মুভি রিভিউ: Boomika
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "Boomika"। এই মুভিটি একটি রহস্যময় এবং হরর টাইপের। তাহলে দেখা যাক এই হরর কাহিনীটা কিভাবে শুরু হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❂মূল কাহিনী:❂
অদ্বিতী, ধর্মান, অবন্তিকা সহ একটি গ্রূপ হয়ে মুম্বাইয়ের বাইরে একটা ট্রিপে আসে, মূলত তারা প্রোপার্টি দেখতে আসে, যেখানে কোনো প্রজেক্ট রান করতে পারে। এই জায়গাটা একটি গ্রামের ভিতরে আর তারা যে বাড়িতে উঠেছিল সেটা একটি গেস্ট হাউস ছিল আর সেখানে শুধু একজন দারোয়ান বা কেয়ারটেকার হিসেবে উপস্থিত ছিল। বাড়িটা একটু ভুতুড়ে মতো দেখতে আর তারা প্রথমে একটু ভয়েও ছিল শুনশান জায়গায়। তো তারা এই গেস্ট হাউসে ওঠে এবং কিছুদিন যেতে না যেতে কিছু মেজর প্রব্লেম হতে থাকে বাড়িতে তাদের। সবার না হলেও কয়েকজনের সাথে কিছু অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা চলতে থাকে যেগুলো তাদের কাছে অস্বাভাবিক লাগে।
তবে আর কেউ তেমন একটা পাত্তা দেয়নি বিষয়টাকে। এখন এখানে একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যে, মোবাইলে ব্যাটারি না থাকা সত্বেও তাদের ফোন চলছে আর তাদের কেউ কিছু সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এই বাড়িতে যে কোনো অস্বাভাবিক শক্তি ভর করছে, সেটা ভালোভাবে তাদের মনের মধ্যে একটা ভয় হিসেবে বসে যায়। ধর্মান গাড়ি নিয়ে বাইরে গেলে তার সাথেও কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে যেটা বাড়িতে এসে কাউকে বলে না যদিও, কিন্তু দিন দিন তাদের সাথে কিছু না কিছু ঘটনা ঘটতেই থাকে। অদ্বিতী বাইরে যায় এবং হাটতে হাটতে একটা জঙ্গলের সাইটে চলে যায়, যেখানে জংলী কুকুরে ভর্তি, আর এই কুকুরগুলো এতটাই হিংস্র হয় যে মানুষ তো দূরে থাকে, জঙ্গলের বাঘকেও ছাড়ে না। সেখানে অদ্বিতীর উপরে হামলা করলে ওখানকার গার্ড গিয়ে কিছুটা হেল্প করে কিন্তু সেখানে আবার ধর্মানকেও হামলা করে আর কামড়ও বসিয়ে দেয় তাদের হাতের উপরে।
এরপর তাদের উপর এইসব সমস্যা আসার পরে কয়েকজন সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে, কিন্তু তাদের গাড়িটাও খারাপ হয়ে পড়ে আছে অর্থাৎ স্টার্ট নিতে চায় না। এরপর আবার সেই ঘরে চলে যায়। এখন অদ্বিতীর উপরে একটি অদৃশ্য আত্মা হামলা করে আর তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এইসব দেখে অবন্তিকা দ্রুত গাড়ি বের করে আর স্টার্ট করার চেষ্টা করে, কিন্তু সেই আত্মাটা তার দিকে দ্রুত আসতে থাকে। এদিকে অবন্তিকা তার ছেলেকে ওই ঘরেই একটা রুমে ঘুম পাড়িয়ে এসেছিলো আর তাকে নিতে গিয়ে দেখে সেই আত্মাটা তাকে ড্রয়িং শেখাচ্ছে। এইটা দেখে সে আরো অবাক হয়ে যায়, কারণ সেই আত্মাটা তাকে ক্ষতি করার বদলে সাহায্যই করেছে।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
এই কাহিনীর এতক্ষনে যেটা বললাম তার মধ্যে একটা গভীর রহস্য রয়েছে। এই যে আত্মার কথাটা এতক্ষন বললাম এটা আসলে বূমিকা নামের একটি মেয়ের কাহিনী। মেয়েটা আর ৫-১০ টা মেয়ের মতো স্বাভাবিক না, প্যারানরমাল টাইপের, তাই তাকে কেউ মেনে নিতো না। কোনো স্কুলে বা খেলায় কেউ তার সাথে খেলতো না। তার বাবা তাকে বাড়িতেই পড়াতো আর শিক্ষা দান করতো। তবে মেয়েটা পড়ার দিকে অতটা সিরিয়াস ছিল না, কিন্তু যেটা একবার শুনতো সেটা পুনরায় আবার হুবহু বলতে পারতো, ব্রেন ভালো ছিল। তবে তার আঁকার দিকে খুব ঝোঁক ছিল, সবসময় আঁকা নিয়ে থাকতো। যা দেখতো তাই আঁকার চেষ্টা করতো অর্থাৎ বেশিরভাগটাই প্রাকৃতিক কিছু আঁকার চেষ্টা করতো। তার একটা আঁকা