যাঙের কথা বলি। ব্যাঙকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ করা হয়েছে। কারণ হলো এক আল্লাহকে স্বীকার করে নেওয়ার কারণে তখনকার জালিম বাদশা নমরুদ, হযরত ষইব্রাহিম (আঃ) কে আগুনের কুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আর সেই আগুনকে নিভানোর চেষ্টা ব্যাঙ করেছিল অর্থাৎ আগুনের মধ্যে ব্যাঙ প্রসাব করে দিয়েছিল যাতে আগুন নিভে যায়। ব্যাঙের এই কাজকে মহান আল্লাহতালা খুবই পছন্দ হয়েছিল। তাইতো ব্যাঙকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ করা হয়েছে
source
এরপর আরেকটি প্রাণীকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ তা হলো কবুতর। এই কবিতর অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রেরণের জন্য এদেরকে ব্যবহার করা হয়েছিল। যেমনঃ নূহ (আঃ) এর সময়কার প্লাবনের পরে পানি পরীক্ষা করার জন্য এই কবুতরকে প্রেরণ করা হয়েছিল। এছাড়াও হযরত আলী রাঃ এর ছোট ছেলে হযরত হোসাইন রাজিয়াল্লাহু আনহুর সময় তার বিপদের খবর পাঠানো হয়েছিল কবুতরের মাধ্যমে। তাইতো এই প্রাণীকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ করা হয়েছে।
source
এরপর বিড়ালকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ করা হয়েছে। বিড়াল আমাদের অনেক অনেক উপকার করে, যা আমরা সাধারণ দৃষ্টিতে তা বুঝতে পারি না। বিড়াল রাত্রে মে ঘরে থাকে সেই ঘরে যত জীবানু থাকে সেগুলোকে সে শুষে নেয়। আমাদেরকে বিভিন্ন ভয়ঙ্কর রোগ থেকে এরা রক্ষা করে।
পরিশেষে সবার প্রতি আকুল আবেদন আমরা এই চার প্রাণীকে কখনোই কষ্ট দেব না, কষ্ট দেওয়ার চেষ্টাও করবো না। আজকের মত এখানে শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
প্রিয় ভাই আপনার কথাগুলোর সাথে আমি পুরোপুরি একমত। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে আমিও এ কথা মানি যে আল্লাহ তালা যা নিষেধ করেছেন সেগুলো না করা এবং যা আদেশ করেছেন তা যথাযথ নিয়মে পালন করা। একজন মানুষ হিসেবে আমাদের কোন প্রাণিকেই কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। কেননা আমাদের যেমন জীবন আছে এবং আমরা যেমন ব্যথায় ব্যথিত হই ঠিক তেমনি অন্যান্য প্রানীও আমাদের মতো এসব অনুভব করে।
আপনি যে চারটি প্রাণির কথা উল্লেখ করেছেন এই প্রানীগুলো থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে এবং এরা আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। আপনার লিখাটি পড়ে সত্যি অনেক উপকৃত হলাম। বিবেক জাগ্রত হলো আপনার এই লিখার দ্বারা। ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই, দোয়া করি।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। এখান থেকে কিছু শিখতে পারছেন এটা শুনে আমার আরো ভালো লাগলো। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
আমি নিজে একজন পশুপ্রেমী মানুষ যার কারনে যেকোন জীবকেই কস্ট পেতে দেখলে খুব খারাপ লাগে। তবে কিছু কিছু জীবকে আমরা আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে মেরে থাকি।যেমন ধানক্ষেতে পোকা হলে আমাদের মারতেই হয়।তবে অকারণে যখন কোন জীবকে কস্ট দেই সেটা অবশ্য ই শাস্তি যোগ্য অপরাধ।আমাদের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।
এত সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি একজন পশু প্রেমি মানুষ। এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো । আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল
পৃথিবীতে প্রত্যেকটা প্রাণীর সৃষ্টি করার ক্ষেত্রেই আল্লাহ তায়ালার কোন না কোন কারণ রয়েছে। প্রত্যেকটা প্রাণীর মানুষের সাহায্য করে থাকে। আজকে আপনার পোস্টে আপনি চারটি প্রাণীর বিষয়বস্তু উল্লেখ করেছেন।
