পুঁটি মাছের মজাদার তরকারি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি পুঁটি মাছের তরকারি রান্না করেছি। এই পুঁটি মাছগুলো একদম পিওর নদীর পুঁটি মাছ। এই পুঁটি মাছগুলো খাওয়ার যে কি মজা সে আর বলার মতো না, তেল তেল করে আর সাথে একটু পেঁয়াজ দিয়ে ভাজলে দেখতেও যেমনটা চকচক করে তেমনি ভাতের সাথে মাখিয়ে খেতেও দারুন মজা লাগে। তবে এই পুঁটিগুলো সাইজে একটু বড়ো হওয়ায় তরকারীতেও খেতে বেশ মজাদার লেগেছিলো। এই পুঁটি মাছের তরকারিটা আমি সজনে ডাঁটা আর আলু দিয়ে করেছিলাম। তবে পুঁটি মাছ দিয়ে যেকোনো তরকারি রান্না করলে আগেভাগে পট পট করে পুঁটি মাছগুলো তুলে খাওয়া হয়ে যায় 😃 । তবে যাইহোক না কেনো নদীর পুঁটি মাছের স্বাদটা যেন একদম বিচক্ষণ স্বাদের লেগেছিলো, আর এমনিতে পুঁটি মাছ খেলাম কয় মাস বাদে তারও ঠিক নেই। ফলে অনেকদিন বাদে তারপর নদীর পুঁটি মাছ, এমনিতে জিহ্বায় চলে আসবে। যাইহোক এখন আমি এই পুঁটি মাছের তরকারির মূল বিষয়গুলোর দিকে চলে যাবো।
♨প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:♨
✔এখন রেসিপিটি যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
❂প্রস্তুত প্রণালী:❂
❖সব পুঁটি মাছগুলোকে প্রথমে ভালো করে কেটে নিতে হবে ( বাজার থেকে একেবারে কাটিয়ে এনেছিলাম ) এবং পরে আমি বাড়িতে এনে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। এরপর আলুর খোসা ছালিয়ে কেটে পিচ করে নিয়েছিলাম।
❖সজনে ডাঁটাগুলো কেটে ছোট ছোট করে নিয়েছিলাম। পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কুচি করে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।
❖কেটে রাখা পুঁটি মাছগুলোর গায়ে লবন আর হলুদ ঠিকমতো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে হাত দিয়ে গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖পুঁটি মাছগুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর আলুর পিচগুলো লাল মতো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে তেল দিয়ে দেওয়ার পরে জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ ভাজার পরে তাতে ভাজা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর সাথে আলু একসাথে চেপে গলিয়ে নিয়েছিলাম।
❖গলানোর পরে তাতে সজনের ডাঁটাগুলো এবং কাঁচা লঙ্কা, স্বাদ মতো লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব ঘেঁটে একসাথে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
❖সব একসাথে মেশানো হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা কিছুক্ষন ধরে জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
❖তরকারি কিছুক্ষন জ্বাল দেওয়ার পরে তাতে ভাজা পুঁটি মাছগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি শেষ পর্যন্ত না হয়ে আশা পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।
❖দেরি করার পরে হয়ে গেছিলো আমার স্বাদের পুঁটি মাছের তরকারি। এরপর দিয়ে দিয়েছিলাম তাতে অল্প করে জিরার গুঁড়ো। স্বাদের তরকারিটা এখন পরিবেশন করে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আগে যখন বর্ষাকাল আসতো বিলে থেকে পুঁটিমাছ ধরতাম। তখন শাড়ি পড়া পুঁটি মাছ পাওয়া যেতো বিলে, শাড়ি পড়া বলতে লাল কালার ডাগ কাটা থাকে। আমার কাছে পুঁটি মাছ ভাজি তরকারি সবই ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে পুঁটি মাছ অসাধারণ লাগে। ডিমওয়ালা পুঁটিমাছ আরো বেশি মজা।