একজন শিক্ষক দেখে খুব পছন্দ করে আর তাকে তার আঁকার স্কুলে ভর্তি করে নেয়, তার সবধরণের সহযোগিতা সে করতো। সেই মেয়েটা একদিন এওয়ার্ড জিতে নেয় তার একটি আঁকার মাধ্যমে আর তাদের যে স্কুল তাকে ভর্তি নিতে চায়নি, তাকে পরে ভর্তি নিতে রাজি হয়ে যায়, কারণ একজন অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত মেয়ে যদি তাদের স্কুলে ভর্তি হয় তাহলে সুনামটা তাদেরই হবে। এখন মেয়েটা প্যারানরমাল হলেও সে প্রকৃতিকে খুব ভালোবাসতো, আর বাইরের থেকে প্রজেক্ট করতে এসে সেখানকার সব গাছপালা কেটে ধংস করতে গেলে তার খারাপ লাগে আর সে বাধা দিতে চলে যায়, কিন্তু মেয়েটা সেখানেই গাছের সাথে মাথা ঠুকে মারা যায়। এরপর সেখানে স্কুলও বন্ধ হয়ে যায় আর সেই বাড়িতে অর্থাৎ ওই এলাকায় তার আত্মা আটকে থেকে যায়। এরপর সে আত্মা হয়েই সেখানকার পরিবেশটা বাঁচিয়ে রাখে।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৮.৭/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আমার কাছে এই ধরনের মুভি গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। আর আমি সময় পেলে এরকম মুভি গুলো দেখার চেষ্টা করি। Boomika এই মুভিটা কিন্তু সত্যি অনেক বেশী সুন্দর। বিশেষ করে এই মুভিটার কাহিনী ছিল দারুন। রহস্যময় এবং হরর টাইপের মুভি গুলো একটু বেশি সুন্দর হয়। আর সেজন্যই তো আমি বেশ মনোযোগ দিয়ে পুরো মুভিটার কাহিনী পড়েছি, আপনার রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে। মেয়েটা অনেক বেশি ভালো ছিল। তার এরকম এক্সিডেন্টে মৃত্যু হয়েছে শুনে খারাপ লেগেছে। গাছপালা কেটে ধ্বংস করতে যখন গিয়েছিল তখন মেয়েটা বাধা দেওয়ার জন্য গিয়েছিল। আর সেখানেই মেয়েটা গাছের সাথে মাথা ঠুকে মারা গিয়েছিল শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। তার পরবর্তীতে মেয়েটা আত্মা হয়ে এভাবেই সবকিছু রক্ষা করে আসতেছে, এটা শুনে কিন্তু ভালোই লেগেছে। সেখানকার পরিবেশ মেয়েটা আত্মা হয়েই রক্ষা করছিল । ওই আত্মাটা অবন্তিকার ছেলেকে কোনরকম ক্ষতি করেনি এবং কি ওই ছেলেটাকে সে নিজেই ড্রইং শিখাচ্ছিল, কোনো রকম ক্ষতি না করে। ওই আত্মাটা তো একটা ভালো আত্মা ছিল। যার কারণে ক্ষতি করেনি। আর এরকম দৃশ্য দেখলে অবাক হওয়ারই কথা। সময় পেলে এই মুভিটা দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো আমি।
দাদা আপনি প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর সুন্দর মুভির রিভিউ সবার মাঝে ভাগ করে নেন। আর আমি একদিনও আপনার মুভির রিভিউ পড়া মিস করি না। কারণ আপনি অনেক সুন্দর করে মুভিগুলোর রিভিউ লিখে থাকেন। যার কারণে পরবর্তীতে মুভি আর দেখাও লাগেনা। পুরো কাহিনীটা সুন্দর করেই রিভিউর মাধ্যমে পড়তে পারি। যে মেয়েটা আত্মা তার কাহিনীটা একেবারে কষ্টকর ছিল। মেয়েটা প্যারানরমাল টাইপের হওয়ার কারণে কোন স্কুল তাকে ভর্তি নিত না। তবে মেয়েটা পড়ার প্রতি এত আগ্রহী না থাকলেও, আঁকাআঁকির প্রতি সে অনেক বেশি আগ্রহী ছিল। মেয়েটা খুবই ভালো একটা কাজ বেঁচে থাকতেও করেছিলো এবং কি আত্মা হয়েও করছে। আত্মা হওয়ার পরেও সে ওই জায়গার পরিবেশ বাঁচিয়ে রেখেছে ।
মেয়েটা প্রকৃতিকে অনেক বেশি ভালোবাসত, তাই তো সে এরকম একটা কাজ করেছে। অদ্বিতীর উপরে অদৃশ্য আত্মা হামলা করে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল, যার কারণে তাড়াতাড়ি করে গাড়ির স্টার্ট দেওয়ার জন্য গিয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে গানটা স্টার্ট হয়নি। অবন্তিকা তার ছেলেকে একলা একটা রুমে রেখেছিল। কিন্তু ওখানে দেখছি ওই আত্মাটা গিয়েছিল এবং কি অবন্তিকার ছেলেকে কোন কিছু না করে তাকে আর্ট শিখাচ্ছিল। আত্মাটা তাকে ক্ষতি না করে তার সাহায্য করছিল, এই বিষয়টা সত্যি অবাক জনক ছিল। আমার কাছে পুরো কাহিনী দারুন লেগেছে দাদা। আপনার পরবর্তী মুভির রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকলাম।
