বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যা ও সমাধানের উপায়

in #blog6 years ago

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে প্রাণী সম্পদ খাত, যার উপখাত হিসাবে পোল্টি শিল্প খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে দীর্ঘকাল থেকে। কারণ ডিম এবং মাংস সরবরাহের মাধ্যমে দেশের প্রোটিন ঘাটতি পূরণে পোল্ট্রি খাতের পরিচিতি পুষ্টি বিজ্ঞানীদের কাছেও খুবি বেশি। বাংলাদেশের জিডিপিতে এই উপখাতের অবদান ২.৬৭% এবং চলতি অর্থ বছরে এ খাতের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির হার ৩.৯৮ %। বর্তমানে বাংলাদেশের পোল্ট্রির সংখ্যা ২২৮০.৩৫ লক্ষ যা বছরে ৩০০৫৩ লক্ষ ডিম উৎপাদন করে থাকে (সূত্র- বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০১২, ঢাকা)। কিন্তু সুযোগ থাকা সত্বেও নানামুখী সমসার কারনে এর সম্প্রসারন এখনও স্তিমিত। তবে সুষ্ঠ ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে এই খাতকে দেমের বৃহত্তম বানিজ্যিক খাতে পরিণত করা সম্ভব।

IMG_20180912_125409.jpg [ Image source- Author]

বাংলাদেশের পোল্ট্রি খামার গুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত । এসব সমস্যার জন্য অনেকে হাঁস- মুরগির খামার বাড়াতে বা নতুন খামার সৃষ্টিতে আগ্রহী হচ্ছে না । নিচে সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হল ।

১.মূলধন সমস্যাঃ হাঁস- মুরগির খামার স্থাপনের জন্য যে প্রাথমিক মূলধন প্রয়োজন হয় ঐ মূলধনের অভাবে ইচ্ছা থাকা সত্বেও অনেক বেকার ও কর্মঠ যুবক পোল্ট্রি খামার স্থাপন করতে পারছে না ।২. সুস্থ-সবল রোগমুক্ত বাচ্চার অভাবঃ যেসব বাক্তি পোল্ট্রি খামার করতে আগ্রহী তাঁদের অবশ্যই ১ দিনের মুরগির বা হাঁসের বাচ্চা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রায় সকল হ্যাচারিতে প্যারেন্ট ঝাঁকের মাধ্যমে বাচ্চাতে রোগ ছড়ায় এবং এ বাচ্চা খামারিদের নিকট যখন সরবরাহ করা হয় তখন কিংবা পড়ে পালনের সময় বাচ্চার মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে যায় । এছাড়া লেয়ার বাচ্চার অতাধিক চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম বিধায় খামারিদের পোল্ট্রি ঘর ফাঁকা রেখে অনেকদিন পর্যন্ত বাচ্চার জন্য অপেক্ষা করতে হয় । ৩. সুষম খাদ্য সমস্যা ও পোল্ট্রি খাদ্যর অত্তাধিক মূল্যঃ বাংলাদেশের পোল্ট্রি সুষম খাদ্যর অত্তাধিক মুলোর কারণে পোল্ট্রি শিল্প ভীষণ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ছে । তা ছাড়া খাদ্যর গুনগতমান মাঝে মাঝে অত্যন্ত নিম্নমানের হয়ে থাকে । কারণ এসব খাদ্য নিম্নমানের হলে আশানুরূপ উৎপাদিত দ্রব্য, যেমন- মাংস ও ডিমের মূল্য ঐ অনুপাতে না বাড়লে সমস্যা হয়ে। পুষ্টিবিদের অভাবে অনেক সময় পোল্ট্রি খামারিগণ সঠিকভাবে সুষম রেশম করতে পারে না এবং মিশ্রিত খাদ্যর মূল্য অনাবশ্যকভাবে অত্তাধিক হয়ে পড়ে। ৪. পোল্ট্রির ওষুধপত্র ও প্রতিরোধক টিকার অত্যধিক মূল্যঃ বেশির ভাগ রোগ বিশেষ করে ভাইরাসজনিত রোগের কোন ফলপ্রসু চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই । রোগের জন্য ওষুধ প্রয়োগের বেশি খরচ পড়ে , ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। প্রতিরোধ ব্যবস্থা উত্তম হলেও বিদেশ থেকে আমদানি করা টিকা অনেক ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয় না। অধিকন্ত ঐসব টিকার মূল্যও অত্যধিক । ৫. পোল্ট্রির উৎপাদিত দ্রব্যের বাজারজাতকরণ সমস্যাঃ ডিম ও ব্রয়লার মুরগি এবং ছাঁটাই করা হাঁস- মুরগী বিক্রয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন বাজার ব্যবস্থা এদেশে এখনো গড়ে উঠেনি । তাই সর্বক্ষেত্রে প্রকৃত খামারিগন হাঁস- মুরগির উৎপাদিত পণের প্রকৃত মূল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ শিল্পের সাথে জড়িত মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভের সিংহভাগ নিয়ে নিচ্ছেন। অনেক সময় সুনির্দিষ্ট বাজার ব্যবস্থা না থাকার এ শিল্পের উৎপাদিত দ্রব্য প্রকৃত খামারিগন লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ৬. সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবেঃ হাঁস- মুরগির খামার স্থাপনের জন্য প্রশিক্ষণ নেয়া একান্ত আবশ্যক । প্রশিক্ষণ বিহীন ব্যক্তি যদি খামার স্থাপন করে তবে হাঁস-মুরগি পালনে নানারকমে সমস্যার সন্মুখীন হতে হয় । হাস-মুরগি পালন সম্বন্ধে সম্যকজ্ঞান অবশ্যই থাকা উচিত। এজন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তবে প্রশিক্ষণটি অবশ্যই বিজ্ঞানভিত্তিক ও সময়োপযোগী হওয়া উচিত। বর্তমান সময়ে বাণিজ্যিক ডিম পাড়া হাইব্রিড মুরগি পালন করতে হলে এদের ব্যবস্থাপনা সম্বন্ধে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত আবার প্রশিক্ষকের ও পোল্ট্রি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। ৭. ইনসুরেন্স বা বীমা সমস্যা ঃ আমাদের দেশে পোল্ট্রি কীমা নেই অথচ উন্নত দেশে এমনকি ভারতে ও প্রত্যেক পোল্ট্রি খামার বীমাকৃত। ফলে রোগে আক্রানন্ত বা অন্য কোন সমস্যায় খামারী ক্ষতিগ্রস্থ হলে বীমাকৃত অর্থ ঐ খামারীকে রক্ষা করে। ৮. পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞের অভাব ঃ দেশে পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞের অভাবে এদেশের অনেক খামার আজ লাভজনক করা কঠিন হয়ে পড়ছে। আমাদের দেশে হাঁস মুরগির সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য বিশেষজ্ঞের অভাব রয়েছে। দেশের অল্প কয়েক স্থানে মাঠ পর্যায়ে রোগ অনুসন্ধান কেন্দ্র রয়েছে, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয় না ।