আপনি আলু সজনে ডাটা দিয়ে পুঁটি মাছের অসাধারণ এক রেসিপি তৈরি করেছেন। এখানে আমার দুইটি জিনিস বেশি প্রিয় সজনে ডাটা ও পুঁটি মাছ। তবে আমি সজনে ডাটা দিয়ে পুঁটি মাছ কখনো খাই নাই। আশা করি খুব তারাতারি খেয়ে দেখবো। রেসিপি টি পরিবেশন করার পর যে একটা লুক আসছে। দেখেই লোভ লেগে যাওয়ার মতো। সর্বোপরি আমার কাছে আপনার তৈরি পুঁটি মাছের রেসিপি দারুণ লেগেছে।
দাদা, আজকের রেসিপি আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার রেসিপি দেখলেই একটা আকর্ষন কাজ করে। কারণ সব মজাদার রেসিপি আপনার পোস্টে পাওয়া যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা, এতো মজার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম। 💞💞
পুঁটি মাছ খুবই পুষ্টিকরী ও উপকারী মাছ।বিশেষ করে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এই মাছ খেলে।সত্যি বলতে আমাদের ক্যানেলে খুব পুঁটি মাছ পাওয়া যায় ওইসময়।কিন্তু এখন একটু কম পড়ে।এইমাছ একদিন খেলে আর খাওয়ার প্রতি চাহিদা থাকে না আমার।আর পুঁটি মাছের খুবই কাঁটা থাকে।তবে পুঁটি মাছ যখন ঝাঁক ধরে ভাসে জলের মধ্যে খুবই ভালো লাগে দেখতে।সজনে ও আলু দিয়ে পুঁটি মাছ খুবই মজার রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।সজনে ডাটা খেতে আমার ও খুবই ভালো লাগে গরমের দিনে।ধাপগুলো ভালো ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন দাদা।
পুঁটি মাছ ভাজা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার পুঁটি মাছ ভাজা গুলো দেখে আমার লোভ লেগে গেলো ইচ্ছে করছে এখান থেকে নিয়ে একটু খেয়ে ফেলি। তবে আপনি পুটি মাছ দিয়ে যে সজনে ডাটার রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমার এভাবে কখনো পুঁটি মাছ দিয়ে সজনে ডাটা রান্না করে খাওয়া হয়নি। আমার কাছে আপনার রেসিপিটি একদমই নতুন ইউনিক একটি রেসিপি। সজনে ডাটা আমরা বেশির ভাগই ডাল দিয়ে রান্না করে খাই। তবে আপনার পুঁটি মাছ দিয়ে সজনে ডাঁটার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এভাবে রান্না করে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
দাদা আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন পুঁটি মাছের তরকারি রান্না করলে আগে পুঁটি মাছ গুলো বেছে বেছে খেয়ে নেই। মাঝে মাঝে তো পুঁটি মাছ ভাজার সময় অর্ধেক খেয়ে সাবাড় করে দেই 😋। আসলে পুঁটি মাছ ভাজা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি পুঁটি মাছের তরকারি রান্না করলেও খেতে ভালো লাগে। সজনে ডাঁটা আমার খুবই প্রিয় একটি সবজি। সজনে ডাঁটা দিয়ে পুঁটি মাছ রান্না করলে খেতে ভালোই লাগে। আলু ও সজনে ডাঁটা দিয়ে পুঁটি মাছের খুবই লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। আপনার তৈরি করা রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি উপস্থাপন করার জন্য এবং আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতা আমাদের মাঝে প্রদর্শন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। 💗💗💗💗
নদীর পুঁটি মাছের কথা শুনে জিভে জল চলে আসলো দাদা। আসলে আমরা যত বড় মাছই খাইনা কেন পুঁটি মাছের মতো স্বাদ অন্য কিছুতে নেই। আর যদি হয় নদীর পুঁটি মাছ তাহলে আরো বেশি ভালো লাগে খেতে। মচমচে পুঁটি মাছ ভাজা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে মচমচে মাছ ভাজা হলে আর কিছুই লাগে না। আর আপনি যেহেতু খুব সুন্দর করে সজনে ডাঁটা ও আলু দিয়ে পুঁটি মাছের তরকারি রেসিপি তৈরি করেছেন তাহলে তো খেতে আরও বেশি মজার হয়েছে। এই সময় সজনে ডাঁটা খেতে অনেক ভালো লাগে। আলু ও সজনে ডাঁটার বেশ ভাব রয়েছে। তাই আলু দিয়ে সজনে ডাঁটার সাথে যদি পুঁটি মাছ রান্না করা হয় তাহলে খেতে দারুন লাগবে। আপনার রেসিপি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে দাদা। মন চাচ্ছে আমিও তৈরি করে খেয়ে ফেলি। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সকলের মাঝে উপহার দিয়েছেন। আপনার রেসিপি দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।🥰🥰
