ওয়েব সিরিজ রিভিউ: নভেম্বর স্টোরি ( পর্ব ৬ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'নভেম্বর স্টোরি' ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ক্লোস টু"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, যে মহিলাটি মারা গিয়েছিলো তার ব্যাপারে খোঁজ পেয়েছিলো। আজকে এই ঘটনার কতটা আলোকপাত হয় দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❄মূল কাহিনী:❄
এই ঘটনার সূত্রপাত খুঁজতে গিয়ে যে অফিসার সাথীরা নিযুক্ত ছিল, তার খোঁজ পায় যে এইসব কিছুর পিছনে ওই রিটার্ড প্রাপ্ত পোস্টমর্টামের লোকটার হাত আছে। আর এই খুনটা যে সেই করেছিল সেই বিষয়ে তারা নিশ্চিত, কিন্তু প্রমান তার বিরুদ্ধে কিছুই পায়নি। এখন যে তিনজন ছেলে চেন্নাই থেকে পালিয়ে এখানে এসেছিলো, তারা সাধারণত এখানে হায়দ্রাবাদে পালাতে আসেনি আর ওই লোকটাও চেন্নাইয়ের ছিল। এখন এখানে এদের সবার সাথেই যে একটা যোগসূত্র আছে, সেটা তারা ভালোভাবেই আন্দাজ করতে পারছে। আর এই লোকটার সাথে পরমধাম নামের একজনের যে পরিচিত ছিল সে মোটামুটি তাকে জানতো। কারণ সে তাদের এক ব্যাচ নিচের স্টুডেন্ট ছিল। এখন ওই লোকটা নাকি একজন সার্জেন হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিলো, কিন্তু তার সেই সার্জেন হওয়া হয়নি একটাই কারণে, কারণ তার অপারেশন এর সময়ে হাত কাঁপতো।
আর এইটা নিয়েই তার সিনিয়র সবসময় বকাঝকা দিতো। এই লোকটার ব্যাকগ্রান্ড নিয়ে অনেক বিষয় আছে। সেযাইহোক, এই কারণে তার আর সার্জেন হওয়া হয়নি ঠিকই, কিন্তু একজন বেস্ট পোষ্টমর্টেমের হিসেবে সে ভালো জায়গায় চাঞ্জ পেয়ে কোর্স কমপ্লিট করে। এখন বিষয় হচ্ছে যে, এই যে চেন্নাই থেকে হায়দ্রাবাদে একসাথে তাদের সবার আবির্ভাব সেটা নিছক কোনো কাকতালীয় ঘটনা না। এখানে তাদের অবশ্যই কোনো না কোনো যোগসূত্র আছে। আর এইটা নিয়েই কথা বলার জন্য পুলিশ তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আসলে এই লোকটা ওই মহিলার খুনের ব্যাপারে যখন হেল্প করতে চেয়েছিলো, সেটা কিন্তু নিজেই বলেছিলো আর তার নিজের মতো একটা কাহিনী তাদের সামনে উপস্থাপন করে বিষয়টা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলো। এই বিষয়গুলো সব পুলিশ তার ব্যাপারে এনালাইসিস করে বের করে ফেলে।
আর এদিকে অনুরাধার বাবা এই লোকটার বিষয়েও অনেক কিছু জানতো বা জানে, কিন্তু সে সবার কাছেই লুকিয়েছে আর তার মাও যে একসিডেন্টে মারা গিয়েছিলো সেটাও তার কাছে এতদিন পর্যন্ত লুকিয়ে এসেছিলো। আর ওই তিনজনের মধ্যে একজনকে মেরে ফেলার পরে আরেকজন যখন তার কাছে সমস্ত বিষয় বলতে আসে বা ওই মেয়েটাকে নিয়ে আসার জন্য রাজি হয়, তখন রাস্তায় পুলিশের সামনে পড়ে যায়। আর তাকে চিনেও ফেলে, কারণ তাদের ছবিও ফ্যাক্স করে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলো চেন্নাই থেকে। এখন এখানে আসলে যদি তাদের ব্যাপারে একটু ব্যাকে যাওয়া যায় অর্থাৎ চেন্নাইতে থাকা কালীন।