পোল্ট্রি শিল্পে সমস্যা সমাধানে করনীয়

এটি সহজ ও এতে প্রাথমিক পুঁজির প্রয়োজন কম। বৃহৎ উদ্যোগের পাশাপাশি গ্রামীণ জনগণ ছোট আকারেও এটি করতে পারে। তবে পোল্ট্রি ফার্ম পরিচালনায় খামারিরা বেশকিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে, যা দূর করা দরকার। কাছে অতীতে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে সৃষ্ট মৃত্যের কারনে এই খাতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছিল। যা ছিল সংশ্লিষ্ট খামারিদের জন্য এক বিশাল ধাক্কা। এতে তারা কোনো জায়গা থেকেই আর্থিক বা কোনোরূপ সহযোগিতা পায়নি। এরূপ চলতে থাকলে উদ্যোগী খামারিরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বে, যা কখনো কাম্য নয়। বিশ্বখাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্টে দেখা যায়, বাংলাদেশ ও অপরাপর পাঁচটি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে। যথাযথ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ না করা ও সময়োপযোগী ভ্যাকসিনেশনের অভাবে এ শিল্পটি যথেষ্ট হুমকির মুখে রছেছে। এছাড়া আরো বেশকিছু সমস্যা রয়েছে যা পোল্ট্রি শিল্প বিকাশের অন্তরায়। এসব প্রাণীর খাবার প্রস্তুতের জন্য কিছু উপাদান বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর ওপর আরোপিত ট্যাক্সের পরিমাণ কমানোর দাবি রয়েছে খামারিদের। খামারগুলোতে সহজ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান প্রয়োজন। পোল্ট্রি খামারিদের জন্য সুবিধাজনক হ্রাসকৃত ট্যারিফ নির্ধারণ করা যেতে পারে। সরকারিভাবে বা যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খামারি ও খামারে কর্মরত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। স্বল্প মূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষুধ ও ভ্যাক্সিনেশনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বাংলাদেশের অন্যান্য কৃষি পণ্যের মতো এই ক্ষেত্রেও উৎপাদনকারী ও গ্রাহকের মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগীরা অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক মনিটরিং চালু করা ও মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে। উৎপাদন প্রক্রিয়া সহজীকরণের পাশাপাশি বাজারজাত করণের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব শ্রেণীর সুবিধা প্রাপ্তিতে সাম্য বজায় থাকা জরুরী। খামারিরা যাতে লাভবান হতে পারে এবং ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা থাকা দরকার। এসব শিল্পের জন্য বীমার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারি বীমা সংস্থাকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করা দরকার। লেয়ার ও ব্রয়লার প্যারেন্ট স্টক প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৩০ ভাগ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও এটি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। পোল্ট্রি শিল্পের সঠিক ও কাঙ্খিত বিকাশের জন্য অন্তর্জাতিক মানের নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগালে খরচ কমে আসবে ও মানসম্মত মাংস ও ডিম উৎপাদন সহজ হবে। এ লক্ষ্যে পোল্ট্রি শিল্পে উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগানোয়। উদ্বুদ্ধ করণের জন্য প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনারের আযোজন করা যেতে পারে। বাংলাদেশে আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে যথেষ্ট ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য সরকারও সচেষ্ট। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী ও সহজ খাত হতে পারে পোল্ট্রি শিল্প। যদি এ খাতে যথেষ্ট সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হয় তবে এ থেকে দেশীয় আমিষের চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