দাদার নেট ফিক্সে মুভি গুলো তেমন দেখা হয় না কারণ আমার কাছে প্রিমিয়াম টা নেই । তবে মুভির কাহিনীটা আসলে খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল কারণ একটি মেয়েকে নিয়ে যেহেতু কেন্দ্র করে তুলে ধরা হয়েছে । বূমিকার চরিত্রটাও আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং মনে হলো । হরর টাইপের এই মুভি গুলো দেখতেও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আসলে ।
বেশ রহস্য ঘেরা মুভির রিভিউ করেছেন। আমার কাছে এমন মুভি গুলো দেখতে বেশ দারুন লাগে। আত্না আবার আটকে থাকে এটা শুনেই তো কেমন যেন ভয় ভয় কাজ করছে। আপনি সম্পন্ন মুভিটির বেশ সুন্দর করে রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ দাদা এত রহস্যময় মুভির রিভিউ করার জন্য।
দারুণ একটি মুভি রিভিউ দিলেন দাদা আপনি। প্রায় সময় আপনি মুভি রিভিউ গুলো শেয়ার করেন পড়ার চেষ্টা করি আমি। কখন যে বসে টিভির মধ্যে মুভি দেখেছি সেই কথা আমার মনে নেই। তবে যখন বাচ্চারা ছিল না তখন দেখেছি বেশ। বাচ্চারা যখন কোলে আসলো তখন থেকে আর মুভি দেখার সুযোগ হয় না। বিভিন্ন সংসারে কাজকর্ম কমিউনিটির কাজ অন্যান্য ঝামেলা সবকিছু মিলিয়ে বেকায়দায় পড়ে গেছি। তো আপনি মাঝে মধ্যে মুভি গুলো শেয়ার করেন। আজকের মুভি রিভিউ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একসময় নেটফ্লিক্সে প্রায়ই মুভি দেখা হতো, কিন্তু এখন ব্যস্ততার জন্য মুভি দেখা হয়ে উঠে না। তবে আমার কাছে হরর মুভি দেখতে অনেক ভালো লাগে। বূমিকার আত্মার মতো যদি আমাদের সমাজের মানুষজন পরিবেশ রক্ষা করার চেষ্টা করতো, তাহলে সমাজের চিত্রটাই পাল্টে যেতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষ প্রতিনিয়ত গাছপালা কেটে বাড়ি ঘর এবং কলকারখানা নির্মাণ করে যাচ্ছে। মোটকথা প্রকৃতিকে একেবারে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আর সেজন্যই তো বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হচ্ছে কিছুদিন পরপরই। যাইহোক মুভি রিভিউ পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা সম্পূর্ণ মুভির রিভিউ পড়ে যেটা বুঝলাম Boomika মুভিটা মূলত পরিবেশের দিকে লক্ষ করে নির্মান করা হয়েছে। প্যারানরমাল মেয়েটাকে কোন স্কুলে ভর্তি নিতো না। তার বাবা তাকে ঘরের মধ্যেই পড়াশোনা করিয়েছে। তবে মেয়েটার পরিবেশ বা প্রকৃতির দিকে টান দেখা যায়। সে প্রকৃতিকে খুব ভালোভাসে। গাছ কাটা,বন উজার করা,উদ্ভিদ ধ্বংস করা,পরিবেশ নষ্ট করা তার পছন্দ হতো না। পরিবেশের চিত্র অংঙ্কন করে মেয়েটা স্কুলে ভর্তি হতে পারলেও সে বেশি দিন বাঁচতে পারে নি। তার এলাকায় কি লোক আসে প্রজেক্ট তৈরী করার জন্য। আর তারা এসে গাছ কাটতে শুরু করে। যেটা মানতে পারেনি প্যারানরমাল মেয়েটা সে বাধাঁ দিলেও তার বাধাঁ কে মানতে রাজি না। যার ফলে সে গাছের সাথে মাথা ঠুকে মারা যায়। আর তার আত্নাটা গাছে গাছে ঘুরতে থাকে। কেউ গাছ কাটতে আসলে তাদেরকে আত্নাটা ভয় দেখিয়ে তারিয়ে দেয়। মুম্বাই থেকে আসা অদ্বিতী, ধর্মান, অবন্তিকার গ্রুপটাও সেই আত্নার বাধাঁর মুখে পড়ে। এখানে শিক্ষা হলো আমরা প্রজেক্ট তৈরী করতে গিয়ে পরিবেশ যেন ধ্বংস না করি। ইচ্ছা থাকলে পরিবেশ রক্ষা করেও প্রজেক্ট তৈরী করা যায়। ধন্যবাদ দাদা।