এখানে এই তিন ছেলেকেই ওই লোকটা চিনতো, কারণ তারাও মেডিকেল স্টুডেন্ট ছিল। একদিন লেকচারের সময়ে ওই লোকটা তার মেয়েকে নিয়ে যখন সেখানে লেকচার দিচ্ছিলো, তখন এরা তিনজন আর একটা মেয়ে সেখানে ছিল আর সেখানেই ওই মেয়েটার সাথে লোকটার মেয়ের পরিচয় আর ধীরে ধীরে একটা ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয় আর ওই ছেলেগুলোর সাথেও পরিচয় করিয়ে দেয় । কিন্তু মেয়েটার বাবা মানা করেছিল আসতে, কারণ তার মেয়ে অসুস্থ বলে, কিন্তু তার পরেও লুকিয়ে আসতো তার মায়ের অনুমতি নিয়ে যখন তার বাবা বাড়িতে না থাকতো।
❄ব্যক্তিগত মতামত:❄
এখানে আসলে ওই মহিলাটি যখন স্টেশন থেকে লোকটার মেয়েকে নিয়ে আর ওই তিনটি ছেলেকে সাথে করে অনুরাধাদের বাড়িতে গিয়েছিলো, তখন ওই লোকটাও সেই সাথে ওখানে তাদের পিছু নিয়ে গিয়েছিলো। আর অনুরাধার বাবাও সেখানে গিয়েছিলো। এখন বিষয় হলো ওই তিনটি ছেলে যখন তার মেয়েকে নিয়ে টানাটানি শুরু করলো, তখন প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় অনেক। এর মধ্যে যখন ওই মহিলাটি লোকটাকে বাধা দিতে যায়, তখন লোকটা আর উপায় না পেয়ে তাকে দেয়ালের গায়ের পেরেকে ঘাড় বসিয়ে দেয় আর ওখানেই মারা যায়। আর অনুরাধার বাবা ওখানে পড়ে যায় তাদের ধাক্কায় আর ওই লোকটার মেয়ে তার পেন নিয়ে মহিলার পিঠে অসংখ্য ক্ষতের সৃষ্টি করে। কাহিনী যেটা স্পষ্ট বোঝা গেলো যে, ওই লোকটাই এইসবের পিছনে ছিল। এখন পুলিশ তাকে কোন যুক্তিতে গ্রেফতার করবে সেটা দেখার বিষয়।
❄ব্যক্তিগত রেটিং:❄
৮.৯/১০
❄ট্রেইলার লিঙ্ক:❄
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা বেশ মারাত্বক রকমের ভয়ানক তো মনে ওয়েব সিরিজটি। আমিও ভাবছি যে তাহলে পুলিশ কি করে গ্রেফতার করবে? যাই হোক আপনার ওয়েব সিরিজের ডিটেকটিভ ভাব গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে। ধন্যবাদ দাদা এমন একটি সিরিজ শেয়ার করার জন্য।
দাদা বিষয়টা তো দেখছি একদম অনেক বেশি জটিলতা তৈরি হল। মহিলাটি দেখছি সবাইকে একসাথে নিয়ে অনুরাধাদের বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে দেখছে আবার অনুরাধর বাবাও ছিল। তবে অন্তত এটা বোঝা গেল যে এই সবকিছুর পেছনে ওই লোকটাই ছিল। এতদিন পর্যন্ত এই কাহিনীটা অনেকটাই ঘোলাটে লেগেছিল। কিন্তু এখন মূল আসামিকে সেটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। আশা করি লোকটার শাস্তি হবে। অনেক ভালো লেগেছে আজকের রিভিউটা পড়ে।
তাহলে রিটায়ার্ড প্রাপ্ত পোস্টমর্টামের লোকটাই হচ্ছে সেই মহিলার খুনী। তার মানে অনুরাধার বাবা নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও বাজেভাবে ফেঁসে গিয়েছিলো। আশা করি পুলিশ যেভাবেই হোক খুব শীঘ্রই সেই লোকটাকে গ্রেফতার করবে। পরবর্তী পর্বে মনে হচ্ছে আরও বিস্তারিত জানতে পারবো। যাইহোক এই পর্বের রিভিউ এতো চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।