দেশের অদক্ষ কর্মহীন বিশাল জনগোষ্ঠীর একাংশকে সামান্য প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে যথেষ্ট গতিশীলতা আনবে। উৎপাদনমুখী ও সহজ এ শিল্পটি বিকাশের সব সুযোগ এ দেশে বিদ্যমান। মুরগি ও ডিমের চাহিদাও দেশ ও বিদেশে যথেষ্ট। ফলে এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য এটি একটি সহজ সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগানো উচিত।

পোল্ট্রি শিল্পে সম্ভাবনা:

বাংলাদেশে আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে যথেষ্ট ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য সরকারও সচেষ্ট। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী ও সহজ খাত হতে পারে পোল্ট্রি শিল্প। যদি এ খাতে যথেষ্ট সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হয় তবে এ থেকে দেশীয় আমিষের চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।

পোল্ট্রি একটি অতি প্রয়োজনীয় শিল্প। সারা বিশ্বের সব দেশের জন্যই এটি গুরুত¦পূর্ণ। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা পূরণে বৈজ্ঞানিক উপায়ে অধিক হারে মুরগি, হাঁস উৎপাদনের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের জন্য এটি আরো বেশি প্রযোজ্য। বিস্ফোরিত জনসংখ্যার চাহিদা পূরণে আধুনিক পদ্ধতিতে পোল্ট্রি ফার্ম পরিচালনা করা অপরিহার্য। সন্দেহ নেই এটি এ দেশের একটি সম্ভাবনাময় ও বিকাশমান শিল্প। গত দুই দশক ধরে এর বার্ষিক প্রায় ২৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ফার্ম পরিচালনা করেও বাজারে স্বল্প মূল্যে মুরগি ও ডিম সরবরাহ করছে দেশীয় পোল্ট্রি ফার্মাররা।কন্তিু উৎপাদিত এই দ্রব্য মোট চাহিদার অর্ধেকেরও কম। বিশ্বখাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের বার্ষিক ৫৬ কেজি মাংস ও কমপক্ষে ৩৬৫ টি ডিম গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে জনপ্রতি বছরে ১১.২৭ কেজি মাংস ও ৩৫ টি ডিম গ্রহণ করে থাকে যা প্রযোজনের তুলনায় নিতান্তই কম। ফলে মানুষ পুষ্টিহীনতার শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ ভাগ মানুষ প্রোটিন, আয়োডিনসহ নানারকম পুষ্টি স্বল্পতায় ভুগছে। পোল্ট্রি ফার্ম কম মূল্যে মুরগি ও ডিম সরবরাহ করে দেশেয় জনসাধারনের পুষ্টি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মাছ ও গবাদিপশু উৎপাদনে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে কিন্তু পোল্ট্রির মাংস ও ডিম উৎপাদন অনেক সহজ ও কম সময় সাপেক্ষ। বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এর চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমহ্রাসমান। এর পরিমাণ প্রতিবছর শতকরা একভাগ করে কমে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ভূমি ব্যবহারের নতুন কৌশল উদ্ভাবন প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে পোল্ট্রি শিল্প বিকাশ কম ভূমির অধিক ফলদায়ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে। এর মাধ্যমে ভূমি ব্যবহার থেকে বর্ধিত সুবিধা হাসিল করা যেতে পারে। অধিকন্তু পোল্ট্রি থেকে বায়োগ্যাস ও জৈব সার তৈরি করা সম্ভব, যা দেশের জ্বালানির চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারে। বিকাশমান এ শিল্পটিতে নব্বইয়ের দশকে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৫০০ কোটি টাক, যা বর্তমানে ১৫০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