পিঁপড়া সব সময় দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। আর নিজেদের খাবার নিজেরা যোগান দেয়। এবং তাদের সাথে মিলেমিশে বসবাস করতে পছন্দ করে। অবশ্যই পিঁপড়া কাছ থেকে, আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।
প্রত্যেকটা প্রাণী আমাদের উপকার করে বিড়াল, কবুতর, ব্যাংঙ, কোন প্রাণীকেই কষ্ট দেয়া উচিত নয়। কারণ সৃষ্টিকর্তা তাদের আমাদের উপকার করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস করে এই প্রাণীগুলোকে সবসময় সাহায্য করা উচিত। কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা এই প্রাণীগুলোকে অনেক বেশি কষ্ট দেয়। সবাইকে অনুরোধ করবো। এই প্রাণীগুলোকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন। আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার চেষ্টা করুন।
আপনাকে সর্বপ্রথম ধন্যবাদ আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়েছেন। আপনি একটি সুন্দর কমেন্ট করেছেন। সেই সাথে সেই সাথে এই প্রাণীগুলোর কে কষ্ট না দেয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এজন্য আরও ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।
কোনো জীবকেই কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। সকলেরই প্রাণ আছে। সকল জীবকেই ভগবান এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, আবার সময় হলে আমাদের তার কাছে ডেকে নেবেন। আমাদের সকলেরই উচিত কোনো অবলা পশু পাখির ওপর অত্যাচার না করা। তাদেরও আমাদের মতো বাঁচার সমান অধিকার আছে। আপনি খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ।
জীবনে দয়া করিবে যে জন,সে জন সেবি বে ঈশ্বর।তো জীব কে সেবা করার মধ্য ই ঈশ্বর কে সেবা করা যআয়।এই ছোট একটি বাক্যের মধ্য থেকেই আমরা বুঝতে পারি যে, জীবের প্রতি কতটা সহনশীল হওয়া আমাদের উচিত। তাই আমার ও মনে কোন প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হওয়া যাবেনা। শুধু পিঁপড়ে,ব্যাঙ,কবুতর বা বিড়াল ই নয়,কোন প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হওয়া উচিত নয়। খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনি। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল। আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে, কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
আপনাকে ও ধন্যবাদ।আপনি নিজেও ভালো থাকবেন সবসময় ভাইয়া।
আসলে প্রায় প্রতিটি প্রানীর খারাপ ভালো দুটু দিক ই রয়েছে। আপনি আপনার পোস্টে প্রানীদের কষ্ট না দেয়ার কথা বলেছেন।আমার মনে হয় এটা সবার মেনে চলা উচিৎ যে তার জন্য যেন অন্য কোনো প্রানী খারাপ না থাকে।অনেক সময় দেখি মা বিড়াল কে কেউ মেরে ফেলছে,সেই বিড়ালের ছোট বাচ্চা রয়েছে।তখন সেগুলোর কি হবে এটা কেউ যদি ভাবত! খারাপ লাগে এসব দেখলে।আপনার পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল আল্লাহ পাক আপনাকে যাবতীয় অকল্যাণ হতে রক্ষা করেন। আপনার প্রতি ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে কষ্ট করে পড়ার জন্য।
আপনার পোস্টের মাধ্য।এ অনেক ভালো একটা মেসেজ পেলাম। আসলে যে সব প্রানী উপকারী তাদের কাউকেই কষ্ট দেয়া উচিত নয়। অনেকেই অজ্ঞতা বা খামখেয়ালির কারণে অযথা ইনেক প্রানীকে হতা করে যা বড় অন্যায়। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝদান করুক।
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্যে।
ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।