প্রিয় দাদা♥ অনেকদিন পর পুঁটি মাছের মজাদার তরকারি দেখে আনন্দে বুকটা ভরে গেল।একসময় পুটি মাছের কবিতা পড়েছি কিন্তু এখন পুটি মাছ আর চোখেই পড়ে না।পুটি মাছ দেখতে অনেক ভালো লাগে রুপালি পুটি মাছ গুলো কি চকচক করে।দেখেই যেন অন্য রকম একটা অনুভূতি একটা ভালো লাগা কাজ করে মনের ভিতর।এক সময় আমরা বরশি দিয়ে পুটি মাছ ধরতাম। খুব ছোটবেলায়।
অনেকদিন পর পুটি মাছের রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং রেসিপি এর প্রতিটি ধাপে খুবই চমৎকার করে প্রেজেন্টেশন করেছেন এবং আপনার প্রেজেন্টেশনের আলাদা একটা বৈশিষ্ট্য আছে যেটা আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত ও প্রাণবন্ত করে তোলে।
এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।ভালোবাসা অবিরাম সবসময় ভালো থাকবেন।♥♥
দাদা পুঁটি মাছ আমার খুব প্রিয় একটি মাছ। আমি খুবই পছন্দ করি এই ছোট মাছটি। আপনার উপস্থাপনা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এত অসাধারন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পুঁটি মাছ 😋!! আমার অনেক পছন্দের মাছের মধ্যে একটি। তবে কখনই পুঁটি মাছ আমার এভাবে খাওয়া হয়নি। বেশিরভাগ সময় গরম ভাতের সাথে পুঁটি মাছের কড়া ভাজি এবং মসুরের ডাল খাওয়া হয়েছে। ওই খাবারটা কি যে সুস্বাদু দাদা ভাই আপনাকে কি আর বলবো। একদিন অবশ্যই খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। আমি অবশ্যই আপনার এই রেসিপি ধাপগুলো অনুসরণ করে পুঁটি মাছ কিভাবে খেয়ে দেখব। এবং আশা করছি আমার কাছে ও অসাধারণ লাগবে। কারণ দেখতে ভীষণ সুস্বাদু লাগছে। যেহেতু আলু গুলোকে একেবারে গলিয়ে এরপর সজনে ডাটা দিয়ে পুটি মাছ গুলো চচ্চড়ি করেছেন। তাই নিশ্চয়ই খেতেও অসাধারণ হবে। ধন্যবাদ দাদাভাই পুঁটি মাছের এমন ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। সবসময় ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি ❣️।
বড় আকারের পুটি মাছ গুলোকে মুচমুচে ভাজা করে খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি এগুলো কে ভেজে আবার তরকারিতে দিয়েছেন ।আমার তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।খুব ভালো লাগলো নতুনভাবে পুটি মাছ দিয়ে রান্নার রেসিপিটি।
দাদা আপনি যে রেসিপিই তৈরি করেন না কেন তা একটা ভিন্ন লেভেলের আগ্রহ সৃষ্টি করে আমার মধ্যে। মনে হয় এটা সম্ভবত আপনার উপস্থাপনার গুনে। অনেক সময় অনেক ভালো ভালো রেসিপিও সঠিক উপস্থাপনার অভাবে অনাগ্রহ সৃষ্টি করে আবার অনেক সাধারন খাবারও সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে দেখতে দারুণ আকর্ষণীয় লাগে। আসলে পুটি মাছ আমার অনেক প্রিয় একটি মাছ। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ভাজা খেতে। যদিও নদীর পুটি এখন আর তেমন একটা দেখা যায়না। তবে এগুলোর স্বাদই আলাদা। আপনার আলু আর সজনে ডাটা দিয়ে রান্না করা পুঁটি মাছ গুলো দেখে জিভে জল এসে গেল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি ভাগ করে নেয়ার জন্য।❤️❤️👍