শুধু তাই না পোল্ট্রি শিল্পের সুবাদে দেশে ৮০ লক্ষাধিকের বেশি লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও ধীরে ধীরে অগ্রসরমান। জনপ্রতি আয় অতীতের তুলনায় বেশ বেড়েছে। মাংস ও ডিমের চাহিদা এরই সঙ্গে বাড়ছে। সাম্প্রতিককালে দুধের চাহিদা ৮ ভাগ ও ডিমের চাহিদা প্রায় ৫ ভাগ বেড়েছে। আশির দশকে বিদেশি উন্নত জাতের মুরগি ও এর ডিম গ্রহণে মানুষের মধ্যে যে ভ্রান্ত ধারনা ছিল তা অনেকাংশে দূর হয়েছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ফার্মের ডিম ও ব্রয়লার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশে আরো গতি সঞ্চার প্রয়োজন ।

Think Positive, Be positive and saty with me at @mawahab

steemit logo @mawahab.jpg

Sort:  

Awesome . Bro apnar post ta khub valo hoyeche , Apnar post er kono info online theke neoa thakle obosshoi source add korte vulben na

Thanks a lot @zaku vai
amr ai article ta likselm bes kisu din age
around 7-8 month
amr mone asa kisu info niselm tv news report thake.
but kono source thake niselm ki na ta janr jonne plagrism check korselm.
pore sekhan a 100% real dekhailo
tai r source dei nai @zaku vai

Then No problem

tobe apander moto manusder ai rokom comment pailee valo lage vai @zaku

Chicken innovation is amazing, a very good post divides the experience for all friends in steemin. Thank you @mawahab

I always try to explore something new and spread it among my friends and followers. thanks for your nice comments @fikar21

Thank you always for my friend @mawahab

you welcome

Dear friend mawahab!
Friends I read your whole article very deeply through the translator
You have expressed your opinion about the problems of poultry problems and diagnosis of problems in a very good manner. At a small level or at a large level, this business initially comes with some problems, whether it is a financial problem or an experience related to the problem. But after one thing begins, problems gradually end up automatically. This is a better option for reducing unemployment.

yes, my friend, you got the actual meaning of my article, Thanks a lot for summarizing my article @crtain

Thanks my friend .. best wishes for your religious festival.. today as celebrating exactly not not for happiness with serious way in the memory of his (Paigambar) in my country.

ow, thanks my friend

Investors and authority should back this sector.
A well written post :)

thank you very much bro @hafiz34

Seems like you are doing great in this community, like lot of other Bangladeshi. Great.

বাংলাদেশে পোল্ট্রি শিল্প করে এখন অনেকেই ভালো আছে।

ji apu, apni thik bolasen @aafrin

Its very sad but the owners give genetic injections and pills to the chickens so that thametmy can grow adult in a very short span of time. This is not organic.

Posted using Partiko Android

you little bit right but not at all @mango-juice

Congratulations @mawahab! You have completed the following achievement on the Steem blockchain and have been rewarded with new badge(s) :

Award for the total payout received

Click on the badge to view your Board of Honor.
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word STOP

You can upvote this notification to help all Steemit users. Learn why here!

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 64275.79
ETH 3156.57
USDT 1.00
SBD 2.56