শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বাংলাদেশি সাহসী লেখিকা তসলিমা নাসরিন যা বললেন
শেখ হাসিনা আমার বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছেন। আমাকে তিনি আমার পৈত্রিক সম্পত্তির কানাকড়িও পেতে দেননি। সম্পত্তি পেতে হলে আমাকে দেশে উপস্থিত থাকতে হবে, অথবা দেশের কাউকে পাওয়ার অব এটর্নি দিতে হবে, যে আমার হয়ে সম্পত্তি বুঝে নেবে অথবা বিক্রি করবে। আমাকে যেহেতু শেখ হাসিনা দেশে ঢুকতে দেননি, আমি আমার বোনকে পাওয়ার অব এটর্নি দিয়েছিলাম। পাওয়ার অব এটর্নি্র ডকুমেন্ট বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হয়। শেখ হাসিনার নির্দেশে বা ভয়ে দূতাবাসের কেউ আমার পাওয়ার অব এটর্নি সত্যায়িত করেননি। শেখ হাসিনাকে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় এই মর্মে একাধিক খোলা চিঠি লেখার পরও তিনি সাড়া দেননি। অবিশ্বাস্যরকম নিষ্ঠুর ছিলেন তিনি।
কী কারণে তিনি আমার পুরস্কারপ্রাপ্ত গ্রন্থ আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ড ‘আমার মেয়েবেলা’ নিষিদ্ধ করেছিলেন, তা তিনিই জানেন। অদ্ভুত হিংসে, ঘৃণা, আর দম্ভে তিনি আচ্ছন্ন থাকতেন। তাঁর ভয়ে প্রকাশকরা বাংলাদেশে আমার বই প্রকাশ করতেন না। তিনি নিষিদ্ধ করবেন আমার বই, আমার বই প্রকাশ করলে প্রকাশকদের হেনস্থা করবেন তিনি, এই ভয় ছিল প্রকাশকদের। কী ক্ষতি আমি তাঁর করেছিলাম? কিছুই না। বরং তাঁর পক্ষে কথা বলেছি বহুবার। তিনি নির্বাচনে জিতুন, তিনি বাহাত্তরের সংবিধান ফিরিয়ে আনুন, এমন আশা ব্যক্ত করেছি বহুবার। খালেদা জিয়া যাকে অন্যায়ভাবে নির্বাসনদণ্ড দিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার তার প্রতি সহানুভূতি থাকার কথা, অথচ তিনি ছিলেন একই রকম ভিনডিকটিভ।
তিনি নিজের বাবা নিয়ে কত যে হাহাকার করতেন, অথচ অন্যের বাবাকে তিনি দু’পয়সার মূল্য দিতেন না। যেন তাঁর বাবাই বাবা, অন্যের বাবারা বাবা নয়। অসম্ভব স্বার্থান্ধ মানুষ ছিলেন। আমার বাবা যখন মৃত্যুশয্যায়, আমি দেশে ফেরার জন্য আকুল ছিলাম, বাবাকে একবার শেষবারের মতো দেখতে চেয়েছিলাম, তাঁকে শতবার অনুরোধ করেছিলাম যেন আমাকে দেশে ফিরতে বাধা না দেন, তিনি বাধা দিয়েছিলেন, তিনি আমার অনুরোধের দিকে ফিরেও তাকাননি, আমাকে দেশে ফিরতে দেননি। আত্মম্ভরিতা শেখ হাসিনাকে খুব হীন এবং নীচ বানিয়েছিল।
তাঁর হীনতা আর নীচতার প্রতিশোধ আমি কিন্তু নিচ্ছি না। আমি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী সমর্থকদের ওপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে ইউনুস সরকার, তার প্রতিবাদ করছি। আমি বারবার বলছি সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেন অংশগ্রহণ করতে পারে, দেশের এই সংকটকালে স্বাধীনতার শত্রুদের প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমস্ত শক্তি যেন জোট বাঁধে, যেন নির্বাচনে জয়লাভ করে।
Hello welcome to Steemit world!
I'm @steem.history, who is steem witness.
This is a recommended post for you.Newcomers Guide and The Complete Steemit Etiquette Guide (Revision 2.0) and, recommended community Newcomers Community
I wish you luck to your steemit activities.
(The bots avatar has been created using https://robohash.org/)
@steem.history
My witness activity
Reference
SPUD4STEEM project
My featured posts
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)